ইসলাম জঙ্গীবাদরে ধর্ম নয় এবং জঙ্গীবাদকে সমর্থনও করে না, বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলার ৯৪% শতাংশই ঘটায় অমুসলিম সন্ত্রাসীরা।

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:১০:১৪ দুপুর

“ইসলাম জঙ্গীবাদরে ধর্ম নয় এবং জঙ্গীবাদকে সমর্থনও করে না,বর্তমানে জঙ্গিবাদ এটা একটা আলাদা একটি ধর্ম-বা কালসার,যেমন বর্তমানে নাস্তিক্যবাদ একটি কালসার

।জেহাদের নামে যারা এই বর্বরতায় মত্ত, তারা কখনই প্রকৃত মুসলিম হতে পারে না মুষ্টিমেয় কিছু বর্বর ইসলামের নামে সন্ত্রাস করছে বলে, সব মুসলিমকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়া মানবতার অপমান।কোন জঙ্গি বা সন্ত্রাসীর দেশ বা ধর্ম আছে বলে মনে হয়না ।ইসলাম বিচার বহির্ভূত যে কোন হত্যাকান্ডকে সমর্থন করেনা।ইহুদি খৃষ্টান চক্র মুসলমানদেরকে কোন ঠাসা করতে দেশে দেশে আইএসের মত উগ্র পন্থীর আবির্ভাব ঘটিয়ে নামে বে -নামে শাখা খুলে দেশে দেশে হামলা চালাচ্ছে,এর সকল অপকর্মের হোতা হল সেই ইহুদী-খৃষ্টান ।কারণ তালেবান যারাই সৃষ্টি করেছিল তারাই আই এস ও সৃষ্টি করেছে। তাইতো আইএসের উত্থানের জন্য জর্জ ডব্লিউ বুশকে দায়ী করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি অভিযোগ করেন বুশের আমলেই ইরাকে আক্রমণের ফলে ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ আইএসের উত্থান ঘটেছে। ভাইস নিউজকে দেয়া এক বক্তব্যে এমন অভিযোগ করলেন ওবামা। Daily Inqilab ১৬-১১-২০১৫

আজকে আমরা বিভিন্ন গবেষনায় জানতে পারি বিশ্বে যত গুলো সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে তন্মধ্যে ৯৪% ই অমুসলিমরাই ঘটিয়েছে। কিন্তু আপসোস এর বিষয় হল আজকে মুসলিমদের হাতে মিডিয়ার কতৃত্ব না থাকার কারনে , এ সত্যটা প্রকাশ পাচ্ছেনা বরং উল্টো মুসলমানদের সন্ত্রাসী বানানো হচ্ছে ।এই জন্য আজকে মুসলিমদের জন্য অপরিহার্য কাজ , যেটা তাহল বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করতে হবে, মিডিয়ার নিয়ন্ত্রন নিতে হবে । নতুবা এ ঘানী আরও কতকাল সইতে হবে আল্লাহই ভাল জানেন ।

দেখুন নীচে আমি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সংযোজন করলাম ।

মুসলিম সন্ত্রাসী'- এই শব্দযুগল ব্যবহার করে কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই যে কাউকে অভিযুক্ত করতে নিয়মিতই নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম। কোথাও কালে ভদ্রে দুয়েকটি হামলা/সন্ত্রাসের ঘটনা কোনো বিপথগামী মুসলমানের দ্বারা হলেই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে হায় হায় রব উঠে।

যদিও প্রকৃত তথ্য এবং পরিসংখ্যান বলে ভিন্ন কথা। ২০‌১৩ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, সেদেশের মাটিতে গড়ে যত সংখ্যক হামলা হয় তার ৯০ শতাংশই ঘটিয়ে থাকে অমুসলমি সন্ত্রাসীরা।

এফবিআইয়ের ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মোট হামলার ৯০ শতাংশই ঘটায় অমুসলিম সন্ত্রাসীরা।

সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটিয়ে থাকে ল্যাটিন আমেরিকান সন্ত্রাসীরা। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হার শতকরা ৪২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চরম বামপন্থী সন্ত্রাসীরা ২৪ শতাংশ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটায়। ৭ শতাংশ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য দায়ী ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীরা। মুসলিম নামধারী সন্ত্রাসীরা দায়ী মাত্র ৬ শতাংশ ঘটনার জন্য। কমিউনিস্ট ৫ শতাংশ এবং অন্যান্যরা ঘটিয়ে থাকে ১৬ শতাংশ সন্ত্রাসী ঘটনা। সূত্র: ওয়াশিংটন ব্লগ -http://amarbangladesh-online.com

বিষয়: বিবিধ

২২৪৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

343743
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : গোয়েবলস ও সবাইকে সন্ত্রাসি বানাতেন। এদের অবস্থাও তাই।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১০
285218
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : ১ । হিটলার, একজন অমুসলিম । ৬০ লক্ষ ইহুদি হত্যা করেছিলো । মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খৃষ্টান টেররিস্ট !

২ । জোসেফ স্ট্যালিন, একজন অমুসলিম । সে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে, এবং

১৪. ৫ মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ হয়ে ধুকে ধুকে মারা গেছে । মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খৃষ্টান টেররিস্ট !

৩ । মাও সে তুং একজন অমুসলিম । ১৪ থেকে ২০ মিলিয়ন মানুষ হত্যা করেছে ! মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে বৌদ্ধ টেররিস্ট ।

৪ । মুসলিনী (ইটালী) ৪ লাখ মানুষ হত্যা করেছে ! সে কি মুসলিম ছিল ? অন্ধ মিডিয়া একবারো বলে নাই খৃষ্টান টেররিস্ট !

৫ । অশোকা (কালিঙ্গা বেটল) ১০০ হাজার মানুষ হত্যা করেছে ! মিডিয়া

একবারও তাকে বলেনি সে হিন্দু টেররিস্ট ।

৬ । আর জজ বুশ ইরাকে,আফগানিস্থানে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ হত্যা

করেছে ! মিডিয়া তো বলে নাই, খৃষ্টান টেররিস্ট !

৭ । এখনো মায়ানমারে প্রতিদিন মুসলিম রোহিঙ্গাদের খুন , ধর্ষণ , লুটপাট,

উচ্ছেদ করছে ! তবুও কোনো মিডিয়া বলে না বৌদ্ধরা টেরোরিস্ট ! ইতিহাস সাক্ষী পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় বড় গনহত্যা করেছে নন মুসলিমরা আর

এরাই দিন রাত গণতন্ত্র জপে মুখে ফেনা তুলে ! অথচ এদের দ্বারাই মানবতা

লুন্ঠিত !
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১১
285219
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : ক । যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?

খ । যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?

গ । যারা অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ২০

মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীকে হত্যা করেছিল,তারা কি মুসলিম ছিল ?

ঘ । যারা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল,তারা কি মুসলিম ছিল ?

ঙ । যারা আমেরিকা আবিষ্কারের পর নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য উত্তর আমেরিকাতে ১০০ মিলিয়ন এবং দক্ষিন আমেরিকাতে ৫০ মিলিয়ন রেড-

ইন্ডিয়ানকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ?

চ । যারা ১৮০ মিলিয়ন আফ্রিকান কালো মানুষকে কৃতদাস বানিয়ে আমেরিকা নিয়ে গিয়েছিল । যাদের ৮৮ ভাগ সমুদ্রেই মারা গিয়েছিল এবং তাদের মৃতদেহকে আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তারা কি মুসলিম ?

উত্তর হবে, এসব মহাসন্ত্রাসী ও অমানবিক কার্যকলাপের সাথে মুসলমানরা কখনো জড়িত ছিলনা ।

আপনাকে সন্ত্রাসের সংজ্ঞা সঠিকভাবে করতে হবে । যখন কোন অমুসলিম কোন খারাপ কাজ করে, তখন এটাকে বলা হয় অপরাধ ! আর যখন কোন মুসলিম একই খারাপ কাজ করে, তখন এটাকে বলা হয় ইসলামীয় জঙ্গীবাদ
344587
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:২০
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : সত্য লিখেছেন।
349667
১৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:১৮
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : জার্মানির এক টিভি লাইভশোতে একজন জার্মান মুসলিম স্কলারকে যখন উপস্থাপক প্রশ্ন করেছিলেন, মুসলমানরা কেন সন্ত্রাস করে ? তখন তিনি উক্ত প্রশ্নের জবাব এভাবে উল্টো প্রশ্ন করে দেন :- ☑ ১. যারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল ? ☑ ২. যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ☑ ৩.যারা অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের পর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ২০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসীকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ☑ ৪.যারা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ☑ ৫.যারা আমেরিকা আবিষ্কারের পর নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য উত্তর আমেরিকা বর্তমান যুক্তরাষ্ট ১০০ মিলিয়ন এবং দক্ষিন আমেরিকাতে ৫০ মিলিয়ন রেড- ইন্ডিয়ানকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? ☑ ৬. যারা ১৮০ মিলিয়ন আফ্রিকান কালো মানুষকে কৃতদাস বানিয়ে আমেরিকা নিয়ে গিয়েছিল। যাদের ৮৮ ভাগ সমুদ্রেই মারা গিয়েছিল এবং তাদের মৃতদেহকে আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তারা কি মুসলিম ? উত্তর হবে, এসব মহাসন্ত্রাসী ও অমানবিক কার্যকলাপের সাথে মুসলিমরা কখনো জড়িত ছিলনা। ☑ ইরাক , আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার নাম তেল , গ্যাস লুন্ঠন কি মুসলমানরা করেছিল ? আপনাকে সন্ত্রাসের সংজ্ঞা সঠিকভাবে করতে হবে। যখন কোন অমুসলিম কোন খারাপ কাজ করে,খুন খারাপি করে তখন এটাকে বলা হয় আত্মরক্ষা আর যখন কোন মুসলিম আত্মরক্ষার্থে কিছু করে , তখন এটাকে বলা হয় জঙ্গীবাদ ! ☑ ইসরাইলি ইহুদিরা অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে ফিলিস্তিনের নিরীহ নারী , পুরুষদের উপর হামলা করলে হয় আত্মরক্ষা এবং ফিলিস্তিনের জনগণ উহ: আহ : শব্দ করলে হয় মৌলবাদী বা জঙ্গি ! মুসলমানের শত্রুরা এখন মুসলমানদের নাম ও চিহ্ন ব্যবহার করে সন্ত্রাস করছে , নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করছে , নিজেরা ( ইউরোপ-আমেরিকানরা ) নিজেদের দেশের জনগনের কাছে সাধু সেজে মুসলমানদের উপর তথাকথিত জঙ্গি - সন্ত্রাস দমনের নামে মূলত মুসলমানদের তেল, গ্যাস , ভূমি , দেশ লুটপাট করছে ... আল-কায়েদা , বোকো হারাম , ইসলামী এস্টেট বা #ISI শুনতে ইসলামী নাম হলেও এগুলোর কার্যক্রম থেকে পরিস্কার বোঝা যায় এগুলো ইউরোপ - আমেরিকানদের তৈরী , ঐসব কপাল-পোড়া সংগঠনের সাথে ইসলাম - মুসলমানদের দূরতম সম্পর্ক নেই ইনশা আল্লাহ I একটা সময় ছিল যখন ক্ষমতা লোভী , সাম্রাজ্যবাদীরা অন্য দেশ ,অন্য ধর্মের জনগনের উপর - সরাসরি আক্রমন ও তাদের সম্পদ লুট করত I এখন আধুনিক যুগ , যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে I কেউ কোনো অন্যায় করলে তা ছবি ও ভিডিও সহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে , এছাড়া দেশে দেশে গনত্রান্তিক ব্যবস্থা বিরাজমান | কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট মারাত্মক ভুল করলে তাকে বা তাদেরকে অনেক বেগ পোহাতে হয় , এখন আর #কেউই_জবাবদিহিতার_উর্ধে_নয় , তাই কেউ রাস্ট ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অন্য দেশের উপর সরাসরি আক্রমন করে না বরঞ্চ #অন্য_নামে_করে_থাকে | " তাতে সাপও মরে আর লাঠিও ভাঙ্গে না " আর এরা এ থেকে ফায়দা লুটার ফন্দি করে | "ইসলামী জঙ্গি " নামে কেউ সন্ত্রাস করলে বুঝতে হবে এসব ইসরাইলি - আমেরিকানদের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পন

সংকলীত;
353693
১২ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০৭
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : পশ্চিমা বিশ্বে সাম্প্রতিক হামলাগুলি মুসলমানদের প্রতি অন্যদের মনে বিরূপ ধারণা দিতে শুরু করেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই মনে করা শুরু করেছেন সব মুসলিমই মনে হয় সন্ত্রাসী অথবা সব সন্ত্রাসীই মুসলিম। আসলেই কি তাই? না মোটেই সেটি নয়।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে শতকরা ২ ভাগেরও কম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মুসলিমদের দ্বারা সংঘটিত হয়। অ্যানোনিমাস নামক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অনলাইন তাদের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই দিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে গত পাঁচ বছরে ঘটা সন্ত্রাসী হামলাগুলোর মধ্যে মুসলিমদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে দুই শতাংশেরও নিচে। যেগুলির পেছনে ধর্মীয় অনুপ্রেরণা ছিলো বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউরোপে ৭৩৮ টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এর মধ্যে মাত্র আটটি ঘটনা ধর্মীয় আবেগে অনুপ্রাণিত হয়ে মুসলিমদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে।


প্রকাশিত প্রতিবেদটিতে ‘তথ্যগুলি রক্ষণশীল পশ্চিমাদের জন্যে বিস্ময়ের হলেও, ‘এটাই বাস্তব’ উল্লেখ করে একটি পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হচ্ছে, ২০১৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সন্ত্রাসী হামলা ছিল ১৫২টি। যার মধ্যে দুটি ঘটনায় ধর্মীয় প্রেরণা ছিল। ২০১২ সালে ছিলো ২১৯ টি। যার মধ্যে ছয়টি ছিলো ধর্মীয় অনুপ্রেরণায়। ২০১১ সালে ঘটা ১৭৪টি সন্ত্রাসী হামলার সবগুলিই ধর্মীয় উন্মাদনা ছাড়াই অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপ দ্বারা সংঘটিত।
এছাড়া ২০১০ সালে ২৪৯ টি হামলার মধ্যে তিনটি এবং ২০০৯ সালের ২৯৪ টি হামলার মধ্যে মাত্র একটিতে ইসলামী সংগঠনের সম্পৃক্ততা দাবি করা হয়েছে।


অপরদিকে প্রতিবেদনটিতে এফবিআইয়ের একটি গবেষনার কথা তুলে ধরে বলা হয়, চমকপ্রদ হলেও এটাই সত্য যে, ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলায় মুসলিমদের তুলনায় ইহুদিরা এগিয়ে। তাদের পরিসংখ্যান হল, যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা সাত ভাগ সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গেই প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে ইহুদিরা। যে ক্ষেত্রে মুসলিমদের পরিমাণ শতকরা ছয় ভাগ।


ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক চার্লস ক্রুজম্যান জননিরাপত্তার জন্যে আমেরিকান মুসলিমদের ‘অণুসমান’ হুমকি বলে মনে করেন। তিনি তার ‘মুসলিম আমেরিকান সন্ত্রাস’ শীর্ষক ২০১৩ সালের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ২০০১ সালের জানুয়ারির সন্ত্রাসী হামলায় ১৪’শ মানুষ নিহত হবার পর যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমরা সবক্ষেত্রেই অভিযুক্ত। এমনকি ২০১৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১৯০ জনের মধ্যে ৩৭ জনকে হত্যার জন্যে মুসলিমদেরই দায়ী করা হয়।
দ্য রিপোর্টhttp://www.bdfirst.net/newsdetail/detail/200/175394?fb_action_ids=474468026077222&fb_action_types=og.comments

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File