আত্বীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক:

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০৮ এপ্রিল, ২০১৫, ০৪:০০:০২ বিকাল

আত্বীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক কথাটি অত্যন্ত ব্যাপক।এর দ্বার সব রকম আত্বীয়ই বোঝানো হয়েছে।কালামে পাকে "আরহাম" শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা মূলত; একটি বহু বচনবোধক শব্দ। এর এক বচন হচ্ছে "রেহেম" ।আর "রেহেম" অর্থ জরায়ু বা গর্ভাশয়। অর্থাৎ জন্মের প্রাক্কালে মায়ের উদরে যে স্হানে সন্তান অবস্হান করে।জন্মসূত্রেই মূলত:মানুষ পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হয়।আত্বীয়-স্বজনের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের বুনিয়াদকে ইসলামী পরিভাষায় 'সেলায়ে –রেহমী' বলা হয়।আর এতে কোন রকম ব্যত্যয় সৃষ্টি হলে তাকে বলা হয় 'কেত্বয়ে-রেহমী' ।হাদীস শরিফে আত্বীয়তার সম্পর্কের উপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে।

মহানবী(সাঃ)বলেছেন:যে ব্যক্তি তার রিযিকের প্রাচুর্য এবং দীর্ঘ জীবনের প্রত্যাশা করে,তার উচিত আত্বীয়-স্বজনের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা।(মেশকাত ৪১৯পৃঃ)

এ হাদীসে আত্বীয়-স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক রাখার দুটি উপকারিতা বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথমতঃ আত্বীয়-স্বজনের সাথে সু-সম্পর্ক রাখলে পরকালে তো কল্যান লাভ হবেই,ইহকালেও সম্পদের প্রাচুর্য এবং আল্লাহর রসুলের (সাঃ) পক্ষ থেকে দীর্ঘ জীবন লাভের আশ্বাস সম্পর্কীত সুসংবাদ দেয়া হয়েছে।

হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রাঃ)বলেনঃ মহানবী (সাঃ)এর মদীনায় আগমনের সময় প্রায় সাথে সাথেই আমিও তাঁর দরবারে গিয়ে হাজির হলাম। সর্বপ্রথম আমার কানে তাঁর যে কথাটি প্রবেশ করল,তাহলো এইঃ

-"হে লোক সকল!তোমরা পরস্পর পরস্পরকে বেশী বেশী সালাম দাও।আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মানুষকে খাদ্য দান কর।আত্বীয় স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক গডে তোল এবং এমন সময়ে নামাযে মনোনিবেশ কর,যখন সাধারন লোকেরা নিদ্রামগ্ন থাকে। স্বরণ রেখো,একথা গুলো পালন করলে তোমরা পরম সুখ ও শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।" (মেশকাত পৃঃ ১০৮)

অন্য এক হাদীসে আছেঃ উম্মুল- মুমিনীন হযরত মায়মুনাহ ‘রদ্বিয়াল্লাহ ‘আনহুমা তাঁর এক বাঁদীকে মুক্ত করে দিলেন।অতঃপর মহানবী সাঃ এর নিকট যখন এ খবর পৌঁছালেন,তখন তিনি বললেন,তুমি যদি বাঁদিটি তোমার মামাকে দিয়ে দিতে,তাহলে অধিক পুন্য লাভ করতে পারতে।মেশকাত পৃঃ ১৭১৷

ইসলাম দাস-দাসীদের আযাদ করে দেয়ার ব্যাপারে বিশেষ উৎসাহ দিয়েছেন এবং একে অতীব পুন্যের কাজ বলে আখ্যায়িত করেছে। কিন্তু এতদসত্বেও আত্বীয়-স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক রাখাকে তার চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মহানবী সাঃ এ প্রসঙ্গে আরো বলেছেনঃ

-"কোন অভাবগ্রস্হ ব্যক্তিকে সাহায্য করলে সদকার সওয়াব পাওয়া যাবে।কিন্তু কোন নিকটাআত্বীয়কে সাহায্য করলে একই সংগে সদকা এবং আত্বীয়তার হক আদায়ের দ্বৈত পূণ্য লাভ করা যায়। মেশকাত-১৭১।

তাফসীর মারেফুল কোরআন পৃঃ ২২৮

বিষয়: বিবিধ

১৫১৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

313680
০৮ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৯
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : ajkar society te joto oshantir mul hoche..relative der shate shomporko valo na thaka.
thanks...jazakallah khair.
০৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৪৯
254658
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : একমত
313712
০৮ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৫
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : অনেক শুকরিয়া আমাদেরকে ইসলামী দৃষ্টিতে আত্বীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্কের গুরুত্ব লিখে বুঝানোর জন্য
০৮ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৪৯
254657
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File