বে-নামাজীর ১৫ টি আজাব

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ২৭ এপ্রিল, ২০১৫, ০২:৩৫:২৮ দুপুর

যারা নামাজ পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ তায়ালা পনেরটি আজাব

নির্দিষ্ট করে রেখেছেন।

পনেরটি আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়ায়

তিনটি মৃত্যুর সময়,

তিনটি কবরের মধ্যে, তিনটি হাশরের মধ্যে দেওয়া হবে।

@দুনিয়াতে ছয়টি আযাব

====================

১, তার জীবনে কোনরূপ বরকত হবেনা।

২, আল্লাহ্ তার চেহারা হতে নেক লোকের চিহ্ন উঠিয়ে নিবেন।

৩, যে যা কিছু নেক কাজ করবে, তার ছওয়াব পাবেনা।

৪, তার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল হবে না।

৫, আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তার উপর অসন্তুষ্ট থাকবে।

৬, ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হতে বঞ্চিত করা হবে।

@মৃত্যুর সময় আজাব তিনটিঃ

==========================

১, অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হয়া মৃতুবরণ

করবে।

২, ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করবে।

৩, মৃত্যুকালে তার এত পিপাসা পাবে যে, তার ইচ্ছা হবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান করে ফেলতে।

@কবরের মধ্যে তিনটি আজাবঃ

====================

১, তার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তার এক পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত হয়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে।

২, তার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন জ্বালিয়ে রাখা হবে।

৩, আল্লাহ্ তার কবরে একজন আজাবের ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন। তাহার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে, দুনিয়ায় কেন নামায পড়নি।

আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হতে জোহর

পর্যন্ত, জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত এবং এশার নামাযের জন্য এশা হতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে। প্রত্যেক বার আঘাতের সময় বজ্রপাতের মত শব্দ হবে এবং শরীর চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে পঞ্চাশ গজ মাটির নিচে চলে যাবে। সেই ফেরেশতা পুনরায় তাকে জীবিত করে হাড় মাংস এক করে আবার আঘাত করতে থাকবে। এইভাবে কিয়ামত পর্যন্ত লোহার মুগুর দিয়ে তাকে আঘাত করতে থাকবে।

@হাশরের মাঠে তিনটি আজাবঃ

=======================

১, একজন ফেরেশতা তাকে পা উপরের দিকে এবং মাথা নিচের দিকে অবস্থায় হাশরের মাঠে লইয়া যাইবে। আল্লাহ পাক তাহাকে

2অনুগ্রহের দৃষ্টিতে দেখবেন না। 2সে চির কালের জন্য দোযখী হয়ে নিজের কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে থাকবে।

তবে অনেকেএ শাস্তি ১৪টিও বলেছেন

তথ্য সুত্র :

কুর্-রাতুল উউয়ূন আবু লাইস ছমরকন্দি,আল্লামা সূয়ূতী রঃ যাইলুল লাআআলী ,ও শেখ নাছির উদ্দিন বিন ইব্রাহীম তাম্বিহুল গাফেলীন ও শেখ জাকারিয়া রহঃ ফাজায়েলে নামাজ ১০৬, দারুল কিতাব প্রকাশনী ,

বিষয়: বিবিধ

১৩৮১ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

317135
২৭ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:৪৪
হতভাগা লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে নামাজ পড়া এবং আমল করার সৌভাগ্য দান করুন এবং এসব আযাবসহ জাহান্নামের আগুনের হাত থেকে রক্ষা করুন - আমিন।
317140
২৭ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:০২
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়, এই হাদীস কোথায় পেলেন? আর হাদীসের মানকি? Day Dreaming
২৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:৫৭
258463
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : তথ্য সুত্র :
কুর্-রাতুল উউয়ূন আবু লাইস ছমরকন্দি,আল্লামা সূয়ূতী রঃ যাইলুল লাআআলী ,ও শেখ নাছির উদ্দিন বিন ইব্রাহীম তাম্বিহুল গাফেলীন ও শেখ জাকারিয়া রহঃ ফাজায়েলে নামাজ ১০৬, দারুল কিতাব প্রকাশনী
২৯ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৪
258609
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, তথ্যসুত্র পেয়েখুব উপকার হলো। Happy কিন্তু হাদীসের মানটা কি Yawn
২৯ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪০
258618
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়, ড: আব্দুল্লাহ জাহঙ্গীর সাহেবের "হাদীসের নামে জালীয়াতী" কিতাবে তো এই হাদীস সম্মন্ধ্যে এই কথাগুলো লেখা!! হাদীসটি তো "জাল"। আপনি ভালো করে দেখুন Day Dreaming প্রচার করলে সঠিকটি করুন। আল্লহা তাওফিক দাতা। আমার জন্য দুআ কোরবেন ভাইয়া। Day Dreaming Day Dreaming

317142
২৭ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:১১
চোথাবাজ লিখেছেন : ধন্যবাদ ভালো লাগলো
317173
২৭ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া। আল্লাহ পাক ভয়ঙ্কর এসব আযাবসমূহ থেকে সকলকেই হেফাজত করুণ। আমীন।

গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
২৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:২৩
258366
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : Good Luck
317177
২৭ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৭
আফরা লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে নামাজ পড়া এবং আমল করার সৌভাগ্য দান করুন এবং এসব আযাবসহ জাহান্নামের আগুনের হাত থেকে রক্ষা করুন - আমিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File