এক কথায় এরা ভন্ড ভন্ড,

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ২৬ জানুয়ারি, ২০১৩, ১০:৩২:৩৪ রাত

প্রসংগ মাজার উৎপত্তি

আল্লাহর রাসুল সা: আলী রা: কে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, সকল উচু কবর ধ্বংস করার জন্য। আমাদেরও এখন একই কাজ সকল উচু কবর, মাজার নামের ব্যবসা ধ্বংস করে দেওয়া, মাটির সাথে সমান। আফসোসের বিষয় সেই আলী রা: এর কবরই এখন মাজারে পরিনত করছে।

মাজার শব্দের অর্থ হলো দর্শনীয় স্থান। যেটা দেখলে মন ভাল হয়। যেমন সমুদ্র সৈকত একটা মাজার বা দর্শনীয় স্থান।

সহীহ হাদিসগুলোতে আছে, কবর পাকা করা নিষেধ, কবরে বাতি দেওয়া নিষেধ, কবরের উপর ঘর নির্মাণ নিষেধ, কবরকে উৎসরেব স্থান বানানো নিষেধ, কবরে গিলাফ লাগানো নিষেধ। কিন্তু আমাদের মুসলমান নামধারীরা সবগুলো নিষেধ করা কাজই বেশী করে করে।

বলতে পারে সেগুলো পীরদের মাজার। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই পীরগুলার অস্তিত্ব কেন সাহাবাদের যুগে নাই, কেন তাবেয়ীদের যুগে নাই। কারণ এটা একটা ব্যবসা যা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে।

আল্লাহ কোরআনে বলেছেন

সূরা ফাতির-২২> হে নবী, তুমি কবরে শায়িতদের কথা শুনাতে সক্ষম না।

আর আমাদের কবরগুলোতে এমনই আক্বিদাহ পোষন করে যে কবর বাসী শুনে।

আল্লাহ কোরআনে বলেছেন

সূরা আহকাফ-৯> হে নবী, বল, আমি জানি না আমার সাথে আল্লাহ কি ব্যবহার করবেন এবং আমি জানি না আল্লাহ তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করবেন।

বুঝার চেষ্টা করুন, নবী নিজেই যেখানে জানেন না তার সাথে কি ব্যবহার হবে, সেখানে আমাদের দেশের অনেক মূর্খ মানুষরা মনে করে আব্দুল কাদের জিলানী, শাহ জালাল, শাহ পরান (র রা জান্নাতি। তারা জান্নাতের সার্টিফিকেটই দিয়া দেয়।

অনেকে তাদের মুখে জান্নাতি না বললেও মনে মনে সেটা বিশ্বাস করে। আর ঈমান হলো সেটাই যা অন্তরে বিশ্বাস করা হয়, মুখে স্বীকার করা হয় এবং কার্য দ্বারা সম্পাদন করা হয়।

কবরপুজারী, মাজারপুজারীরা মুখে অস্বীকার করলেও তাদের অন্তর এই স্বাক্ষ্যই দেয় যে তারা জান্নাতি।

আল্লাহ আমাদের কবর পুজা, মাজার পুজা ইত্যাদি থেকে বাচার তৌফিক দান করুন। আল্লাহ এই পীর পুজারী, কবর পুজারীদের হেদায়েত দান করুন।

সম্মানিত (?) পীরগণ ও তাদের মুরিদগণ কোরআন থেকে দলিল দেন যে আদম আ: কে সিজদাহ করতে বলা হইছিল ফেরেশতাদের। কারণ কি? কারণ তিনি তাদের চেয়ে বেশী জ্ঞান সম্পন্ন ছিলেন। পাশাপাশি আদম আ: ও ফেরেশতাদের মধ্যে জ্ঞান এর প্রতিযোগীতায় তিনি জয়লাভ করেছিলেন।

তো আদম আ: এর যদি জ্ঞান বেশী থাকার কারণে ফেরেশতারা তাকে সিজদাহ করে। তাহলে পীরের জ্ঞান বেশী থাকার কারণে কেন মুরীদরা তার সিজদাহ করতে পারবে না?

শয়তান যেহেতু আদম আ: কে সিজদাহ করেনি, তাই সে জাহান্নামী। তেমনি বর্তমানে যে পীরদের সিজদাহ করবে না তারাও শয়তান, জাহান্নামী।

--------------------------------------------------------------------

তাদের এই দলিল এক কথাতেই খন্ডন করা যায় যে,

-===================================

জ্ঞান বেশী থাকার কারণে যদি কাউকে সিজদা করা যেত তাহলে বিশ্ব নবী, সর্বশেষ ও চুড়ান্ত নবী, আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী মোহাম্মদ সা: ছিলেন সেই সিজদাহ পাওয়ার সর্বপ্রথম দাবীদার এবং সবচেয়ে যোগ্য। সকল পীরের থেকেও যোগ্য।

=> কিন্তু সাহাবাগণ কি তাকে সিজদাহ করেছিলেন?

=> মহানবী সা: কি তাদের সিজদাহ করতে বলেছিলেন তাকে। নাকি এক আল্লাহকে?

আল্লাহু আকবার।

সিজদাহ একমাত্র আল্লাহর প্রাপ্য। পীর নামক শয়তানগুলো আল্লাহর এই অধিকারেও হাত দিয়েছে। তাদের মতে যারা পীরকে সিজদাহ করে না তারা শয়তানের মতো জাহান্নামী। মূলত যারা পীরকে সিজদাহ করে তারা আল্লাহর ইবাদাত কে খন্ড খন্ড করে আল্লাহর পাশাপাশি মানুষের ইবাদাত এ লিপ্ত যা শিরকে আকবর।

সত্য প্রকাশিত হওয়ার পরও এমনটি যে করে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।

আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

আমাদের দেশে মাজারের তো অভাব নেই ,

তেমনি মাজার পূরহিতদের ও অভাব নেই .

এমন ও অনেক আছে যাদের দেখেছি , জীবনে এক ওয়াক্ত নামাজ পডার ও সূযোগ হয়নি , বা কেউ তাকে নামাজ পডতে দেখেনি , আবার বলতে গেলে ভক্তরা বলে থাকে যে তাঁদের পীরের নাকি বেলায়েত নছিব হয়েছে , তাই নাকি নামাজ পডতে হয়না ,

আবার কেউ বা বলে তাদের পীর বাবা নাকি দৈনিক হারাম শরীফ তথা মক্কাশরীফে গিয়ে নামাজ

আদায় করেন ,ইত্যাদি এ সব বোকাদের কথা মাএ

এক জন সূস্হ মস্থীক্ক বা বিবেক বানদের কথা নয় .

সারা জীবন মদ, জূয়া, গাঁজা, ভান, নেশার বিতর মস্হ থেকেই মারা গেলেই পীর , দরবেশ , অলী . হয়ে যায় ,

আর সেখানেই গডে উঠে মাজার ,

আবার দেখা গেছে উলঙ্গ ঘূরা পিরা করছে , মানূষ মামা মামা বলে দৌডাচ্ছে , আর মারা গেলেই সঙ্গে সঙ্গে পীরে পরিনত হয়ে কবর কে মাজারে পরিনত করছে , এক শ্রেনীর কবর পূজারীরা

পৃথিবীর যতই বড মানুষ . চাই সে পীর আউলিয়া যাই হউকনা কেন কারো জন্য এক ওয়াক্ত নামাজ মাফ নেই . আবার যতই বড নেককার দ্বীনদার বজুগ হউক না কেন শরিয়তে নিষিদ্ব কোন জিনিস তার জন্য হালাল হয়ে যায়ণা .

এটা সবাই বুঝেন

একমাত্র ভনড মাজার পূজারীরা ছাডা ,

একটা ছোট ১০/১২ বৎসরের নাবালেগ শিশু ও উলঙ্গ হতে লজ্যাবোধ করে , আর এক জন পীর বা দরবেশ উলঙ্গ থাকলে কি লজ্যা করেনা , এ কেমন পীর ? এ কেমন ভক্ত ?

এক কথায় এরা ভন্ড ভন্ড,

আবশ্যই নেককার দ্বীনদার ================হক্কানী রব্বানী পীর আউলিয়া , আলেম ওলামা গন আমাদের সন্মানের পাএ . মাথার তাজ তাদের কথা ,নছিহত শুনবো . তারা এন্তেকাল

করলে মাগফেরাততের দোয়া করবো ইত্যাদি , যতক্ষন পযন্ত তারা শরিয়তের অনূকরন অনূসরন করবেন .

আর যাদের বিতরেই শরিয়ত নেই ,বা মানেনা আবার তাদের কে মানার প্রশ্নই আসেনা

বিষয়: বিবিধ

১৪৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File