ফকীহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান রাঃ এর এন্তেকালে মুসলিম বিশ্ব এক অপূরনীয় অবিভাবককে হারালো,
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ১১ নভেম্বর, ২০১৫, ০১:২২:২৭ দুপুর
বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক ও সেন্ট্রাল শরিয়াহ্ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান ফকীহুল মীল্লাত মুফতী আব্দুর রহমান গত কাল রাত ৭,৪০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন।(ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
ফকীহুল মিল্লাতের এন্তেকালে মুসলিম বিশ্ব এক অপূরনীয় অবিভাবককে হারালো,
লক্ষ্যাধীক লোক সমাগম হয়েছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আলেম ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমানের জানাযায়। বুধবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকেই দলে দলে মানুষ এসে জড়ো হতে থাকে বসুন্ধরা কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায়।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় বসুন্ধরা কেন্দ্রীয় মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজ পরিচালনা করেন মুফতি আসাদ রাহমানি। তিনি মুফতি আবদুর রহমান ছাঃ রাঃ এর বড় ছেলে।
জানাযা শেষে মুফতি আবদুর রহমানকে বসুন্ধরা নতুন কবরস্থানে দাফন করা হয়
দারুল উলূম দেওবন্দ ভারত , পাকিস্হান , সৌদি আরব . মিসর , আরব আমিরাত থেকে মরহুমের জানাযায় বিশ্বের শীর্ষ উলামায়ে কেরামগনের আগমন ঘটছে
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে ইন্তেকাল করেন মুফতি আবদুর রহমান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৯১ বছর।
মুফতি আবদুর রহমান ১৯২৫ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির "বাবু নগর' গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম চাঁন মিয়া।
তিনি নাজিরহাট ও হাটহাজারি মাদ্রাসায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক লেখাপড়া সমাপ্ত করেন। উচ্চমাধ্যামিক শিক্ষা সমাপ্তির পর তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে গমন করেন। ১৯৫০ সালে সেখানে কওমি মাদরাসা পাঠ্যক্রমের সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করেন। দারুল উলুম দেওবন্দের ইফতা বিভাগের তিনি প্রথম ডিগ্রি লাভকারী মুফতি।
মৃত্যুর আগে তিনি দেশের প্রায় ১৮টি উত্তরাঞ্চলীয় জেলার সহস্রাধিক দ্বীনি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত তানযীমুল মাদারিস আদ্বীনিয়্যা বাংলাদেশ (উত্তরবঙ্গ) এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি একাধারে জামিয়ার প্রধান মুফতি, সহকারী মহাপরিচালক ও শিক্ষা বিভাগীয় পরিচালকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দাওরায়ে হাদিসে সর্বোচ্চ কিতাব বোখারি শরিফের ১ম খণ্ডের পাঠদান করেন।
আল জামিয়া পটিয়ার সহকারী পরিচালক থাকাকালে তিনি দেশব্যাপি একশ’ সদস্য বিশিষ্ট ইফতা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ সময় তিনি ইসলামি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রেও অনন্য অবদান রাখেন। তিনি সুদভিত্তিক অর্থনীতির বিরুদ্ধে অতুলনীয় ভূমিকা রাখেন।
ফকিহুল মিল্লাত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে তাঁর একটি সেবামূলক সংস্থা রয়েছে। এ সংস্থার মাধ্যমে তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসা, মক্তব, হেফজখানা প্রতিষ্ঠা করেন।
থিবীর বিভিন্ন দেশে তাঁর অগণিত ভক্ত ও শিষ্য রয়েছে। বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার অন্যতম রূপকার তিনি। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশেও তিনি ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
আমরা হযরতের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি , আল্লাহ যেন
তাঁকে বেহেশতের সূউচ্ছ মোকামে স্হান করে দেন আমিন ।
বিষয়: বিবিধ
৩২১৪ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুরব্বি শূন্য
<><><>===<>=<>=<>=<><><>===<>
লক্ষণ ভালনা। জাতির ভাগ্যাকাশে কাল মেঘের উঁকি- ঝুঁকি। কিয়ামতের অশনি সংকেত। উড়াল দিচেছন ঐ পারে ইলমে নববীর প্রায় সব সোনালী পায়রা। যাঁদের শেষ রজনীর চুখের পানিতে লজ্জিত হতো জান্নাতের হুর- গিলমান।যাঁদের মাঠি সূলভ কোমল আখলাকের সামনে হার মানতো ফেরেশতারা ও। যাঁদের তালীম- তারবিয়াত ও ঐশী দিক্ষার বরকতে মিলিয়ন মুসলিমের মুখে দাঁড়ি, মাথায় টুপি। জাতির সেই সব সর্গীয় দিশারিরা একের পর এক কাতারে কাতারে চলে যাচেছন আমাদের নায়া বিহিন তরীতে জলবাস দিয়ে। সবই উপর ওয়ালার ইচছা, মাত্র কয়েক বৎসরের ব্যবধানে বাংলাদেশের উল্যেখ যোগ্য সংখ্যক সর্ব শীর্ষ পীর- মাশায়েখ, বুযর্গানে দ্বীন ও দেশ বরেণ্য, বিশ্ব বিখ্যাত আলেম ওলামা আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছেন।যাঁদের মিছিলে এ পর্যন্ত সর্বশেষ যোগ হলেন ফকীহুল মিল্লাত তথা বাংলাদেশের সর্ব শ্রেসঠ ইসলামী আইনবেত্তা, লাখ লাখ আলেমের বিদজ্ঞ ওস্তাদ আল্লামা মুফতী আব্দুররহমান সাহেব হুজুর ( রহঃ) গেল কয়েক বছরে আমাদের ছেড়ে যাঁরা চলে গেলেন এই মুহুর্তে অধমের স্বরণে থাকা তাহাদের ক’ জনের ফিরিস্তি নিন্মে উল্লেখিত হল =
১- আল্লামা ওবায়দুলহক (রহঃ) খতীব -জাতীয় মসজিদ, বায়তুল মোকাররম
২- জাতীয় শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক (রহঃ) চেয়ারম্যান - ইসলামী ঐক্যজোট
৩- শায়খ আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী (রহঃ) মহা পরিচালক, আল জামেয়া পটিয়া, চট্রগ্রাম
৪- আল্লামা মুফতী ফজলুল হক আমীনি (রহঃ) জাতীয় সংসদ সদস্য
৫-ছৈয়দ মাওলানা ফজলুল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই (রহঃ) আমীর। ইসলামী শাসন্তন্ত্র আন্দোলন
৬- আল্লামা ইসহাক গাজী (রহঃ) শায়খুল হাদীস, জামেয়া পটিয়া, চট্রগ্রাম
৭- পীরে কামেল হজরত আলি আহমদ বোয়ালভী হুজুর (রহঃ) ছদরে মুহতামিম, জামেয়া পটিয়া, চট্রগ্রাম
৮- মুরশিদে বরহক হজরত সুলতান আহমদ নানুপুরী (রহঃ) মুহতামিম, জামেয়া ওবায়দিয়া নানুপুর, চট্রগ্রাম
৯- ওলিয়ে কামেল হজরত জমীরূদ্দীন সাহেব নানুপুরী (রহঃ) মুহতামিম ( ঐ)
১০-বিবাড়িয়ার বড় হুজুর, ওস্তাজুল আসাতিজা আল্লামা সিরাজুল ইসলাম (রহঃ)
১১- নিরহংকার পীরে কামেল, আল্লামা ইসহাক ( ছদর সাহেব হুজুর রহঃ) নীলা, কক্সবাজার
১২- প্রবীন হাদীস বিশারদ আল্লামা আব্দুল আজীজ (রহঃ) শায়খুল হাদীস, দারুল উলুম হাটহাজারী, চট্রগ্রাম
১৩- আল্লামা হারুন সাহেব ( রহঃ) প্রখ্যাত আরবী সাহিত্যিক ও শিক্ষা পরিচালক, হাটহাজারী মাদ্রসা
১৪- ধীমান মুফাচিছরে কুরান আল্লামা হাবীবুল্লাহ মিছবাহ সাহেব (রহঃ) প্রতিসঠাতা, জামেয়া জিন্নুরাইন, চাটখিল, নোয়াখালী
১৫- আল্লামা আইয়্যুব সাহেব হুজুর (রহঃ) শিক্ষা পরিচালক আল জামেয়া পটিয়া =
কারো জানা থাকলে অপরাপর মনীষিদের নাম যোগ করতে পারেন ।
হে আল্লাহ মুফতী আঃ ররহমান সাহেব ( রহঃ) সহ এসকল মুরব্বীদের জান্নাতুল ফিরদৌসের স্পিৎ মক্বাম দান করূন
যাই হোক, ভাল-মন্দেই মানুষের জীবন। মরহুম মফতি আব্দুর রহমানের ইন্তিকালের বিষয়টিও নিকট অতীতের আকাবেরদের ন্যায় বরাবরেরই মতোই দেশের মিডিয়াগুলো পাশ কাটিয়ে গেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলো মিডিয়াগুলোর কম্পক্ষে নব্বই ভাগই নিয়ন্ত্রণ করে সেকিউলার এবং নাস্তিক ঘরাণার বামপন্থী গোষ্টী। আফসোসের ব্যাপার হচ্ছে আমাদের আকাবের তথা আলোম ওলামারা অতীতের মুরুব্বীদের মতো এখনো পর্যন্ত মিডিয়া সৃষ্টি এবং মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয়াটাকে জিহাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করার প্রয়োজনতীয়তা অনুভব করেন না। বাম আর রামপন্থী একটা পিপড়াও মারা গেলে দেশের মিডিয়াতে যেভাবে মাতম শুরু হয় সেক্ষেত্রে সত্যিকারের জাতির অবিভাবকদের কেউ আমাদের এয়াতিম করে চলে গেলে সময় মতো খবরটাও পাওয়া যায় না প্রচার প্রচারণার অভাবে। এই বিষয়টার অন্তরনিহিত রহস্য ও গুরুত্ব বুঝতে হবে বৈকি! চট্টগ্রামের বাইতুশ শরফের পীর মাওলানা শাহ আব্দুল জাব্বার সাহেবের নামাজে জানাজায় আমার শরীক হওয়ার নসীব হয়েছিল। চট্টগ্রাম শহরে সম্ভব এতো বড় জানাজা নিকট অতীতে আর হয়নি। কিন্তু আফসোসের বিষয় হচ্ছে সেই সময়েও দেশের মিডিয়াগুলো মরহুম পীর সাহেবের জানাজার নিউজটা পর্যন্ত চাপাতে কার্পন্যতা করেছিল।
আপনার লেখাতে দেওবন্দী মসলকাতের আলেমদের রেফারেন্স যেভাবে তুলে ধরেছেন সেভাবে অন্য আলেমদের কথা তেমন উঠে আসেনি।
চট্টগ্রামের আরেকজন আলেমকে আমি চিন্তাম। উপমহাদেশের শীর্ষস্থানীয় মুহাদ্দিসদের কাতারেই তার স্থান ছিল। তিনি হলেন দারুল উলুুম আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক মুহাদ্দিস মাওলানা নেছারুল হক সাহেব (রাহ)। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের ফারিগ ছিলেন। দরসে আলীয়া এবং দরসে নিজামিয়া উভয় মসলকতের আলেমরা এই মহান মনীষীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন।
- তিনি বড় আলেমে দ্বীন ছিলেন, দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার ব্যাপারে তিনি খুবই আন্তরিক ছিলেন।
- তিনি আলাদা একটি কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গঠন করে নিজের মত করে শিক্ষা বিস্তার করেছেন।
- সরকার ও ধনী লোকদের সাথে এডজাষ্ট করে চলাটাকে নিন্দুকেরা ভাল চোখে দেখতেন না তাই তিনি অনেকের কাছে অপছন্দনীয়ও ছিলেন।
- হেফাজতে ইসলামী গঠন প্রশ্নে তিনি চরম বিরোধী ছিলেন আবার সরকারের অন্যায় সমালোচনা করার ব্যাপারে তিনি শতভাগ হুশিয়ার থাকতেন।
- মানুষ ভাল ও মন্দের মাধ্যমে সৃষ্টি! একজন মানুষ সবার কাছে সমান গ্রহনযোগ্য হতে পারেন না, এমন কি নবী-রাসুলদের মত ব্যক্তিরাও সবার কাছে গ্রহনীয় ছিলনা। তাই প্রত্যেকের আমল আল্লাহর দরবারেই যথাযোগ্য বিচেবচনার জন্য দাখিল হয়।
- আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন।
তাঁর বাড়ী ফটিকছরির ইমাম নগরে নয়, সঠিক কথাটি হবে ফটিকছড়ির 'বাবু নগর'। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
.
মিডিয়া প্রচার করেনি তাতে কী?
নবীর ওয়ারিশগণের সাথে তাওহীদি জনতার আত্মার যে সম্পর্ক রয়েছে তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য হযরতের বিদায়বেলার শেষ আনুষ্ঠানিকতাই যথেষ্ট!!
.
আল্লাহু আকবার!! লোকে লোকারণ্য আজ এই বসুন্ধরা! হযরতের জানাজায় তাওহীদি জনতার ঢল নেমেছে! কানাই কানাই ভর্তি বসুন্ধরা কনভেনশন এবং তার আশপাশ এলাকা!!
.
এ যেন নবীর যোগ্য ওয়ারিশগণের সাথে তাওহীদি জনতার গভীর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ।
.
সামান্য একজন জাহান্নামের কীট মরলে তাগুত মিডিয়ার মায়াকান্নার শেষ থাকে না! অথচ আজ এতো বড় একজন মনীষিণীর বিয়োগের সংবাদ প্রচার করতে তাদের যত গড়িমসি!! ধিক তোদের প্রতি হাজারো ধিক!!!
যুগ যুগ ধরে ইসলামের শত্রুরা এমনই করেছে। যারা আল্লাহ তায়ালার প্রিয় পাত্র, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই এর প্রতিদান দিবেন। হযরতের মাগফিরাত কামনা করছি। জাযাকাল্লাহ খাইর
[b]আল্লাহ যেন তাঁর দূর্বলতাগুলো মাফ করেন৷[\b]
হগলে আছে তিনার গুন কীর্তন গাওনের আসরে। মানুষের দুনিয়াবী জিন্দেগীর ঝারঝা ঝারঝা হিসেব দিতে হবে কবরের ভিতরে। মনকির নকিরের জবাবদিতিহার হাত থেকে রেহাই পাওনের কুনো চান্স নেই। হের লিগ্যা হেতিনির হগল মুরিদান ও হেতিনির কাছ থেকে ইলম হাসিল করা হগল তালিবুল ইলম উমিদওয়ার হওন দরকার হেতিনির মাগফিরাতের।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন