লেখাটি যতবার পড়েছি , ততবার কেঁদেছি !
লিখেছেন লিখেছেন বিডি রকার ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:২৬:৫১ দুপুর
চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না !!
** ”সাতক্ষীরা” জেলাঃ ছোট্ট একটা জনপদ কিন্তু স্বাক্ষ্য হয়ে রইল এক ঐতিহাসিক ইসলামী আন্দোলনের….
১. এই জেলায় জামায়াতে ইসলামীর সদস্য সংখ্যা বাংলাদেশের সব জেলা থেকে বেশী। সংখ্যাটা দশ বছর আগে ছিল ৪০০; ( এখন কত বুঝে নিন—- )
২. দেশের একমাত্র জেলা যার আনাচে কানাচে সব জায়গায় ইসলামী আন্দোলনের সমর্থকে ভরপুর।
৩. দেশের একমাত্র জেলা যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইসলাম পালনে আগ্রহি। প্রত্যন্ত গ্রামে যাবেন দেখবেন ক্ষেতের পাশে কাজ শেষে চাষীরা জামায়াত করে নামাজ আদায় করছে। চিংড়ী ঘেরের পাশে দেখবেন কর্মীচারীরা নামাজ পড়ছে। কাজ ও চলছে সেই চলছে সাথে সময় মত প্রার্থনা।
৪. বায়তুল মাল দেবার ক্ষেত্রে এইজেলা সারা বাংলাদেশের সব জেলার থেকে অনেক অনেক ব্যবধানে এগিয়ে।
৫. সমর্থকদের বাড়িতে গেলেও দেখবেন এলাহি কান্ড— বায়তুল মাল আদায়ের জন্য নজীরবিহিন প্রচেষ্টা। বাড়িতে দশটা নারিকেল গাছ আছে এর এক্টিতে সাইনবোর্ড লাগানো আছে— ‘ইসলামী আন্দোলনের জন্য’—-অনুরূপ আরেকটি সাইনবোর্ড দেখলাম চিংড়ী মাছের ঘেরে—-তার মানে হচ্ছে তার আয়ের একটা বিশাল অংশ চলে যায় ইসলামী আন্দোলনের বায়তুল মালে।
৬) বাবা চাচারা নিজেদের ছেলেদের ছোটবেলা থেকেই গড়ে তোলেন ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে। এক ছেলে শহীদ হলে আরেক ছেলেকে ময়দানে পাঠান— এই ঘটনার অনেক সাক্ষী আছে। এত কিছুর জন্যই আমাদের সাতক্ষীরার ভাইদের জন্য উপহার—- ১. গত চার বছরে এই জেলায় শহীদ সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। ২. বাড়ি ঘর গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক ভাই এর। অনেক গ্রাম পুরুষ শুন্য থাকে বেশীরভাগ সময়। ৩. একটি গ্রামে আসামী ধরতে পুলিশ গিয়েছিল ৩২ গাড়ি!! ৪. চিংড়ী ঘেরে কাজ করতে থাকা থেকে তুলে এনে গুলি করে মারা হয়েছে অনেক ভাইকে। ৫. দেলোয়ার হোসাইন সাইদী সাহেবের রায়ের দিন গুলিতে মারা গেছে শিবিরের ২১ জন ভাই। ৬. অষ্টম শ্রেনীর এক ভাইকেও ধরে এনে গুলি করে শহীদ করা হয়েছে। ————-প্রতিদিন ভাড়ী হচ্ছে শহীদী মিছিল। এখন পুলিশী গ্রেফতার ও ক্রসফায়ার এড়াতে গ্রামগুলোতেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে টিম করে করে রাত জেগে দিনে থেকে ভাইরা পাহাড়া দিচ্ছে। এই শীতের রাতেও তাদের জন্য বিছানার সুখ কপালে নেই। মাঠে তাবু টানিয়ে থাকতে হচ্ছে। যাতে পুলিশ এলেই সবাইকে সাবধান করা যায়। অনেককে আবার জঙ্গলেও পালাতে হচ্ছে—— এতকিছুর পরো তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম কেমন আছেন? উত্তরটা ছিল— “সাতক্ষীরার মাটি আমাদের ইসলামী আন্দোলনের ঘাটি হিসেবে যেহেতু তৈরী হয়ে গেছে শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত এই মাটি ছেড়ে এক কদম নড়বোনা ইনশা আল্লাহ। খুনের ভয় দেখিয়ে আমাদের আর লাভ নেই। এখানের ছোট্ট শিশুটিও আর গুলির ভয় পায়না————-”
—
…. আসুন সবাই সাতক্ষীরার ভাইদের জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করি। আল্লাহ যেন এদের সবাইকে তার রহমতের ছায়ায় স্থান দেন।
(সাতক্ষীরা থেকে ফেরা এক ভাই এর মুখ থেকে শোনা)
বিষয়: রাজনীতি
১৯১৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জঙ্গিবাদী--আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক
জঙ্গিবাদী--আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক
আল্লাহ্ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর। [৬১-৪].
-আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে জিহাদ করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি। [২-১৯১]
মন্তব্য করতে লগইন করুন