বিবাহের উদ্দেশ্য
লিখেছেন লিখেছেন কানিজ ফাতিমা ০৪ জুলাই, ২০১৩, ০৭:৫৫:০৬ সকাল
যদিও মানুষের জৈবিক চাহিদা শালীন উপায়ে পূরণ বিবাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য তথাপি এটি বিবাহের একমাত্র মূল উদ্দেশ্য নয়। কুরআনের স্পষ্ট ভাষা অনুযায়ী দু’জন মানুষের মিলনের মাধ্যমে শান্তি ও স্বস্তি অর্জন করাই বিবাহের মূল লক্ষ্য।
“তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা আর রূম : ২১)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা মুসলিম নর ও নারীর সম্পর্ককে একে অপরের সাহায্যকারী রূপে বর্ণনা করেছেন যেখানে পরস্পর পরস্পরকে ভাল কাজে ও আল্লাহর দেয়া খেলাফতের দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবে।
“আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক তারা পরস্পরকে ভাল কাজে সহায়তা করে ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।” (সূরা আত তাওবাহ : ৭১)
বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ইউসুফ আল কারযাবী (রহ.)র মতে, “একটি জাতি গঠনের মূল ভিত্তি প্রস্তর হিসেবে ইসলাম যেমন সৎ ব্যক্তি গঠনকে উৎসাহিত করে, ঠিক তেমনি একটি সুষম সমাজ গঠনের অপরিহার্য শর্ত হিসেবে সুসংহত পরিবার গঠনকেও ইসলাম অত্যধিক গুরুত্ব প্রদান করে। এটা সর্বজন সম্মত যে, বিবাহ, যা একজন নারী ও একজন পুরুষকে পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ করে, একটি পরিবারের গোড়া পত্তন ঘটায়। বিবাহ ব্যতীত সত্যিকার অর্থে সুসংহত পরিবার গঠনের আর কোন পথ নেই। এটিই একমাত্র বৈধ যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কর্তৃক অনুমোদিত।
বিভিন্ন যুগে বিবাহের বিপক্ষে কিছু দর্শন বা মতবাদ সমাজে প্রচলিত ছিল এবং এখনও আছে। পারস্যে (বর্তমান ইরান) ইসলামের আগমন ঘটার পূর্বে মানির দর্শন (Mani’s Philosophy) প্রচলিত ছিল, সেখানে মনে করা হতো এ পৃথিবীর সবকিছু হচ্ছে শয়তানের প্ররোচনা। কাজেই পার্থিব সব ভোগ বিলাস ত্যাগ করতে হবে। এ ধারণার বশবর্তীরা বিবাহ বর্জনকেও নিজেদের লক্ষ্য অর্জনের একটি উপায় বলে মনে করতো।
খ্রীস্ট ধর্মেও গোড়া সন্নাসবাদের অনুপ্রবেশ ঘটে- যেখানে পার্থিব সবকিছু ত্যাগ করে বৈরাগ্য বরণ করার কথা বলা হয়। এতে মহিলাদের সব ধরনের প্ররোচনার উৎস এবং শয়তানের মূর্ত প্রতীক হিসেবে চিিহ্নত করা হতো। নারীসঙ্গ আত্মাকে কলুষিত করে এবং স্বর্গ থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে নেয়।
এই আধুনিক যুগেও পশ্চিমা বিশ্বে একদল লোক রয়েছে যারা মহিলাদের বিষাক্ত সাপের সাথে তুলনা করেন, যাদের স্পর্শ মধুর কিন্তু ছোবল ভয়াবহ বিষাক্ত। তারা আরও দাবী করে যে বিবাহের মাধ্যমে নারী-পুরুষের হাতের মুঠোয় ভরে ফেলে এবং তাকে দায়িত্বের শেকলে বন্দী করে। কাজেই একজন পুরুষ যে স্বাধীনভাবে জন্মগ্রহণ করেছে, কেন স্বেচ্ছায় নিজ গলায় বিবাহ নামক বন্দীত্বের শিকল জড়িয়ে নেবে- দুঃখজনক হলেও সত্যি বর্তমান যুগের কিছু মুসলমান যুবক এই গোষ্ঠির বিকৃত চিন্তাকে গ্রহণ করেছে এবং বিবাহের দায়-দায়িত্ব ও কর্তব্যের বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে চাচ্ছে। যদি তারা তাদের জৈবিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের জন্য সে চাহিদা পূরণের যে পথটি খোলা থাকে তা হলো- ব্যভিচার, যা ঘৃণ্য ও অবৈধ। অথচ তারা বিবাহের মাধ্যমে শালীন উপায়েই তা লাভ করতে পারতো।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বিবাহের উদ্দেশ্যসমূহ নিুরূপ :
১. প্রকৃতির একটি নীতি হলো কোন কিছুই একা বা জোড়াবিহীনভাবে কার্য সম্পাদন করতে পারে না। আল্লাহর সৃষ্টি প্রতিটি জিনিসের মধ্যেই তার সমগোত্রীয় আর একটির চাহিদা বিদ্যমান; যেখানে পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক ও সহযোগী হিসেবে কাজ করে। ইলেকট্রিসিটির কথা যদি ধরি তবে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার জন্য একটি নেগেটিভ ও একটি পজিটিভ পোলের সংযোগ দরকার হবে। একইভাবে একটি অণু গঠনের জন্য ইলেক্ট্রন ও প্রোটনের সমন্বয় দরকার। গাছপালার বংশ বিস্তারের জন্য পোলেন গ্রেইনকে পুং গ্যামেট বহন করে ফুলের স্টিগমা (Stigma) এর সংস্পর্শে আসা জরুরী। পশুপাখির বংশ বিস্তারের জন্য পুরুষ ও স্ত্রী প্রজাতির পশুপাখির প্রয়োজন। কুরআনে এই প্রাকৃতিক আইনকে আল্লাহ এভাবে বর্ণনা করেছেন -
“আমি প্রত্যেক বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি যাতে তোমরা হৃদয়ঙ্গম কর।” (আয-যারিয়াত : ৪৯)
“পবিত্র তিনি, যিনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, মানুষকে এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা ইয়াসীন : ৩৬)
মহাজ্ঞানী আল্লাহ তা‘আলা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মনুষ্য জাতির জন্য উপযোগী ও সম্মানজনক যে ব্যবস্থাটি রেখেছেন, যার মাধ্যমে একজন নারী ও একজন পুরুষ মিলিত হতে পারে তা হলো- বিবাহ।
আল্লাহ একজন পুরুষের হৃদয়ে একজন নারীর জন্য ও একজন নারীর হৃদয়ে একজন পুরুষের জন্য আকাক্সক্ষা সৃষ্টি করে দিয়েছেন, যে আকাক্সক্ষা ক্ষুধা তৃষ্ণা থেকেও মানুষকে বেশি প্রভাবিত করে। স্বামী-স্ত্রী একজন আরেকজনের মধ্যে প্রশান্তি, ভালবাসা ও স্বস্তি খোঁজে বা তাদের জীবনকে পরিপূর্ণ করে এবং আত্মাকে দীপ্ত করে। আল্লাহপাক সূরা রূমের ২১নং আয়াতে একথাই উল্লেখ করেছেন।
২. বংশগতি রক্ষা বিবাহের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। প্রতিনিধিত্বকারী সৎকর্মশীল সন্তান সন্তুতির মাধ্যমে মানুষের অস্তিত্ব দীর্ঘায়িত হয়। এটি আল্লাহর দেয়া একটি বিশেষ নেয়ামত।
“আল্লাহ তোমাদের জন্য তোমাদেরই শ্রেণী থেকে জোড়া পয়দা করেছেন এবং তোমারে যুগল থেকে তোমাদের পুত্র ও পৌত্রাদি দিয়েছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ দান করেছেন।” (সূরা নাহল : ৭২)
নবী যাকারিয়া (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন- “এবং যাকারিয়ার কথা স্মরণ করুন, যখন সে তার পালনকর্তাকে আহ্বান করেছিল : হে আমার পালনকর্তা আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস।” (সূরা আম্বিয়া : ৮৯)
“আপনি নিজের পক্ষ থেকে আমাকে একজন কর্তব্য পালনকারী দান করুন। সে আমার স্থলাভিষিক্ত হবে ইয়াকুব বংশের এবং হে আমার পালনকর্তা, তাকে করুন সন্তোষজনক।” (সূরা মাইয়াম : ৫¬Ñ৬)
একইভাবে ইবরাহীম (আ.) দোয়া করেছেন, “হে আমার পরওয়ারদিগার! আমাকে এক সৎ পুত্র দান কর। (আস সাফ্ফাত : ১০০)
“সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলারই, যিনি আমাকে এ বার্ধক্যে ইসমাঈল ও ইসহাক দান করেছেন। নিশ্চয়ই আমার পালনকর্তা দোয়া শ্রবণ করেন। (সূরা ইবরাহীম : ৩৯)
মহাগ্রন্থ আল কুরআন মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর বান্দাদের সম্পর্কে এভাবে বর্ণনা করেছেন, “এবং যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা আমাদের সঙ্গীদের (spouse) পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানদের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান কর।” (আল ফুরকান : ৭৪)
কোন জাতি জনবল বৃদ্ধির মাধ্যমে শক্তিশালী হয় এবং শত্র“দের উপর বিজয়ী হবার শক্তি অর্জন করে। কুরআনে উল্লেখিত শোয়াইব (আ.) তাঁর জাতিকে বলেছিলেন, “স্মরণ কর, যখন তোমরা সংখ্যায় অল্প ছিলে অতঃপর আল্লাহ তোমাদেরকে অধিক করেছেন এবং লক্ষ্য কর কিরূপ অশুভ পরিণতি হয়েছে অনর্থকারীদের।” (আল আ‘রাফ : ৮৬)
বংশবৃদ্ধির মাধ্যমেই সারা পৃথিবীতে মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে এবং নানা প্রজাতি বিলুপ্তি থেকে রেহাই পেয়েছে। আল্লাহপাক বলেন, “হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক আত্মা থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গী (mate)সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত নারী-পুরুষ।” (আন্ নিসা : ১)
“হে মানব, আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হও।” (আল হুজরাত : ১৩)
৩. বিবাহ মানুষের ঈমানকে রক্ষা করে। পরনারীর প্রতি দৃষ্টি থেকে পুরুষদের বিরত রাখে, একজন মানুষের পবিত্রতা ও সম্মান রক্ষা করে এবং বৈধ ও শালীন উপায়ে দৈহিক চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। ফলে ব্যভিচারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। হযরত মুহাম্মদ (স.) বিবাহ সম্পর্কে বলেন, “এটি মানুষের দৃষ্টিকে অবৈধ দৃষ্টিপাত থেকে ফিরিয়ে রাখে এবং মানুষকে ব্যভিচারের হাত থেকে বাঁচায়।” তিনি আরও বলেছেন, “যদি আল্লাহ কোন ঈমানদার পুরুষকে ঈমানদার স্ত্রী দান করেন তবে তা তার অর্ধেক ঈমান রক্ষা করে। আর বাকী অর্ধেক ঈমানের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত।” (আততাবারানী ও আল হাকিম থেকে বর্ণিত)
৪. বিবাহ শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির ঈমানকেই হেফাজত করে না বরং এটি পার্থিব সুখের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ইসলাম মুসলমানদের এ সুখ লাভের প্রতি উৎসাহিত করে যাতে কোন কিছুই তার আত্মার পরিশুদ্ধি এবং উচ্চতর আধ্যাত্মিক পর্যায়ে লাভের পথে বাধা হতে না পারে। নবী করীম (স.) বলেন, “পুরো পৃথিবী হচ্ছে আনন্দের। তন্মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট আনন্দ হলো পূণ্যময় স্ত্রী অর্জন করা।” তিনি আরও বলেছেন, “চারটি জিনিস মানুষের জন্য আনন্দ বয়ে আনে- সৎকর্মশীল স্ত্রী, বিস্তৃত ঘর, ধার্মিক প্রতিবেশী ও আরামদায়ক জন্তু (বাহন)।” (বায়হাকী)
৫. পরিবার সমাজের নিউক্লিয়াস । পরিবার স্থাপনের একমাত্র উপায় হচ্ছে বিবাহ। পরিবারের অস্তিত্ব ব্যতীত কোন সুসভ্য মানব সমাজ গঠিত হতে পারে না। মাতৃত্ব, পিতৃত্ব, মাতা-পিতার সাথে সন্তানের সম্পর্ক, ভাইবোনের সম্পর্ক প্রভৃতির মাধ্যমে একজন মুসলমান ভালবাসা, শ্রদ্ধা, দয়া, সেবা, পরার্থপরতা ও সহযোগিতার মতো মহৎ চারিত্রিক গুণগুলো অর্জন করে ও চর্চা করে।
৬. বিবাহের মাধ্যমে দু’টি পরিবারের আত্মীয়তা হয় যাতে সামাজিক সম্পর্কের পরিধির বিস্তৃতি ঘটে। শ্বশুড় পক্ষের আত্মীয়তার মাধ্যমে পরিবার বর্ধিত রূপ লাভ করে। এভাবে অধিক সংখ্যক মানুষের সাথে সদ্ভাব ও সুসম্পর্ক তৈরি হয়। আল্লাহ বিবাহের মাধ্যমে অর্জিত আত্মীয়তাকে রক্তের আত্মীয়তার বন্ধনের মতোই শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন। সূরা আল ফুরকানের ৫৪নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন।”
৭. বিবাহ একজন পুরুষের চরিত্রে পূর্ণতা এনে দেয় কারণ এর মাধ্যমে সে একজন স্বামীর ও পরবর্তীতে একজন পিতার দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেয়। ঠিক একইভাবে স্ত্রীর ও মাতার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে একজন নারীও পায় পূর্ণতা। কিছু মানুষ যারা সর্বপ্রকার দায়িত্ব মুক্তির জন্য বিবাহ বন্ধনে নিজেকে অস্বীকার করে। এ দায়িত্বহীন মানুষগুলো পৃথিবীর তেমন কোন কাজে আসে না । বিবাহ এমনই এক অঙ্গীকার এবং পারস্পরিক দায়িত্ব যা একজন নারী ও একজন পুরুষ তাদের বিবাহের প্রথম দিন থেকেই ভাগাভাগি করে নেয়।
“পুরুষেরা নারীদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল এজন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এজন্য যে তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সেক্ষেত্রে নেককার স্ত্রীগণ হয় (আল্লাহর) অনুগত এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোকচক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে।” (আন নিসা : ৩৪)
হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেন, “তোমরা প্রত্যেকেই সেই ব্যাপারে দায়িত্বশীল যা তোমাদের অধীনে রয়েছে। একজন পুরুষ তার ঘরে তার গৃহস্থলীর ব্যাপারে দায়িত্বশীল এবং একজন মহিলা তার স্বামীর সম্পদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল যা তার দায়িত্বে দেয়া হয়েছে।” অন্য একটি হাদিসে আছে- “সেই ব্যক্তি কঠিন পাপে লিপ্ত যে তার অধীনস্থ কোন কিছুর ক্ষতিসাধন (ধ্বংস সাধন) করে। আর একটি হাদিসে এভাবে এসেছে- “আল্লাহ প্রত্যেক দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে তার অধীনস্থ সব কিছুর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করবেন। সে তা রক্ষা করেছে না কি ধ্বংস করেছে।” ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত আর একটি হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, “একজন ব্যক্তির উপর তার স্বামীর (বা স্ত্রীর) নির্ধারিত হক রয়েছে।”
এই হচ্ছে বিবাহের উদ্দেশ্য সম্পর্কিত ইউসুফ আল কারযাভীর মত।
বিষয়: বিবিধ
৩৯৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন