আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করিয়ে দেন -দেশে কোনো রাজাকার নেই
লিখেছেন লিখেছেন আবার ৩১ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৪:৩৩:৪৭ বিকাল
২ ১ এপ্রিল ২০১০, ফরিদপুর আ’লীগ নেতাদের শেখ হাসিনার ওই বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া
তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল হক ভোলা মাস্টার প্রধানমন্ত্রীকে শ্রমমন্ত্রী ও তার ভাই বাবরের নির্যাতনের কাহিনী এবং তাদের বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, শ্রমমন্ত্রীর বাবা নূরু মিয়া একজন রাজাকার ছিলেন। ফরিদপুরের রাজাকারদের তালিকায় তার অবস্থান ১৪ নম্বরে। ছেলে মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে রাজাকার বাবা নূরু মিয়ার নামে ফরিদপুরের বিভিন্ন রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে। রাজাকারের নামকরণ করা রাস্তা ভেঙে ফেলার জন্য ভোলা মাস্টার দাবি জানান।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোঃ বাবুল বলেন, আমি আপনার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রাজনীতি করেছি। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি হয়েছি। সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কড়া ভাষায় বলেছেন, দেশে রাজাকার বলে কোনো শব্দ নেই। দেশে কোনো রাজাকার নেই।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কড়া ভাষায় বলেছেন, দেশে রাজাকার বলে কোনো শব্দ নেই। দেশে কোনো রাজাকার নেই। তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের দাদাশ্বশুর ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রয়াত খন্দকার নূরুল হোসেন নূরু মিয়া ফরিদপুরে রাজাকারদের তালিকার ১৪ নম্বর রাজাকার হলেও তিনি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না বলে শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদপুরের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেছেন, তার ভাই শেখ সেলিম ফরিদপুরের রাজাকার মুসা বিন শমসের ওরফে নূইলা মুসার সঙ্গে ছেলে বিয়ে দিয়ে আত্মীয়তা করেছেন—এটা কেন তারা কখনও বলেন না; অথচ শেখ হাসিনার মেয়ের দাদাশ্বশুর নূরু মিয়ার নামে সবাই অভিযোগ করেন যে, তিনি রাজাকার ছিলেন।
আগের সংবাদ- http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/04/22/28579#.UQpGcR1ZV2s
বিষয়: বিবিধ
১৬১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন