তথাকথীত আঃ গাফ্ নব্য নাস্তিক এর বিভ্রান্তী মূলক কথার জবাব
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০৭ জুলাই, ২০১৫, ০৪:৫৯:২৮ রাত
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের রাষ্ট্রদূত ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে একমাত্র আলোচক আবদুল গাফফার চৌধুরী সাহেব যে কথাগুলি বলেছেন, মুসলমান হিসাবে আমি এর তিব্র নিন্দা জানাই।
(১) আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ‘আজকের আরবি ভাষায় যেসব শব্দ এর সবই কাফেরদের ব্যবহৃত শব্দ। যেমন- আল্লাহর ৯৯ নাম, সবই কিন্তু কাফেরদের দেবতাদের নাম। নাউযুবিল্লাহ ।
তাদের ভাষা ছিল আর-রহমান, গাফফার, গফুর ইত্যাদি। সবই কিন্তু পরবর্তীতে ইসলাম এডাপ্ট করেছিল।’
প্রিয় দেশবাসী মুসলিম ভাইবোনেরা আপনাদের কাছে বিনীত অনূরোধ এই ভন্ড মুরতাদের কথার ০% সত্যতার কোন অবকাশ নেই। কারণ অসংখ্য হাদীস দ্বারা প্রমানীত যে , যখন ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে আল্লাহ, রাহমান ,রাহীম,গাফুর,ইত্যাদী আল্লাহর গুনবাচক নাম গুলো উচ্ছারণ করতেন তখনি কাফেররা বলত ?من الله? من الرحمن ?من الرحيم অর্থাৎ কেআল্লাহ ؟ কে রাহমান ?কে রাহীম ? ইত্যাদী মূলত কাফেররা এই সকল নাম সম্পর্কে কোন প্রকারের অবগত ও ছিলেন না। যদি দেবতাদের নাম হত তাহলে তারা এ প্রশ্ন কখনই করতেন না কেআল্লাহ ؟ কে রাহমান ?কে রাহীম ? ইত্যাদী।
তাহলে আল্লাহর ৯৯ নাম গুলো কি ?
========================
মূল "আল্লাহ" শব্দ হল আল্লাহর নাম ।আর
আল্লাহ জাল্লাহ শানুহুর ৯৯ নামের কিছু নাম এসেছে আল্লাহর নিজের পছন্দে যা কোরআনুল করিমে আল্লাহ নিজেকে নিজে অভিহিত করেছেন, কিছু এসেছে জিব্রায়িল ফেরেশতার পরামর্শে। এ নাম গূলো সম্পর্কে পৃথিবীবাসী কখনো এর পূর্বে ওয়াকেফহাল ছিলেন না। ৯৯ নামের হাদিসটি আবু হোরায়রা (রা) বর্ণিত, এর সনদ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কাবা শরীফে ৩৬০টির মত মূর্তি ছিলো তাদের নামের সাথে আল্লাহর ৯৯ নামের কোনো মিল নেই, লাত ,উজ্জা, মানাত, অবগাল ,দুল খালসা, হুবাল, মালাকবেল, এল্লাহ, নেব, নের্গাল,সিন সুয়া, ইগুছ,নছর, নুহা, সুয়া, রুভা ,
‘ছাফা’ পর্বতে ‘এসাফ’ এবং ‘মারওয়ায়’ ‘নায়েলা’
ইত্যাদি। শুধু এল্লাহ নামটি আল্লাহর নামের কাছাকাছি, কিনতু এল্লাহ দেবতার নাম হলেও কাফেররা "আল্লাহ"কে আল্লাহই ডাকতো।
কিনতু আল্লাহর গুনবাচকতায় বিভিন্নতা ছিলো।
শাব্দিক উচ্চারণে একই আল্লাহ শব্দে আল্লাহকে ডাকতো কাফেররা এবং মুসলমানরা, কিন্তু ৯৯ বা ততোধিক নামের গুনবাচকতার অর্থে মুসলমানদের আল্লাহ আলাদা, দেবতাদের যে নামেই ডাকা হতনা কেন, সেগুলি কখনো আল্লাহর নাম ছিলনা। দেবতাদের নাম থেকে আল্লাহর নাম এডাপ্ট করা হয়নি। উনি কোথায় পেলেন এই ভূল তথ্য ? আমরা এর নিন্দা জানাই ও শাস্তির মুখোমুখি করতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই
(২) (নারীদের বোরকা ও হিজাব নিয়ে গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে এটা হচ্ছে ওহাবিদের লাস্ট কালচারাল ইনভলব।
আমি অবাক হচ্ছি। ক্লাস টুয়ের মেয়েরা হায়েজ-নেফাজ পড়বে ! এটা আমাদের ধর্ম শিক্ষা হতে পারে?’ তিনি বলেন, ‘মুসলমান মেয়েরা মনে করে হিজাব, বোরকা হচ্ছে ইসলামের আইডেন্টিটি। আসলে কী তাই? বোরকা পরে যাচ্ছে কিন্তু প্রেম করছে। আবার ইন্টারনেটেও প্রেম করছে। আচরণ ওয়েস্টার্ন কিন্তু বেশভূষা ইসলামিক করে আত্মপ্রতারণা করছে তারা।’)
এই নব্য তথা কথিত নাস্তিক আওয়ামী বুদ্ধিজিবী পর্দা আর বোরখাকে গুলিয়ে ফেলেছেন। আল কোরানে আল্লাহ বলেন, "তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের মুখের ওপর টেনে দেয়। তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে। তারা যা সাধারনত প্রকাশ করে থাকে তা ছাড়া তাদের আভরণ প্রদর্শন না করে, তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড়ে ঢাকা থাকে।( ৩৩:৫৯, ২৪:৩০-৩১)"।
যে হুকুম আল্লাহ দিয়েছেন তা ওহাবিদের ঘাড়ে চাপালেন তিনি অজ্ঞানতা বশত:।
আমি আরও শুনেছি মুরগী সাপ্লাইয়ারএকঅনুষ্ঠানে তিনি ও বলেছেন এই পর্দানাকী আরবের বেদুঈনদের কালসার ,ইসলাম এলাউ করেনা আর ওহাবী জামাতীদের তৈরী । নাউযুবিল্লাহ ,এ পর্দার বিধান আমার তোমায সকলের মালিক আল্লাহর বিধান অন্য কারো বাবা বানানো বিধান নয় ।
বর্তমানে
শুধু মুসলমান মেয়েরা হেজাফ পরে তাই নয়, আসল আহলে কিতাব ইহুদি রমনী, পেনসিলভানিয়ার আমিষ গোত্রের মেয়েরা, ক্রিস্টান নান, এরা সবাই বোরখা পরে, এদের কেউ কেউ হয়ত প্রেম করে ইন্টারনেটে, এরা অধিকাংশই ওয়েস্টার্ন দেশে থাকে, শুধু দোষ হলো বাঙালী মুসলমানদের ? যে মুসলমান মেয়েরা হেজাব পরে তার অধিকাংশই আল্লাহর হুকুম হিসাবে এটি পালন করে।
(৩) গাফফার! তিনি কি জানেন আমেরিকান কারিকুলামে সেভেন্থ গ্রেডে সেক্স এডুকেশন দেয়া হয় বাধ্যতামূলক, এবং বিস্তারিত ভাবে । সেই ক্লাসে থাকলে আপনি শরম পাবেন। সেখানে বাংলাদেশে ছাত্রীদের হায়েজ নেফাস পড়ালে ইসলামের দোষ হয়ে গেলো ?
(৪)
তিনি বলেন, ‘পুরো দেশ এখন দাড়ি-টুপিতে ছেঁয়ে গেছে। সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে টুপি আর দাড়ির সমাহার। অথচ তারা ঘুষ খাচ্ছেন। এত বড় দাড়ি, এত বড় টুপি, কিন্তু ঘুষ না পেলে ফাইলে হাত দেন না- এটা কী ইসলামের শিক্ষা?’
এখানে বলতে চাই
আমার আপনার প্রিয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে ইউনিফর্ম পরা কতিপয় সেনা সদস্য। এখন কি এই অন্যায়ের জন্যে সামরিক উর্দির দোষ হয়ে যাবে ? টুপি দাড়িওয়ালারা ঘুষ খেলে ইসলামের দোষ বা শিক্ষা কেমন করে হয় ? কোনো ইউনিফর্মের নাম অথবা যে কেউ দাড়ি লন্বা করার নাম ইসলাম নয়, --- টুপি, ক্যাপ, পাগড়ি, হেলমেট দিয়ে মাথা ঢাকলেই মুসলমান হয়না। আল্লাহর ওপর অন্ধ বিশ্বাস, আর আমলের ওপর থাকার নাম ইসলাম
(৫) জনাব চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেছেন, মুসলমান যারা হয়েছিলেন তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি। মূর্খদের জানা প্রয়োজন, শির্ক বা কুফরির কোন গন্ধ থাকলে কিংবা কোনো সাহাবীর নামের নেতিবাচক অর্থ থাকলে ইসলাম গ্রহণের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ সকল নাম পরিবর্তন করে দেয়ার বহু নজির রয়েছ্।ে যে আবু হুরায়রা রা. এর নাম নিয়ে আগাচৌ বিরূপ মন্তব্য করলেন তার ইসলাম পূর্ব নাম কি তার জানা নেই? হযরত আবু হুরায়রার পূর্বনাম ছিল আব্দে শামস বা সূর্যের দাস, মতান্তরে আব্দুল উজ্জা বা উজ্জার দাস, মতান্তরে আব্দুল লাত বা লাতের দাস। ইসলাম গ্রহণের পর আল্লাহর রাসূল সা. তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন আব্দুর রহমান। "বিড়ালের প্রতি স্নেহাধিক্যের জন্য তিনি আবু হুরায়রা (অর্থাৎ ছোট বিড়ালের পিতা) নামে অভিহিত হন। [দ্র: সংপ্তি ইসলামী বিশ্বকোষ; ১ম খ. ৩য় মুদ্রণ,আবু হোরায়রা অধ্যায়; পৃ: ৫৭]"। বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা থাকাটা নিশ্চয়ই দোষের কিছু নয়।
তেমনি ইসলামের অন্যতম জৈষ্ঠ্য সাহাবী হযরত আবু বকর
==========্রা এর নাম নিয়েও আগাচৌ চরম অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন, যদিও এটিও তার মূল নাম নয়, উপাধি। তাঁর পারিবারিক নাম আবদুল্লাহ। ‘‘আবু বকর (র) কে ‘আতিক’ নামেও স্মরণ করা হতো। ‘আতিক’ অর্থ সৌন্দর্য্যের অধিকারী, তিনি প্রথম জীবন হতেই রুচিশীল এবং সত্যনিষ্ট ছিলেন এজন্য তাকে আতিক বলা হতো। হযরত (স.) নিজে এ নামের ব্যাখ্যা সম্পর্কে বলেন: আতিক অর্থ মুক্ত। আবু বকর জাহান্নাম হতে চির মুক্ত।’- (তিরমিজি ২/২১৪)।
আবু বকর আস সিদ্দিক রাঃ পুর্ন নাম আব্দুল্লাহ ইবন আবী কুহাফা উছমান আত তাইমী আল কুরাইশী । তার বাবা উসমানের কুনিয়া ছিল আবু কুহাফা। এজন্য আবু বকরকে আবদুল্লাহ ইবন আবী কুহাফাও বলা হয়ে
আর মি. আগাচৌ ‘বকর’ শব্দের যে অর্থ বললেন এটা উনি কোথায় পেলেন? আরবিতে একেকটি শব্দ বহুমাত্রিক অর্থ প্রদান করে। বকর শব্দের অর্থ এক অর্থ ছোট উট, এর আরেক অর্থ প্রত্যুষে জাগা, প্রভাতে সম্পন্ন করা, বকর শব্দের আরেকটি হচ্ছে অর্থ জৈষ্ঠ, জৈষ্ঠ সন্তান, প্রথম, নতুন ইত্যাদি (সূত্র: আধুনিক আরবী-বাংলা অভিধান, ড. মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, পৃ-২২৬)। কারো নামের একাধিক অর্থ থাকলে সাধারণভাবেই ইতিবাচক এবং ভাল অর্থটাই গ্রহণ করা হয়। কতটা জ্ঞানপাপী হলে পরে আল্লার রাসূলের সা. এর একজন পরম বিশ্বস্ত সহচর, ইসলামের প্রথম খলিফা এবং পৃথিবীতে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত একজন সুমহান ব্যক্তি সম্পর্কে এরকম কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারে!
আর এই সকল তথ্য জানতে বড় মাফের বুদ্বিজিবী আর কলামিষ্ট হওয়া লাগেনা , ক্লাস ৫,৮ এর ছাত্ররাও এমন তথ্য জানতে পারে ।
নব্য জাহেল নাস্তিক চৌধুরী সাহেব এই সকল ভূল তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ কে কি ম্যাসেজ দিতে চান ?????????????????????????????????????????/
জনাব চৌধুরীকে বলছি
যে যত বড় কলামিস্ট, লেখক, রাজনীতিবিদ বা যাই হোক না কেন, ইসলাম কে অপমান করলে সে সবচেয়ে বড় অপদার্থ, মূর্খ। আপনি যে বুদ্বিজীবি এখন মূর্খ বুদ্ধিজিবী হিসাবে উপাধী লাভ করেছেন । এমন ছোট খাটো তথ্য সম্পর্কে যার জ্ঞান নেই ে আবার কলামিষ্ট আর বুদ্ধিজিবী হয় কি ভাবে ??????????????????আওয়ামী সরকার নাস্তিকদের লালনকারী , ধর্ম অবমাননার বিচার যতক্ষন হবেনা ততক্ষন নব্য নাস্তিকদের উদ্ভব হবে .।
বিষয়: বিবিধ
২০৫১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এসব নোংরা লোকদের নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন না । এরা চায়ই তাদের গন্ধে চারপাশ ভরিয়ে রাখুক ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন