দাঁডির জন্য ৬০ হাজার টাকা মূল্য পরিশোধ করতে হলো আমাকে
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৮:৫৯:৫৭ রাত
দাঁডির জন্য ৬০,০০০ টাকা মূল্য পরিশোধ ,একি অভাক হয়েছেন ? না ভাই অভাক হওয়ার কোন কারন নেই , কারন আল্লাহ পাক যাদের কবুল করেন তাদের দ্বারা এমন কিছু করিয়ে দেখান , অন্যকে শিক্ষা দেয়ার জন্য , ইব্-রত্ হাসল করার জন্য ৷
দাড়ী রাখা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল, যা হাদীসে দ্বীন ইসলামের চিহ্ন বলে বিবেচিত। নবী কারীম সা. অসংখ্য হাদীসে দাড়ী রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন, এবং জোড়ালোভাবে দাড়ী লম্বা রাখতে নির্দেশ প্রদান করেছেন। তাই দাড়ী রাখা নবী সা. এর নির্দেশ ও ওয়াজিব। আমার প্রিয় নবীজি সহ পৃথিবীর সকল নবী রসুলদের সুন্নত ৷ যা পালন করা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষের কর্তব্য।
এমন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশের ব্যপারে মা-বাবা বাধ সাধলে এ ক্ষেত্রে তাদের কথা মান্য করা যাবে না।
এমন কি কর্ম ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ দাঁডি রাখায় বাঁধ সাজলে তা প্রত্যাক্ষান করা ঈমানী দায়িত্ব ৷ এ ক্ষেত্রে ও কারো কথা মানা যাবেনা ৷
তেমনি একটি ঘটনা ঘটে যায় আমার প্রবাসের কর্ম জীবনের শুরুতে সেই ২০০০ সনে ,
********************
যখন আমি সৌদি আরবে একটি ফুলের দোকানে চাকুরী নি , তখনও আমার মুখে লম্বা সুন্নতি দাঁডি সোভা পাচ্ছিল ,এক পর্যায়ে মালিক পক্ষ প্রথমে আমাকে ক্লিন সেইপ হতে অনুরোধ করলো , তাতে আমি রাগাম্বিত-বিচলিত হওয়াতে , দাঁডি খাটো করতে অনুরোধ করলো , তাতে ও রাজি না হওয়াতে , দোকানের ব্যবসার সমস্যা হবে এমন অনেক অনেক খোঁডা যুক্তি আমার সামনে উপস্হাপন করলে তাতে ও আমার মনে ছিড্ লক্ষ না করতে পেরে ,
আমার তিন মাসের রক্ত ঝরানো মুজুরী বাবত পাওনা বাংলার ৬০,০০০ হাজার টাকা আটকিয়ো দিলো মালিক পক্ষ ,
পরিশেষে অনেক দেন-দরবার করে ঐ রক্ত ঝরানো টাকা গুলো আদায় করা সম্ভব হয়নি ৷
পরিশেষে আখেরাতের কথা ভেবে , নবীর সুন্নতের প্রতি অকৃত্তিম ভাল বাসা ,আর শ্রদ্ধা রেখে আমাকেই , আমার প্রিয় নবিজীর সুন্নত কে সমুন্নত রাখতেই , এই দাঁডির জন্য ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হলো ৷
আলহামদুলিল্লাহ এই টাকার জন্য বিন্দু মাত্র ও আমার মনে কোন প্রকারের কষ্ট অনুভব হয়নি ৷
এর পর আল্লাহ পাক ছোবহানাহু ওয়াতায়ালা আমাকে এর চেয়ে আরও সন্মান জনক পোষ্টে ভাল বেতনে চাকরীর বন্দোবস্হ করেছেন ৷
যে আল্লাহর জন্য , আল্লাহ ও তার জন্য হয়ে যায় ৷
{ লা-তোয়াতা লি মাখ্ লুক্বীন ফি মাছিতিল্ খালেক } কেননা মহান রাব্বুল আলামীন ও তাঁর রাসূলের নির্দেশের মুকাবেলায় দুনিয়ার কারো নির্দেশই পালনযোগ্য নয়। সেমতে আপনি দাড়ী রাখুন এবং মা-বাবা সহ অন্যদর হিকমত ও আদরের সাথে বুঝাতে থাকুন ও তাদের হেদায়াতের জন্য দোয়া করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন