ইসলাম কখনো যে কোন সংখ্যা লঘুর উপর জুলুম সমর্থন করেনা
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ১২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৮:৫২:৩৪ রাত
যশোরের অভয়নগর, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ সাতক্ষীরা রামু সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের বাড়িঘর ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর ভাষা খুজে পাচ্ছিনা ৷
দেশবিরোধী শক্তি সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি বিনষ্ট করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের বাড়িঘর ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে ন্যাক্কারজনক হামলা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ এবং তাদের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা কিছু দোসররা এইসব হামলাকে পুজি করে এদেশের আলেম উলামা ও ইসলামী শক্তির উপর এ সকল কুকর্মের দায়ভার চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে তৎপর রয়েছে। ইসলাম কখনো যে কোন সংখ্যা লঘুর উপর জুলুম অত্যাচার নিপিডন সমর্থন করেনা ৷বর্তমানে কিছু নারী নেত্রী টকশোতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম কে দায়ী করছে , রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আর রাজনৈতিক সহিংসতার সাথে কি সমপর্ক আমার বুঝে আসেনা ৷এ সকল নারী নেত্রীরা দেশে যৌতুক প্রথা , নারী ধর্ষন ,হত্যা নারীর সমভ্রম হানী ও সুপ্রিমকোর্টে নারীদের উপর আওয়ামীলিগের হামলা এ বিষয়ে কথা বলতে শুনিনা
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ভাষ্য মতে প্রায় সব খানেই আওয়ামী কেডার বাহিনীরাই এর সঙ্গে জডিত বলে সংবাদ বেরিয়েছে ৷তার পর ও কিছু মিডিয়া ও নামধারী নারী নেত্রীরা ইসলামের গন্ধ তালাশ করে ৷
এই আওয়ামীলিগাররা কি চায় ?
সংখ্যালঘুরা কি মানুষনা ?
এরা কি এ দেশের বৈধ নাগরীক না ?
তাহলে এদের উপর কেন এই পৈশাশীক হামলা ?
কেন সরকার এই সকল নর পশুদের বিচার করেনা ?
এদেশের মুসলমানরা কখনো অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর আঘাতে বিশ্বাসী নয়। আমাদের সামপ্রদায়িক সমপ্রীতির ইতিহাসে ইসলামে তাদের ওপর কটাক্ষ করারও কোনো নজির নেই। বা অনুমতি নেই
নৌকায় ভোট না দিলে হিন্দুদের মোসলমানী করিয়ে দেয়া হবে: {স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকু!} এমন কথা শুনার পর
কোথায় গেলেন সুশীলেরা, কোথায় শাহবাগীরা, কোথায় হিন্দু বৌদ্ধরা, বিদেশীরা? ডরে কি সবাই বালিতে মুখ গুজে আছেন নাকি??
আমরা এ দেশের সংখ্যালঘুদের জান-মালের হেফাজত নিজেদের জান-মালের মতোই মনে করি।
ইসলাম দিয়েছে সকল জাতি ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকল কে স্বাধীন ভাবে ধর্ম কর্ম ও বেঁচে থাকার অধীকার ৷
আমরা এ সকল হামলার তিব্র নিন্দা জানানোর সাথে সাথে দুষিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করছি ৷
বিষয়: বিবিধ
১৩৫০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কোথায় গেলেন সুশীলেরা, কোথায় শাহবাগীরা, কোথায় হিন্দু বৌদ্ধরা, বিদেশীরা? ডরে কি সবাই বালিতে মুখ গুজে আছেন নাকি??
December 15, 2013 | Filed under: চলতি খবর,ঢাকার বাইরে,নগর-মহানগর | Posted by: নিউজ ডেস্ক/এনইউ
satkhiraনিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম
সাতক্ষীরার দেবহাটায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মুখোশধারী ১৫-২০ জন সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এতে দুটি বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ার পর এলাকাবাসী চিৎকার শুরু করলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এসময় এলাকাবাসী ধাওয়া করলে মুখোশ পড়া অবস্থায় এক দুর্বৃত্ত ধরা পড়ে। পরে সে যুবলীগ নেতা বলে দাবী করে।
শনিবার রাত ১১টার দিকে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক আব্দুল গফফর একই এলাকার এলবার গাইনের ছেলে।
আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আটককৃত যুবলীগ নেতা আব্দুল গফফর জানান, স্থানীয় আ’লীগ নেতার নির্দেশে সে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় সে আরো ৩ জনের নাম পুলিশকে জানান।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত সুনীত সরকার জানান, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দেবহাটা থানার ওসি তারক বিশ্বাস জানান, স্থানীয়রা আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে আব্দুল গফফরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের আমীর আসাদুজ্জামান মুকুল জানান, পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের বাড়িতে আ’লীগ আগুন ধরিয়ে দিয়ে জামায়াতের উপর দায় চাপাতে চায়।
- See more at: http://www.newsevent24.com/2013/12/15/এবার-হিন্দুর-বাড়িতে-আগুন/#sthash.dslCpAbV.dpuf
সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সেকেন্দা গ্রামের হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় হাতে-নাতে আটক আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফ্ফারকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
আটককৃত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফফার উপজেলার পারুলিয়া এলাকার এলবার গাইনের ছেলে।
গত রোববার সাতক্ষীরার ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালত আব্দুল গফ্ফারকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের সেকেন্দা গ্রামের সুনীতি সরকারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার সময় এলাকাবাসী হাতেনাতে আব্দুল গফফার নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে সকালে পুলিশ জনতার কবল থেকে গফফারকে উদ্ধার করে আটক দেখিয়ে থানায় নিয়ে যায়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত গফ্ফারকে ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
- See more at: http://www.newsevent24.com/2013/12/16/হিন্দু-বাড়িতে-আগুন-দেয়ায়/#sthash.AhOYzuzI.dpuf
মন্তব্য করতে লগইন করুন