মূর্তির বা ভাস্কর্যের ব্যাপারে ইসলামের কঠোর নির্দেশন ,
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ১০ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৩২:১৩ দুপুর
মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা। হেফাজতের দাবী সমূহের একটি
লেখক আনিসুল হক , এই দাবির বিপক্ষে মিথ্যা প্রমান করতে চেয়েছে মূর্তি বা ভাস্কর্য বানানো জায়েজ এবং হেফাজতে ইসলাম দেশের সংস্কৃতির প্রতীক যত ভাস্কর্য আছে তা ভেঙে ফেলার কথা বলেছে যা চরম মিথ্যা।
প্রথম কথা হল-হেফাজতে ইসলামের দাবিটিতে এটা বলা হয় নি দেশের সংস্কৃতিতে থাকা ভাস্কর্য গুলো ভেঙে ফেলতে হবে বরং নতুন করে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি বানানো বন্ধ করতে হবে এটা বলা হয়েছে কেননা এমন ভাবে চলতে থাকলে শেখ হাছিনা বলবে আমারটা বানান, আবার খালেদা জিয়া এসে বলবে আমার পরিবারের মূর্তি বানান, এ ভাবে সকল রাজনিতিক, শিক্ষাবিদ্ বুদ্ধিজিবিরা দাবি তোলা যদি শুরু করে তাহলে ভাবতে পারেন এ দেশের অবস্থা কি হতে পারে ?সেটা বন্ধ করার ব্যাপারে মুসলিম হিসেবে দাবি করা কোন মতে অপরাধ হতে পারে না।
মূর্তি বা ভাস্কর্য মধ্যে কোন পার্থক্য নেই এটা আমার নয় বরং 'oxford dictionary' তেও একি শব্দ বলে গণ্য হয়।
মূর্তির বা ভাস্কর্যের ব্যাপারে ইসলামের কঠোর নির্দেশন ঃ
===================================্ -
প্রথমে নিম্নের আয়াত ও সহীহ হাদীসগুলোর উপর নজর বুলিয়ে নিন।
৩. আব্দুল্লাহ বিন উমর রা: বলেন, নবী স: বলেছেন, “এই সব প্রতিকৃতির শিল্পীদের খুব শাস্তি দেয়া হবে। বলা হবে, তোমরা যা সৃষ্টি করেছ, তাতে প্রাণ দাও তো।” (বুখারী:২য় খন্ড, পৃ:৮৮০, মুসলিম:২য় খন্ড, পৃ:২০১, রশীদীয়া লাইব্রেরী দিল্লী) (বুখারী:৫৯৫১, মুসলিম:২১০৭)
৪. ইবনে আব্বাস রা: বলেন, আমি নবীজী স: কে বলতে শুনেছি যে, “যে কেউ দুনিয়াতে কোন প্রতিকৃতি তৈরি করবে তাকে কিয়ামতের দিন বাধ্য করা হবে যেন সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে, অথচ সে তা করতে সক্ষম হবে না।” (বুখারী:৫৯৬৩, মুসলিম:২১১০)
৬. আয়েশা রা: বলেন, “নবী স: ঘরে কোন ছবি-মূর্তি কিছু পেলে ছাড়তেন না, বরং তা সাথে সাথে ভেঙে ফেলতেন বা নষ্ট করে ফেলতেন।” (বুখারী:২:৮৮০,আবু দাউদ)
আবু জুহায়ফা রা: বলেন, “নবী স: প্রতিকৃতি নির্মাণকারীদের কঠোর ভাষায় অভিসম্পাত করেছেন।” (বুখারী:২:৮৮১, আবু দাউদ)(বুখারী:৫৯৬২)
“তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, আকৃতি দানকারী।” (সূরা হাশর:২৪)
“তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদের মাতৃগর্ভে যেমন ইচ্ছে তেমন আকৃতি দেন”। (সূরা আলে ইমরান:৬)
“আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি, তারপর তোমাদের আকৃতি দিয়েছি”। (সূরা আ’রাফ:১১)
তিনি এক, তার বৈচিত্র্যময় সৃষ্টিতে সর্বক্ষেত্রে “এক”-ই থাকতে চান। তিনি “মুতাকাব্বির” বা অহংকারী। অহংকার তাঁর গুণ, তা তো তাকেই মানায়। বান্দার এতে সামান্য প্রশ্ন তোলারও অবকাশ নেই।
এসব হাদীসের ভিত্তিতেই প্রখ্যাত হাদীসবেত্তা ইমাম নববী বলেন, এ ব্যাপারে হাদীস বিশারদগণ একমত যে রূহ বিশিষ্ট প্রাণীর প্রতিকৃতি বানানো নিষিদ্ধ এবং হারাম। (ফাতাওয়াল ইসলাম, প্রশ্ন নং:৭২২২ ও ২০৮৯৪, মাকতাবা শামেলা)
পাঠক আমাদের সংস্কৃতি হিসেবে কোন মূর্তি বা ভাস্কর্য ভাঙ্গার কথা হেফাজতে ইসলাম বলে নি বরং এ ভাবে যেন মূর্তি বা ভাস্কর্য বানানোর প্রতিযোগীতা না শুরু হয় সে জন্য ইসালামের নির্দেশনা সামনে রেখে দাবি টি করা হয়েছে তাহলে এটার মধ্যে ভুল খুজা অপ সংস্কৃতি দালালরাই করতে পারে ।ইরান ও লিবিয়ায় এবং শেখ সাদী ও শেখ ফরিদদুদ্দীন আত্তার (রহঃ)-এর মাজারের সামনে ভাস্কর্যের কথা উল্লেখ করেছেন। কোথায় কি ভাস্কর্য আছে তা ইসলামের দলিল নয়। দলিল হলো কোরআন ও হাদিস।
বিষয়: বিবিধ
২৩৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন