ভোট আপনার আমানত,এই আমানত কে কোথায় জমা রাখবেন সেটাা আপনার দায়িত্ব

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:০০:৪৮ রাত

মনে রাখবেন ভোট আপনার আমানত

======================

, এই আমানত কে কোথায় জমা রাখবেন সেটাা আপনার দায়িত্ব। ভোট মানি আপনি একথার সাক্ষ্য প্রদান করা যে এই ব্যক্তিই সমাজ সেবার উপযুক্ত। কাজেই যে ব্যক্তিকে আপনি সাক্ষি দিয়ে প্রসাশনীক যে দায়িত্বে পাঠিয়েছেন তার ভাল মন্দ কাজের ফলাফল আপনার ঘাডে আসবে। অর্থাৎ ভাল কাজ করলে আপনিও নেকী পাবেন আর মন্দ কাজে গুনাহের ভাগি হবেন । কাজেই সাধু সাবধান! আপনার আমানত সঠিক ভাবে প্রয়োগ করুন

ভোট একটি পবিত্র আমানত ও গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে ভোট প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে-শুনে ভোট দেয়া নাগরিক দায়িত্ব ও ইসলামের বিধান। ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে টাকার লোভ, দুর্নীতি আর পেশিশক্তির কাছে জিম্মি হওয়া যাবে না। কারণ নির্বাচনের দিন ভোটের মাধ্যমে যে বীজ বপন করা হয়, তার ফসল পাওয়া যায় পরবর্তী পাঁচ বছর। তাই বুঝে-শুনে ভোটাধিকার প্রয়োগ না করলে সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু ও যথাযথ বিকাশের জন্য শুধু ভোটের দিনই নয়, তার পূর্বের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভোটের প্রাক্কালে প্রার্থীদের অতীত ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ভালোভাবে জানা প্রয়োজন। ভোট প্রদানের সময় প্রার্থীর সততা ও যোগ্যতাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ভোট দেয়া এক মহান দায়িত্ব

। রোজ কিয়ামতের দিন এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালার জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিলে তো কথা নেই। কিন্তু জেনে-শুনে, অযোগ্য ও দুর্নীতিপরায়ণ প্রার্থীকে ভোট দিলে তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। ইসলামি শরিয়ত ভোট ও ভোটাধিকারকে একটি সাক্ষ্য এবং সুপারিশ বলে মনে করে। বস্তুত কাউকে ভোট দেয়ার অর্থ হলো তার ব্যাপারে এ সাক্ষ্য দেয়া যে, তিনি সৎ ও যোগ্য। এর বিপরীতে কোনো অসৎ ও অযোগ্যকে ভোট প্রদান বস্তুত ওই প্রার্থী সম্পর্কে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। এটা মহাপাপের কাজ। কুরআন ও হাদীসে এমন কাজ করতে বারণ করা হয়েছে। মিথ্যা সাক্ষ্য প্রসঙ্গে কুরআন কারিমে ইরশাদ হচ্ছে : ‘তোমরা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান থেকে বিরত থাক।’ সূরা হজ : ৩০

তাই জাতীয় কিংবা স্থানীয় নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দিতে হবে। যারা ভোটারদের মিথ্যা কথা বলে লোভ-লালসা দিয়ে প্রলুব্ধ করে, নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়, অন্যায় ও অবৈধ কার্যক্রমে লিপ্ত হয়, ভোট ক্রয়-বিক্রয় করে, জাল ভোট প্রদান করে, ভোটকেন্দ্র দখলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়; তাদেরকে বর্জন করতে হবে। ভোটের মতো একটি পবিত্র আমানতকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে ভোটের বিষয়টি শুধু পার্থিব নয়, পরকালেও এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেন; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন, যে তোমাদের আমানত তোমরা তার প্রাপককে পৌঁছে দাও। আর যখন লোকদের মাঝে বিচার ফয়সালা কর, তখন নিরপেক্ষ ও ইনসাফের সাথে ফয়সালা করবে। আল্লাহ কত সুন্দরভাবে তোমাদেরকে বুঝাচ্ছেন। আর আল্লাহ সব দেখেন ও শুনেন। (সূরা নিসা: ৫৮ আয়াত)

ভোটও একটি আমানত, সুতরাং যে এই ভোটের পাওনাদার, ভোটটি তাকে পৌঁছে দেয়া আপনার পবিত্র দায়িত্ব। সৎ ও যোগ্য প্রার্থী এই ভোটের পাওনাদার। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে আপনার ভোট প্রদান করুন। পক্ষান্তরে অযোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দেয়া আমানতের খেয়ানত করা

বিষয়: বিবিধ

১৬২৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

355693
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৫৬
শেখের পোলা লিখেছেন : তাতো বুঝলাম, কিন্তু যারা নেতা হার জন্য কামড়া কামড়ি করে, হাজার হাজার টাকা খরচ করে নেতা হতে চায়, তারা যে সততার সাথে কাজ করবে তার যেমন গ্যারান্টি নেই তেমনই যদি এক জনকেও সৎ বলে মনে নাা করি তখন আমানতটি কি করব?ধন্যবাদ৷
১০ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:২৭
295998
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : তখন আপনার আমানত নিজের কাছেই জমা রাখাই ব্যাটার , ধন্যবাদ
355769
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৩১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
আমরা বেশিরভাগ মানুষই আখিরাত সম্পর্কে বেখবর।
১০ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:২৮
295999
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : তাইত আমাদের এ পরিনতি

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File