সাবেক রাষ্ট্রনায়ক এরশাদের সাথে একাত্ততা পোষন করুন

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০৭ মার্চ, ২০১৩, ১২:৪৮:৪৩ রাত

গতকাল রাজধানীর গুলশানে হোটেল ইমানুয়েলে আয়োজিত আলেম ওলামাদের জাতীয় ওলামা পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, যারা ইসলামের বিরোধিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে আজ থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করলো জাতীয় পার্টি। সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ওলামা মাশায়েখদের একটি যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এরশাদ বলেন, কয়েকদিন ধরে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই রক্তক্ষরণ বন্ধ হলো। ইসলামের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের নিয়ে আমি যুদ্ধ চালিয়ে যাবো। শাহাবাগের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শাহবাগে এখন যা হচ্ছে তা জাতীয় পার্টি মেনে নেবে না। তিনি বলেন, শাহবাগ থেকে জাতিকে আদেশ নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এটি কেবল রাষ্ট্র দিতে পারে। আর দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এরাতো সরকার না, বঙ্গবন্ধুও না।

রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সাহস থাকলে গণভোট দেন। দেখবেন ৯০

যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করা হলে এবং সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়া হলে দেশে রক্তগঙ্গা বইবে।

শাহবাগিদের সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ইসলামের নামধারী তরুণ ব্লগাররা মুসলমান নয়। মুসলমান নামধারী এই তরুণদের ইসলাম ভালো না লাগলে তাদের উচিত ধর্মান্তরিত হওয়া এবং দেশত্যাগ করা।

তারা যা বলছে এবং যা করছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের কথার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মধ্যরাতে টেলিভিশনের টকশোগুলোতে অনেকে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলছে।

তিনি বলেন, আমি বিস্মিত ও লজ্জিত হই যখন দেখি আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও পবিত্র কোরআন সম্পর্কে যারা কটূক্তি করেছে, তারা এদেশেরই সন্তান এবং মুসলমান নামধারী। কিন্তু যে ভাষায় তারা কোরআন ও নবী-রাসুল (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করেছে, তারা ইহুদি-খ্রিস্টান বা অন্য কোনো ধর্মের অনুসারী সম্পর্কে এ ধরনের কথা বলেনি।

তিনি আরও বলেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিক ও বুদ্ধিজীবী জর্জ বার্নার্ড শ’ আমাদের রাসুল (সা.) সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি এ মানবশ্রেষ্ঠ মানুষ (রাসুল সা.) সম্পর্কে গভীরভাবে গবেষণা করেছি। আমার অভিমত হচ্ছে, তাঁকে বিশ্বমানবতার ত্রাণকর্তা হিসেবে অভিহিত করা উচিত। আমি বিশ্বাস করি, তাঁর মতন একজন মহান ব্যক্তি যদি গোটা আধুনিক পৃথিবীর সর্বময় নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন, তাহলে একমাত্র তিনি এই ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ এবং বিভক্ত পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান করতে পারতেন।

মাইকেল হার্ট নামক একজন খ্রিস্টান লেখক ও গবেষক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মনীষীর জীবনীতে লিখেছেন, তাতে আমাদের প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে প্রথম স্থান দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন :

‘যে মহামানবের পদচারণায় পৃথিবী ধন্য হয়েছে, আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসা, অন্তরের পবিত্রতা, আত্মার মহত্ত্ব, ধৈর্য, ক্ষমা, সততা, নম্রতা, বদান্যতা, মিতাচার, আমানতদারী, সুরুচিপূর্ণ মনোভাব, ন্যায়পরায়ণতা, উদারতা ও কঠোর কর্তব্যনিষ্ঠা ছিল যার চরিত্রের ভূষণ। যিনি ছিলেন একাধারে এতিম হিসেবে সবার স্নেহের পাত্র, স্বামী হিসেবে প্রেমময়, পিতা হিসেবে স্নেহের আধার, সঙ্গী হিসেবে বিশ্বস্ত, যিনি ছিলেন সফল ব্যবসায়ী, দূরদর্শী সংস্কারক, ন্যায়বিচারক।’

আমাদের পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিশ্ববিজয়ী নেপোলিয়ান বলেছেন : ‘আমি বিশ্বাস করি সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন পৃথিবীর সমস্ত দেশের জ্ঞানী ও শিক্ষিত মানুষকে কোরআনের নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে। কারণ একমাত্র পবিত্র কোরআনের নীতিগুলোই সত্য যা মানবজাতিকে শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারে।’

তার কি শুভবুদ্ধির উদয় হলো?

বিষয়: বিবিধ

১১৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File