আল্লাহর ৯৯ নাম জাহেলিয়াত প্রভাব মূক্ত

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ১১ জুলাই, ২০১৫, ০৪:৩৫:৪৭ রাত

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে একমাত্র আলোচক আবদুল গাফফার চৌধুরী সাহেব যে কথাগুলি বলেছেন, মুসলমান হিসাবে আমি এর তিব্র নিন্দা জানাই।

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ‘আজকের আরবি ভাষায় যেসব শব্দ এর সবই কাফেরদের ব্যবহৃত শব্দ। যেমন- আল্লাহর ৯৯ নাম, সবই কিন্তু কাফেরদের দেবতাদের নাম। নাউযুবিল্লাহ ।

সে বলেছে যে ,তাদের ভাষা ছিল আর-রহমান, গাফফার, গফুর ইত্যাদি। সবই কিন্তু পরবর্তীতে ইসলাম এডাপ্ট করেছিল।’

=============================================================

প্রিয় দেশবাসী মুসলিম ভাইবোনেরা আপনাদের কাছে বিনীত অনূরোধ এই ভন্ড মুরতাদের কথার সত্যতার কোন অবকাশ নেই। কারণ অসংখ্য হাদীস দ্বারা প্রমানীত যে , যখন ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে আল্লাহ, রাহমান ,রাহীম,গাফুর,ইত্যাদী আল্লাহর গুনবাচক নাম গুলো উচ্ছারণ করতেন তখনি কাফেররা বলত ?من الله? من الرحمن ?من الرحيم অর্থাৎ কেআল্লাহ ؟ কে রাহমান ?কে রাহীম ? ইত্যাদী,

মূলত কাফেররা এই সকল নাম সম্পর্কে কোন প্রকারের অবগত ও ছিলেন না। যদি দেবতাদের নাম হত, বা আগে থেকে অবগত থাকত তাহলে তারা এ প্রশ্ন কখনই করতেন না কে আল্লাহ ? কে রাহমান ?কে রাহীম ? ইত্যাদী।

ইসলাম ধর্ম, দেবতা তথা মূর্তি পুজাকে বিশ্বাস এলাউ করেনা , ইসলামে দেবতা পুজার কোন স্হান নেই। আপনারা যারা ইতিহাস জানেন তাদের ও আবশ্যই জানা থাকার কথা যে আজকে যে হিন্দু ও -বৌদ্ধ ধর্মে দেবতা পুজার যে হিড়িক চলছে, ঐ সকল ধর্মের মূল গ্রন্হেই লেখা আছে যে মূর্তি দেবতা পুজা নট এলাউ । সেখানে ইসলাম ধর্মে আল্লাহর গুনবাচক নাম দেবতাদের নাম বলে মানুষ কে বিভ্রান্তি করার অপকৌশল মাত্র ।

আর আল্লাহ হলেন যিনি একক অদ্বিতীয় যার কোন শরীক নেই যার কোন মাতা পিতা নেই , তিনি কাউে জন্ম দেননি এবং তাঁকে ও কেউ জন্ম দান করেন নি , তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন ,সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী তিনিই হলেন আল্লাহ ।

আর দেবতা বলা হয় যার শরীক আছে যাদের ছেলে-মেয়ে আছে, যাকে জন্ম দান করেছেন কেউ ,তিনিও কাউকে জন্ম দিয়েছেন। তাছাড়া দেবতা তথা মূর্তি গুলো কোন এক সময় মানুষ ছিল, তাদের মৃত্যুর পর ভক্তরা তার মূর্তি বানিয়ে তাদের পুজা শুরু করে দিয়েছে ।। ইসলাম মুসলমানগন মানব পুজা করেনা ।

মুসলমান এমন দেবতাদের এবাদত করেনা । যাকে শরিয়তে ইসলামে শীর্ক ও হারাম করা করা হয়েছে ।

আর আল্লাহর গুনবাচক নাম গুলো দেবতাদের নাম হয় কি ভাবে ? এই নব্য নাস্তিকের কাছে আমার জিজ্ঞাসা যেমন ধরুন আল্লাহর গুনবাচক নাম সমূহের একটি حى القيوم অর্থাৎ যিনি জিবীত এবং চিরন্জীব । পৃথিবীতে এমন কোন দেবতার কি অস্হিস্ত আছে যে ,যিনি জিবীত এবং চিরজিবী ?

তাহলে এটা দেবতার নাম হয় কি ভাবে ؟

আল্লাহর অপর গুনবাচক নাম خالق সৃষ্টি কর্তা অর্থাৎ ভূমন্ডল- নবমন্ডলে মানব দানব আসমান জমিন গ্রহ নক্ষত্র সহ সব কিছুরই যিনি সৃষ্টি কর্তা ।

পৃথিবীতে যারা দেবতা পুজক তারাও আজ পর্যন্ত এই কথার দাবী করর সাহস পায়নি যে তাদের দেবতা ছোট একটি মশা মাছি আর পিপিলীকার মত ছোট্ট প্রানী সৃষ্টি করেছে । তাহলে خالق দেবতার নাম হয় কি ভাবে ؟

তেমনি ভাবে الصمد অর্থাৎ অমুখাপেক্ষী و আল্লাহ যিনি মানব দানব তথা সৃষ্টি কুলের মত কোন কিছুরই মুখাপেক্ষী নয় ।

পৃথিবীতে এমন কোন দেবতা আছে কিو

যে কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নয় ? প্রথমত দেবতার অস্হিত্বের জন্য মাটি, পাথর ,রং, অলংকার ,পোশাক,আর মানবের হাতের স্পর্শের মুখাপেক্ষী, । মানবের হাতের তৈরী এ মূর্তি বা দেবতা কি ভাবে الصمد অমুখাপেক্ষী و আল্লাহর এ গুনবাচক নাম ধারণ করতে পারে ؟

এই সকল নাস্তিকদের প্রতি জিজ্ঞাসা ।

তাহলে আল্লাহর ৯৯ নাম গুলো কি ?

========================

মূল "আল্লাহ" শব্দ হল আল্লাহর নাম ।আর আল্লাহ জাল্লাহ শানুহুর ৯৯ নামের কিছু নাম এসেছে আল্লাহর নিজের পছন্দে যা কোরআনুল করিমে আল্লাহ নিজেকে নিজে অভিহিত করেছেন, কিছু এসেছে জিব্রায়িল ফেরেশতার পরামর্শে। যা হাদীসে রসুল সা্ঃ দ্বারা প্রমানীত এ নাম গূলো সম্পর্কে পৃথিবীবাসী কখনো এর পূর্বে ওয়াকেফহাল ছিলেন না। ৯৯ নামের হাদিসটি আবু হোরায়রা (রা) বর্ণিত, এর সনদ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

এই নাম গুলোর মাধ্যমে আল্লাহর বিশেষ ক্ষমতা মাহাত্য ও কুদরতের বহিঃপ্রকাশ করে থাকেন ।

কাবা শরীফে ৩৬০টির মত মূর্তি ছিলো তাদের নামের সাথে আল্লাহর ৯৯ নামের কোনো মিল নেই, লাত ,উজ্জা, মানাত, অবগাল ,দুল খালসা, হুবাল, মালাকবেল, এল্লাহ, নেব, নের্গাল,সিন সুয়া, ইগুছ,নছর, নুহা, সুয়া, রুভা ,

‘ছাফা’ পর্বতে ‘এসাফ’ এবং ‘মারওয়ায়’ ‘নায়েলা’ইত্যাদি। শুধু "এল্লাহ" নামটি আল্লাহর নামের কাছাকাছি, কিনতু এল্লাহ দেবতার নাম হলেও কাফেররা "আল্লাহ"কে আল্লাহই ডাকতো। আর দেবতাদের ডাকতো আল্লাহ পর্যন্ত পৌছার মাধ্যম হিসাবে ।

কিনতু আল্লাহর গুনবাচকতায় বিভিন্নতা ছিলো। কিন্তু শাব্দিক উচ্চারণে একই আল্লাহ শব্দে আল্লাহকে ডাকতো কাফেররা এবং মুসলমানরা, কিন্তু ৯৯ বা ততোধিক নামের গুনবাচকতার অর্থে মুসলমানদের আল্লাহ আলাদা ।

দেবতাদের যে নামেই ডাকা হতনা কেন, সেগুলি কখনো আল্লাহর নাম ছিলনা। দেবতাদের নাম থেকে আল্লাহর নাম এডাপ্ট করা হয়নি। এই আগাচো কোথায় পেলেন এই ভূল তথ্য ? আমরা এর নিন্দা জানাই ও শাস্তির মুখোমুখি করতে দেশবাসী ও সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই ,

নব্য জাহেল নাস্তিক চৌধুরী সাহেব এই সকল ভূল তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ কে কি ম্যাসেজ দিতে চান ?

জনাব চৌধুরীকে বলছি

যে যত বড় কলামিস্ট, লেখক, রাজনীতিবিদ বা যাই হোক না কেন, ইসলাম কে অপমান করলে সে সবচেয়ে বড় অপদার্থ, মূর্খ। আপনি যে বুদ্বিজীবি এখন মূর্খ বুদ্ধিজিবী হিসাবে উপাধী লাভ করেছেন । এমন ছোট খাটো তথ্য সম্পর্কে যার জ্ঞান নেই আবার কলামিষ্ট আর বুদ্ধিজিবী হয় কি ভাবে ? সময় থাকতে এই বুড়ো বয়সে পুরনায় তাওবাহ করে ইসলামের ছায়া তলে আশ্রয় নেয়ার উদাত্ব আহবান জানাই । অন্যথায় আল্লাহর ভয়াবহ শাস্তির জন্য প্রস্তুত থাকুন ।

আল্লাহ শব্দটি কাফেরদের সংস্কৃতি থেকে আসেনি, বরং আল্লাহ শব্দটি প্রথম মানব হযরত আদম আঃ এর সময় থেকেই পরিচিত ছিল,আর আদম আঃ থেকে শুরু করে নূহ আঃ এর যূগ পর্যন্ত তৎকালীন সকলমানুষই তাওহীদ তথা একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিলেন,কোন কুফর- শীর্ক বা মূর্তি দেবতা পূজা তাদের কে স্পর্শ করেনি।আল্লাহকে আল্লাহ হিসাবেই মানতো,চিনতো। কিন্তু এর পরবর্তিতে নূহ আঃ বংশের থেকে কুফর শীর্ক মূর্তি পুজা আরম্ভ হলেও।আল্লাহ কে ডাকার সঙ্গে সঙ্গে মূর্তি বা দেবতাদের ডাকতো এই ভেবে যে তারা আল্লাহর নিকটবর্তি করে দেবে, আল্লাহর কাছে সুপারীশ করবে ইত্যাদি।পরবর্তিতে কাফেররা আল্লাহকে ডাকার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেবতাদেরকেও ডাকতো সহযোগী হিসাবে, যেমন আজকাল আমাদের দেশের হিন্দুরাও মূর্তি-দেবতা পুজায় সেরা হওয়ার পরও জিজ্ঞাসা করলে বলবে , আল্লাহ একজন ,খৃষ্টানরাতাই বলে তবে সাথে অংশীদারিত্ব সাব্যস্হ করেন, যা ইসলাম এলাউড করেনা। সুতরাং আল্লাহ শব্দটি কাফেরদের শব্দ নয় বরং এই শব্দটি আদিকাল থেকেই পরিচিত একটি শব্দ একটা সত্বা, যিনি হলেন আমার আপনার সকলের সৃষ্টি কর্তা । আল্লাহ তায়ালা

বিষয়: বিবিধ

১১৬৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

329559
১১ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৫:২৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
নিজেকে পন্ডিক বানাতে গিয়ে আগাচেী নিজেকে আবারও গর্দভ বানিয়ে নিয়েছেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File