নামধারী সুন্নীরা আক্বিদার মাধ্যমে যে ভাবে ইংরেজদের দালালী করছে
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ৩০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:০১:১৯ বিকাল
বর্তমানে আমাদের দেশের নামধারী সুন্নীদের পরিচয়:
বর্তমানে যারা নিজেদেরকে সুন্নী বলে পরিচয় দেয় আর অন্য সকল মুসলমানদেরকে ওহাবী/কাফের বলে বেড়ায় তারা মূলত সূন্নী নয় বরং তারা হল রেজভী বা ইংরেজ দালাল আহমদ রেযা খার অনুসারী। এরা ইংরেজদের দালালীর ঐতিহাসিক কুখ্যাতিকে সুন্নী নামের অন্তরালে ঢেকে রাখার অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদেরকে সুন্নী বলে প্রচার করে বেড়ায়। এরা ইংরেজের পক্ষের দালালীর কুখ্যাতিকে সমাজের চোখে আড়াল করে রাখার জন্য নিজেরা সুন্নী নামের মুখোশ ধারণ করে নিয়েছে। যদিও বর্তমানে এদেশে ইংরেজ শাসন টিকিয়ে রাখার জন্য তাদের পক্ষে দালালী করার সেই পরিবেশ নেই,
কিন্তু ধর্মীয় ব্যাপারে রেজভীরা এখন অতি সূক্ষ্ন চক্রান্তের মাধ্যমে ইংরেজদের পক্ষে দালালী করে যাচ্ছে।
***********************************************
উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হযরত রাসূলে পাক (স এর প্রতি তাদের লোক দেখানো অতিভক্তি প্রদর্শণ করতে গিয়ে রাসূলে পাক (স কে স্বয়ং আল্লাহর জাতি নূর (মানি আল্লাহর স্বত্তার অংশ) আলেমুল গাইব, হাযির নাযির বলে প্রচার করে এবং রাসূল (স সর্ম্পকে এ সকল ভ্রান্ত আকীদা বিশ্বাস স্থাপন করাকে সুন্নী হওয়ার জন্য শর্ত হিসেবে আরোপ করে থাকে। শুধু তাই নয়, বরং যারা রাসূল (স সর্ম্পকে এ সকল ভ্রান্ত ধারনা রাখেনা, তাদেরকেই ওহাবী কাফের বলে প্রচারণা চালিয়ে সমাজে ফেরকাবাজীর বীজ বপন করে থাকে।
অথচ তাদের লোক দেখানো নবী-ভক্তিমূলক এ সকল নব উদ্ভাবিত আকীদা গুলো হচ্ছে শিরকী আকীদা।
এসকল শিরকী আকীদা পোষন না করলেই যদি রেজভীদের ভাষায় ওহাবী কাফের হয়ে যায়, তাহলে রেজভীদের পূর্ব-পুরুষগণ সহ প্রায় দেড় হাজার বৎসরের মুসলিম উম্মাহকে কি বলতে হবে ?
কারন তাদের কেউই তো রাসূল (স সর্ম্পকে এ সকল শিরকী আকীদা পোষণ করতেন না। আসল ব্যাপার হচ্ছে এ সকল শিরকী আকীদাকে সুন্নী আকীদা আখ্যা দিয়েই রেজভীরা ধর্মীয় ক্ষেত্রে আতি তীক্ষ্নভাবে ইংরেজদের দালালী করে যাচ্ছে। আমরা তাদের হাযির-নাযির ও আলিমুল গাইব এর শিরকী আকীদার বিরুদ্ধে ইসলামী আকীদা বিস্তারিত দলীল সহ পরবর্তীতে আলোচনা করব,
তার আগে দেখে নেই যে, কিভাবে তারা এ শিরকী আকীদাগুলো দ্বারা মূলত এখনো ইংরেজদের দালালীই করে যাচ্ছে।
রাসূল(স খোদার জাতি (আল্লাহর নূরে সৃষ্টি) না মানুষ জাতি :
নূর শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে আলো। এ অর্থে আল্লাহর জাত বা সত্তা নূর হতে পারে না। বরং আল্লাহকে নূর বলা কুফরী। কারণ আলো হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্ট, আর তিনি হচ্ছেন স্রষ্টা ।এ মর্মে আল্লাহ পাক সূরায়ে আনয়ামের প্রথম আয়াতে বলেন : “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আসমান-যমীন এবং আলো-আধাঁর সৃষ্টি করেছেন।” এ আয়াতে সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অন্ধকারের বিপরীতার্থে যে আলো আছে, তা আল্লাহর সৃষ্ট। আর আল্লাহকে সৃষ্ট বলা কুফর তা বলারই অপেক্ষা রাখে না। সুতরাং আল্লাহকে নূর বলা যে কুফর, তা সন্দেহাতীত ভাবেই প্রমানিত।
বাকী রইল যে আয়াতে আল্লাহকে নূর বলা হয়েছে সে আয়াতের মর্ম। যেমন সূরায়ে নূর এর 35 নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “ আল্লাহ আসমান-যমীনের নূর।” এখানে নূর শব্দকে তার পূর্বোক্ত আভিধানিক অর্থে নয়, বরং পবিত্র কুরআনের পারিভাষিক অর্থে বলা হয়েছে। আর সে অর্থটি হচ্ছে হেদায়েত। অর্থাৎ আসমান-যমীনের বাসিন্দাদের হেদায়েত দানের প্রকৃত মালিক হচ্ছেন আল্লাহ। [ছহীহ বুখারী শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ফাতহুল বারী: 3/3]।
ছহীহ মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ শরহে নুবুভী 1/99 তে উল্লেখ আছে : ‘আল্লাহকে আভিধানিক অর্থে নূর বলা যাবে না। কারণ এ অর্থে নূরেরও আকৃতি আছে। অথচ আল্লাহ দেহ বা আকৃতির গন্ডী থেকে উর্দ্ধে। এটাই মুসলিম উম্মাহর সকল ইমামগণের মাযহাব। আর পবিত্র কুরআনে যে আয়াতে এবং যে সকল হাদীসে আল্লাহকে নূর বলা হয়েছে, এর অর্থ হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা, আসমান-যমীনের বাসিন্দাদের হেদায়েত দাতা এবং মুমিন বান্দাগণের অন্তর রৌশনকারী।
উপরোক্ত আলোচনার দ্বারা পরিস্কার হয়ে গেল যে, আল্লাহর জাত বা সত্তাই নূর নয়। এমতাবস্থায় হযরত রাসূলে পাক (স আল্লাহর জাতি নূর বা আল্লাহর জাত বা সত্বাগত নূর হওয়ার তো কোন প্রশ্নই আসে না। তদুপরি একটু সময়ের জন্য ও যদি আল্লাহর জাত বা সত্ত্বাকে নূর বলে ধরে নেয়া হয়, তাহলে রাসূল (স কে আল্লাহর জাতি নূর বলতে গেলে প্রশ্ন দাড়ায় যে, এর অর্থ কি রাসূল স্বয়ং আল্লাহর জাত বা সত্ত্বা ? যদি তাই হয়, তাহলে এর সুস্পষ্ট মর্ম দাঁড়ায় আল্লাহই রাসূল এবং রাসূলই আল্লাহ। আর এটা যে প্রকাশ্য কুফর তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর যদি বলা হয় রাসূল আল্লাহর জাতি নূর মানে হুবহু আল্লাহর সত্ত্বা নন, বরং তাঁর সত্ত্বার অংশ বিশেষ, তাহলে এর পরিস্কার মর্ম দাড়ায় আল্লাহর জাত বা সত্তায় রাসূল অংশীদার। অথচ এটা যে প্রকাশ্য শিরক তা বলাই বাহুল্য।
পক্ষান্তরে পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত এবং অগণিত হাদীসে পরিস্কার ভাষায় উল্লেখ রয়েছে যে, হযরত মুহাম্মদ (স সর্বশেষ নবী ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হওয়া সত্ত্বেও তিনি সহ সকল নবী রাসূলগণ মানুষ জাতি। এ মর্মে সূরা কাহফ এর 110 নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “হে রাসূল (স আপনি বলে দিন যে, তোমরা যেমন মানুষ আমিও মানুষ ছাড়া অন্য কিছু নই।” সূরায়ে বনী ইসরাঈল এর 93 নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “হে রাসূল (স আপনি বলে দিন যে, আমার প্রভু পবিত্র, আমি মানুষ রাসূল ছাড়া অন্য কিছু নই। ”
এছাড়া বিভিন্ন হাদীস এবং ইসলামের ইতিহাসে পরিস্কার ভাষায় বিবৃত হয়েছে যে, হযরত মুহাম্মদ (স জাতিগত ভাবে মানুষ, তার পিতা-মাতা উভয়েই মানুষ ছিলেন। সুতরাং তিনি মানুষের সন্তান মানুষ। এদিকে তৃত্ববাদী মুশরিক খৃষ্টানদের আকীদা বা ধর্ম বিশ্বাস হচ্ছে তাদের নবী যীশু (হযরত ঈসা আ খোদার পুত্র। অথচ যে ব্যাক্তি যার পুত্র বা সন্তান হয়, নি:সন্দেহে সে তারই জাতি বা সত্ত্বার অংশ বিশেষ হয়। যেমন মানুষের সন্তান হয় মানুষ জাতি, পশুর সন্তান হয় পশু জাতি এবং জ্বিনের সন্তান হয় জ্বিন জাতি। মোটকথা ইংরেজরা হযরত ঈসা (আ কে খোদার পুত্র বলে দাবী করত: তাকে খোদার জাতিতে অংশীদার সাব্যস্ত করেছে। অথচ কুরআনে এ দাবীকে প্রকাশ্য কুফর এবং শিরক বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে । যেমন সূরায়ে মায়েদার 72 ও 73 নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “ যারা মরিয়ম পুত্র (হযরত ঈসা আ কে (খোদার পুত্র) খোদা বলেছে, তারা অবশ্যই কুফরী করেছে। অথচ মসীহ (আ বলেছেন হে বনী ইসরাঈলগণ! তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, যিনি আমার এবং তোমাদের সকলের প্রভূ। বস্তুত: যারা আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করে আল্লাহ তাদের জন্য বেহেশত হারাম করেন। আর তাদের ঠিকানা জাহান্নাম এবং জালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই।”সূরায় এখলাসে আল্লাহ বলেন, “হে রাসূল (স আপনি বলে দিন যে, আল্লাহ একক, আল্লাহ স্বনির্ভর। তিনি কারো জন্মদাতা পিতা নন এবং কারো সন্তানও নন। আর তার কোন সমকক্ষ নেই।”
অথচ রাসূলে কারীম (স কে আল্লাহর জাতি নূর বললে যে, তাকে আল্লার জাত বা সত্ত্বার সমকক্ষ করা হয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়া পবিত্র কুরআনের আরও বহু আয়াত দ্বারা প্রমানিত যে, কাউকে আল্লাহর সন্তান বা আল্লাহর জাতি বলা প্রকাশ্য শিরক। তাই ইংরেজরা মুসলমানদের কাছে তাদের নবী যীশুকে আল্লাহর জাতি বা সত্ত্বা অথবা সত্ত্বার অংশ বিশেষ হওয়ার ভ্রান্ত দাবী প্রমাণ করতে পারেনি।
এহেন পরিস্থিতিতে রেজভীরা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স কে আল্লাহর জাতি বলে প্রচার করার অর্থ কি এই নয় যে, মুসলমানেরা যদি এ কুফরী এবং শিরকী কথাটা মেনে নেয় তাহলে ইংরেজরা বিশ্ব মুসলিমের সামনে এ চ্যালেঞ্জ নিয়ে দাঁড়াতে পারবে যে, হে মুসলমানগণ! মানব জাতিতে নবী মুহাম্মদ (স এর পিতা থাকা সত্ত্বেও যদি অযৌক্তিক ভাবেই তিনি আল্লাহর জাতি হতে পারেন, তাহলে আমাদের নবী যীশুর কোন পিতা মানব জাতিতে না থাকা অবস্থায় যুক্তি সঙ্গত ভাবেই (?)
তিনি খোদার জাতি হতে পারবেন না কেন ? এই হচ্ছে রেজভীদের লোক দেখানো নবী ভক্তির নামে তাকে আল্লাহর জাতি নূর বলে প্রচারের মাধ্যমে ধর্মীয় ক্ষেত্রে ইংরেজদের পক্ষে দালালীর স্বরূপ।
উপরোক্ত আলোচনায় দেখা গেল রেজভীরা রসূলে পাক (স কে আল্লাহর জাতি নূর বলে প্রচার করার দ্বারা ইংরেজদের নবী যীশুকে খোদার জাতি প্রমাণ করার পথ সুগম করে দিচ্ছে ।
তদুপরী রাসূল (স কে আলিমুল গাইব ও হাজির নাজির বলে প্রচার করার মাধ্যমে তাকে আল্লাহর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গুণাবলীতে অংশীদার সাব্যস্ত করত: ইংরেজদের বাইবেলের আরেকটা শিরকী উক্তিকে সত্যরূপে প্রমাণ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে । যেমন, মুহিউস সুন্নাহ হযরত মাও: সরফরায খান সাহেব তার তাবরীদুন নাওয়াযের কিতাবের 79 পৃষ্ঠায় বইবেলের উদ্ধুতি দিয়ে উল্যেখ করেছেন যে, ইংরেজরা তাদের বিকৃত বাইবেলে যীশুকে হাযির নাযির বলে দাবী করেছে। এবার রেজভীদের কথায় মুসলমানরা নিজেদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স কে তাযীমের নামে হাযির নাযির বলে মেনে নিলে এ ব্যাপারেও ইংরেজরা মুসলমানদেরকে চ্যালেঞ্জ প্রদান করতে পারবে যে, তোমাদের নবী যদি তোমাদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনের স্বীকৃতি ছাড়াই হাযির নাযির প্রমাণিত হতে পারেন, তাহলে আমাদের যীশু আমাদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের স্বীকৃতি পেয়েও (?) হাযির নাযির হতে পারবেন না কেন ?
রেজভীদের নিকট আমাদের প্রশ্ন, নবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আদম সন্তানের বাইরে না ভিতরে? যদি বলে বাইরে তবে তো তার সাথে কথা বলা অনর্থক। আর যদি বলে যে, তিনিও আদম সন্তানের মধ্যে গণ্য, তখন আমরা বলব আদম (আলাইহিস্ সালাম) কিসের তৈরী, নুরের না মাটির? যদি বলে ‘মাটির তৈরী’ আর এটা বলতে তারা বাধ্য- তাহলে তাদের নিকট প্রশ্নঃ মাটির তৈরী পিতার সন্তান কিভাবে নূরের তৈরী হল? তাদের নিকট আরেকটি প্রশ্নঃ আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মহান আল্লাহর নিম্ন বর্ণিত বাণীর বাইরে না ভিতরেঃ ‘এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃজন করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করব। (সূরা ত্বো-হা:৫৫)
যদি তারা স্বীকার করে যে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)ও উক্ত আয়াতের আওতাভুক্ত তাহলে তো তারা স্বীকার করেই নিল যে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও মাটির তৈরী, আর তা স্বীকার করাই ঈমানের দাবী। আর যদি বলে যে, না তিনি উক্ত আয়াতের আওতাভুক্ত নন তবে তো তাদের সাথে আর কোন কথাই নেই। কারণ তারা কুরআন ও হাদীছ অস্বীকারকারী বলে গণ্য হবে, যার ফলে কুফরী ফতওয়ার শিকার হবে।
আসলেই পৃথিবীতে যত বিদআতী রয়েছে, তারা সকলেই স্থূল বিবেকের অধিকারী। তারা সকলেই কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সঠিক মর্মবাণী অনুধাবন করতে ব্যর্থ, তাই তাদের এ অবস্থা যে, তারা কুরআন ও হাদীছের বিরোধিতায় লিপ্ত রয়েছে। তারা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দেখেও আমল করে না। বরং ইহুদীদের মত তার বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে।
তাদেরকে আরেকটি প্রশ্নঃ নূরের তৈরী ব্যক্তির সন্তান-সন্তনি কিসের তৈরী? যেমন আমাদের নবী যদি নূরের তৈরী হন, তবে তার সন্তান-সন্ততি যেমন-ফাতেমা, যায়নাব, রুকাআইয়া, উম্মুকুলছুম এবং ক্বাসেম ও ইবরাহীম (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) তাঁরা তাহলে কিসের তৈরী? তাদের যারা সন্তান যেমন ফাতিমা (রাযিয়াল্লাহু আনাহা)-এর সন্তান হাসান ও হুসাইন-তারা কিসের তৈরী?
যদি বলেঃ তারা মাটির তৈরী, নূরের তৈরী নন, তাহলে আমরা বলবঃ নূরের তৈরী ব্যক্তির সন্তান মাটির তৈরী কোন্ যুক্তিতে হবে? যিনি নূরের তৈরী হবেন (তার সন্তান-সন্ততি হলে)তার সন্তান-সন্ততিও নূরের তৈরী হবে এটাইতো স্বাভাবিক, তাহলে তারা নূরের তৈরী হলেন না কেন? আর যদি তারা বলে যে, নবীর মত তার সন্তান-সন্ততি যেমন-ফাতেমা, যায়নাব, রুকাআইয়া, উম্মুকুলছুম এবং ক্বাসেম ও ইবরাহীম (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) তাঁরাও নূরের তৈরী! তাদের যারা সন্তান যেমন ফাতেমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-এর সন্তান হাসান ও হুসাইন-তাঁরাও নূরের তৈরী? যদি এমনটি তারা বলে তাহলে তো তাদের সঙ্গে আর কথাই নেই, কারণ তারা এমনই একটা কথা বলেছে যার মিথ্যাচারিতা ও ভিত্তিহীনতা একটা পাগলের নিকটও সুস্পষ্ট। ঐরূপ কথাতে বিবেকবান তো দূরের কথা পাগলরাই অট্টহাসি দিবে। কারণ একথা সর্বজন বিদিত যে বনী আদমের প্রজন্ম হিসাবে তাঁরাও সৃষ্টিগত দিক থেকে মাটির তৈরী।
http://351224351224.blogspot.com/2013/04/blog-post_28.html
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন