হিলফুল ফুজুল ও আমাদের প্রিয় নবী ,হিলফুল ফুজুলের পাঁচ দফা

লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ২৫ জানুয়ারি, ২০১৩, ০১:০০:৩৭ রাত

হিলফুল ফুজুল

যুদ্ধ ছিলো আরবদের নেশা। শত শত পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিলো। মানুষের কোন নিরাপত্তা ছিলো না। সবাই আতংকের মধ্যে দিন কাটাতো। আয যুবাইর ইবনু আবদিল মুত্তালিব ছিলেন একজন কল্যাণকামী ব্যক্তি। তিনি এই অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে মত বিনিময় করেন। অনুকুল সাড়াও পেলেন। শিগগিরই গড়ে উঠলো একটি সংগঠন। নাম তার হিলফুল ফুদুল। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বয়স তখন সতের বছর। তিনি সানন্দে এই সংগঠনের অন্তর্ভূক্ত হন।

হিলফুল ফুজুলের পাঁচ দফা

১। আমরা দেশ থেকে অশান্তি দূর করবো।

২। পথিকের জান-মালের হিফাজাত করবো।

৩। অভাবগ্রস্থদের সাহায্য করবো।

৪। মাযলুমের সাহায্য করবো।

৫। কোন যালিমকে মক্কায় আশ্রয় দেবো না।

হাজরে আসওয়াদ বিরোধ মীমসাংসা

পাহাড়ের উপত্যকায় অবস্থিত কাবা। একবার পাহাড়ের পানি এসে তার দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে। কুরাইশদের নতুনভাবে গড়ে তোলে কাবার দেয়াল। নির্মাণ কালে হাজরে আসওয়াদ কাবার কোণ থেকে সরিয়ে রাখা হয়। দেয়াল নির্মাণের পর পাথরটি আবার স্বস্থানে বসাতে হবে।

কুরাইশদের সব খান্দান এই মহান কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করলো। এই নিয়ে শুরু হলো বিবাদ। যুদ্ধ বেঁধে যাবার উপক্রম। আবু উমাইয়াহ ইবনুল মুগীরাহ প্রস্তাব দেন যে, যেই ব্যক্তি সবার আগে কাবা প্রাঙ্গনে পৌঁছাবে তার উপর এই বিরোধ মীমাংসার ভার দেয়া হবে। সে যেই সিদ্ধান্তে দেবে তা সবাই মেনে নেবে। সকলে এই প্রস্তাব মেনে নেয়।

অতপর দেখা গেলো সকলের ধীর পদে এগিয়ে আসছেন এক যুবক মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সবাই ছুটে এলো তাঁর কাছে। ফায়সালার দায়িত্ব তুলে দিলো তাঁর হাতে। তিনি একটি চাদর আনার নির্দেশ দেন। চাদর আনা হলো। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিজ হাতে হাজরে আসওয়াদ তুলে চাদরের মাঝখানে রাখলেন। হাজরে আসওয়াদ স্থাপন করতে ইচ্ছুক প্রত্যেক খান্দানের এক একজন প্রতিনিধিকে চাদর ধরে উপরে তুলতে বললেন। সকলে মিলে পাথরটি নিয়ে এলো কাবার দেয়ালের কাছে। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাদর থেকে পাথরটি তুলে যথাস্থানে বসিয়ে দিলেন। সবাই খুশী। এড়ানো গেলো একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

বিষয়: আন্তর্জাতিক

৩০৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File