হ্নীলার ছদর সাহেব হুজুর এন্তেকাল ও তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনি

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ২৫ জুলাই, ২০১৩, ০৪:২৬:০৩ রাত



কক্সবাজার জেলার এক দ্বীনের বাতি নিভে গেল , এবং চলে গেলেন না ফেরার দেশে ৷



হ্নীলার ছদর সাহেব হুজুর আর নাই”

===================

প্রক্ষাত ‘আলেমে দ্বীন,মু’হাদ্দীস ও পটিয়ার মুফতী আজিজুল হক্ব রহঃ এর একনিষ্ট খলিফা ক্বুতবে জামান মাওলানা ইসহাক প্রকাশ ছদর সাহেব আজ জুহরের সময় ইন্তেকাল করেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, তাঁর বয়স ছিল ৯৭ বছর,আগামীকাল জুহর নামাজের পর হ্নীলা মাদ্রাসা মরহুমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

চলুন আমাদের যাদের পক্ষে সম্ভব তারা সবাই দলে দলে মরহুমের জানাযায় শরিক হয়ে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।

তিনি এমন এক আলেম ছিলেন তাঁর ব্যবহার ,এলম ,আমল ,সত্যিই ইষান্নীত এমন আলেম কক্সবাজার জেলায় অদ্বিতীয় ৷ আল্লাহ হুজুরের সকল আমল কবুল করে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে দিন আমিন ৷

জীবনী:_----

তিনি স্ত্রী,৯ পুত্র,৬ মেয়ে নাতি-নাতনি ও দেশে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ছাত্র মুরিদ ও শুভাকাংকী রেখে যান। মরহুম মাওলানা ইসহাক ১৯১৬ সালে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পুর্ব সিকদার পাড়া গ্রামে প্রখ্যাত মুসলিম ও মাওলানা পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম মাওলানা আবদুর রউফ। মাতার নাম ছরফুন্নেছা। মরহুম সদর সাহেব হুজুররা ২ ভাই ৪ বোন। ১৯২১ সালে তিনি প্রাথমিক লেখাপড়া শুরু করেন তার পারিবারিক মাদ্্রাসায়। ১৯২৭ সালে হ্নীলা দারুস্্ সুন্নাহ প্রতিষ্ঠা হলে তিনি সেখানে ভর্তি হন। পরে বাঁশখালী পুশুরী সরকারী মাদ্্রাসায় ভর্তি হন। সেখান থেকে উ’লা (ফাজিল) পাশ করেন। পরে ইন্ডিয়া দারুল উলম দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস সনদ লাভ করেন। লেখাপড়া শেষ করে তিনি ১৯৪৭ সালে দক্ষিণ চট্টলার সর্ববৃহৎ কওমী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পটিয়া মাদ্্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি ১০ বছর শিক্ষকতা করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি হ্নীলা মাদ্্রাসায় সদরে মোহতামিম ও প্রধান মুফতি হিসেবে যোগদান করেন। তিনি এ মাদ্্রাসার শায়খুল হাদিস ছিলেন। জানা যায় মরহুম সদর সাহেব হুজুর নিজে নিজে হাফেজে কোরআন শিখে পটিয়া মাদ্্রাসা থেকে হাফেজে কোরআনের উপর সনদ অর্জন করেন। তিনি আমৃত্যু হ্নীলা আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্্রাসার শায়খুল হাদিস, সদরে মোহতামিম ও প্রধান মুফতির দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য ৮ জুলাই আছরের নামাজের জন্য অজুরত অবস্থায় আকস্মিক ঢলে পড়েন। সে থেকে তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে ১৬ জুলাই মঙ্গলবার গুরুতর অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রামের একটি কিনিকে ভর্তি করা হয়। বেশকিছুদিন তাঁকে চট্টগ্রামের সিএসসিআর কিনিকের আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেণে রাখা হয়। তিনি রক্তশূণ্যতা ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। উপমহাদেশের এই সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমের মৃত্যুতে টেকনাঢ সহ পুরো দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃস্পতিবার দুপুর ২টায় হ্নীলা আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ মাদ্্রাসা মাঠে মরহুমের নামাযে জানাযা ও পারিবারিক কবস্থানে দাফন অনুষ্ঠিত হবে। ==

বিষয়: বিবিধ

১৭৯৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File