ঈদের নামাযের পর কি কোলাকুলি সুন্নত?
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ১৬ জুলাই, ২০১৫, ০২:০৮:৪১ রাত
মুআনাকার আদাব ও মাসায়েল
১। মুআনাকার ( কোলাকুলি) করা সুন্নাত। [আবু দাউদ : ২/৭০৮; তিরমিবী : ২/১০২]
পরিচিত কারও সাথে কিছুদিন বা অনেকদিন পর দেখা হলে তার সাথে মুহাব্বতের সাথে কোলাকুলি করা সুন্নত
২। উভয়ে ডান গলা মিলিয়ে একবার মুআনাকা করবে। তিনবার জরুরী নয়। [তিরমিবী : ২/১০২; লিসানুল আরব : ১০/২৭২; মাহমুদিয়া : ২৮/২১১; জামিউস সুনান : ১৫৯]
৩। মুআনাকার সময় এই দোয়া পড়বে-(আল্লাহম্মা যিদ্ মুহাব্বাতী লিল্লাহি ওয়া রাসুলিহ) [জামিউস সুনান : ১৫৯; আহকামে েিয়ন্দগী : ৩৯৮]
৪। যদি মুআনাকা করতে গেলে কামভাব সৃষ্টির আশংকা থাকে, তাহলে মুআনাকা করা জায়িয হবে না।
এমনভাবে কেউ কষ্ট পাওয়ার আশংকা থাকলেও মুআনাকা করা যাবে না। [রদ্দুল মুহতার ৯/৫৪৬; আল বাহরুর রায়েক : ৯/৩৬৪; আহকামে জিন্দেগী : ৩৯৮
ঈদের নামায পর কোলাকুলি করা ৷
আমাদের সমাজে ঈদের নামাজের পর পর কোলাকোলি করার একটা প্রথা চালু আছে ।তবে
ঈদের নামাযের পর কোলাকুলি করার কথা কুরআন ও হাদিসে নাই ৷ সত্যের মাপকাঠি সাহাবা রাঃ ঈদের নামায পর কোলাকুলি করেন নাই ৷ যদিও কোলাকুলি করা সুন্নত ৷ পরিচিত কারও সাথে কিছুদিন বা অনেকদিন পর দেখা হলে তার সাথে মুহাব্বতের সাথে কোলাকুলি করা সুন্নত ৷ এখন ঈদের নামায পরেই যদি পরিচিত কারও সাথে দেখা হয়ে যায় কয়েকদিন বা অনেকদিন পর দেখা হল ৷ তবে সেক্ষেত্রে তার সাথে কোলাকুলি করা যায় ৷ তবে ঈদের নামায পর কোলাকুলি করা সুন্নত - এমন মনে করা বিদআত ৷ তাই বহুদিন পর পরিচিত কারও সাথে দেখা হলেই তার সাথে কোলাকুলি করুন ৷ তার সাথে ঈদের নামায পর কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকুন ৷ কোলাকুলি করা ঈদের কোন আমল না ৷
ঈদের দিন ঈদের নামাযের পর জরুরী মনে করে মুআনাকা/কোলাকুলি করা বিদআত। জরুরি মনে না করলে বিদআত হবে না। [ইসলাহি খুতুবাত : ১/১৮৬-১৮৭]
বিষয়: বিবিধ
৩৪৭৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিদআত বা ইবাদাত হিসেবে নয়, ঈদের কোলাকুলি আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে!
জরুরি মনে না করলে বিদআত হবে না। এটাই সংগত কথা!!
জাযাকাল্লাহ...
আর ইবাদাহ মনে করে করলেই তো বিদআত হবে।
সুন্দর পোষ্টির জন্য শুকরিয়া।
তবে আমার মনে হয় এটা বাঙ্গালীর লোকাল কালচার। এটি মুবাহ এর অন্তর্ভূক্ত হতে পারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন