পহেলা বৈশাখের সঠিক ও বিকৃত ইতিহাস জেনে নিন

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ১৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:৪০:২৩ রাত

পহেলা বৈশাখের সঠিক ও বিকৃত ইতিহাস জেনে নিন ,

আজকে ফেইজবুকে এ লেখাটি অনেকের মন আকৃ্ষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে হয়তো আপনিও ওদের একজন হবেন

https://www.facebook.com/photo.php?fbid=246879998820470&set=a.246880318820438.1073741830.100004954141872&type=1&hc_location=ufi

বিষয়: বিবিধ

১৩৭২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

315134
১৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৪৫
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ভাইয়া ফেসবুক ছেড়েছি অনেক আগে।
১৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:১৮
256205
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : কেন ভাইয়া কি সমস্যায়
১৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৩৪
256213
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : ■প্রশ্নঃ১

"আমাদের দেশে পহেলা বৈশাখের যে আয়োজন তা আপনি কি রকম উপভোগ করেন?"

►মাসুদ সাহেবঃ

আমার খুউব ভাল লাগে। ভোর বেলা উঠে রমনা চত্তরে গিয়ে গান শুনা আর ইলিশ-পান্তা খাওয়া। আহ্! আবার চারুলতা থেকে যে রেলি বের হয়। রংগিন কাপড় পড়া মেয়ে ছেলে। দেখে মনে হয় দুনিয়াটা কতইনা রংগিন। খুব মজা পাই।

■প্রশ্নঃ২

"আচ্ছা সংকর রায়, এই যে পহেলা বৈশাখ আসছে। তা কেমন উপভোগ করেন এই অনুষ্ঠান?"

►সংকর রায়ঃ

"নমষ্কার!

এইটাকে অনুষ্ঠান বলছেন কেন?

এইটা তো আমাদের বিশেষ পুজো।

এই দিনেতো একটি নয় অনেকগুলো পুজো আছে আমাদের।”

:"তাই নাকি?"

:"কি বলেন! আপনি জানেন না? হ্যাঁ। চৈত্র মাসের শেষ দিন আর বৈশাখের প্রথম দিন।

অর্থাত বর্ষ বিদায় ও বর্ষবরনের দিন। এই দিনগুলোতে হিন্দুদের অনেক পুজো আছে। মুলত এই পুজোকে বলে 'চরক পুজো'।

আরও আছে নীল পুজো, গম্বীরা পুজো, শীবের গাজন।

যদিও এই সবই চরক পুজোর বিভিন্ন রকম ফের।

আরও রয়েছে গণেশ পুজো,হাল খাতা করে ধুমধান করে গণেশদেরকে ঘরে তুলে আনা।

আর হয় চৈত্র সংক্রান্তির মেলা, এই মেলারই নামান্তর এই পহেলা বৈশাখের মেলা।

বৈশাখের প্রথম কয়েকদিন যে অনুষ্ঠানগুলো হয় সবই হিন্দুদের ধর্মীয় উত্সব।

কিন্তু আসলে বিষয়টা এমন মুসলমানরা এমন ভাবে এই অনুষ্ঠানে মেতে উঠেছে মনে হয় পহেলা বৈশাখ তাদের-ই অনুষ্ঠান।

আসলে কিছু মনে করবেন না। এতে করে যেটা হয় আমাদের পুজোগুলো আমাদের মতো করে আমরা করতেই পারি না। আর একটা বিষয় বলার আছে যেটা হচ্ছে মুসলমানদের কোন অনুষ্ঠানে কিন্তু আমরা এই রকম ভীড় জড়াই না।"

■প্রশ্নঃ ৩

“এদেশে যে অত্যান্ত ধুমধাম করে পহেলা বৈশাখ পালিত হচ্ছে। বাংগালিরা সেদিন খুউব আনন্দ করছে ঐ দিনে।এই বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?"

►প্রফেসর আব্দুল মহিনুল সাহেবঃ

“অনেক ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নে জন্যে।

কিন্তু আপনার প্রশ্ন শুনেই আমার মুডটা খারাপ হয়ে গেলো।

কারন এটা যে বাংগালিদের অনুষ্ঠান সেটা আপনাকে কে বললো?

আপনাদের প্রকৃত ইতিহাসটা জানা দরকার।

আপনি হয়তো বলবেন যে বাংলার অনেক বড় বড় পন্ডিত রয়েছে, সংস্কৃতি মনা ব্যাক্তিত্ব রয়েছে।

যারা এই পহেলা বৈশাখকে বাঙ্গালীদের একটা বিশেষ অনুষ্ঠানের দিন বা বাঙ্গালীদের সংস্কৃতির একটা অনুষংঙ্গ বলে।

কিন্তু এই লোকগুলো প্রকৃতপক্ষে মাথামোটা আটেল।

এটা কোন বাঙ্গালী কালচার নয়।

মূর্খগুলো জানেও না যে এই বাংলা সন যেটাকে বলছে মূলত এটা হচ্ছে ফসলী সন, যা সম্রাট আকবর প্রচলন করেছিল।

কারন আকবর চেয়েছিলো যে আরবী সনকে প্রধান্য না দিয়ে সৌর সন চালু করতে।

আর ফসলের সাথে যেহেতু খাজনা তোলার একটা বিষয় রয়েছে। সেই সুবিধার্থে সে এই ফসলী সন চালু করেছিলো।

আর আপনারা জানেন সম্রাট আকবর ছিলো একজন মঙ্গলিয়ান।

সেতো বাঙ্গালী ছিলো না।

তাহলে তার প্রবর্তিত কালচার অর্থাত সম্রাট আকবরের কালচার কি করে বাঙ্গালীর কালচার হয়।

এটা তো একটা চরম মূর্খতা।

আর একটা বিষয়, যেটা অত্যান্ত ভয়াভয় একটা দিক যদি ধর্মীয় দিক দিয়ে চিন্তা করা যায়।

এই দেশটা অর্থ্যাত বাংলাদেশটা হচ্ছে ৯৭% মুসলমানের দেশ।

এখানে এই ধরনের culture কেন থাকবে?

আমরা মুসলমান হয়ে এ দিনে খুশী প্রকাশ করে আমরা কতটা হীন আচরণ করছি একবারও কি ভেবে দেখেছি?

আমরা যে ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করছি সেটা কি আমরা একবারও চিন্তা করছি।

মুসলমান হয়ে আজকে আমরা যোগ দিচ্ছি বিধর্মীদের পুজায় যা কোরআন শরীফ ও হাদসি শরীফের সম্পূর্ণ বিরোধী।

অথচ মহান আল্লাহ পাক কোরআন শরীফে এরশাদ করেছেন। বিভিন্ন জায়গাতেই এরশাদ করেছেন, আমি একটি বিষয় বলছি।

যে মহান রব্বুল আলামীন বলেছেন যে, তোমরা আল্লাহ্‌ পাককে ভয় করো, কাফের বা মুনাফিকদের অনুসরন করো না।

অথচ পহেলা বৈশাখের ক্ষেত্রে কি হচ্ছে?

দেখুন কি হচ্ছে।

মহিলারা পুরুষদের মুখে পান্তা তুলে দিচ্ছে,গায়ে উল্কি একে দিচ্ছে।

এগুলো তো কখনও শরীয়ত সম্মত বিষয় নয়।

এই যে পান্তা খাওয়া এবং উল্কি আঁকার বিষয়টা।

এটা একটু আপনাদের ব্যাখ্যা করার দরকার।

দেখুন যে হিন্দুরা কি করে?

তারা চৈত্র মাসের শেষ দিন পান্তা করে আর সেটা পহেলা বৈশাখের দিন খায়।

অর্থ্যাত একটা একটা সরাসরি হিন্দুয়ানা সংস্কৃতি।

আর উল্কি আঁকার যে বিষয়টা এটা হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মের সংস্কৃতি।

তো মুসলমানেরা কি করে এই হিন্দু এবং এই বৌদ্ধদের সংস্কৃতি নিজেদের সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্ঠা করছে?

আবার রেলির নাম করে মুখোশ পড়ে মানুষ হাটছে।

এগুলো কোনদিনই মুসলমানদের সংস্কৃতির অনুষংগ নয়।

এগুলো হচ্ছে বিজাতীয় সংস্কৃতি।

মনে রাখতে হবে যে ইসলামে কোনপ্রকার নওরোজ বা পহেলা দিবস পালন করা এমনকি আরবী সনের পহেলা দিবস পালন করাও নিষেধ রয়েছে।

একেবারে হারাম।

সেখানে এসব কি হচ্ছে।

এটা আমাদের একটু ভেবে দেখতে হবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File