নীলফামারীর রামগঞ্জে এখনো মসজিদে আজান ও নামাজ হচ্ছে না

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ১৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৫৫:৪৮ রাত

গত ২৯ দিনেও নীলফামারীর ঐতিহ্যবাহী রামগঞ্জ বাজার, টুপামারী ও লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসেনি। এখনো ওই এলাকার কয়েকটি মসজিদে আজান ও নামাজ আদায় হচ্ছে না। বাকি মসজিদগুলোয় আজান ও নামাজ আদায় হলেও মুসল্লির সংখ্যা হচ্ছে চার থেকে পাঁচজন। গত ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সাথে ১৮ দলের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার জের ধরে যৌথ অভিযান চলছে। এলাকাবাসী জানান, পুলিশি গ্রেফতার আতঙ্কে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানোর কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে ঐতিহ্যবাহী রামগঞ্জ বাজারে এখনো ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। দোকানিরা এখনো ভয়ে তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলছেন না। ক্রেতারাও আসছেন না তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের জন্য। রামগঞ্জ বাজারটি শ্মশানে পরিণত হয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করছেন। যে বাজারটি সবসময় হাজার হাজার ক্রেতা ও বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত থাকত, সেখানে এখন মানবশূন্য।

সরেজমিন টুপামারী ও লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে এখনো ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে সেখানে। সাংবাদিক দেখে অনেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। আবার বাড়ির মহিলারা ঘর থেকে ভয়ে বের হচ্ছেন না। তাদের মধ্যে বিরাজ করছে গ্রেফতার আতঙ্ক। রামগঞ্জ বাজারের পাশের টুপামারী ইউনিয়নের সুখধন বায়তুল ফালা জামে মসজিদ ও বায়তুল নূর জামে মসজিদে ঘটনার পর (১৪ ডিসেম্বর) থেকে আজো আজান ও নামাজ আদায় হচ্ছে না। মসিজদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা গ্রেফতার আতঙ্কে আত্মগোপনে রয়েছেন। রামগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল আজিজ ও মুয়াজ্জিন কারি মোসলেম উদ্দিন পালিয়ে থাকার কারণে সেখানে মুসল্লিরা আজান দিয়ে তিন থেকে চারজন মিলে নামাজ আদায় করলেও জুমার নামাজ আদায় নিয়ে মসল্লিদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে বলে জানান রামগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন চৌধুরী। শুক্রবার জুমার নামাজের আগ মুহূর্তে বেলা ১টা ১০ মিনিটে লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুবাছুরি জামে মসজিদে গিয়ে দেখা গেছে নীরবতা। তখন পর্যন্ত একজন মসল্লিকেও মসজিদ চত্বরে দেখা যায়নি। মুয়াজ্জিন আবুল হাসেম আজান দিয়ে বসে আসেন। তিনি জানান, গ্রেফতারেন ভয়ে কেউ মসজিদে আসছেন না। জুমার নামাজে চার থেকে পাঁচজন মসল্লি হলেও অন্যান্য নামাজ তাকে একাই পড়তে হয় বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, একই অবস্থা ডাঙ্গাপাড়া মসজিদ, কলেজপাড়া জামে মসজিদ, নিত্যানন্দী পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, নিত্যানন্দী পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের। ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা পলাতক থাকার কারণে মুসল্লিরা আজান দিয়ে ও নিজেরাই নামাজ আদায় করছেন। তবে মুসল্লিদের সংখ্যা খুবই কম। সুখধন বায়তুল ফালা জামে মসজিদের সামনে দেখা হয় রায়হান নামে এক বালকের সাথে। সে জানায়, ঘটনার পর থেকে এ মসজিদে আজান ও নামাজ বন্ধ রয়েছে। সে আরো জানায়, ঘটনার পর ফজরের নামাজ পড়তে আসা হাসান আলী নামে এক বৃদ্ধকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পর থেকে এই মসজিদে আজান ও নামাজ পড়তে কেউ আসেন না।

ভাটিয়াপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী শিরিনা বেগম, রবিউলের স্ত্রী আরজিনা বেগম, আমানুল ইসলামের স্ত্রী কুলসুম জানান, গ্রেফতারের ভয়ে ২৯ দিন ধরে গ্রামটি পুরুষশূন্য।

http://dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=OTU0OQ%3D%3D&s=MTY%3D

বিষয়: বিবিধ

২০৫৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

161922
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:১৬

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7218

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> যমুনার চরে লিখেছেন : মসজিদে আজান, নামাজ না হলে দেশের তো ক্ষতি নেই। এ মুহুত্বে মসজিদগুলোকে পুড়ে যাওয়া স্কুলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
161961
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:১৫
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : very recent Bd will be the muslim minority here.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File