সাম্প্রদায়িক হামলা ও বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজুর রহমান ০৯ মার্চ, ২০১৪, ০২:৫৪:১৯ দুপুর
বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুসিত দেশ। এখানে জনসংখ্যার দিক ধেকে দ্বিতীয় অবস্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে । স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন এদেশের সকল ধর্মের মানুষ। তারা আশা করেছিলেন লাল সবুজের পতাকার নিচে আমরা ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে একত্রে বসবাস করব। আমাদের পার্শ্ব রাষ্ট্র ভারত হিন্দু অধ্যুসিত রাষ্ট্র। সেখানে মুসলমানের সংখ্যা সেদেশের জনসংখ্যার তুলনায় খুবই সামান্য।ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন রাজনৈতিক আকার ধারন করেছে। বাংলাদেশের যে গোষ্টী ভারতের স্বার্থ উদ্ধারে সহায়ক ভারত একপেশে ভাবে তাদেরকে অযৌক্তিক সমার্থন দিয়ে আজ গোটা দেশটাকে হুমকির মুখে দাড় করিয়েছে। সাম্প্রদায়িকতার মিথ্যা অজুহাতে দেশকে আজ রসাতলের দিকে ঢেলে দিচ্ছে। যারা সাম্প্রদায়িকতা,সাম্প্রদায়িকতার স্লোগান তুলে গলা ফাটিয়ে ফেলছেন তারা কখনো কি এর গভিরে প্রবেশ করে দেখেছেন? সাম্প্রদায়িক হামলার মিথ্যা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত অজুহাতে গোটা জাতিকে বিভক্ত করার পায়তরা আপনারা কি কখনো বন্ধ করবেননা? স্বাধীনতার পর থেকে সাম্প্রদায়িক হামলার যে অভিযোগ এসেছে তার কোনটাই কি আসলে সাম্প্রদায়িক হামলা? শুধু ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারনে কি সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে? নাকি এর পেছনে ভিন্ন কোন কারন আছে সেটা আমাদের কাছে আজ স্পষ্ট নয়। এ পর্যন্ত যতগুলো এমন ঘটনা ঘটেছে তার পেছনে ২টা কারন সাধারনত বিদ্যমান। প্রথমত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাসানোর জন্য এবং দ্বিতীয়ত কারো ব্যাক্তিগত উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য হামলা করা হয়েছে সংখ্যালঘুদের উপর, যার ভিতরে অন্যাতম হল জমি দখল,ব্যাবসায়িক দ্বন্দ ইত্যাদি। কিন্তু আজ এসব ঘটনার সঠিক তদন্ত না করে একতরফাভাবে কোন এক গোষ্ঠীকে এর পেছনে দায়ি করে ফলোয়াভাবে প্রচার করা হচ্ছে। যার কারনে ক্ষতিগ্রস্থরা পাচ্ছেনা সঠিক বিচার,ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে প্রকৃত অপরাধিরা, এবং হয়রানির স্বীকার হচ্ছে স্বাধারন জনগন। আমাদের দেশের মানুষ শান্তি প্রিয়্ কিন্তু কতিপয় অসাধু চক্রের কাছে গোটা জাতি আজ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি চায়, তারা অসাম্প্রদায়িকতাকে বুকে নিয়ে একে অপরের সাথে এক কতারে থেকে জীবন ধারন করতে চায়। কিন্তু সৃষ্টি কর্তায় জানে এ অবস্থা থেকে মুক্তিকামী মানুষের মুক্তি কবে মিলবে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন