নির্মমভাবে পেটানোর পর যখন শামীম!!!
লিখেছেন লিখেছেন আবার ২৭ মে, ২০১৩, ০১:৫৫:৪০ রাত
আমারে জীবিত দেখতে চাইলে টাকা যোগাড় কর, তাড়াতাড়ি পুলিশকে টাকা দাও, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমি বাঁচতে চাই। তোমরা আমাকে বাঁচাও। কিন্তু টাকা দিয়েও ওরে বাঁচাতে পারলাম না। অথচ ও পুলিশের এসআই হতে চেয়েছিল। আর ওই পুলিশই তাকে মেরে ফেললো।’ কথাগুলো বলেই ডুকরে কেঁদে ওঠেন পুলিশের নির্মম নৃশংস ও বর্বরোচিত নির্যাতনে নিহত সোনারগাঁয়ের ব্যবসায়ী মেধাবী ছাত্র শামীম রেজার স্ত্রী সাবিকুন্নাহার তুহিন (১৮)
যা বলে যায় শামীম: পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকার শামীম ২১শে মে হাসপাতাল বেডে স্ত্রী সাবিকুন্নাহার তুহিনকে কাছে ডেকে কিছু কথা বলেন। তিনি বলেছেন, আদালতে শুধু মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার জন্য পুলিশ তাকে ৬ দিন আটকে রেখে পিটিয়েছে। ওসি (তদন্ত) অরূপ তরফদার, এসআই পল্টু, ফোর মার্ডার মামলার বাদী মামুন, ফারুকসহ একাধিক পুলিশ সদস্য পিটিয়েছে। কোন কোন সময় চোখ বেঁধে পিটিয়েছে। তাই অনেককেই চিনতে পারিনি। পুলিশ পিটাতো আর বলতো শালা, যা শিখিয়ে দিবো তাই আদালতে বলবি। না হলে বাঁচতে পারবি না। তোকে রিমান্ডে এনে এর চেয়েও বেশি পিটাবো। বাঁচতে চাইলে যা বলতে বলবো তাই বলবি। নির্যাতন সইতে না পেরে পুলিশের কথায় রাজি হই এবং আদালতে পুলিশের শেখানো কথা জবানবন্দি দিয়েছি। আমি মনে হয় বাঁচবো না। ওরা আমাকে শেষ করে দিয়েছে।
ওসি (তদন্ত) অরূপ তরফদার, এসআই পল্টু, ফোর মার্ডার মামলার বাদী মামুন, ফারুকসহ একাধিক পুলিশ সদস্য পিটিয়েছে। কোন কোন সময় চোখ বেঁধে পিটিয়েছে। তাই অনেককেই চিনতে পারিনি।
২২ তারিখ হাসপাতালে পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকার শামীমের মৃত্যু হয় .....
বিষয়: বিবিধ
১২৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন