শাহবাগ যখন যাহ্‌..ভাগ

লিখেছেন লিখেছেন বিডি রকার ১৪ মে, ২০১৩, ০২:৩২:০৯ দুপুর

শাহভাগিদের দম্ভোক্তি দেখে আজ বড়ই আশ্চর্য লাগে ! তাদের ভাষ্যমতে ৫ই মে গভীর রাতে হেফাজতের কর্মীরা গুলি দেখে ভয়ে পালিয়ে এসেছে । হাত উপরে তুলে সারেন্ডার করেছে কেউ কেউ , কেউ আবার কান ধরে উঠবসও করেছে ।

ধরে নিলাম তাদের কথাই ঠিক । কিন্তু সাথে একটা কথা তো বলতেই হয় , হেফাযতের ঐদিনের সমাবেশ ক্রেকডাউন করার জন্য প্রায় ১০হাজারের চেয়েও বেশি পুলিশ অভিযানে নেমেছিল , তাদের সাথে ছিল ভয়ংকর সব অস্ত্র ; তারা প্রায় দেড় লক্ষাধিক গুলি,টিয়ারশেল,বম্ব ইত্যাদি ব্যবহার করেছিল ।

আমার প্রশ্ন হল এরকম একটা কমান্ডো অভিযান যদি শাহবাগে প্রেরণ করা হত তাহলে এই দালালপ্রেমিক-সাহসী শাহভাগিরা কি করত ?

একটু দৃশ্যপটটা কল্পনা করি , শাহবাগে প্রবেশ করেছে বেশি না মাত্র এক হাজার সশস্ত্র পুলিশ । ওমা ! পুলিশ কে মারমুখী দেখা মাত্রই কথিত গুটিকয়েক প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধারা যার যা আছে তাই ফেলে রেখে পালিয়ে গেলেন । কিন্তু তারা পালাতেও পারলেন না , কেননা পুলিশ সবদিক দিয়ে ঘিরে রেখেছে তাদের । এদিকে মাঝখানের দিকে থাকা কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা তখনও ঢুলছেন , একটু আগে যে ব্যাপকহারে মাল টেনেছেন তার রেশ এখনও যায়নি । তবে পুলিশের কিছু ফাঁকা গুলির শব্দে তাদের কিছুটা চেতনা ফিরল । পুলিশ এখনও কাউকে ফায়ার করছে না । ফায়ার করবেই বা কেন , তার আগেই যে সবাই পুলিশের দিকে মুখ করে অনন্ত সেজদায় পরে গেছে । পুলিশ এবার ধীরে ধীরে মঞ্চের দিকে যেতে লাগল ।

মঞ্চের দিকে পুলিশকে যেতে দেখেই এইচআইভি এইডস সরকার তার প্যান্টের চেইন খুলে পুরোই দিগম্বর হয়ে গেল । ভয়ে ভয়ে বলতে লাগল এই দেখেন আমি নাস্তিক না আমি খাঁটি মুসলমান । দেখেন না আমার খৎনাটা কি সুনিপুনভাবে করা হয়েছে ।

পুলিশ গেল লারকি আক্তারের কাছে । কিন্তু এক কদম যেতে না যেতেই তিনি তার সতীত্ব বিলিয়ে দেবার প্রস্তাব দিলেন ; বললেন বিনিময়ে আপনাদের কাছ থেকে এক পয়সাও নিব না , তবুও আমাকে ছেড়ে দেন ।

পুলিশ এবার পাশেই দেখতে পেলেন মুরগি হাতে নিয়ে একজন কুখ্যাত মুরগিচোর দাড়িয়ে আছে যার নাম শাহরিয়ার চোরা । তিনি পুলিশকে দেখেই আমতা আমতা করতে লাগেলন ; বললেন আমরা জানতাম এদিক দিয়ে কোন গাড়িঘোড়া চলে না তাই এখানে রাস্তা অবরোধ করেছিলাম । প্লিজ আমাকে ধরবেন না ।

তার পাশেই থর থর করে কাপছিলেন মুন্তাসির ভোঁদাই । পুলিশ দেখা মাত্রই আতঙ্কে চিৎকার করে বললেন ,দেখেন আমি খাঁটি মুসলিম , এই দেখেন আমি কালিমা তইয়েবা বলতে পারি । বলেই তা পড়া শুরু করলেন তা । এছাড়াও তিনি বললেন , আমি ইমানে মুজমাল আর ইমানে মুফাসসালও পারি ।

পুলিশ এবার একটু অন্যপাশে ঘুরলো । সাথে সাথেই লক্ষ্য করল , এক কোণায় জড়সড় হয়ে মুখ লুকিয়ে পালিয়ে আছে বেশ কিছু প্রজনন ভ্লগার । তাদের মধ্যে আছে আরিফ ঝেপ্টিক , অমি শিয়াল , মারুফ খাটাশ । পুলিশ দেখামাত্রই তারা এক পায়ে কানে ধরে উঠবস করতে লাগল । আর চেঁচিয়ে বলতে লাগল , হে মালিক আপনারা আমাদের দয়া করে জানে মারিয়েন না , কারন এখনও আমরা আমাদের ইন্ডিয়ান প্রভুদের কাছ থেকে অনেক টাকা পাই - এখন মরলে তো আর পাওয়া হবে না । আপনারা ইচ্ছা করলে আমাদের গুহ্যদ্বার দিয়ে উত্তপ্ত উট পাখির ডিম প্রবেশ করাতে পারেন । তবুও মাইরা ফালাইয়েন না ।

অতঃপর মাত্র দশ মিনিটের অভিযানে পুরো শাহবাগ চত্বর গরের মাঠ হয়ে গেল । অভিযান শেষ হওয়ার পর দেখা গেল সেখানে মলমুত্রের ছড়াছড়ি । প্রজনন যোদ্ধাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা দেখে অবাক হয়ে গেল সবাই , এতো ত্যাগও কেউ করতে পারে । কি সুন্দর! শরীর থেকে তারা ফেলে গেল কিছু দামি জিনিস । অবশ্য সে দামি জিনিসের গন্ধে সকাল বেলার হালকা পরিবেশটা অনেকাংশেই ভারী হয়ে গেল ।

অবশেষে পুলিশি অভিযানে চলে যেতে বাধ্য হল শাহভাগিরা । তবে চলে গিয়েও গেল না তারা , রেখে গেল হলদে ছাপটা । আহা ........

বিষয়: বিবিধ

১৪১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File