৩য় রত্ন :- যৌতুক প্রথা নারী নির্যাতনের অর্ন্তভূক্ত

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০১ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:৩৭:১২ দুপুর

৩য় রত্ন :- যৌতুক প্রথা নারী নির্যাতনের অর্ন্তভূক্ত

যৌতুকের পরিচয় যৌতুক বাংলা শব্দ। এর প্রতিশব্দ পণ। দু’টোই সংস্কৃত থেকে এসেছে। হিন্দীতে বলে দহীজ (উবযরল) ইংরেজিতে Dowry (ডাওয়ারি)।

ইনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকায় এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এভাবে-

`Dowry’ : The Property that a wife or a wifes family give to her husband upon marriage. যৌতুক হল বিবাহ উপলক্ষে কন্যা বা কন্যার পরিবারের পক্ষ থেকে বরকে প্রদেয় সম্পদ। (The New Encyclopedia Britannica V. 4, P. 205)

বাংলা পিডিয়ায় বলা হয়েছে- বিবাহের চুক্তি অনুসারে কন্যাপক্ষ বরপক্ষকে বা বরপক্ষ কন্যাপক্ষকে যে সম্পত্তি বা অর্থ দেয় তাকে যৌতুক বা পণ বলে। (বাংলাপিডিয়া ৮/৪৫৫)

বাংলাদেশের ১৯৮০ সনের যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইনে যৌতুকের যে পরিচয় দেওয়া হয়েছে তা নিম্নরূপ : যৌতুক অর্থ (ক) কোন এক পক্ষ কর্তৃক অপর পক্ষকে, অথবা (খ) বিবাহের কোন এক পক্ষের পিতামাতা অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক অন্য কোন পক্ষকে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে বিবাহের মজলিসে বা বিবাহের পূর্বে বা পরে যে কোন সময়ে বিবাহের পণ রূপে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রদানে অঙ্গিকারাবদ্ধ যে কোন সম্পত্তি বা জামানত। (যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইন ১৯৮০, আইন নং ০৫)

২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন করা হয়। তাতেও যৌতুকের ব্যাপক সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ আইনটি ২০০৩ সালে সংশোধন হয়। সংশোধিত আইনে যৌতুকের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা এই : যৌতুকের অর্থ (অ) কোন বিবাহে বর বা বরের পিতামাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সাথে জড়িত বরপক্ষের অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত বিবাহের সময় বা তৎপূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ স্থির থাকার শর্তে বিবাহের পণ হিসেবে বিবাহের অন্য পক্ষের নিকট দাবীকৃত অর্থ, সামগ্রি বা অন্যবিধ সম্পদ। অথবা (আ) কোন বিবাহের কনেপক্ষ কর্তৃক বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সাথে জড়িত বরপক্ষের অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত বিবাহের সময় বা তৎপরে বা বৈবাহিক সর্ম্পক বিদ্যমান থাকাকালে বিবাহ স্থির থাকার শর্তে বিবাহের পণ হিসাবে প্রদত্ত বা প্রদানে সম্মত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ। (ধারা-২, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০০৩)

তবে দেনমোহর যৌতুকের অন্তর্ভুক্ত নয়। যৌতুক নিষিদ্ধ করণ আইন ১৯৮০ তে যৌতুকের সংজ্ঞা দেওয়ার পর বলা হয়েছে, শরীয়ত মোতাবেক প্রদেয় দেনমোহর, বা মোহরানা ইহার অন্তর্ভুক্ত নহে।’ (যৌতুক নিষিদ্ধ আইন ১৯৮০, আইন নং৩৫)

তদ্রূপ ভারতের ১৯৬১ সনের যৌতুক নিষিদ্ধ করণ আইন থেকেও মোহরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। (বাংলা পিডিয়া ৮/৪৫৫)

যৌতুকের উৎপত্তি

যৌতুকের উৎপত্তি সম্বন্ধে সুনির্ধারিত কোনো ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায় না। অধুনা এ বিষয়ে গবেষকগণ এর উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্বন্ধে যা লিখেছেন এর সারমর্ম হল, প্রাচীন হিন্দুসমাজে এর উৎপত্তি হয়েছে, এটি প্রায় স্বীকৃত।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রাচীন হিন্দুসমাজে এটি ছিল কন্যাপণ (ইৎরফব চৎরপব) অর্থাৎ বরপক্ষ কনে পক্ষকে দিত। কনেপক্ষ বিয়ের মাধ্যমে তাদের একজন সদস্য হারাচ্ছে এর ক্ষতিপূরণের জন্য কনের পরিবারকে বরপক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন সম্পদ দিত। কালক্রমে এটি বরপণে রূপ ধারণ করে| (The family Structure in Islam, By : Dr. Hammadah Abdul Ati); বাংলাপিডিয়া ৮/৪৫৫; ইসলাম ও যৌতুক, সিরাজুল হক সম্পাদিত, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত, পৃ. ১৫)

উল্লেখ্য, হিন্দুদের এই কন্যাপণের সাথে ইসলামের মোহরের কোনো সম্পর্ক নেই। কেননা, কন্যাপণ দেওয়া হত ক্ষতিপূরণের জন্য কন্যার পরিবারকে, কন্যাকে নয়। আর মোহর দেওয়া হয় কন্যার সম্মানি হিসাবে স্বয়ং কন্যাকে, কন্যার পরিবারকে নয়।

হিন্দুসমাজের কন্যাপণ কালক্রমে বরপণে রূপান্তরিত হওয়ার পিছনে যেসব কারণ রয়েছে তা হল :

কুলিনত্ব

প্রাচীনকালে অনার্যরা সমাজে মর্যাদা পাওয়ার আশায় আর্যদের নিকট তাদের কন্যা সম্পাদন করত। বিনিময়ে মোটা অংকের সম্পদ দিত। তখন থেকেই যৌতুক প্রথা কালক্রমে একটি সামাজিক রূপ নেয়। (ইসলাম ও যৌতুক, প্রাগুক্ত)

হিন্দুসমাজের এই শ্রেণীবৈষম্য বা কুলিনত্বের কারণে হিন্দুসমাজে আজো যৌতুক প্রথা বেশি। বিশেষ করে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের মাঝে এর প্রচলন অনেক। উনবিংশ শতাব্দিতে দেখা যায়, উচ্চবর্ণের বাহ্মণরা প্রচুর যৌতুক পাওয়ার আশায় শতাধিক বিবাহ করত। এসব স্ত্রী তাদের পিতৃগৃহেই থাকত। স্বামীরা বছরে একবার দেখা করতে আসত এবং প্রচুর আতিথেয়তা ভোগ করে যাওয়ার সময় অনেক যৌতুক নিয়ে যেত। (বাংলা পিডিয়া ৮/৪৫৫)

যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে আইন

১৯৮০ সালে বাংলাদেশে যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। তাতে আছে কেউ যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ করিলে অথবা প্রদান বা গ্রহণে সহায়তা করলে সে ৫ বছর পর্যন্ত (এক বছরের কম নয়, আবার ৫ বছরের বেশি নয়) কারাদন্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়বিধ দন্ডে দন্ডণীয় হবে। (আরো দেখুন : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ ধারা ১১/(ক); ইসলামী আইনের ভাষ্য, গাজী শামসুর রহমান থেকে সংগৃহিত)

বারবার আইন করেও যৌতুক বন্ধ করা যাচ্ছে না। নিম্নের পরিসংখ্যান থেকে তা সহজেই বোঝা যায়।

২০০৩ সালের জুলাই মাসে প্রাপ্ত জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (টঘউচ) এর রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে পূর্ববর্তী ১০ বছরে ৫০ শতাংশ নারী যৌতুকের কারণে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০১ সালে সারা দেশে অন্তত ১২৮ জন মহিলা যৌতুকের কারণে খুন হয়েছে, আত্মহত্যা ১৮ জন, নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪০ জন, তালাকপ্রাপ্তা হয়েছে ১৫ জন। এজন্য মামলা হয়েছে ২, ৭৭১টি।

জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতির এক জরিপে প্রকাশ, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত যৌতুকের জন্য খুন হয়েছে ৬৮৫ জন নারী, শারীরিক নির্যাতন ৫৮২ জন।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নারী নির্যাতন সেলের হিসাব অনুযায়ী যৌতুকের কারণে ২০০০ সালে পারিবারিক আদালতে মামলা হয়েছে ৬৭৫টি। ২০০১ সালে ৪১২টি, ২০০২ সালে ১২০টি ও ২০০৩ সালে ১৪১টি।

(পিআইডি ইউনিসেফ ফিচার, তথ্য অধিদপ্তর ইউনিসেফ থেকে প্রকাশিত ‘মা ও শিশু’ বই থেকে সংগৃহিত)



বাংলাদেশে যৌতুক প্রথা নিরসনে কিছু কার্যকরি তথ্য

১। যৌতুক রোধে ইসলামী শিক্ষা যথেষ্ট পজিটিভ ভূমিকা রাখে। সমীক্ষায় দেখা গেছে শিক্ষিত মেয়েদের যৌতুকহীন বিবাহ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী [

২। নারী নির্যাতন মূলত যৌতুকের সাথে সম্পর্কিত যা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। কম অর্থমূল্যের যৌতুক বিয়েতে নারীরা বেশী বেশী নির্যাতিত হয়। অন্যদিকে যৌতুকহীন বিয়েতে মেয়ে তুলনামূলকভাবে সুখী জীবন যাপন করে ৷

৩। আমেরিকার পপুলেশন কাউন্সিলের সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশে যেসব এলাকাগুলোতে ইসলামী মূল্যবোধ তুলনামূলকভাবে বেশী চর্চা করা হয় সেসব এলাকাগুলোতে (যেমন সিলেট ও বরিশাল) যৌতুকের প্রবণতা কম পরিলক্ষিত হয়। এর সাথে মাইগ্রেশনও (জীবিকার জন্য স্থান পরিবর্তন) ভূমিকা রাখতে পারে বলে সমাজ বিজ্ঞানীরা মনে করেন ।

বাংলাদেশে যৌতুক প্রথা প্রচলনের মূল কারণ:

১। সমাজ বিজ্ঞানীর মতে হিন্দু সংস্কৃতির প্রভাব বাংলাদেশে যৌতুক প্রথা প্রতিষ্ঠিত করতে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে ।

৩। কন্যার বৈবাহিক জীবনের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে ‘সিকিউরিটি মানি’ (Security money) হিসেবে যৌতুক দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। অন্যদিকে পাত্ররাও মোহরানা বাকীতে পরিশোধ করতে চায়। এজন্য কন্যার গার্ডিয়ানরাও বড় অংকের মোহরানা ধার্য করে যা বেশীর ভাগ পাত্রই পরিশোধ করার সামর্থ রাখে না। কিন্তু আইন অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদ হলে ঐ মোহরানা আদায় করা হয়। যার ফলে এতে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায় ।

৪। যৌতুক গ্রহণে মানুষের লোভ অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে তরুন সমাজের বেশীর ভাগ যৌতুককে খারাপ দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে। কিন্তু দূর্মূল্যের বাজারে ফাও (Free, বিনা পরিশ্রমে) পেতে সবারই থাকে প্রচণ্ড আকাংখা থাকে। এজন্য সাধারণত পাত্রপক্ষকে ঘর সাজানোর উপকরণ (যেমন ফ্রীজ, টেলিভিশন, ফার্নিচার, মোটর সাইকেল) সংগ্রহে উদগ্রীব দেখা যায়।

5।ভারতে প্রতি ঘণ্টায় একজন নারীকে যৌতুকের জন্য প্রাণ দিতে হয়। নারী অধিকার সংস্থাগুলো মনে করে, দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে যৌতুক প্রথা যেন আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বলে দ্য ডন জানিয়েছে।

দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য মতে, 2012 সনে ভারতজুড়ে বর বা তার পরিবারকে কনের পরিবার যৌতুক দিতে না পারায় আট হাজার দুইশ’ তেত্রিশজন নারীকে জীবন দিতে হয়েছে।

3/9/2013 প্রকাশিত পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, যৌতুক সংক্রান্ত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার ৩২ শতাংশেরও কম। যদিও ভারতের আইনে যৌতুক গ্রহণ বা প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু শত বছর ধরে দেশটির সমাজ ব্যবস্থায় এ প্রথা চলে আসছে।

বিয়ের পরও বছরের পর বছর ধরে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চলতে থাকে। পর্যাপ্ত যৌতুক দেয়া হয়নি এই অভিযোগে প্রতিবছর ভারতে হাজার হাজার তরুণীকে বর বা তার পরিবার কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করে। নারী অধিকার সংগঠন ও পুলিশের মতে , যৌতুক আইনে জটিলতা, দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া ও শাস্তি পাওয়ার হার কম হওয়ায় যৌতুক সংক্রান্ত অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নারী অধিকার কর্মী রঞ্জনা কুমারী বলেন, “অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভারতে যৌতুকের চাহিদা আরো জোরদার ও ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে।“

ভারতের তরুণ প্রজন্মের বিদেশি জিনিসপত্র পাওয়ার প্রতি প্রচণ্ড লোভ কিন্তু তা পাওয়ার সামর্থ্য না থাকা যৌতুক প্রথাকে আরো

উসকে দিচ্ছে বলে মনে করেন রঞ্জনা।

“বিয়ে এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। বর এবং তার পরিবারের মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা দেখে মনে হয় এটা তাদের ব্যবসা। আর পরিবার যত ধনী তাদের চাহিদাও ততো বেশি।“

দিল্লি পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সুমন নালওয়া যিনি নারীদের বিরুদ্ধে সংঘঠিত বিভিন্ন অপরাধ নিয়ে কাজ করেন তিনি বলেন, “এমনকি উচ্চ শিক্ষিত পরিবারও যৌতুককে না বলে না।“

( তথ্য সূত্র: dat 2013-09-10 http://bangla.bdnews24.com/world/article669975.bdnews)

বাংলাদেশে কখন ও কীভাবে যৌতুক প্রথার প্রচলন শুরু হয়?

মুসলিম আইন অনুযায়ী পাত্রীকে মোহরানা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে উল্টো পাত্রী পক্ষকে যৌতুক দিতে বাধ্য করা হচ্ছে! ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যৌতুক নামক প্রথা অপরিচিত ছিল। সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশে ১৯৪৫-১৯৬০ সালে যৌতুকের হার ছিল ৩%। ১৯৮০ সালে আইনগতভাবে যৌতুক নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে যৌতুকের হার অনেকাংশে বেড়েছে, যা ২০০৩ সালে ছিল ৭৬% [২]। সাম্প্রতিক (২০০৮) ব্র্যাক ও আমেরিকার পপুলেশন কাউন্সিলের সমীক্ষা অনুযারী বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা ভেদে যৌতুকের হার হচ্ছে ২০% থেকে ৮০%।

আমাদের সামাজিক একটা বেদী হলো যৌতুক ,যেটা সত্যিকার অথে শিক্ষিত ও ভদ্র মানুষরাই ইহাকে ঘৃনা করলে ও অনেক শিক্ষিত ও ভদ্র পরিবারে আবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ্ ভাবে হলেওএ প্রথা চালু আছে ৷

স্বাভাবীক ভাবে যৌতুক হলো , বিবাহ কে কেন্দ্র করে ছেলে কিংবা মেয়ের পক্ষ থেকে অনূধিকার

সস্পদ আদায় করা কিংবা সূযোগ সূবিধা আদায় করে নেয়া৷

যেমন আরব দেশ গুলোতে মেয়ের বাবা তার কন্যাকে বিবাহ দেওয়ার মানসে বরের থেকে মোহর ছাড়াও অনাকাঙ্কীত আরও অনেক কিছু আদায় করে নেয়, এটাও যৌতুক ৷

আর আমাদের বাংলাদেশে মেয়ের বিবাহের উপলক্ষ করে বর কে ,বা বর পক্ষকে অনেক কিছু দিতে হয় ৷

-------------- আমাদের দেশে নিচু শ্রেনীর লোক ,দরিদ্র, মূখ বা অনেক সময় ভদ্র পরিবারের লোকেরা ও সরাসরি দাবী করে বসে ৷ যেমন ৫০,০০০/ ১০০০০০/টাকা ,মোটর সাইকেল ,বিদেশ ভ্রমনের জ্ন্য ভিসা ইত্যাদি ৷ এগুলো সরাসরী যৌতূক যা সমপূন্ হারাম , অবৈধ ,অ্ন্যায় ৷

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يحل مال امرء مسلم الا بطيب نفسه কোন মুসলমানের সম্পদ গ্রহন করা বৈধ নয় و তার পছন্দ বা ইচ্ছা ছাড়া ৷

প্রতোক্ষ্ বা পরোক্ষ ভাবে যে ভাবেই ইউক না কেন অন্যায় ভাবে মানুষের মাল ভক্ষন করা জায়েয নেই ৷ জোর পূবক আথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কারো কোন টাকা -পয়সা ,খাওয়ার জিনিষ, বা ব্যবহারিক জিনিষ , তেমনি ভাবে সমাজিক চাপে পডে কোন গীফট্ আদায় করে নেয়া ইত্যাদি , অন্যায় অবৈধ হারাম ৷

আল্লাহর বাণী - واتوالنساء صدقاتهن نحلة فان طبن لكم عن شيئ منه فكلوا منها هنيئا مريئا -- النساء আথ্যাৎ তোমরা তোমদের স্এীদের কে তাদের মোহর দিয়ে দাও , যদি তিনি সেচছায় < কোন প্রকার বল প্রয়োগ বা হীলা করা ছাড়া > তোমাকে দে ,বা গীফট্ করে তবে তুমি তা গ্রহন করতে পারবে ৷

কোন প্রকার চাপ প্রয়োগ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে হলে তা জায়েয হবেনা ৷

আর যৌতুকের টাকা বরের জন্য বা তার বাবা বা পরিবারের জন্য গ্রহন করা সমপূন হারাম , যেমন শুকরের গোশ্ত ভক্ষন করা হারাম ৷ এটা একটা সামাজিক ব্যাধি , কূ-সংস্কার , নারী নিযাতনের নামান্তর ,. এটাকে আমরা ঘৃনা করব, এবং এটাকে নিমূল করার জ্ন্য জনমত তৈরী করব ,

কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে , আমাদের শিক্ষীত ভদ্র সমাজে ও আজ যৌতুক গ্রহন করছে ভিন্ন কায়দায় --

উপমহাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর বৈবাহিক রীতিতে যৌতুকের গুরুত্ব অত্যধিক। ওই ধর্মে উত্তরাধিকারের সম্পদে মেয়েদের অংশীদারিত্বের স্বীকৃতি নেই। এ জন্য যৌতুক তাদের বিবাহপর্বের একটি শক্তিশালী অনুষঙ্গ ও উপল হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে এসেছে ও আসছে। এ অঞ্চলে প্রতিবেশী বড় সম্প্রদায়টির সংস্কৃতি ও জীবনাচারের প্রভাব মুসলমানদের জীবনে যেমন অন্য বহু ক্ষেত্রে দেখা যায়, তেমনি ধরা পড়ে এই যৌতুকের ক্ষেত্রেও। অথচ মুসলিম জীবনে এই বিষয়টির চিত্র হওয়ার কথা সম্পূর্ণ বিপরীত। ইসলামের বিধান সেটাই। বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলে দেবে, মেয়ে নেবে। যেমন মোহর। মেয়ে কিংবা মেয়েরপক্ষ এক্ষেত্রে কিছুই দেওয়ার কথা নয়।অথচ আজকাল কন্যা পক্ষ বরপক্ষকে ১,২,৩,৫,লক্ষ টাকা বা ততোধিক নগদ অর্থ প্রদান করছে সাথে আরও কতকি! এখন প্রশ্ন হল বর পক্ষ তার মোহরানা বাবত কিছুই পরিশোধ করা ব্যতিরেকে কি বিবাহ বৈধ হবে? আর পরিশোধ করলেও তা মাত্র কাগজে কলমে কিন্তু বাস্তবে কিছুই নেই।অথচ বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য বর-কনের ইজাব-কবুল,৪জন সাক্ষির উপস্হিতী ও মোহরানা আদায় বাধ্যতামূলক।এখন বরতো মোহরানা আদায় করছেনা বরং উল্টো নিচ্ছে কন্যা থেকে।

দেখুন যৌতুক ,যেমন বর যাএী :-

ছেলের বাবা ,বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়ের বাবাকে বলে যে , আমাদের কিছু চাওয়ার নেই শুধু মাএ একটু বর যাএীদের মেহমান দারী করলেই হবে এরকম চেয়ে নেওয়া ৷ ইসলামে বর যাএী খাওয়ার কোন বিধান নেই৷বরং ওলীমার ব্যবস্হা আছে, যা বর কে করতে হবে৷কনে কে বাডিতে এনে উভয় পক্ষের লোকজনদের মেহমানদারী বরের জন্য সুন্নাত, বরের পয়সার থেকেই।

কিন্তু দুঃখের বিষয় বর পক্ষ তো করছেই না, বরং কন পক্ষকে চাপ দিয়ে আদায় করা হচ্ছে, কনের বাবা নিরুপায় হয়ে কাজ করে , জমি বিক্রি কর, লৌন নিয়ে , হাত পেতে ভিক্ষা করে বর যাএীদের খাওয়র ব্যবস্হা করে তাও কোন সাধারন খানাও নয় উচ্চ মানের হতে হবে৷ এটাকি পরোক্ষ যৌতুক নয় ?

আজকে নারীবাদীরা ও যারা নারীদের অধীকার নিয়ে কথা বলে তাদের বিবাহে ও বাস মিনিবাসের বহর নিয়ে বরযাত্রী খাওয়ানোর অনূষ্ঠান ধূম-ধাম করে পালন করছে , এটা কি নারী নির্যাতনের পথ খূলে দেয়া হচ্ছেনা ?

বর্তমানে বর যাত্রী খাওয়ার ও একটা প্রতিযোগিতার হিডীক পডে যাচ্ছে যে অমুকের বিবাহে ১০০০ হলে আমার বিবাহে ১৫০০ হতে হবে ইত্যাদি, তাছাডা বিবাহ পরবর্তি সামাজীক বিভিন্ন রসম রেওয়ায়েজ তো আছেই, যা ভূক্তভূগী ছাড়া কেউ অনূধাবন করা সম্ভব না ৷ যার কারনে যারা এ সব রসম রেওয়াজ পালন করতে সক্ষম না ঐসকল পরিবারের মেয়েদের বিবাহ হচ্ছেনা সহজে ; এবং মাতা-পিতা দূরচিন্তায় ঘূমাতে পারছে না ৷যাদের পরিবরে ৩/৪/বা ততোধীক কন্যা সন্তান আছে তাদের আরামের ঘূম হারাম হয়ে যাচ্ছে এর জন্য কি আমাদের সামাজীক ব্যবস্হা দায়ী নয়?

আমরা কি পারিনা আমাদের সমাজকে একটু পরিবতন করতে ?

আমরা কি পারিনা এ সব হারাম ভক্ষন ত্যাগ করতে ?

হ্যাঁ আবশ্যই পারব তবে একটু সচেতনেতার প্রোয়জনও তার সাথে খোদাভীতী ৷

ছেলে সাজানো -কোন কোন স্হানে বিশেষত দক্ষিন চট্টগ্রামে এমন প্রথা ও আছে যে বরের বাবা কনের বাবাকে বলে যে আপনরা বরকে সাজিয়ে দিবেন , আথ্যাৎ বরকে সাজানোর জন্য শাট-পেন্ট কোট ইত্যাদী এমন কি স্যাপ মেশিন সহ দিতে হয় ,

এখানে ছেলেকে সাজানোর জন্য কনের বাবাকে কয়েক হাজার টাকা খরচ করতে হয়,

এটা কি লজ্যার ব্যাপার নয় ,? এটা কি কনের বাবার কাছে হাত পাতা নয় ?

এটা পুরূষত্বের লক্ষন নয়, সাহসীকতার লক্ষন নয়,

পুরুষ কে তো নিজের পয়সা দিয়েই , নিজ সামথ্য দিয়েই সাজতে হবে , নিজে সাজার বা স্ত্রীকে সাজনো সহ তার বরন পোষন দানের সামর্থ না থাকলে বিবাহ করা তার উপর ফরজ,বা ওয়াজিব নয় ৷এখানে নিজে সাজার জন্য কনের বাবার কাছে হাত পাতা এর চেয়ে নিচু মানের মানসিকতা আর কি হতে পারে : হ্যাঁ কনেকে সাজানোর ১০০/; বরের দায়িত্ব ৷

ইফতারী দানঃ

মেয়ে বিবাহ দেওয়ার পর পর সামাজীক চাপের

মুখে পড়তে হয় প্রথম বৎসর , রমজানে ইফতারী দেওয়া নিয়ে, মেয়ের বাবা। আবশ্যই ইফতারী করাতে হবে ছেলের বাবা সহ পরিবারের সবাই কে এমন কি সমাজের লোকজন সহ তার আত্তীয়দের কেও , মেয়ের বাবা সি এন জি বা ট্রাক ভত্তি করে বেয়াইর বাড়িতে ইফতারী পাঠানোর ব্যবসহা করে থাকে ৷ কিন্তু তাতে যদি একটু আইটেমের কম হয় , বা উচ্ছ মানের না হয় তখন হতভাগা মেয়েকেই গাল মন্দ শুনতে হয় ,আপসোস হাজারো আপসোস এ সমাজের কর্মকান্ডের উপর ৷

ইফতারী করানো আবশ্যই ছাওয়াবের কাজ এতে কোন সন্দেহ নেই ,

যে কোন রোজাদারকে ইফতারী করালে পূর্নাঙ্গ একটি রোজার ছাওয়াব পাওয়া যাবে ,

কিন্তু এখানে আমরা কি সে ছাওয়াবের আশা করি ?যদি করা হতো মেয়ের বাবা মা এর জন্য কেন ইফতারী পাঠানো হয়না ?

মেয়ের বাবা কি ইফতারীর পাওয়ার যোগ্য নয় ? যদি হয় তাহলে সামাজীক এ ভৌষম্ম কেন ?আসুন আমরা সকলে মিলে সামাজীক এ সকল ভৌষম্ম দূর করি , কূসংষ্কার গুলো দূর করি এবং ছেলের বাবাদের মত মেয়েদের মা বাবার জন্য ও ইফতারীর ব্যবস্হা করি , যদি করতে হয় ৷ একতরফা ভাবে যাতে না হয় ৷ তাও ট্রাক বা সি এন জি ভত্তির প্রয়োজন নেই শুধুমাএ প্রয়াজন মত।

এছাড়া বর্তমান সমাজে একটি নতুন প্রবণতা চালু হয়েছে যে ‘‘যৌতুক না চাইলে কন্যার পিতা বেশি দেবেন’’। ফলে শিক্ষিত পরিবারে এখন যৌতুক বিষয়ে তেমন কোন চাহিদা থাকে না। যে কারণে কন্যার পিতা মেয়েকে স্বর্ণের গহনা,প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, ফ্রিজ, কালার টেলিভিশন, মোটরসাইকেল সহ নানান কিছু ট্রাকে করে নতুন জামাই বাবুর বাসায় পৌছে দেন। যা সামাজিক ভাবে যৌতুক হলেও ভদ্র মহলে এটা নাকী যৌতুকের আওতায় পড়ে না!

ঐর্শ্বী গ্রন্থ আল কুরআনে যৌতুক দেয়া ও নেয়াকে হারাম এবং স্ত্রীর দেন মোহরানা আদায় করা স্বামীর জন্য ফরজ বা অবশ্যই করণীয় উল্লেখ রয়েছে। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় হারাম যৌতুকের তুলনায় স্বামীর ক্ষেত্রে স্ত্রীর দেন মোহরানা আদায় করার জন্য কন্যাপক্ষ কিংবা বিবাহের সময় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ কেউ জোর দেননা। আবার দেন মোহরানা ইসলামের দৃষ্টিতে খোদ ছেলের সামর্থের উপর ধার্য্য করার কথা বলা হলেও তা করা হয় না। বরং কন্যার পিতা যে পরিমাণ যৌতুক বা উপটোকন দিয়ে থাকেন তারা দ্বিগুণ হারে মোহরানা ধায্য করার প্রবণতা আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় চালু আছে। কিন্তু বাস্তবে সেই দেন মোহরানা আদায় না করে ‘‘ সমাজে প্রচলিত রীতি নীতি অনুযায়ী স্ত্রীর কাছে স্বামী দেন মোহরানা মাফ চাইবে; আর স্ত্রী যদি খুশি মনে মাফ করেন তবে নাকী মাফ হয়ে যাবে” এ ধরনের কথা-বার্তাও অনেক সময় শোনা যায়।

তবে সাবধান মোহরানা না দেয়ার যতই কৌশল অবলম্বন করুন না কেন এটা স্ত্রীর হক্ব , আদায় না করলে কেয়ামতের মাঠে আপনি প্রতারক হিসাবে উঠবেন এবং এটা তার প্রাপ্য, আদায় করতে হবে আপনার নেকী দিয়ে ৷

একদিকে যৌতুকের দায়গ্রস্ত পিতার অসামর্থ অন্যদিকে যৌতুক লোভী স্বামীর নানা মুখী নির্যাতন। বাধ্য হয়ে বিবাহিত নারী এই জঞ্জাল ও নির্যাতন সহ্য করতে না পারে আত্ম হত্যাও করেন। আবার কোন নারী স্বামীর নানামুখী নির্যাতন সহ্য করে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করলেও যৌতুক লোভী স্বামী তাকে শেষ পর্যন্ত যৌতুক না পেয়ে যে কোন উপায়ে হত্যাও করেন।চোখ উপডিয়ে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে,কেরসিন দিয়ে শরীরে আগুন লাগিয়ে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যাও করা হয়েথাকে। বর্তমান সমাজে যৌতুকের দায়ে নারী নির্যাতন নামক এ অমানবিক সমস্যাটি ব্যাপক হারে বেড়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনের পাঁক পোকর দিয়ে বেরিয়ে আসেন।

যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে ৷পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় এই অবহেলার শিকার হন আমাদের মা-বোনেরা। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা থেকে যৌতুক প্রবণতা আমরা কী দূর করতে পারিব না (?)। যৌতুকের কুফল সম্পর্কে আমরা কী সামাজিক ভাবে সচেতন হতে পারি না (?) । যৌতুক নামক অমানবিক অপরাধ ও নির্যাতন থেকে আমরা কী মা-বোনদের রক্ষা করতে পারব না (!)। যার জন্য আমাদের নানামুখী প্রচার, মানবন্ধন, নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।

এ পর্যায়ে নারী নির্যাতন বন্ধের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে সরকারি ও বে-সরকারি ভাবে ব্যাপক ভাবে স্বচিত্র প্রদর্শন ও সমাজের সর্ব ক্ষেত্রে জনপ্রতিধি, মসজিদের ইমাম ও নিকাহ কাজীদের সকল ফোরামে যৌতুকের কুফল সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে আলোচনা করতে হবে। এছাড়া প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তুকে মানবাধিকার তথা নারীর অধিকার, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ সংক্রান্ত আইন, ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। এছাড়া নিকাহ কাজীদের বিশেষ ভাবে যৌতুক প্রতিরোধে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে, যৌতুক দেওয়া বা নেওয়া হয়েছে এমন বিয়ের রেজিস্ট্রি পরিহার করে চলতে হবে। আল্লাহ সকলের সহায় হউক ৷ উক্ত প্রবন্ধটি আমি সোনার বাংলাদেশ ব্লগের,১২১ জন ব্লগারের সমন্নয়ে লেখীতও প্রকাশিত "স্বপ্ন দিয়ে বোনা" বইটিতে উক্ত শিরোনামে ১২৭নং পৃষ্ঠায় একটি কলাম লেখেছিলাম ।আশা করি যারা "স্বপ্ন দিয়ে বোনা"বইটি সংগ্রহ করতে পারেননি তারা এখান থেকে উপকৃত হবেন ।উল্লেখ্য "স্বপ্ন দিয়ে বোনা" বইটি সংগ্রহে রাখার মত একটি গুরুত্ব পূর্ণ বই।

বিষয়: বিবিধ

৩১৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File