বিশ্ব এজতেমাকে হজ্বের সাথে তুলনা করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত ?
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০৬ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৩:০১:৪০ দুপুর
তুরাগ নদীর উত্তর-পূর্ব তীরে রাজউকের প্রায় ১৬০ একর (এখন প্রায় ১৭৫ একর) বিশাল ভুমির উপরে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখিত জায়গায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবার লিখিত অনুমতি প্রদা১৯৬৭ সাল থেকে এ যাবত পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বিশ্ব ইজতেমা নামে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন মানুষের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে ন করেন।উল্লেখ্য, তাবলীগ জামায়াতের সদর দফতর দিল্লীতে থাকা সত্বেও এর বার্ষিক সমাবেশের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেয়া হয়। কথিত আছে, তাবলীগ জামায়াতের মুরুবি্বদের বৈঠকে ইজতেমার স্থান নির্ধারণের জন্য নাকি লটারি হয়েছিল। সেই লটারিতে বাংলাদেশের নাম ওঠে। আর সেই থেকেই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ এ বিশ্ব ইজতেমা।
বিভিন্ন পত্রিকা/ পরিসংখ্যানের হিসাবে দুই পর্ব মিলিয়ে প্রায় 50 থেকে 60 লাখ মানুষ এতে অংশ গ্রহন করেন। এবং প্রায় ১০০টিরও বেশী দেশের প্রায় অর্ধ লক্ষ বিদেশি মেহমান এতে অংশ গ্রহন করেন। বিশ্বব্যপী দ্বীন প্রচারে তাবলীগি জামাত বিরাট ভূমিকা পালন করেন এতে কোন সন্দেহ নেই ৷ তবে যে কাজ যতটুকু ঠিক ততটুকুই মর্যাদা বা গুরুত্ব দেয়া চাই এর চেয়ে বেশী নয় ৷ইসলাম অতিরঞ্জনে বিশ্বাসী নয় , যেমন খৃষ্টানরা হযরত ঈসা আঃ কে অতি ভক্তি ও শ্রদ্বা করতে গিয়ে খোদার আসনে বসিয়েছে ,ইহুদীরা ওযাইর আঃ কে খোদার পুত্র ও শিয়ারা আলী রাঃ কে খোদার আসনে ও নামধারী রসুল প্রেমীকরা রসুল সাঃকে নিয়ে কত কি করছে সকলেরই জানা আছে,এগুলো অতি রঞ্জিত ৷ঠিক তেমনি ভাবে তাবলীগ বা বিশ্ব এজতেমাকে হজ্বের সাথে তুলনা ওঅতিরঞ্জিত ৷
কারন হজ্ব হল ইসলামের ৫ রুকুনের একটি, কোরান হাদিস দারা স্বীকৃত ,যা ছাডা ঈমান /ইসলাম পরিপূর্ন নয় ৷ স্বামর্থবানদের জন্য ফরজ এবং গুনাহ মাফের গ্যারান্টি আর আস্বীকার করা কুফরী , আর তাবলীগ কোরান-সুন্নাহ দ্বারা স্বীকৃত হলে ওবিশ্ব এজতেমা কোরান হাদীস দারা স্বীকৃত নয়, এটি হল একটি বিশ্ব ইসলামী মহা সন্মেলন মাত্র।যা ছাডাও ঈমান/ইসলাম পরিপূর্ন ৷সামর্থবানদের হজ্বে যাওয়া ফরজ হলেও বিশ্ব এজতেমা ফরজ নয় , বা গুনাহ মাফের ওগ্যারান্টি নেই ৷ লোক সমাগমের দিকদিয়ে কাছাকাছি হলেও হজ্বের সাথে কোন দিক দিয়েই তুলনাই করা যায়না ৷ যদি ও মাঝে মধ্যে কিছু মূর্খ লোকেরা জোশের ঠেলায় বিশ্ব এজতেমাকে হজ্বের সাথে তুলনা করে বসে তবে কিসের ভিত্তিতে করেন তা বোধগম্য নয়,এমন কি এহরাম সাদৃশ্য সাদা কাপড ও পরেন বলে শুনা যায়, যা কিনা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে সামনে আসে , তবে সরাসরী কাউকে এমন মনতব্য করতে শুনি নাই ৷তবে এ সকল মনতব্য আদৌ কোন তাবলীগি সাথি করেন কিনা তানিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন, হয়তো অনেকে তাবলীগের দূর্নাম ছডানোর জন্য নিজেদের লোক দিয়ে মিডিয়ার সামনে এমন সব অতিরঞ্জিত মনতব্য করিয়ে থাকেন ৷ এমন পরিস্হিতীতে তাবলীগ বিরোধীরা অপপ্রচারের একটা সূযোগ পেয়ে যায় ৷এ জন্য সাথীদের বা দ্বীনের দাঈীদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ৷জোশের বসে বেহুশ যেন হয়ে না যাই ৷ হজ্বের সাথে বিশ্ব এজতেমাকে তুলনা করা অনর্থক ,মুর্খতা, অতিরঞ্জিত৷ কেউ করে থাকলে সে বোকার স্বর্গে বাস করে বলে প্রতিয়মান হবে ৷এটা সত্য যে সমগ্র বিশ্বে মুসলিমদের সর্ব বৃহৎ জমায়েতের মধ্যে ২য় বৃহত্তম জমায়েত হল টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব এজতেমা লোক সমাগমের হিসাবে তবে ছাওয়াব বা গুরুত্বের দিক দিয়ে নয় ৷হজ্বের মত লোক সমাগম হলেই সেটাকে দ্বিতীয় হজ্ব বলা সমীচীন নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো তাবলিগের পক্ষ থেকে এধরনের কোন কথা কখনোই বলা হয় না। তবে কোন সাধারণ মুসল্লি যদি এমন কথা বলে থাকেন তাহলে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
বিষয়: বিবিধ
২০৩০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীরাও আল্লাহ ভুলা মানুষদেরকে দ্বীনের পথে ফিরিয়ে আনতে অনেক গবেষনা ও পরামর্শ করে ৪০ দিন বা ১২০ দিনের একটি কোর্স চালু করেছে, সেটা বেদাআদ কেন?
আসলে ভাই, তারাতো কারো গীবত শেকায়েত নিয়ে ব্যাস্ত নয়, তাদের ফিকির হল রাসূলের উম্মতকে কিভাবে আল্লাহর পথে ফিরিয়ে আনা যায়, কিভাবে দ্বীন জিন্দা হয় সেই মেহনত করা। ইসলামের বিজয়ের জন্য তো অনেকে অনেকভাবে চেষ্টা সাধনা করছে, তারাও একটি সিষ্টেমে মধ্যে চেষ্টা অভ্যাহত রেখেছে, তাই তাদের খারাপ না বলে যথা সম্ভব সহযোগীতা করা দরকার।وتعاونوا على البر والتقوى ولا تعاونوا على الإثم والعدوان واتقوا الله = صدق الله العظيم
উত্তরঃ-তাবলীগের বৈধতা সমপর্কে উপরে "কোরআন-হাদীসের আলোকে তাবলীগ" শীর্ষক আলোচনায় একথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এটা শরীয়ত সন্মত একটি আমল।
তাবলীগ জামাআত কোন নতুন দল বা সংগঠনের নাম নয়, বরং ধারাবাহীক একটা আমল নবী করীম সাঃ এর তিরোধানের পূর্ব থেকেই বিদায় হজ্বের পর থেকে ব্যাপক হারে সাহাবায়ে কিরাম রাঃ, এবং রাসূল সাঃ এর মৃত্যুর পর থেকে প্রত্যেক যুগেই পৃথিবীর সকল ওলামায়ে কেরাম কমবেশি সম্মিলিত ও বিচ্ছ্ন্নিভাবে দাওয়াতের এ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ৷এখনও অনেকে বিভিন্ন পন্থায় এ কাজ করে যাচ্ছেন ৷"হাদীসের আলোকে দাওয়াত-তাবলীগ"অংশেও আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু হযরত ইলিয়াস রহঃ ব্যাপক আকারে ও সংগঠিতরূপে সেটির পুনঃজাগরণের চেষ্টা করেছেন মাত্র ৷প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেরই যেমন কর্মধারা ও সূচি থাকে, তিনিও তেমনি এ কাজের জন্য কিছু কর্মধারা তৈরী করেছেন সাধারণ মানুষের জন্য প্রাথমিকভাবে অধিক উপকারী ও জরুরী বিষয় চিন্তা করে ৷ পূর্ণ শরীয়তকে সামনে রেখে এর মাঝে কোন বিষয়গুলো প্রথমে আমলে আনতে পারলে পূর্ণ শরীয়তের উপর পাবন্দ হওয়া সহজ হয়ে যাবে তা চিন্তা করে একটি মূলনীতি নির্ধারণ করেছেন। যা কোনভাবেই শরীয়তের গন্ডির বাহিরে থেকে নয়। সেই সাথে শরয়ী কোন হুকুমকে অস্বিকার করেও নয় , তাছাডা এ পদ্ধতিটি পালন করা কোন ফরজ-ওয়াজীবও নয়৷ অন্য যে কোন পদ্ধতিতেও এ কাজ করা যেতে পারে ৷
যেমন বর্তমান মাদরাসা শিক্ষা শরীয়তের মাঝে নতুন কোন সংযোজন নয়, বরং সাহাবায়ে কিরামের মাঝে আসহাবে সুফফার যে জামাআত মসজিদে নববীতে (মসজিদে নববীতে রওজা মোবারকের পাশে লাগোয়া উঁচু স্হানটি এখন ও ইতিহাসের সাক্ষি হিসাবে বিদ্ধমান আছে ) সার্বক্ষণিক দ্বীন চর্চায় নিমগ্ন থাকতেন, সেটাই ছিল ইসলামের ইতিহাসে সর্ব প্রথম মাদরাসা। যদিও বর্তমান মাদরাসা পদ্ধতি আর আসহাবে সুফফার মাদরাসার মাঝে পদ্ধতিগত অনেক পার্থক্য রয়েছে। মৌলিকত্বে কোন পার্থক্য নেই। সে সময় কোন সিলেবাস ছিল না। ছিল না কোন ক্লাসিক্যাল অবকাঠামো। ছিল না সার্টিফিকেট দেওয়ার পদ্ধতি। ছিল না বিধিবদ্ধ শিক্ষক ষ্টাফের কোন মূলনীতি ৷ কিন্তু পরবর্তীতে আম ফায়দার জন্য এবং দ্বীন চর্চায় অধিক উপকারের নিমিত্তে একটি একাডেমিক পদ্ধতি আবিস্কার করা হয়েছে ৷ যে আবিস্কার কোন বিদআত নয় মর্মে বিশ্বের সকল ওলামায়ে কিরাম একমত ৷তেমনি তাবলীগ জামাআতের বর্তমান সাংগঠনিক ভিত্তি হিসেবে কিছু মূলনীতি নির্ধারণও কোন নতুন বিষয় নয়, বা বিদআত নয়। কারণ মাদরাসা শিক্ষার বর্তমান পদ্ধতিকে যেমন আমরা সওয়াবের কাজ মনে করি না, কিন্তু এলমে দ্বীন চর্চাকে জানি সওয়াবের কাজ। তেমনি তাবলীগ জামাআতের পদ্ধতিটা মূলত সওয়াবের কারণ নয়, বরং এর দ্বারা যে কাজটি আঞ্জাম দেয়া হয় তথা তাবলীগ বা দ্বীন প্রচার সেটিই হল সওয়াবের কাজ ৷এ দু’টিতে কোন পার্থক্য নেই ৷ সুতরাং তাবলীগ জামাআতকে দ্বীন এর মাঝে নতুন সংযোজন বলে বিদআত সাব্যস্ত করাটা বিদআতের সংজ্ঞা ও দ্বীন সম্পর্কে চূড়ান্ত পর্যায়ের অজ্ঞতার পরিচায়ক ৷কারণ বিদআত বলা হয়
عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « مَنْ أَحْدَثَ فِى أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَد
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমাদের দ্বীনের মাঝে যে ব্যক্তি নতুন বিষয় আবিস্কার করে যা তাতে নেই তাহলে তা পরিত্যাজ্য। {সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৪৬০৮, সহীহ বুখারী, হাদিস নং-২৫৫০, সহীহ মুসলিম-৪৫৮৯}এই হাদিসে লক্ষ্য করুন কি কি শর্তে নব আবিস্কৃত বস্তুকে পরিত্যাজ্য বলেছেন নবীজী সাঃ।
১-সম্পূর্ণ নতুন বিষয়। যার কোন সামান্যতম প্রমাণ নবীযুগে বা সাহাবা যুগে নাই এমন বিষয় হতে হবে।
২-দ্বীনী বিষয় হতে হবে ৷
সুতরাং দ্বীনী বিষয় ছাড়া যত নতুন বিষয়ই আবিস্কারই হউকনা কেন তা বিদআত নয় ৷ যেমন মাদ্রাসা তৈরী , মসজিদ পাক্কা করা , বৈজ্ঞানিক আবিস্কার যেমন বিমান, গাড়ী ,কম্পিউটার ,মোবাইল সহ আরও নতুন নতুন আসবাব ইত্যাদী,এসব বিদআত নয়, কারণ এসব দ্বীনী বিষয় নয়। বরং বৈষয়িক বিষয় ৷
৩-দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার হতে হবে ৷ দ্বীনের জন্য হলে সমস্যা নাই ৷ কারণ দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার করা এর মানে হল এটা সওয়াবের কাজ সুন্নাত, ওয়াজিব ইত্যাদী মনে করে আদায় করা ৷আর দ্বীনের জন্য হলে সেটা মূলত সওয়াবের কাজ নয়, বরং সওয়াবের কাজের সহায়ক। যেমন মাদরাসা শিক্ষা একাডেমিক পদ্ধতি নববী যুগে ছিলনা। পরবর্তীতে আবিস্কার করা হয়েছে। এই একাডেমিক পদ্ধতিটি দ্বীনের মাঝে নতুন আবিস্কার নয়, বরং দ্বীনী কাজের জন্য সহায়ক হিসেবে আবিস্কার হয়েছে। অর্থাৎ দ্বীন শিখার সহায়ক। আর দ্বীন শিখাটা সওয়াবের কাজ। কিন্তু সিষ্টেমটা মূলত সওয়াবের কাজ নয় বরং সহায়ক ৷ তেমনি তাবলীগের বর্তমান পদ্ধতিটি ইলিয়াস রহঃ আবিস্কার করেছেন দ্বীন প্রচারের সহায়ক হিসেবে ৷ তথা দ্বীনের জন্য আবিস্কার ৷ দ্বীন মাঝে আবিস্কার নয় ৷
তাই এটি বিদআত হওয়ার কোন সুযোগই নেই।
যারা বলেন এ পদ্ধতি বিদআত, তারা মূলত দ্বীন সম্পর্কে বা বেদআতের সংজ্ঞা সমপর্কে চূড়ান্ত অজ্ঞতার পরিচয় দেন এসব কথা বলে ৷===
যদি নিন্দুকের ভাষায় যদি বেদআত ও হয়,তাহলে প্রশ্ন করি এর দ্বারা কি নিজের ফায়দা হওয়ার কথা মাওলানা ইলিয়াস (রহ) ভেবেছিলেন? সহজ উত্তর না। এর দ্বারা কি দ্বীনের কোনো ক্ষতি হচ্ছে??? সহজ উত্তর না।এর দ্বারা তাবলীগের কোন ভাই কারো থেকে কোন কিছু পাওয়ার বা খাওয়ার আশা করেন? এক কথায় না , বরং সারা বিশ্বে দাওয়াতের কাজ চলছে, বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এই দাওয়াতের কাজ চলছে এবং অমুসলিমরাও দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করছে। মানুষকে জাহান্নাম থেকে জান্নাতের দিকে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। তাহলে আমরা বুঝতে পালাম এই দলটি “সুন্নাতে হাসানাহ” পর্যায় পড়ে। যে সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ من سن فى الإسلام سنة حسنة فله أجرها وأجر من عمل بها بعده من غير أن ينقص من أجورهم شيء، ومن سن في الإسلام سنة سيئة فله وزرها ووزر من عمل بها من بعده من غير أن ينقص من أوزارهم شيء. (رواه مسلم عن جرير بن عبد الله رضي الله عنهما) অর্থঃ যে ইসলামে কোন ভাল পদ্ধতি প্রচলন করল সে উহার সওয়াব পাবে এবং সেই পদ্ধতি অনুযায়ী যারা কাজ করবে তাদের সওয়াবও সে পাবে, তাতে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোন খারাপ পদ্ধতি প্রবর্তন করবে সে উহার পাপ বহন করবে, এবং যারা সেই পদ্ধতি অনুসরণ করবে তাদের পাপও সে বহন করবে, তাতে তাদের পাপের কোন কমতি হবে না। (মুসলিম)একই ধরনের হাদিস ইবনে মাজাহ এর ২০৩, ২০৭ নং হাদিসেও পাবেন (ই:ফা
====তাছাডা তাবলীগ জামাতের বেপারে আরবের শীর্ষ আলীম শায়খ উছাইমিন রহ: এর মত হল তাবলীগের ৪০ দিন ১০ দিন এগুলো সুন্নাতও নয় বেদাত ও নয় তবে এগুলো হলো তারতীব, তাবলীগি ভাইয়েরাও তাই বলেন।এবং আহলে-হাদীস সম্প্রদায়ের মান্যবর ওলামাদের শীরমনি সৌদি আরবের তৎকালীন গ্রান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজীজ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে বায রাহঃ এর পত্র ও মদিনা ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধিদের কর্তৃক প্রস্তুতকৃত কৃত একটি রিপোর্ট ও তাই বলে।যা পরে আলোচনা করা হবে।
বাংলাদেশের মানুষেরা ধর্মীয় ব্যাপারে অতিরন্জিত কাহিনী গিলে বেশ । এটাকে পুঁজি করে লাল সালুর মজিদ ব্যবসা ফেঁদেছিল ।
শোলাকিয়াতে ৩ বার ঈদের নামাজ পড়লেও নাকি একটা হজের সওয়াব পাওয়া যায় !
ভাই এরা মানে কারা? তাবলীগের কোন মুরুব্বীকে তো কোন দিন এমন বলতে শুনি নাই, যদি কেই বলে থাকে সে তো মূর্খ, আর মূর্খদের কথা শুনে একটি দ্বীনি জামাতকে খারাপ বলা কতটুকু যৌক্তিক?
কারন হজ্ব হল ইসলামের ৫ রুকুনের একটি, কোরান হাদিস দারা স্বীকৃত ,যা ছাডা ঈমান /ইসলাম পরিপূর্ন নয় ৷ স্বামর্থবানদের জন্য ফরজ এবং গুনাহ মাফের গ্যারান্টি আর আস্বীকার করা কুফরী , আর তাবলীগ কোরান-সুন্নাহ দ্বারা স্বীকৃত হলে ওবিশ্ব এজতেমা কোরান হাদীস দারা স্বীকৃত নয়, এটি হল একটি বিশ্ব ইসলামী মহা সন্মেলন মাত্র।যা ছাডাও ঈমান/ইসলাম পরিপূর্ন ৷সামর্থবানদের হজ্বে যাওয়া ফরজ হলেও বিশ্ব এজতেমা ফরজ নয় , বা গুনাহ মাফের ওগ্যারান্টি নেই ৷ লোক সমাগমের দিকদিয়ে কাছাকাছি হলেও হজ্বের সাথে কোন দিক দিয়েই তুলনাই করা যায়না ৷ যদি ও মাঝে মধ্যে কিছু মূর্খ লোকেরা জোশের ঠেলায় বিশ্ব এজতেমাকে হজ্বের সাথে তুলনা করে বসে তবে কিসের ভিত্তিতে করেন তা বোধগম্য নয়,এমন কি এহরাম সাদৃশ্য সাদা কাপড ও পরেন বলে শুনা যায়, যা কিনা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে সামনে আসে , তবে সরাসরী কাউকে এমন মনতব্য করতে শুনি নাই ৷তবে এ সকল মনতব্য আদৌ কোন তাবলীগি সাথি করেন কিনা তানিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন, হয়তো অনেকে তাবলীগের দূর্নাম ছডানোর জন্য নিজেদের লোক দিয়ে মিডিয়ার সামনে এমন সব অতিরঞ্জিত মনতব্য করিয়ে থাকেন ৷ এমন পরিস্হিতীতে তাবলীগ বিরোধীরা অপপ্রচারের একটা সূযোগ পেয়ে যায় ৷এ জন্য সাথীদের বা দ্বীনের দাঈীদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ৷জোশের বসে বেহুশ যেন হয়ে না যাই ৷ হজ্বের সাথে বিশ্ব এজতেমাকে তুলনা করা অনর্থক ,মুর্খতা, অতিরঞ্জিত৷ কেউ করে থাকলে সে বোকার স্বর্গে বাস করে বলে প্রতিয়মান হবে ৷এটা সত্য যে সমগ্র বিশ্বে মুসলিমদের সর্ব বৃহৎ জমায়েতের মধ্যে ২য় বৃহত্তম জমায়েত হল টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব এজতেমা লোক সমাগমের হিসাবে তবে ছাওয়াব বা গুরুত্বের দিক দিয়ে নয় ৷হজ্বের মত লোক সমাগম হলেই সেটাকে দ্বিতীয় হজ্ব বলা সমীচীন নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো তাবলিগের পক্ষ থেকে এধরনের কোন কথা কখনোই বলা হয় না। তবে কোন সাধারণ মুসল্লি যদি এমন কথা বলে থাকেন তাহলে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
কারন হজ্ব হল ইসলামের ৫ রুকুনের একটি, কোরান হাদিস দারা স্বীকৃত ,যা ছাডা ঈমান /ইসলাম পরিপূর্ন নয় ৷ স্বামর্থবানদের জন্য ফরজ এবং গুনাহ মাফের গ্যারান্টি আর আস্বীকার করা কুফরী , আর তাবলীগ কোরান-সুন্নাহ দ্বারা স্বীকৃত হলে ওবিশ্ব এজতেমা কোরান হাদীস দারা স্বীকৃত নয়, এটি হল একটি বিশ্ব ইসলামী মহা সন্মেলন মাত্র।যা ছাডাও ঈমান/ইসলাম পরিপূর্ন ৷সামর্থবানদের হজ্বে যাওয়া ফরজ হলেও বিশ্ব এজতেমা ফরজ নয় , বা গুনাহ মাফের ওগ্যারান্টি নেই ৷ লোক সমাগমের দিকদিয়ে কাছাকাছি হলেও হজ্বের সাথে কোন দিক দিয়েই তুলনাই করা যায়না ৷ যদি ও মাঝে মধ্যে কিছু মূর্খ লোকেরা জোশের ঠেলায় বিশ্ব এজতেমাকে হজ্বের সাথে তুলনা করে বসে তবে কিসের ভিত্তিতে করেন তা বোধগম্য নয়,এমন কি এহরাম সাদৃশ্য সাদা কাপড ও পরেন বলে শুনা যায়, যা কিনা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে সামনে আসে , তবে সরাসরী কাউকে এমন মনতব্য করতে শুনি নাই ৷তবে এ সকল মনতব্য আদৌ কোন তাবলীগি সাথি করেন কিনা তানিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন, হয়তো অনেকে তাবলীগের দূর্নাম ছডানোর জন্য নিজেদের লোক দিয়ে মিডিয়ার সামনে এমন সব অতিরঞ্জিত মনতব্য করিয়ে থাকেন ৷ এমন পরিস্হিতীতে তাবলীগ বিরোধীরা অপপ্রচারের একটা সূযোগ পেয়ে যায় ৷এ জন্য সাথীদের বা দ্বীনের দাঈীদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ৷জোশের বসে বেহুশ যেন হয়ে না যাই ৷ হজ্বের সাথে বিশ্ব এজতেমাকে তুলনা করা অনর্থক ,মুর্খতা, অতিরঞ্জিত৷ কেউ করে থাকলে সে বোকার স্বর্গে বাস করে বলে প্রতিয়মান হবে ৷এটা সত্য যে সমগ্র বিশ্বে মুসলিমদের সর্ব বৃহৎ জমায়েতের মধ্যে ২য় বৃহত্তম জমায়েত হল টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব এজতেমা লোক সমাগমের হিসাবে তবে ছাওয়াব বা গুরুত্বের দিক দিয়ে নয় ৷হজ্বের মত লোক সমাগম হলেই সেটাকে দ্বিতীয় হজ্ব বলা সমীচীন নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো তাবলিগের পক্ষ থেকে এধরনের কোন কথা কখনোই বলা হয় না। তবে কোন সাধারণ মুসল্লি যদি এমন কথা বলে থাকেন তাহলে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
উসূল আর রোকন কি এক জিনিস? ৬উসুলের মধ্যে তো রোজা, হজ্ব, যাকাতের কথা উল্লেখ নেই। তাবলীগীরা কি রোজা, হজ্ব, যাকাত পালন করে না?
আমি তাদের ৬ "উসুল" না ৬ "কথা" বা "গুন" জেনে শুনে বুঝেছি ও পড়েছি, সেখানে আছে, ৬টি গুনের উপর মেহনত করিয়া চলিতে পারিলে দ্বীনের উপর চলা সহজ হয়ে যায়। গুণগুলো হল.......
প্রথমে জানার জন্য আহবান জানাচ্ছি, অতঃপর না হয় মন্তব্য করলেন....
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ولا تقف ما ليس لك به علم إن السمع والبصر والفؤاد كل أولئك كان عنه مسئولا
যে ব্যাপারে তোমার জ্ঞ্যান নেই তার পেছনে পড়ো না, নিশ্চয়ই কর্ণ, চক্ষু এবং অন্তর প্রত্যেকে জিজ্ঞাসীত হবে।
আসলে ভাইজান এ অভিযোগটিও একটি অজ্ঞতার পরিচয়বাহী ও হিংসাত্মক অভিযোগ ৷ যার কোন ভিত্তি নেই ৷ তাবলীগের ছয় উসুলের মাঝে পূর্ণ ইসলাম আছে একথা কোন তাবলীগী ভাই বলেন বলে মনে হয়না ,এমন কি তাবলীগ সংশ্লিষ্ট কোন কিতাবেও এমন অবান্তর দাবী করা হয়নি , বরং তারা সর্বদা একথার দাওয়াত দেন যে, ছয় উসূলের উপর চললে পূর্ণ দ্বীনের উপর চলা সহজ হয় ৷ একথা কোন তাবলীগী ভাই বলেন না ,যে ছয় উসূলই পূর্ণাঙ্গ দ্বীন ৷সাথে সাথে তাবলীগ তথা দ্বীনের দাওয়াত শুধু একথার উপর দেয়া হয় না যে, শুধুমাত্র ছয় উসূলই মানতে হবে অন্য কিছু নয় , বরং দাওয়াত দেয়া হয় পূর্ণ শরীয়তের পাবন্দ হতে হবে,তাই নয় কি?
মূলত ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করলেই দেখা যায় এ ৬টির মধ্যেই পুরো দ্বীনের কিছু নমুনা পাওয়া যায় ৷
যেমনটি আল্লাহ তায়ালা ছয়টি বিষয়ের অনুসরণ করলে বান্দা সফলকাম হয়ে যাবে মর্মে সূরায়ে মু’মিনূন এ ঘোষণা করেন-
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ (1) الَّذِينَ هُمْ فِي صَلاتِهِمْ خَاشِعُونَ (2) وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ (3) وَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَ (4) وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ (5) الى اخر- وَالَّذِينَ هُمْ لأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ (8) وَالَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلَوَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ (9) أُوْلَئِكَ هُمُ الْوَارِثُونَ (10) الَّذِينَ يَرِثُونَ الْفِرْدَوْسَ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ (11)
১-নিশ্চয় সফলতা অর্জন করেছে মুমিনগণ। ২-যারা তাদের নামাযে আন্তরিকভাবে বিনীত। ৩-যারা অহেতুক বিষয় থেকে বিরত থাকে। ৪-যারা যাকাত সম্পাদনকারী। ৫-যারা নিজ লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে। ৮-এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। ৯-এবং যারা নিজেদের নামাযের পরিপূর্ণ রক্ষনাবেক্ষণ করে। ১০ এরাই হল সেই ওয়ারিশ ১১-যারা জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকার লাভ করবে তারা তাতে সর্বদা থাকবে। {সূরা মুমিনুন-১-১১}
এ আয়াত সমূহে লক্ষ করুন-ছয়টি কাজ করলে আল্লাহ তায়ালা সফলকাম হওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। সেই সাথে জান্নাতী হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। অথচ এ ছয় কাজে রোযার কথা নেই। নেই হজ্বের কথাও। তাহলে কি আল্লাহর বলা সফলকাম হওয়ার জন্য রোযা রাখার প্রয়োজন নেই? নেই হজ্ব ফরজ হলে হজ্ব আদায়েরও। এ দু’টি গুরত্বপূর্ণ ফরজ ছাড়াই কি কোন ব্যক্তি জান্নাতী হয়ে যেতে পারে? কিভাবে?
এর জবাব যেমন-এ ছয়টির মাঝেই পূর্ণ দ্বীন শামিল আছে কি নাই সেটারও ঐ জবাব ৷তেমনি তাবলীগের ছয় উসূলের দাওয়াতের দ্বারাও পূর্ণ দ্বীনের উপর আমলের দিকেই আহবান করা হয়, যা কিছুতেই দ্বীনকে সীমাবদ্ধ করা নয়, যেমন আল্লাহ তায়ালা ও সীমাবদ্ধ করেন নি ৷ তাছাডা ছয় উসুল,তিন দিন ,১০দিন এক চিল্লা ১ বছর বা এর কম-বেশী যে কোন মেয়াদে সময় লাগানো বা সকাল বিকাল গাস্ত তথা দ্বিনী দাওয়াতের উদ্যেশ্যে ঘুরা পিরা ইত্যাদি কাজ গুলো কেউ ফরজ-ওয়াজিব মনে করে এ গুলো আদায় করেন না ৷ বরং এ গুলো একটা কাজের সিষ্টাম মাত্র ৷ যেমন যে কোন সংস্হা বা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব একটা কর্ম পদ্বতি বিধি বিধানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে তেমনি একটা পদ্বতি মাত্র ৷ প্রয়োজনে এর পরিবর্তন ও সম্ভব, এমন নয় যে এর পরিবর্তন করা যাবেনা ৷ সুতরাং এমন কথা বলা অবান্তর যে এ গুলো বেদআত বা অন্য কিছু ৷
তাছাডা তাবলিগের ৬ উসুল মানে ভিত্তি না, বরং নীতি বা মুলনীতি । ব্যবহারিক অর্থে অনুসরণীয় নীতি বা কর্ম পদ্ধতি মাত্র । আর বেনা - অর্থ ভিত্তি বা মূল । বুনইয়াল ইসলাম অর্থ ইসলামের ভিত্তি বা মূল । কিসের সাথে কি ?
প্রতিটি আন্দোলনের একটা কর্ম পদ্ধতি বা মূল নীতি থাকে । তাবলীগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা ইলিয়াস রহ তাবলীগের কর্মীদের ৬ টি মুল বিষয়ের উপর মেহনত করে এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া বা কার্যক্রম চালাতে বলেছেন, তাই এই ৬টা বিষয় তাবলীগ জামাতের উসুল বা কর্ম পদ্ধতি । এগুলোকে ইসলামের উসুল/ভিত্তি কখনো বলা হয়নি বা কেউ মনেও করেন না ৷এমন সহজ কথাটিকে প্যাচাল করে সহজ সরল মুসলিমদের মাঝে বিভ্রান্তী ছডানো ছাডা অন্য কিছু নয় ৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন