প্রসঙ্গ দশ কিলোমিটারের মধ্যে একটির বেশি মাদ্রাসা থাকবে কি থাকবেনা না তাওহিদী জনতাই ঠিক করবে
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০২ মার্চ, ২০১৩, ০২:০৮:১৬ দুপুর
সমপ্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ এফিলিয়েটিং ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৩' জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী প্রতি দশ কিলোমিটারের মধ্যে একটির বেশি মাদ্রাসা থাকবে না। আর কোন মাদরাসা শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকলেও ভিসি ও ট্রেজারার পদে নিয়োগ পাবেন না।
২৭/২/২০১৩ বুধবার শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি পরীক্ষাপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
যদি এটি আইনে পরিনত হয় তাহলে এ দেশ থেকে ইসলাম নিশ্চিন্ন করার আর একটি বড় ষড়যন্ত্র করা হবে ৷
যেখানে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামে তথা সারা বাংলার ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার স্কুল প্রতিষ্ঠার চিন্তা ভাবনা করছে , সেখানে প্রতি ১০ কিলোমিটারেএকটি মাদ্রাসা করা হলে এ দেশে ইসলাম নামক সেই শান্তির গাছটিকে সমূলে ধবংশ করার একটি পাঁয়তারা নয় কি ? এটা আকাশ কুসুম গল্পের মত ৷
এ দেশে ইসলাম আছে থাকবে , পৃথিবীতে কেউ এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে টিকে থাকতে পারেনি এরাও পারবেনা ৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি মতে প্রতি দশ জন মানুষের দৈহিক সুস্থতার জন্য অন্তত একজন
চিকিৎসক এবং একজন আইন উপদেষ্টা বিদ্যমান থাকা একটি মৌলিক অধিকার ,
এখন আমরা বলতে চাই মানুষ কি শুধু শরীরের নাম। না , বরং শরীর ও রুহ এ দুইয়ের সমন্বয়ে হল মানুষ। সামান্য শরীরের জন্য যদি বিশ্ববিবেক প্রতি দশ জনের জন্য একজন চিকিৎসক ও আইন উপদেষ্টার প্রয়োজন মনে করে তাহলে মানুষের রুহ ও আত্মার সুস্থতার জন্য রুহানী চিকিৎসক ও শরয়ী আইন উপদেষ্টার প্রয়োজনীয়তা কিভাবে অস্বীকার করা যায়।
একজন হক্কানী আলিম হলেন মানুষের রুহ ও আত্মার চিকিৎসক, আর মাদ্রাসা গুলোই হল একমাত্র সফল মানুষ তৈরীর কারখানা ৷
হক্কানী আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ গন মানুষের যাবতীয় আমল-আখলাক, কাজকর্ম, লেনদেন ইত্যাদির আইন উপদেষ্টা। অতএব বিশ্ব বিবেকের নীতি অনুযায়ী যদি চিন্তা করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে কর্ম সংস্থান ও চাহিদার তুলনায় আলিমদের সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল।
সেখানে যদি প্রতি ১০ কিলোমিটারে এক টি মাদ্রাসা হয় তাহলে এ জাতির রুহ ও আত্মার সুস্থতার জন্য রুহানী চিকিৎসক ও শরয়ী আইন উপদেষ্টার বহু অভাব হবে নিশ্চিন্তে ৷
আসমানী এলেমের চ্চা না থাকলে জাতি তখন মনুষত্য হারিয়ে চতুষ্পদ জানোয়ারের চতিত্রে ভূষিত হবে ৷
আর বহুলাংশে মাদ্রাসা পড়ুয়া পাওয়া যাবেনা ৷এমনিতই দেখা যায় ঘরের পাশে স্কুল মাদ্রাসা থাকা সত্বেও অবিভাবকরা ছেলে-মেয়েদের প্রতিষ্টানে পাঠানোর পর বিভিন্ন কারনে উদ্গীন্ন থাকেন , আর প্রতিষ্ঠানে ও যায়না ৷
আর যদি ১০ কিলোমিটার ব্যবধানে মাদ্রাসা হয় তাহলে মাদ্রাসা পডুয়া কয়জনই পাওয়া যাবে ?
সময় থাকতে ইসলাম প্রিয় তাওহিদী জনতাকে মাদ্রাসা বন্ধের এ ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে ৷বতমানে অনুমানীক প্রতিটি থানাতে ২৫/৩০ টি সরকারী ও কওমী মাদ্রাসা রয়েছে ৷আর প্রাইমারী ও হাই স্কুল ও কলেজ রয়েছে প্রায় শতাধীক ৷
দশ কিলোমিটারের মধ্যে একটির বেশি মাদ্রাসা থাকবে কি থাকবেনা না তাওহিদী জনতাই ঠিক করবে ৷
তাছাডা সরকার বাহাদুর ও এমন কোন হঠকরী সিদ্ধান্ত নিবেনা , বলে আমরা আশা করি ৷ যাতে করে তাওহিদী জনতা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয় ৷
আর কোন মাদরাসা শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকলেও ভিসি ও ট্রেজারার পদে নিয়োগ পাবেন না। =======
এখানে আমি ব্যক্তি গত ভাবে বলতে চাই ভিসি ও ট্রেজারার পদে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ছাডা অন্য কাউকে নিয়োগ দিলে তারা আবশ্যই সন্মানী শিক্ষিত ও উচ্ছ শিক্ষিত ঐ পদে যোগ্য ব্যক্তিদের কেই নিয়োগ দেয়া আবশ্যক , সেখানে সে পদে মাদ্রাসা শিক্ষিতরাই যথাযথ উপযুক্ত মনে করি ,কারন যারা আরবী শিক্ষিত নয় তারা আরবী সমপকে কি বুঝবে ?
-------------------------------------------
মূল খবর টি নীচের লিংক এ দেখুন
http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=109172#
বিষয়: বিবিধ
২১৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন