পাকিস্তানের হামলার নিন্দা জানাই ,এটা ইসলাম বিরোধী কাজ কোন সন্দেহ নেই ।

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০১:৩৭:৩১ দুপুর

পাকিস্তানের হামলার নিন্দা জানাই ,এটা ইসলাম বিরোধী কাজ কোন সন্দেহ নেই ।

=============

পাকিস্তাতানে তালেবান যে হত্যা ঘটিয়েছে , এটা নিন্দনীয় , এমন কৌমল তরূন নিরপরাদ শিক্ষার্থীদের হত্যা কোন সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারেনা , এটার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই ।

জেহাদের ময়দানে শত্রুপক্ষকে প্রথমে আত্মসমর্পন, ইসলামগ্রহণ কিংবা কর আদায়ের আহ্বান জানানো হয়। কোনোটিতে রাজি না হলেই যুদ্ধের অনুমতি আছে । এটিই ইসলামের জিহাদ-নীতি। পেছনের যত কার্যকারণ, অজুহাত কিংবা যৌক্তিকতাই থাক না কেন নিষ্পাপ শিশু, নিরীহ শিক্ষার্থী, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এমন অতর্কিত হামলা কোনোভাবেই ইসলাম অনুমোদন করে না। এটা চরম পর্যায়ের বর্বরতা, নিকৃষ্ট নৃশংসতা, অমানবিক হত্যাযজ্ঞ ছাড়া কিছুই নয়।

===

জিহাদের ময়দানে যুদ্ধ করার অনুমতি থাকলেও নারী, শিশু ও বৃদ্ধকে হত্যা করা নিষেধ করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

“আল্লাহ তায়ালার নামে এবং তারই উপর ভরসা করে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ অনুসরণ করে অভিযানে যাও। খবরদার! কোন অতিশয় বৃদ্ধ, নারী ও শিশুকে হত্যা করবে না। সম্পদ আত্মসাৎ করবে না। তোমাদের যুদ্ধলব্ধ সম্পদ একত্রিত করবে এবং সৎকাজ করবে। আল্লাহ তায়ালা সৎকর্ম পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।” (আবু দাউদ, ইবনে আবী শায়বা, বায়হাকী)

আরেকটি হাদীস শরীফে এসেছে-

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত, “রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোথাও সেনা অভিযান প্রেরণ করতেন তখন তাদেরকে বলতেন: তোমরা আল্লাহর রাস্তায় কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আল্লাহ তায়ালার নামে বের হও। খবরদার! বিশ্বাসঘাতকতা করবে না, আত্মসাৎ করবে না, কারো লাশকে ছিন্নভিন্ন করবে না। ছোট্ট বাচ্চা ও কুড়েঘর ওয়ালাদের (গীর্জার পাদ্রীদের মধ্যকার যাদের দুনিয়ার দিকে খেয়াল নেই শুধু গীর্জায় অবস্থান করে) হত্যা করো না।”(মুসনাদে আহমাদ, বায়হাকী)

উপরে দু’টি হাদীস দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত, জিহাদের ময়দানেও কাফির নারী-শিশুদের হত্যা করা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ। তাহলে যারা পাকিস্তানে স্কুলগুলোতে মুসলমান শিশুদের হত্যা করেছে তারা কি প্রকৃত মুসলমান হতে পারে ?? আমরা এর নিন্দা জানাই ।

বিষয়: বিবিধ

১০৩০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

295464
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৭
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : একমত। আপনার দেয়া দুটি হাদীসই সহীহ। আমরা আজ অনেক দুরে অবস্থান করছি। নিন্দা করতে হবে। নিন্দা করা উচিত। মুসলমান হিসাবে এগুলো সমর্থন করা উচিত নয়।
আরেকটি বিষয় - এর কারন গুলো সম্পর্কে বলাও প্রয়োজন।
295478
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
পুস্পিতা লিখেছেন : এসব যে ইসলামের কোন কাজে আসে না তা তারা কেন বুঝার চেষ্ঠা করে না?!
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৪
239065
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : পুস্পিতা আপু গত ৩-৪ বছরে যাদের দেখে ব্লগ লেখা শিখেছি তাদের মধ্যে তুমি অন্যতম। আমি এখনো তোমার সব লেখাই নিয়মিত পড়ি তবে যেহেতু আমি কোন রাজনৈতিক পোস্টে কমেন্ট করিনা তাই তোমার কোন লেখাতে কমেন্ট করা হয়না।আর তোমার সব লেখাই রাজনৈতিক বিশ্লেষণ। যাইহোক তোমাদের একটা প্রশ্ন করতে আমার খুব ইচ্ছা হয় সেটা হল, তেহরিক তালিবান বা আইএস হটাৎ করেই জন্ম নেয়নি। গত কয়েকবছরের মার্কিন ড্রোন হামলায় ৩০০০ এর উপর মানুষ মারা গিয়েছে ওযারিস্তানে যাদের অধিকাংশ ছিল নিরস্ত্র নারী-শিশু, বৃদ্ধ। কিন্তু আপনারা সেই সময়ে কিন্তু বলেননি ইসলামে এমন হত্যা হারাম এটা নির্মমতা। তাদের সাথে পাকিস্তানের মূল জনগোষ্ঠির ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য রয়েছে এবং এসব কারণে দীর্ঘদিন তারা পাকিস্তানি শাসক ও আর্মি দ্বারাও সমানভাবে নির্যাতিত কিন্তু আপনারা তখন বলেননি ইসলামের ভ্রাতৃত্ব থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।ক্ষোভ থেকে জন্ম নিয়েছে তেহরিক ফলাফল যা হয়েছে তা হল পাক সরকার তখন তেহরিক দমণে সেনা-বিমান বাহিনী পাঠিয়েছে যারা নির্বিচারে ১২০০ এর উপর মানুষ হত্যা করেছে, বিমান হামলা চালিয়ে গোটা এলাকা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে কিন্তু তখন কেউ তাদের পক্ষে, ইসলামের পক্ষে কথা বলেনি। আজ যখন তারাও সেই একইরকম বর্বরতা চালিয়ে প্রতিহিংসা দেখিয়েছে ঠিক তখনি আমরা ফতোয়াবাজি শুরু করেছি। দ্বৈত নীতি কেন আপু?? যদি প্রতিবাদ করতেই হয় তখন আমরা সব অন্যায়ের প্রতিবাদ কেন করিনা?? তাদের মা-বোন,বাপ-ভাই, সন্তানদের জীবনের কি কোন মূল্য ছিলনা??
295524
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
যারা এই কাজ করেছে তাদেরকে কিছুতেই মুসলিম হিসেবে স্বিকৃতি দেওয়া যায়না। যাদেরকে তারা হত্যা করেছে তারাও মুসলিম।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File