দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরিক্ষা : HIC exam
লিখেছেন লিখেছেন বিডি রকার ০৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:১০:৪৩ দুপুর
গতকাল 6 ই এপ্রিল 2013 রোজ শনিবার হয়ে গেল
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পাবলিক
পরিক্ষা HIC ( hefazot Islam certificate ) exa
m। এই পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের প্রায়
পাচ কোটি মুসলমান।
তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হল এই বিশাল পাবলিক
পরিক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পরিক্ষার হলে আসার
জন্য সরকার সাহায্য তো করেই নি বরঞ্চ,
পদে পদে সরকার সেসব পরিক্ষার্থী দের পরিক্ষায়
অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে মারাত্মক বাধা প্রদান করে।
জানা যায়, অনেক জায়গায় সরকার নির্লজ্জ
ভাবে বাস, লঞ্চ,ফেরী ইত্যাদি বন্ধ করে দেয় যেন
পরিক্ষার্থীরা ঢাকায় তাদের নির্ধারিত
পরিক্ষা কেন্দ্রে না উপস্থিত হতে পারে। সরকারি এ
বাধা সম্পর্কে পরিক্ষার্থীদের
কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানায়, সরকার
ভেবেছেন তারা এতো বিপুল সংখ্যক
পরিক্ষার্থী একত্রে এক হয়ে যদি পরিক্ষায় পাশ
করে ফেলে, তাহলে সরকার পালানোর জন্য
কোনো জায়গা পাবে না। তাই সরকার এহেন আচরণ
করছে।
এদিকে পরিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষিত হতে না পারে তাই
শিক্ষাবিমুখ গুটিকয়েক সংখ্যালঘু একই দিন হরতাল
ডাকে যে হরতাল মুলত সরকার দলীয়দের দ্বারাই
পালিত হয়।
এদিকে এতো বাধা বিপত্তির পরও মতিঝিলের
শাপলা চত্ত্বরের খোলা ময়দানের পরিক্ষার
হলে সকাল থেকেই দলে দলে বিপুল সংখ্যক
পরিক্ষার্থী তাদের প্রধান শিক্ষক রাসুলূল্লাহর ও
আল্লাহর নাম জপতে জপতে হাজির হতে থাকে।
বাংলার শিক্ষার্থীরা পরিক্ষা বিমুখ হলেও সেদিনের
সেই পরিক্ষায় পরিক্ষার্থীদের সতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ
ছিলো চোখে পরার মত। তাদের চোখে মুখে ছিল
আনন্দের ঝলকানি, যেন এ পরিক্ষায় অংশগ্রহণ
করতে পারায় অনেক খুশি। এছাড়াও দুর দুরান্ত
থেকে যেসব পরিক্ষার্থী রা এসেছিলেন
তাদেরকে সেখানকার স্থানীয়
পরিক্ষার্থী রা সানন্দে খাবার পানি দিয়ে গ্রহণ
করে নেন। পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে এসব
পরিক্ষার্থিরা তাদের দেশ থেকে মানুষ রুপি কিছু
কুকুরের ঘেউ ঘেউয়ের হাত থেকে বাঁচতে তাদের
বিতারনের জন্য শ্লোগান দেন
দিনব্যাপী চলে ইতিহাসের অন্যতম বিশাল এই
পরিক্ষা। এতে শিক্ষকরা জানায় এটা তাদের একমাত্র
পরিক্ষা নয়, এটা মুলত তাদের প্রথম পরিক্ষা।
সামনে আরও বড় বড় পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে,
এবং সেগুলোতেও পরিক্ষার্থীদের বিপুল সাড়ার
আশা তারা করছেন। তারা জানায়, এই পরিক্ষায়
যারা অংশগ্রহণ করেছে ও
সহযোগিতা করেছে তারা সর্বোচ্চ নাম্বার নিয়ে পাশ
করেছে। এছাড়াও যারা বিভিন্ন
কারনে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সরাসরি অংশগ্রহণ
করতে পারে নাই তারাও ক্রিতিত্তের সাথে পাশ
করেছে। তবে যারা পরিক্ষা না দিয়ে তার
বিরোধিতা করছে তারা পরিক্ষা দিতে নিজেদের
অক্ষমতা ও নিজেদের পরিক্ষার
অনুপযোগী বলে প্রমান করেছে।অনেকে বলছেন, এই পরিক্ষা হল ছাকনির মতন ; ছাকনি যেমন পরিস্কার থেকে ময়লাকে আলাদা করে, ঠিক তেমনি এই পরিক্ষার মাধ্যমে বুঝা যাবে কে প্রকৃত মুসলিম আর কে মুরতাদ।
সর্বোপরি তারা মহান আল্লাহর কাছে নিজেদের
সফলতার জন্য দোয়া করেন।
---সৌজন্যে " পচাঁত্তুর টেলিভিশন "
বিষয়: বিবিধ
১০৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন