জামিয়াতুল উলুম মাদরাসায় অগ্নিকাণ্ড হয়েছে, দাবি কর্তৃপক্ষের

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ০৮ অক্টোবর, ২০১৩, ০৩:০১:১২ দুপুর



জামিয়াতুল উলুম মাদরাসায় অগ্নিকাণ্ড হয়েছে, দাবি কর্তৃপক্ষের ණ

চট্টগাম নগরীর লালখান বাজারের জামিয়াতুল উলুম মাদরাসায়

বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাখ্যা দিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ

দাবি করছে, মাদরাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে আইপিএস

বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে কক্ষটিতে থাকা সব মালামাল

সম্পূর্ণভাবে ভস্মিভূত হয়ে যায়। সোমবার রাতে মাদারাসার দফতর

সচিব মুহাম্মদ মুনির হোসেনের পাঠানো এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ এ দাবি করে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দারুল ইফতা বিভাগের তৃতীয় তলার

একটি কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই কক্ষে থাকা মাদরাসার পাঁচ

শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনকে আটক

করেছে পুলিশ। বিস্ফোরণের ঘটনায় মাদ্রাসায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

সোমবার সাড়ে ছয়টা থেকে সেখানে এ অভিযান চলছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “আজ সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়াতুল উলুম আল

ইসলামীয়া মাদরাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে আইপিএস বিষ্ফোরিত

হয়ে আগুন ধওে যায়। এতে কক্ষটিতে থাকা সব মালামাল

সম্পূর্ণভাবে ভস্মিভূত হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে মাদরাসার

ছাত্রশিক্ষকগণ আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরবর্তী সময়ে ফায়ার

ব্রিগেডের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার পরপরই স্থানীয় যুবলীগ নেতা চিহ্নিত সন্ত্রাসী দিদারুল আলম মাসুমের

নেতৃত্বে মাদরাসায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মিছিল বের করে।

পরবর্তী সময়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশের বিশেষ টিম

কক্ষটি অনুসন্ধান চালিয়ে তেমন কিছুই উদঘাটন করতেপারেনি। দুপুর

পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমের রিপোর্টাররা উপস্থিত ছিলেন।

তারা মাদরাসা কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন এবং সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। তখনো পর্যন্ত বোমা বা এ জাতীয় কোনোকিছুর

আবিস্কার করতে পারেনি।”

বিবৃতিতে বলা হয়, “এরপর মাদরাসার

সম্পত্তি গ্রাসে লোভী একটি মহল ও উপরোক্ত সন্ত্রাসী চক্র

মিলে প্রশাসনের সহযোগিতায় গ্রেনেড পাওয়া গেছে বলে প্রচার শুরু

করে। অথচ সেখানে দেশের সকল মিডিয়া প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিল। তাদের প্রস্থানের পর বিকেলের দিকে এ জাতীয় নাটক

সাজিয়ে মাদরাসার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

আমরা জানতে পেরেছি, যে, উক্ত সন্ত্রাসী মাসুমই গ্রেনেড সরবরাহ

করে পুলিশকে দিয়ে মামলা সাজানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। গ্রেনেডের

খবর প্রচারিত হওয়ার পর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের আনন্দ উল্লাসই

প্রমাণ করে এটি তাদের দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন।” বিবৃতিতে বলা হয়, “মাদরাসাটি ইসলামের পক্ষে সবসময় সোচ্চার

ভূমিকা গ্রহণ করায় ইসলামবিদ্বেষী মহলের টার্গেটে পরিণত হয়েছে।

ইতিপূর্বেও মাদরাসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হয়েছিল।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে বারার অনুসন্ধান

তল্লাশী ইত্যাদি চালিয়ে এসব অপপ্রচারের কোনো ভিত্তিই

খুঁজে পাওয়া যায়নি।” বিবৃতিতে বলা হয়, “মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক একজন

আন্তর্জাতিক খ্যতিসম্পন্ন আলেমে দ্বীন, দেশের শীর্ষ পর্যায়ের

রাজনীতিবিদ আললামা মুফতি ইজহারুল ইসলামের দেশ, জাতি ও

ইসলামের পক্ষে আপসহীন ভূমিকা যাদের গাত্রদাহের কারণ, তারাই এ

ধরনের একটি নিছক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র

করে ঘোলাপানিতে মাছশিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা প্রতিষ্ঠানের সব ছাত্রশিক্ষক ও শুভাকাঙ্খীর পক্ষ থেকে এ

অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” —Voice of Qawmi Madrasa : কওমী মাদ্রাসার কন্ঠস্বর

বিষয়: বিবিধ

১০৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File