মা হল আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার ।
লিখেছেন লিখেছেন Hossain Al Irfan ২০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৯:৫৮:৩০ রাত
যে অন্তরে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নেই সেই অন্তর শ্রদ্ধাহীন।
যে অন্তরে মায়ের প্রতি ভালবাসা নেই সেই অন্তর ভালবাসাহীন।
মা যে কত আপন তা হতভাগ্য বাদে সবাই সহজে অনুধাবন করতে পারে ।
ছোট কালে আমি ছিলাম খুবই চঞ্চল প্রকৃতির সব সময় থাকতাম হৈ চৈ এর মধ্যে খেলাধুলার মনমানসিকতা ছিল বেশী যেই জিনিস দেখি সেই জিনিস নিয়ে খেলতে মন চাই। সেই রকম একটি ঘটনা আমি আজকে জানাব যে ঘটনার সাথে আমার মায়ের মৃত্যুর আশংকা জড়িত ছিল। আমি তখন প্রাইমারী পর্যায়ে, জীবনের প্রথম মা ও নানার সাথে গ্রাম থেকে শহরে আসতেছি, শহরের গাড়ি বাড়ী দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। আমরা নানার বাসায় উঠলাম। বাসায় মামা, আন্টি,নানা নানি কে পেয়ে খুব খুশি হলাম ।আরো বেশি মজার ব্যাপার একটি ছোট আন্টি পেলাম,যে আমার থেকে দুই বছরের ছোট। তাকে পেয়ে আরো বেশী খুশি হলাম। কয়েক দিন পর এক দুপুর বেলায় কিচেন রুমের পাশে বেলকনিতে গেলাম, বেলকনিতে গিয়ে দেখি কিছু বালি জমানো,আর কোনায় দুই-তিন হাত লম্বা একটি পাইপ। আমি চিনিনা এইটা কিসের পাইপ, আমি অনেকক্ষণ বালি নিয়ে খেললাম ,পরে পাইপ এর কাছে যায়,পাইপটি দেখার পর গ্রামের দেখা পানির কল চলানোর কথা মনে পড়ে গেল । আমি পাইপ কল এর মত স্টার্ট দিলাম ,সাথে সাথে পাইপ এর মাথা থেকে পলিথিন ছিড়ে উপর দিকে বাতাস উঠতে থাকে। আমি ভয়ে কোনায় দাড়িয়ে রইলাম ।নানী ছিল কিচেন রুমে তরকারি কুটতে ছিল মনে হয়, নানী বাতাসের শব্দ শুনে চিৎকার শুরু করল গ্যাস গ্যাস বলে,ভাগ্যিস মামা ড্রয়িং রুমে বসা ছিল । চিৎকার বা গ্যাসের শু শু শব্দ শুনে মামা তাড়াতাড়ি এসে গ্যাস এর পাইপ টি বন্ধ করল,সবার মাঝে একটি আতংক বিরাজ করল।আমার মা ও চিৎকার দিচ্ছে রুম খোলার জন্য ,কারণ মায়ের রুমটি বাহির থেকে লক করা । আমি জানতাম না,পরে জানলাম ছোট আংটি নাকি ঘুমানোর সময় বাহির থেকে লক করে দিছে । আমার নানী রুম খুলে দেওয়ার পর মা বের হয় ,আমাকে গালি দিচ্ছে কেন গ্যাস ছেড়ে দিলাম । কারণ এর আগে একবার গ্যাস থেকে আগুন ধরে বাসাটি সমর্পূন পুড়ে গিয়েছিল । আমি ভয়ে হতভম্ব। সবাই আমাকে বলতেছে যদি গ্যাস এর চুলা জ্বলানো থাকত অথবা কেউ বিড়ি সিগারেট খেত তাহলে আগুন লেগে যেত । যদি আগুন লাগত আমরা পালিয়ে বাঁচতে পারলে ও আমার মা কে চিরদিন জন্যে হারাতে হত ।আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি আমার মায়ের নতুন জীবন দানের জন্য।
বিষয়: Contest_mother
১৭১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন