ভালোবাসা দিবস নামক সামাজিক এ ক্যান্সার থেকে আপনার সন্তানদের দূরে রাখুন। যার ফসল হল মরণ ব্যাধী এইডস্।
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০১:০০:০৩ রাত
ভালোবাসা দিবস আমাদের সংস্কৃতি নয়,ভালোবাসা দিবস নামক সামাজিক এ ক্যান্সার থেকে আপনার সন্তানদের দূরে রাখুন। আমরা দূর্ভাগা জাতি।
আমরা না জানি নিজেদের ধর্ম, না জানি নিজেদের কৃষ্টি ও সভ্যতা। এজন্য প্রথমেই এগিয়ে আসা উচিত্ রাষ্ট্রকে।
কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয় আমাদের দেশের রাষ্ট্র প্রধান থেকে শুরু করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী যখন "ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা ভালোবাসা দিবসে" নিজেদেরকে ঐ দিবসে উপস্থিত থেকে জনসাধারণকে ভালোবাসা দিবসে সামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। বক্তৃতা ও বিবৃতি দিয়ে বিদেশী অপসংস্কৃতিকে পালনের জন্য সহজ-সরল মানুষগুলোকে আহ্বান জানায়। বিশেষকরে উড়তি বয়সের তরুন-তরুনী, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা বেশি আকৃষ্ট হয়।
এই সংস্কৃতি শুধু বেহায়াপনা তৈরী করে না সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে। মুক্তমনা সংস্কৃতির নামে সমাজে আজ নারী প্রগতিবীদ ও কিছু সুশীল! সমাজপতিরা উদার মানসিকতার কথা বলে, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে, নারীদের বেপর্দা করে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। সন্তান-সন্ততিদের মায়ের স্নেহ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করেছে। অথচ ইসলাম কখনো নারীকে অন্তপুরে বন্দি রাখতে বলেনি।
পর্দা করে সকল কাজে অংশীদার হতে বলেছে।
অনেকের পিতা মাতা আছেন যাঁরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন তবে তাদের ছেলে-মেয়েরা এই সমস্ত অপসংস্কৃতিতে অংশগ্রহণ করছে। তাই আমি মনে করি সর্বপ্রথমে পরিবারের পিতা-মাতাকে সন্তানের মঙ্গলের জন্য এগিয়ে আসা উচিত্। আজ শহর থেকে গ্রামেও এই ভালোবাসা দিবস ছড়িয়ে গেছে। গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁদের সহজ-সরল বাবা মাকে ভুল বুঝিয়ে অর্থ নিয়ে এই অপসংস্কৃতিকে পালন করছে। আজ ইউরোপ আমেরিকায় ভালোবাসার নামে দিনে দুপুরে সবারই সামনে যেভাবে ভালোবাসার প্রমাণ দেয় তা পশু প্রবৃত্তিকেও ছাড়িয়ে গেছে।
অনেক অমুসলিম দেশে হোটেল রেস্তোরা গুলো অগ্রীম বুকিং দিয়ে রাখতে হয় ,ঐ দিনটি প্রেমিক প্রেমিকাদের ভালবাসার প্রমান স্বরূপ , কথিত আছে যে সারা বছর টানকী মারার পর ঐ দিন নাকী চুডান্ত ফলাফল পাওয়ার দিন হিসাবে তাদের কাছে গন্য করা হয় । ছি, ছি , ছি, এই নগ্নতাকে ধিক্কার জানাই এই বেহায়া পনাকে , ধিক্কার জানাই এই স্বঘোষিত বেইশ্যা দিবস কে ।আজকের সমাজে এই রকম ভালবাসার নামে অবৈধ যৌন মিলনের ফসল হল মরণ ব্যাধী এইডস্।
অবাধ যৌন মিলনের ফলে “AIDS” নামক একটি রোগ বর্তমানে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এটা এমনি মারাত্মক যে, এ রোগে আক্রান্ত হলে এর কোন আরোগ্য নেই। কিছু পরিসংখ্যান দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে :
1. বিশ্বের ১৪০ কোটিরও বেশী লোক থেকে ১৯৮৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত এক লক্ষ এগার হাজারেরও বেশী “AIDS” রোগীর তালিকা পাওয়া গিয়েছে।’’(আব্দুল খালেক, নারী,(ই,ফা,বা.ঢাকা,১৯৮৪ইং) পৃ. ৯৬)
2. ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২,৪২,০০০ এইডস রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ১,৬০,০০০ মৃত্যু বরণ করেছিল। ১৯৯২ সালের গবেষণালব্ধ তথ্য মতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ৫০ লক্ষ্য এইডস রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।(Baron& Byrne, Ibid., P. 329)
3. ৩০ শে ডিসেম্বর ১৯৯৬ এর Time International’ পত্রিকায় পরিবেশিত তথ্য মতে, ৬৫ লক্ষ জীবন ছিনিয়ে নিয়েছে এই ঘাতক ব্যাধি। আগামী ৫ বৎসরে আরও ৩ কোটি লোক মারা যাবে এই রোগে।(মাসিক পৃথিবী, (ঢাকা, ডিসেম্বর, ১৯৯৯), পৃ. ৫)
4. বিশ্ব এইডস দিবস ২০০০-এর প্রাক্কালে জাতিসংঘ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে : ‘‘ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক সেবনকারী এবং সমকামিতা, ইতর রীতির যৌনতার মাধ্যমে পূর্ব ইউরোপ, রাশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন-আমেরিকা ক্যারিবীয় অঞ্চল ও এশিয়ায় এইডস দেখা দিয়েছে। আফ্রিকার কয়েকটি দেশে প্রতি তিনজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ এইডস আক্রান্ত। শিশুদের ৮০ ভাগ এই রোগের ভাইরাসে আক্রান্ত। আফ্রিকার উপ-সাহারা এলাকায় এ বছর ১০ লাখেরও বেশী লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে নতুন করে এইডস দেখা দিয়েছে। মাত্র একবছরে এইডস রোগীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যেও নতুন করে এইডস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’’(রয়টার্স, দৈনিক ইনকিলাব, (ঢাকা, ২রা ডিসেম্বর ২০০০ ইং) পৃ .১-২)
5. ৬. জাতিসংঘের দেয়া তথ্য মতে : ‘‘বিশ্বে ৩ কোটি ৬০ লাখ লোক এইডসে আক্রান্ত ২০০০ইং সনে ৫০ লাখ লোক নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছে।’’(প্রাগুক্ত)
6. ৭. ‘‘বিশ্ব এইডস দিবসের আলোচনা সভায় (ঢাকা) বাংলাদেশের তৎকালীন সমাজকল্যাণ, প্রতি মন্ত্রী ড. মোজাম্মেল হোসেনের দেয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশে এইডস ভাইরাস বহনকারী রোগীর সংখ্যা একুশ হাজারের বেশী।’’(দৈনিক ইনকিলাব, (স্টাফ রিপোর্টার, বিশ্ব এইডস দিবসে ঢাকায় আলোচনা সভা, ২রা ডিসেম্বর, ২০০০ ইং) পৃ.১)
সিফিলিস-প্রমেহ : বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আমেরিকার শতকরা ৯০% অধিবাসী রতিজ দুষ্ট ব্যাধিতে আক্রান্ত। সেখানকার সরকারী হাসপাতালগুলিতে প্রতি বৎসর গড়ে দুই লক্ষ সিফিলিস এবং এক লক্ষ ষাট হাজার প্রমেহ রোগীর চিকিৎসা করা হয়। (Encyclopedia Britannica, V. 23, P. 45.) এছাড়াও আমেরিকায় প্রতি বৎসর ত্রিশ-চল্লিশ হাজার শিশু জন্মগত সিফিলিস রোগে মৃত্যুবরণ করে। ( আঃ খালেক, নারী, (ঢাকা : ই.ফা. বা., ১৯৮৪ ইং), পৃ. ৯৬)
এম এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ,
বিষয়: বিবিধ
২০৭৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধর্মের চেয়েও বাংলাদেশীরা তাদের সংষ্কৃতিকে সবসময়ই এগিয়ে রাখে ।
ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি ছাড়া এই দিবসগুলির পিছনে আর কিছু নাই। কিছু ফুল আর কার্ড এর ব্যবসা হবে আর পরিনতি হিসাবে এইডস!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন