প্রবাসীরা সাবধান ! মধ্যপ্রাচ্যে অপরিচিত কোন শিশুকে আদর করা থেকে বিরত থাকুন
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০৩ নভেম্বর, ২০১৩, ১২:১৩:১৪ রাত
সাধারনত আমরা সকলেই ছোট বাচ্ছা দেখলে আদর করি , এটা সকলেরই স্বভাব সূলভ আচরন ৷
আমি ব্যক্তিগত ভাবে ছোট শিশুদের এমন ভাবে আদর করতাম ,অনেক সময় দেখেছি ৫-১০ মিনিটের ব্যবধানে এক পর্যায়ে ঐ শিশু তার অভিবাবকের কাছে ও যেতে চায়না ,জানিনা এমনটি কেনই বা হয় '৷
কিন্তু প্রবাসে আসার পর আর মন চায়না ,
**************************************
কারন আজ কাল মানুষের চিন্তা-চেতনা বিবেগ বুদ্ধি , কান্ড গেয়ান হীন , অসৎ চরিত্রের বেডা জলে আবদ্ধ হয়ে পডেছে ৷বিভিন্ন পরিস্হিতির কারনে শত ইচ্ছা থাকা সত্বেও কোন শিশুকে আদর করা থেকে বিরত থাকি ৷
***কারন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ছোট দুধের শিশু বা ২/৩/৪/ বছরের শিশুদের নিয়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাই এর কারন ৷
প্রবাসীরা অনেকে বিভিন্ন কারনে একাধারে ২/৩/৪/ বছর বা ততোধীক সময় দেশে যেতে পারেন না ৷ আর এ সময়ে দেশে রেখে আসা তাদের সন্তানরা কি ভাবে আছে না আছে এ নিয়ে সব সময় দূঃচিন্তায় থাকে , এমন সময় প্রবাসে কারো শিশু সন্তান দেখলে বা কাউকে আদর যত্ন করতে দেখলে নিজেদের সন্তানের কথাই মনে পডে যায় ,
এমনি পরিস্হিতিতে আবেগ-আপ্লুত হয় হয়তো কেউ ঐ { মা-বাবার সাথে আসা }বাচ্ছাটিকে গায়ে- মাথায় হাত ভুলিয়ে বা কোলে তুলে নিয়ে বা কপালে বা মুখে চুমে খেয়ে আদর করতে চায়৷
***কিন্তু বড দুঃখের বিষয় এই আবেগ জনিত আদর টুকুই ঐ প্রবাসীর জন্য কাল্ সাঁপ হয়ে দাঁডায় ৷
এই জন্যই অনেকের উপর নির্যাতনের ষ্টিম রোলার চালানো হয় , আবার অনেকের জেল জরিমানা সহ নির্বাসনে যেতে হয় ৷
*****এ রকম শত শত ঘটনা আমার জানামতে ঘটেছে যদি ও এ মুহূর্তে দিন-ক্ষন বলতে পারছিনা ৷
কারন এমনিতেই অনেক আরবরা অনারবকে ঘৃনার চোখে দেখে {যদি ও ভাল-মন্দ সব জায়গায় বিদ্ধমান }
***অনেকে এ আদর কে ঘৃনার চোখে দেখে ,
***আবার অনেকে খারাব মাইন করে বসে,
*** আবার কেউ মনে করে ওরা আমাদের বা দেশের কর্মচারী এদের আবার আদরের কি অধিকার ইত্যাদি ৷
***সম্প্রতি দুবাই তে এক ৪ বছরের শিশুকে চুমু খাওয়ায় অভিযুক্ত ওয়েটারের ৬ মাসের জেল হয়েছে।
এক রেস্টুরেন্টে নার্সারি পড়ুয়া ৪ বছরের এক শিশুকন্যাকে চুমু খাওয়ায় অভিযুক্ত ওয়েটারের ৬ মাসের জেল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দুবাইয়ের এক রেস্টুরেন্টে। তবে অভিযুক্ত ওয়েটারের দাবি তিনি ঐ শিশুকে 'ফাদারদি' কিস করেন।২২ বছর বয়সী ভারতীয় ঐ ওয়েটারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ আনা হয় খাবার পরিবেশনা করার সময় মা;র পাশের আসনে বসা মেয়েটির শরীরে বেশ কয়েকবার হাত দেন ও চুমু খান। তবে অভিযুক্ত ওয়েটারের দাবী তিনি কোনো কু মতলব নিয়ে মেয়েটির শরীরে হাত দেননি। এদিকে, দুবাই আদালত অভিযুক্তের দাবি নাকচ করে দিয়ে তাকে জেলে পাঠান।
তাই প্রবাসীরা সাবধান !
এমন অপরিচিত কারো শিশু সন্তান কে আদর, চুমু খাওয়া ও কোলে তুলে আদর করা থেকে বিরত থাকুন ৷
হ্যাঁ পরিচিত হলে, আশংকা মূক্ত হলে সমস্যা নেই ৷
যদি আপনার সন্তানদের কথা মনে পডে বর্তমান স্কাইপি ,ইয়াহু ম্যাসিঞ্জারের মাধ্যমে আপনার পরিবার সন্তান সন্ততিদের সাথে ভিডিওকলের মাধ্যমে কথা বলুন , তাহলে ঐ আবেগ আর থাকবেনা ৷
বিষয়: বিবিধ
২০৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন