লফিত সিদ্দিকিকে ক্রস ফায়ারে দেয়া উচিৎ : ড. তুহীন মালিক

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:০৮:৩১ রাত

লফিত সিদ্দিকিকে ক্রস ফায়ারে দেয়া উচিৎ : ড. তুহীন মালিক

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. তুহীন মালিক বলেছেন, এ দেশের মানুষ বরাবরি দেখছে একজন ব্যক্তির জন্য সংবিধান সংশোধন করা হয়, তার ছবি মানার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়। সেই ব্যক্তিকে যেন অবমাননা না করা হয় এজন্য আইন করা হয়েছে। একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুটূক্তি করার জন্য ৭ বছরের জেলে যেতে হয়। একজন ইউনিভারসির্টির শিক্ষক অস্ট্রেলিয়ায় বসে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে জেলে যেতে হয়। এদেশে অতিথি পাখি আসলে এর নিরাপত্তামূলক আইন আছে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলামান থাকায় ধর্মীয়ানুভূতির কোনো আইন এ দেশে নেই। ধর্ম নিয়ে যা খুঁশি তাই বলতে পারে।

ড. মালিক বলেন বলেন, এই লতিফ সিদ্দিকি তো আজকের প্রোডাক্ট না, এর আগেও সে বলেছে, ধর্ম তামাক, মাদকের মতো নেশা। কোরআন তেলওয়াতের কোনো প্রয়োজন নেই। যদি কেউ কোরআন তেলওয়াত করেন তাহলে এর সঙ্গে বাইবেল ও গীতা পড়তে হবে। মোল্লারা ভিক্ষা করে মসজিদ নির্মাণ করেন এবং সেখানে আযান দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করেন।

তুহিন মালিক অভিযোগ করে বলেন, লতিফ সিদ্দিকিকে আস্কারা দিয়ে দিয়ে এই যায়গায় আনা হয়েছে। তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকি একা নয়, তার মত আরো অনেক লতিফ সিদ্দিকি মন্ত্রী পরিষদে রয়েগেছেন। সাম্প্রতিককালে সৈয়দ আশারাফ বলেছেন তিনি হিন্দুও নন, মুসলমানও নন। সাজেদা চৌধুরী বলেছেন সংবিধান থেকে ধর্মের কালো বিধিকে মুছে ফেলতে হবে। মেনন বলেছেন এদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো কওমী মাদ্রাসা জন্মাচ্ছে। সজিব ওয়াজেদ জয় প্রকাশে বলেছেন মাদ্রাসার ছাত্র কমানোর আন্দোলন শুরু করেছি। দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে করতে আজকে লতিল সিদ্দিকী হযরত মুহম্মদ (সা.) ও হজ সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, লতিফ সিদ্দিকিকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য বহিষ্কার করা হচ্ছেনা, বরং তাকে বহিষ্কার করা হচ্ছে জয়-অনুভূতিতে আঘাত হানার অপরাধে।

তুহিন মালিক বলেন, যদি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য তাকে বহিষ্কার করা হত, তাহলে মেনন-ইনুরা অনেক আগেই বহিষ্কার হয়ে যেতেন।

ড. তুহীন মালিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলে কথা, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী কোরবানির আগেই যদি মন্ত্রীপরিষদ থেকে বহিষ্কার হন তাহলে প্রধামন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে বহিষ্কার হোবেন, আল্লার নামে নয়।

তুহিন মালিক বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে চার বছর আগে নিজামি, সাঈদী ও মুজাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়ে ছিল। তখন মামলা করেছিল তরিকত ফেডারেশন, আজ সে তরিকত ফেডারেশন কোথায়? আজকে সরকারের ভুমিকা কোথায়?

লতিফ সিদ্দিকিকে তো বিমান বন্দর থেকে এনে ক্রস ফায়ারে দিয় দেয়া উচিৎ, কারন বাংলাদেশে যে আইন আছে তাতে তার বিচার সম্ভব না। তাই তাকে ক্রস ফায়ারে দিয়ে দেয়া উচিৎ। যদি তাই করা হয় তাহলে ভাল একটা কাজ হবে ক্রস ফায়ারের মাধ্যমে।

তুহিন মালিক বলেন, সরকার নীল নকশা তৈরি করে লতিফ সিদ্দিকী মাধ্যমে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে দেশ জঙ্গি করতে হলে ধর্মীয়ানুভূতির ওপর আঘাত হানতে হবে। এর ফলে ধর্মপ্রাণ মুসলামান উত্তেজিত হয়ে আন্দোলন করবেন। এই সূত্র ধরে দীর্ঘ দিন যাবত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা যাবে। সরকার দেশের মধ্যে এ ধরনের ষড়যন্ত্র তৈরি করেছে।

বিষয়: বিবিধ

১৩৭৬ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

270604
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:২০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ক্রস ফায়ারে কো ন্যায়বিচার হবেনা। আমরা এই মুরতাদ এর বিচার ও শাস্তি চাই।
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
214549
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : লতিফকে ২৮ কোটি জুতা মারা দরকার। এই মুহূর্তে সে মারা গেলে তার জানাযা পরা যাবে নাঃ জুনায়েদ বাবুনগরী
270612
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৯:৩৮
ফেরারী মন লিখেছেন : সাবাস সাহসী মানুষ। প্রকাশ্যে ক্রসফায়ার দেয়া উচিত।
১৬ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৩৪
227828
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : রাইট
270630
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:২৭
সত্যলিখন লিখেছেন :
270639
০১ অক্টোবর ২০১৪ রাত ১০:৪৭
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : ক্রসপায়ারে দিয়া মাইরা পালা
270749
০২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৫
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : সিদ্দিককে প্রকাশ্য জুতাপেটা করে মারা উচিত।তারপর বিনা জানাজায় পুতে দিতে হবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File