@সমকামিতা ও তার শাস্তি@
লিখেছেন লিখেছেন Hossain Al Irfan ০৫ জুন, ২০১৩, ০৬:০১:৫২ সন্ধ্যা
সকল নবী-রাসূলই এক সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। যারা নবী-রাসূলদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে তারাই নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। এ ধরণের ঈমানদার মানুষ সব সময় সমাজের কল্যাণের কাজেই নিজেকে নিয়োজিত রাখে। আল্লাহর এবাদত বলতে শুধু নামাজ, রোযা বা দোয়া দরুদই বুঝায় না মানুষের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে আল্লাহর বিধান মেনে চলা,আল্লাহ প্রদত্ত আইন বাস্তবায়ন করা এবাদতের অন্তর্ভুক্ত। লুত (আ)ছিলেন হযরত ইব্রাহীম(আ)এর ভ্রাতুষ্পুএ।আল্লাহ সুবহানাতাআলা তাকে নবুয়ত দান করে জর্ডান ও বায়তুল মোকাদ্দাসের মধ্যবর্তী সাদূমের অধিবাসীদের পথ প্রদর্শনের জন্য প্রেরণ করেন।এখানকার ভূমি ছিল উর্বর ও সর্বপ্রকার শস্য ও ফলের প্রচুর্য ছিল।তারা ধনৈশ্বর্যের নেশায় মত্ত হয়ে বিলাস-ব্যসন,কাম প্রবৃত্তি ও লোভ লালসার জালে এমনভবে আবদ্ব হয়ে পড়ে যে,ভাল মন্দ,লজ্জা শরমের পার্থক্যও ভূলে যায়।তারা ছিল সমকামীতে বিশ্বাসী।পবিএ কোরআনে যিনা তথা ব্যভিচার এর চাইতেওএহেন কাজকে কঠোর অপরাধ বলা হয়েছে। সুরা আরাফের ৮০ ও ৮১ নং আয়াতে বলা হয়েছে:এবং আমি লুতকে প্রেরণ করেছি।যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বলল তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ,যা তোমাদের আগে সারা বিশ্বের কেউ করেনি?তোমরা তো কামবশত পুরুষদের কাছে গমণ কর নারীদের ছেড়ে।বরং তোমরা সীমা ছাড়িয়েছ। এর জবাবে তারা পরষ্পর বলাবলি করতে লাগল এরা বড় পবিএ ও পরিছন্ন বলে দাবী করে।এদের চিকিত্সা এই যে,এদের বস্তি থেকে বের করে দাও।পরিস্হিতি এমন দাড়িয়ে ছিল যে,লুত(আ)ও তার ২টি কন্যা ছাড়া কেউ মুসলমান ছিল না।শেষে আল্লাহর শাস্তি তাদের জন্য অবধারিত হলো এভাবে-ফেরেশতারা প্রথমে মানব আকৃতিতে লুত(আ)এর গৃহে যান ও তার কন্যাদের সালাম দেন ও বলেন আমরা বিদেশী মুসাফির ও আজ রাত এখানে থাকতে চাই।লুত(আ)ইবাদতে ব্যস্ত ছিলেন।ইবাদত শেষে তিনি দেখলেন,বার জন কম বয়সী দাড়িবিহীন সুদর্শন যুবক অপেক্ষমাণ।এবার তিনি শংকিত হলেন,আল্লাহ না করুন,এ সম্পরদায়ের লোকেরা যদি মেহমানদের সাথে অশোভন কোন আচরণ করে বসে!সুরা হুদে ৭৭-৭৮ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন’’এবং আমার প্রেরিত ফেরেশতা লুতের নিকট পৌছিল,তাদের আগমনে তিনি শংকিত,বললেন,আজকের দিনটি বড়ই কঠিন ও লুতের কওম হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে তাদের কাছে এল,এরা পূর্ব থেকেই দুষ্কর্র্মশীল কওম।’’ লুত (আ)এর বধু ছিল কাফের। সে কওমের কাছে এই মেহমানদের সংবাদ জানিয়ে দিয়েছিল।যথারীতি ওরা হাজির হল ও মেহমানদেরকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবী করল। লুত(আ)যখন দেখলেন,তাদেরকে প্রতিরোধ করা দুষ্কর তখন তিনি সর্দারদের নিকট স্বীয় কন্যাদের বিবাহের প্রস্তাব দেন ও আল্লাহকে ভয় করতে বলেন।কিন্ত তারা মেহমানদেরই দাবী করল।পাপিষ্ঠরা দেয়াল টপকে ভিতরে প্রবেশ ও কপাট ভাংতে যখন উদোগী হল তখন ফেরেশতারা তাদের আসল পরিচয় প্রকাশ করলেন লুত (আ)এর কাছে এবং দরজা খুলে দিতে বললেন। হযরত জীবরাঈল(আ)তার পাখার ঝাপতা দিলেন।ফলে ওরা অন্ধ হয়ে গেল ও ভাগতে লাগল। তখন ফেরেস্তাগণ আল্লাহর নির্দেশে লুত(আ)কে বললেন-আপনি কিছুটা রাত থাকতে লোকজনসহ এখান থেকে অন্যএ সরেযান ও সবাইকে সতর্ক করে দেন যে,তাদের কেউ যেন পিছনে না তাকায়,তবে আপনার নিজ বধু ব্যতীত।কারণ অন্যদের মততাকেও আযাব গ্রাস করবে।সুরা হিজরের আয়াতে এ আযাবের বর্ণনার পুর্বে বল হয়েছে:সুর্যোদয়ের সময় বিকট নাদ তাদেরকে পাকরাও করল।সুরা হুদে ৮২-৮৩নং এ বলা হয়েছে:যখন আমার আযাব এসে গেল,তখন আমি বস্তিটিকে উল্টে দিলাম ও তাদের উপর স্তরে স্তরে প্রস্তর বর্ষণকরলাম যা আপনার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নযুক্ত ছিল।সে বসতিটা এ কাফেরদের থেকে বেশীদুরে নয়।তফসিরকারীরা বলেন প্রত্যেক পাথরে ঐ ব্যক্তির নাম লিখিত ছিল,যাকে খতম করার জন্যে পাথরটি নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। বর্ণিত আছে,জীবরাইল(আ)তার পাখা যমীনের তলদেশে প্রবিষ্ট করত এমনভাবে মহাশুন্যে উত্তোলন করলেন যে,সবকিছু নিজ নিজ স্হানে স্হির ছিল।এমনকি পানি ভর্তি পাএ হতে এক বিন্দু পানিও পড়ল না।তখন পশু ও মানুষের বিকট ধ্বনি ভেসে আসছিল।তারপর ঐসব জনপদকে উল্টিয়ে যথাস্হানে নিক্ষেপ করা হল।(পৃষ্টা নং৬৪০)সুরা আরাফে ৮৪ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন:অতএব দেখ,গোনাগারদের পরিণতি কেমন হয়েছে।’’ আজও এ ভুখন্ডটি লুত সাগর বা ডেড সী বা মৃত সাগর নামে পরিচিত।এর ভুভাগ সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে অনেক নীচে অবস্হিত।এর একটি বিশেষ অংশে নদীর আকারে আশ্চর্য ধরণের পানি বিদ্যমান।এ পানিতে কোন মাছ,ব্যাঙ জীবিত থাকতে পারে না।এমনকি কোন মানুষ সেই পানিতে ডুবেও না, বরং ভাসতে থকে। কোরআনের ৭৯ থেকে ৮৩ নম্বর আয়াত পর্যন্ত আলোচনা করবো। প্রথমেই ৭৯ ও ৮০ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক। এ দুটি আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ "(লুত সম্প্রদায়) বললো, তুমি নিশ্চয়ই জান, তোমার কন্যাদের প্রতি আমাদের কোন আগ্রহ নাই, আমরা কি চাই তা তুমি ভালোভাবেই জান। হযরত লুত (আঃ) বললেন, হায় তোমাদের উপর যদি আমার শক্তি থাকতো অথবা আমি কোন সুদৃঢ় আশ্রয় গ্রহণ করতে সক্ষম হতাম।" এই আয়াতেও লুত (আঃ) এর সম্প্রদায়ের বিকৃত মানসিকতারবর্ণনা দেয়া হচ্ছে এবং তাদের পরিণতির কথাও পরে ব্যক্ত করা হবে। ঘটনাটি ছিল, কয়েকজন ফেরেশতা মানব আকৃতিতে হযরত লুত (আঃ)এর বাড়ীতে আসেন। হযরত লুত (আঃ)প্রথমে বুঝতে পারেন নি যে তারা ফেরেশতা। হযরত লুত (আঃ)এর বাড়ীতে কয়েকজন সুন্দর লাবণ্যময় চেহারার যুবক অবস্থান করছে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে, কওমে লুতের লোকেরা তাদের অবৈধ ও বিকৃত যৌন লিপ্সা চরিতার্থ করার জন্য পয়গম্বরের বাড়ীর চারদিকে ভীড় জমায়। আল্লাহর নবী হযরত লুত (আঃ) অনন্যোপায় হয়ে তাদেরকে বললেন, আমি আমার কন্যাদেরকে তোমাদের সাথে বিয়ে দিতে পারি। কিন্তু এই যুবকদেরকে তোমাদের কাছে কখনও সোপর্দ করবো না। হযরত লুত (আঃ)এর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে কওমে লুতের লোকেরা বলেছিল, তুমি তো ভালো করেই জানো যে, তোমার কন্যাদের প্রতি আমাদের কোন আগ্রহ নেই। আমরা চাই তোমার মেহমান যুবকদেরকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হোক। এই অবস্থায় হযরত লুত (আঃ) আক্ষেপ করে বলেছিলেন, হায় আমার যদি শক্তি থাকতো বা মোমিন সহচর থাকতো তাহলে এই পাপাচারী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারতাম। এবারে সূরা হুদের ৮১ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করবো। এ আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ "ফেরেশতারা বললো, হে লুত ! আমরা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রেরিত ফেরেশতা। ওরা কখনই তোমার নিকট পৌঁছতে পারবে না। সুতরাং তুমি রাতের কোন এক সময়ে তোমার পরিবারবর্গসহ বেরিয়ে পড় এবং তোমাদের মধ্যে কেউ যেন পেছন দিকে না তাকায়। কিন্তু তোমার স্ত্রী যাবে না। তাদের যা ঘটবে তারও তাই হবে। প্রভাব তাদের জন্য নির্ধারিত কাল, প্রভাব কি নিকটবর্তী নয় ?" হযরত লুত (আঃ) পাপাচারী জনগোষ্ঠীর চাপ ও হঠকারী আচরণে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন। ফেরেশতারা তখন নিজেদের পরিচয় ও আগমনের উদ্দেশ্য খুলে বললেন ও পয়গম্বরকে উদ্বেগ থেকে রক্ষা করলেন। তারা হযরত লুত (আঃ) কে জানালেন খুব সকালেই আল্লাহর গজবে এই পাপাচারী সম্প্রদায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, তাই তারা রাতের মধ্যেই পয়গম্বরকে তার পরিবারবর্গসহ শহর ত্যাগ করতে বললেন। তবে ফেরেশতারা এটাও জানালেন যে, হযরত লুত (আঃ)এর স্ত্রী আল্লাহর গজবের অন্তর্ভূক্ত হবে। কারণ তিনি পয়গম্বরকে সমর্থন না করে পাপিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর পক্ষাবলম্বন করেছিলেন। এই আয়াত থেকে এটা বোঝা যায় যে, পয়গম্বরের স্বজন বা পরিবারের সদস্য হওয়া মুক্তির মাপকাঠি নয়। ঈমান ও সৎকর্ম হচ্ছে মুক্তি লাভের একমাত্র উপায়। হযরত লুত (আঃ)এর স্ত্রী ঈমান না আনার কারণে পাপাচারী জনগোষ্ঠীর দলভুক্ত বিবেচিত হয়েছে। এবারে এই সূরার ৮২ ও ৮৩ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করবো। এই দুই আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ "অত:পর যখন আমার আদেশ এল, তখন আমি নগরগুলোকে উল্টিয়ে দিলাম এবং তাদের উপর ক্রমাগত কংকর বর্ষণ করলাম। যা তোমার প্রতিপালকের নিকট চিহ্নিত ছিল। এই শাস্তি অন্যান্য সীমালঙ্ঘনকারীদের হতে দূরে নয়।" এই দুই আয়াতে কওমে লুতের শেষ পরিণতির বর্ণনা দেয়া হয়েছে। প্রলয়ংকরী ভূমিকম্প এবং কংকর বর্ষণের ফলে লুত সম্প্রদায়ের গোটা জনপদ উলট-পালট হয়ে যায়। সব কিছুই ঐশী শাস্তিতে নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ে। পবিত্র কোরআনে এই ঘটনার বর্ণনার উদ্দেশ্য হলো মানবজাতিকে সতর্ক করে দেয়া। শুধু কওমে লুত নয়, যে কোন সম্প্রদায়, ব্যক্তি বা জাতি পাপের নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম করবে, বিকৃতির তলানীতে গিয়ে ঠেকবে তাদেরও পরিণতি হবে কওমে লুতের অনুরুপ। যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ লুতের কাছে আগমন করল, তখন তাদের কারণে তিনি বিষন্ন হয়ে পড়লেন এবং তার মন তাদের (রক্ষার) ব্যাপারে সংকীর্ণ হয়ে গেল। তারা বলল, ভয় করবেন না এবং দুঃখ করবেন না। আমরা আপনাকে এবং আপনার পরিবার বর্গকে রক্ষা করবই। আপনার স্ত্রী ব্যাতীত, সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আমরা এই জনপদের অধিবাসীদের ওপর আকাশ থেকে আজাব নাজিল করব তাদের পাপাচারের কারণে। আমি (আল্লাহ) তাতে বুদ্ধিমান সম্প্রদায়ের জন্যে একটি স্পষ্ট নিদর্শন রেখে দিয়েছি। (আনকাবুত, ২৯ : ৩৩-৩৫) এই আয়াতসমূহে লুত আলাইহিস সালাম-এর সম্প্রদায়ের ওপর নাজিলকৃত আযাবের উল্লেখ রয়েছে। তারা সমকামিতার মত জঘণ্য অপরাধে অভ্যস্ত ছিল। ফলে আল্লাহু তাআলা তাদের জনপদকে সম্পূর্ণরূপেধ্বংস করে দেন। আয়াতগুলিতে স্পষ্ট নিদর্শন বলতে ‘সামুদ’ ও ‘গোমরাহ’ সম্প্রদায়ের জনপদগুলির ধ্বংসাবশেষকে বুঝানো হয়েছে, যা সম্প্রতিমৃত সাগরের কাছে আবিষ্কৃত হয়েছে। ভৌগলিকরা দেখতে পেয়েছেন, অঞ্চলটি প্রচুর পরিমাণে গন্ধকে ভর্তি। ফলে সমগ্র অঞ্চলটিতে প্রাণীবা উদ্ভিদ কোনো ধরনের জীবনের অস্তিত্ব নেই। পুরো এলাকা সর্বাঙ্গীনধ্বংসের একটি নিদর্শন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এভাবে এটি সকল যুগের মানুষের জন্য আল্লাহ্র শাস্তির একটি উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে আছে। বলাবাহুল্য, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো অঞ্চলটি পরিদর্শন করেন নি। জনপদগুলির ধ্বংসের তথ্য জানার মতো তার কোনো মাধ্যম ছিল। আপনার প্রাণের কসম (হে নবী,) নিশ্চয় তারা (লুত সম্প্রদায়) আপন নেশায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরপাক খাচ্ছিল। অতঃপর সূর্যোদয়ের প্রাক্কালে একটি বিকট আওয়াজ তাদেরকে পাকড়াও করল। অতঃপর আমি (আল্লাহ) তাদের (সাদুম গোত্রের) জনপদগুলিকে উল্টে দিলাম এবং তাদের ওপর বষর্ণ করলাম পোড়ামাটির পাথর। নিশ্চয় এতে পর্যবেক্ষণকারীদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে। আর নিশ্চয় তা (জনপদগুলি) রাজপথের পাশেই বিদ্যমান। নিশ্চয় এতে ঈমানদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে। (হিজর, ১৫ : ৭২-৭৭) এই আয়াতগুলিতে কুরআন মাজিদ ধ্বংসপ্রাপ্ত জনপদগুলির অধিক সুনিশ্চিত অবস্থানস্থলের নির্দেশনা প্রদান করে। এতে বর্ণিত হয়েছে সেগুলি রাজপথের পাশে অবস্থিত। ভৌগলিকরা সম্প্রতি আবিষ্কার করেছে, জনপদগুলি মৃত সাগরের দক্ষিণ পূর্বে, মক্কা থেকে সিরিয়া পর্যন্ত একটি রাজপথের পাশে অবস্থিত। নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যার ভূগোল সম্পর্কে তেমন কোনো জ্ঞান ছিল না, তথাপি এই আয়াতগুলি এমন এক বাস্তবতার কথা বলে যা কেবল সাম্প্রতিক ভূগোল বিশারদদের দ্বারাই আবিষ্কৃত হয়েছে। আল্লাহ তাদের জন্য লানত পাঠায় যার প্রমান হিসেবে রেখে গেছে "ডেড সি" বা "মৃত সাগর্" বা "লূত সাগর"
যা ফিলিস্তীন ও জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে বিশাল অঞ্চল জুড়ে নদীররূপ ধারণ করে আছে।এটা ছিল তাদের কুকর্মের সাথে সামঞ্জস্যশীল শাস্তি । কেননা তারা যেমন আল্লাহর আইন ও প্রাকৃতিক বিধানকে উল্টিয়েছিল ।
সমকামিতা একটি অতি জঘন্যতম গুনাহ।
কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে সমকামিতার নিন্দা করা হয়েছে।
এবং সমকামিতার জন্য লুত (আঃ) এর গোত্রের উপর ভয়ংকর শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।বর্ণিত আছে জীবরাইল (আঃ) তাদের বস্তিকে আসমানের কাছে তুলে উলঠিয়ে যমীনে ফেলে দিয়েছিলেন।বর্তমানে তাদের কোন চিন্হই বাকি নেই।তাদের ঐ অশুভ স্থানে গাছপালা কিছুই জন্মেনা।এই জন্য ফুকাহায়ে কেরামগন সমকামিতাকে ধর্ষনের চেয়েও জঘন্যতম গুনাহ আখ্যা দিয়েছেন।কারন যেই মহিলার সাথে ধর্ষন করা হয় ঐ মহিলা ধর্ষকের জন্য কখনো হালাল হওয়ার সুযোগ থাকেযেমন বিয়ের মাধ্যমে।কিন্তু সমকামিতা চিরস্তায়ি হারাম বিয়ের মাধ্যমেও হালাল হওয়ার সুযোগ নেই।তাই ফকীহগন এর বিভিন্ন শাস্তি উল্ল্যেখ করেছেন।কারো মতে সমকামিদের আগুনে পুড়িয়ে মারা হবে।কারো মতে পাহাড় থেকে নিচে ফেলে মারা হবে।কিংবা বন্দী করে বেত্রাঘাত করা হবে।
হে আল্লাহ আমাদের কে ভয়াবহ গজব থেকে রক্ষা করো । (আমিন)
বিষয়: বিবিধ
২০১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন