বুলগেরিয়ায় মসজিদকে সরাইখানায় পরিণত,মসজিদটি ফিরিয়ে দেয়ার পরিবর্তে গ্রান্ড মুফতির কাছ থেকে ৬ লাখ ইউরো দাবি , সকলেই এগিয়ে আসুন
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ২৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:১৪:৪৮ রাত
বুলগেরিয়ায় মসজিদকে সরাইখানায় পরিণত
বুলগেরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী প্লোভদিভের একটি ঐতিহাসিক মসজিদকে বারে পরিণত করায় সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায় প্রচ-ভাবে মর্মাহত। মসজিদটি ফিরে পেতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা সরবরাহ করাও তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে তারা জানিয়েছেন।
প্লোভদিভের মুফতি আহমেদ এরসিন ওয়ার্ল্ড বুলেটিন ওয়েবসাইটকে বলেন, এটা আমাদের কাছে বড়ই অসহনীয় যে নামাজের জন্য তৈরি মসজিদ তালাবদ্ধ থাকবে। এটা আরো দুঃখজনক যে, সেই মসজিদকে বারে পরিণত করা হবে এবং সেখানে নেশাজাতীয় পানীয় সরবরাহ হবে।
১৬ শতাব্দীতে প্লোভদিভে নির্মিত তাসকপরু (স্টোন ব্রিজ) মসজিদটিকে একটি বার ও রেস্টুরেন্টে পরিণত করা হয়েছে। ১৬ শতকের উসমানীয় স্থাপত্যের এক অমর কীর্তি ঐ মসজিদটির ব্যাপারে বিয়োগান্তক ঘটনার সূত্রপাত্র হয় ১৯২৮ সালের এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর থেকে। সেই ভূমিকম্পে ঐতিহাসিক ঐ মসজিদটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ভূমিকম্পে মসজিদের ধ্বংসপ্রাপ্ত মিনারটি মেরামতের জন্য মসজিদের জমির একটি অংশ বিক্রি করে দেয়া হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ আদায় না হওয়ার কারণে মেরামতের কাজও সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ১৯৪৪ সালে কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মসজিদটি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে সেটি বন্ধ করে দেয়। সেই থেকে সেখানে নামায আদায় বন্ধ ছিল। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বাজেয়াপ্ত সম্পদ যথাযথ কর্তৃপক্ষের হাতে ফিরিয়ে দেয়া শুরু হয়।
কিন্তু তাসকপরু মসজিদটি এক আদালতের নির্দেশে দু’জন বুলগেরীয় নাগরিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আঞ্চলিক মুফতির অফিস থেকে জানানো হয় তারা আশা করেছিল মসজিদটি মুসলমানদের কাছে ফেরত দেয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা দেয়া হয়নি। ১৯৯০ সালের গোড়ার দিকে দখলদাররা মসজিদটি ভাড়া দিয়ে দেয় যেটি এখন একটি “গ্রীক সরাইখানা” ও ইতালিয়ান রেস্টুরেন্ট এবং বার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মসজিদের মধ্যে নির্মিত ঐ রেস্টুরেন্টে মদ বিক্রি এবং সরবরাহের ঘটনায় সেখানকার মুসলমানরা খুবই ক্ষুব্ধ এবং তারা মসজিদটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও রেস্টুরেন্টের মালিকরা মসজিদটি ফিরিয়ে দেয়ার পরিবর্তে গ্রান্ড মুফতির কাছ থেকে ৬ লাখ ইউরো দাবি করেছে। কিন্তু মুফতির অফিস থেকে জানানো হয়েছে তারা এর অর্ধেক পরিমাণ অর্থ যোগান দিতে সক্ষম। গ্রান্ড মুফতি মুস্তফা এলাইস হাজী বলেন, আমাদের কাছে এর বিকল্প নেই। বুলগেরিয়ার মোট জনসংখ্যা ৭৩ লাখের মতো। যার মধ্যে ১৫ শতাংশ মুসলমান যার হার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত যে কোন দেশের তুলনায় বেশি।
অন-ইসলামের সৌজন্যে
http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=114465
বিষয়: বিবিধ
২০৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন