মাদরাসায় হানা কোরবানির পশু জবাইয়ের সব ছুরি নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ২২ অক্টোবর, ২০১৩, ০৯:১৭:০৫ রাত

মাদরাসায় মাদরাসায় হানা কোরবানির পশু জবাইয়ের সব ছুরি নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ ......ভি,পি, উজ্জ্বল....................................................................... রাজধানীর কওমি মাদরাসাগুলোতে হানা দিয়ে পুলিশ কোরবানির পশু জবাইয়ের ছুরি নিয়ে যাচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে পুলিশ ছুরি নিয়ে যাওয়া শুরু করে। ওপরের নির্দেশে ছুরির জন্য মাদরাসাগুলোতে যাওয়ার কথা বলছেন ছুরি সংগ্রহকারী পুলিশ সদস্যরা। তবে কী কারণে ছুরি নেয়া হচ্ছে তা বলা হচ্ছে না। কবে নাগাদ এসব ছুরি ফেরত দেয়া হবে বা আদৌ ফেরত দেয়া হবে কি না পুলিশ কিছ্ইু বলছে না। গতকাল পর্যন্ত রাজধানীর বেশির ভাগ কওমি মাদরাসায় ছুরির জন্য যোগাযোগ করেছে পুলিশ।

অনেক মাদরাসা থেকে ইতোমধ্যেই পুলিশ ছুরি নিয়ে গেছে। এ দিকে ছুরি জব্দ করার ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেলের ডিসি মাসুদুর রহমান বলেছেন, কোনো প্রকারের নাশকতা না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা আছে। মিরপুরের বৃহত্তম মাদরাসা জামেয়া হোসাইনিয়া আরজাবাদ মাদরাসা, লালবাগ মাদরাসা, ইসলামবাগ মাদরাসা, মিরপুর ফুরফুরা শরীফ মাদরাসা, দারুর রাশাদ মাদরাসাসহ বেশ কয়েকটি মাদরাসা থেকে গতকাল সন্ধ্যার আগেই পুলিশ ছুরি নিয়ে গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় কামরাঙ্গীর চর মাদরাসায় পুলিশ গিয়ে আজকের মধ্যে সব ছুরি দিয়ে দেয়ার জন্য মাদরাসার শিক্ষকদের বলে দিয়েছে। অন্য মাদরাসাগুলোকেও আজ মঙ্গলবারের মধ্যে ছুরি জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় অস্ত্র আইনে মামলা করারও হুমকি দিয়েছে কোনো কোনো মাদরাসাকে। এ দিকে ঈদের দিন কোরবানির পশু জবাইয়ের পরপরই নিরাপদ স্থানে সংরক্ষিত রাখা এই সব ছুরি জব্দ করা নিয়ে কওমি মাদরাসাগুলোয় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন হয়রানির উদ্দেশ্যেই পুলিশ এই কাজটি করছে। এতে আলেম উলামাদের প্রকারান্তরে হেয় করার অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেও কেউ কেউ মনে করছেন। কয়েকটি মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা জানান, কওমি মাদরাসার ছাত্ররা কোরবানির ঈদের দিন জনসেবার অংশ হিসেবে কোরবানির পশু জবাই করে ধর্মপ্রাণ মানুষকে সহযোগিতা করে থাকেন। এ জন্য মাদরাসাগুলো শুধু ঈদের দিনের জন্য ছাত্রদের ছুরি দিয়ে থাকে। কোরবানির কাজ শেষে ওই দিনই সব ছুরি জমা দিয়ে গোপন স্থানে সংরক্ষিত করে রাখা হয়। এটা মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ছাড়া আর কেউ জানে না। তারা অভিযোগ করেন, অনেক কওমি মাদরাসায় ছুটি চলছে। এগুলো ছাত্র-শিক্ষকশূন্য। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গতকাল সন্ধ্যায় মিরপুর জামেয়া হোসাইনিয়া আরজাবাদ মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা বাহাউদ্দিন জানান,

পুলিশ প্রথমে তাদের মাদরাসায় গিয়ে ছুরি চাইলে লিখিতভাবে কাগজ জমা দিয়ে তা নেয়ার অনুরোধ করেন।

***********************************

পরে দারুস সালাম পুলিশ ‘ছুরি বুঝে পেলাম’ মর্মে লিখিত নিয়ে মাদরাসায় সংরক্ষিত ছুরি নিয়ে যায়।

*******************************

তিনি বলেন, কোরবানির কাজে ব্যবহৃত এইসব ছুরি এ পর্যন্ত কোরবানি ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার হয়েছে এমন নজির নেই।

***************

তিনি বলেন, এসব ছুরি এমন স্থানে সংরক্ষিত থাকে সেটা ছাত্র-শিক্ষক কারোই জানা থাকে না। তিনি বলেন, হঠাৎ কী উদ্দেশ্যে এভাবে ছুরি সংগ্রহ করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। লালবাগ মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াসেল গতকাল সন্ধ্যায় জানান, গতকাল সন্ধ্যায়ই তাদের মাদরাসায় গিয়ে পুলিশ মাদরাসায় সংরিক্ষত কোরবানির সব ছুরি নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ওপরের নির্দেশেই পুলিশ ছুরি নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে। পুরনো ঢাকা ইসলামবাগ মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, তার মাদরাসা থেকেও পুলিশ ছুরি নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, মাদরাসাগুলো যুগ যুগ ধরে কোরবানির পশু জবাইয়ে সহযোগিতার অংশ হিসেবে ছুরি রেখে আসছে। কিন্তু অতীতে কখনো এভাবে মাদরাসা থেকে ছুরি নেয়ার ঘটনা ঘটেনি। রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী জানান, গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ মাদরাসায় গিয়ে ছুরি চাইলে আজ মঙ্গল আসার জন্য বলা হয়েছে। পুলিশ ছুরি জমা না দিলে অস্ত্র আইনে মামলা করবে বলে শাসিয়ে গেছে বলেও তিনি জানান। এ দিকে খিলগাঁও জামেয়া আরাবিয়া মাদরাসার এক শিক্ষক জানিয়েছেন, পুলিশ আজ মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের ছুরি জমা দিতে বলেছে।

https://www.facebook.com/photo.php?fbid=3459935194477&set=a.2905318849415.1073741827.1753855892&type=1&theater

বিষয়: বিবিধ

১২০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File