সত্য জানা উচিত

লিখেছেন লিখেছেন মাওলানা ৩১ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৮:৫৭:৪৫ রাত



যারা জামায়াত শিবির সমর্থন

করে তারা বহু আল্লাহর পথ ছেড়েছেন বহু

আগেই। যারা জামায়াত করেন তারা মূলত

আল্লাহর পথে নয়, অন্ধভাবে চলেন তাদের নেতাদের পেছনে। যদি বাস্তবিক অর্থেই

তারা আল্লাহর পথে থাকতো, তবে তাদের

সংবিধান থেকে আল্লাহ-রাসূল বাদ

দিয়ে তারা গণতন্ত্রকে বেছে নিতো না কোন

ভাবেই।

পবিত্র কুরআনে পাকে যেখানে বলা আছে, ‘কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিনকে হত্যা করলে তার

শাস্তি জাহান্নাম,

সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং আল্লাহ তার

প্রতি রুষ্ট হবেন ও তাকে অভিশপ্ত করবেন

এবং তার জন্য মহা শাস্তি প্রস্তুত রাখবেন।’ (সূরা আন-নিসা,

আয়াত-৯৩) হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে,

‘দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার চেয়েও

আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ

হত্যা করা।’ (তিরমিজি)

অথচ সেই কুরআন-সুন্নাহ ছেড়ে একাত্তরে এই জামায়াতীরাই

পাকিস্তানীদের সাথে নিজেদের হাত রাঙ্গিয়েছে ত্রিশ

লাখ বাঙ্গালীর রক্তে। ইসলামের

নামে ধর্ষণ করেছে নিরীহ মা-বোনদের।

এখনো থেমে নেই তাদের এই

অগ্রপন্থী কর্মকান্ড। অথচ এসব কাজের জন্য তারা অনুতপ্ত নয়

বিন্দুমাত্র। এতেই কি প্রমাণ করেনা ইসলামের নাম

করে প্রকৃত অর্থে বাস্তবায়ন

করছে ভিনদেশী এজেন্ডা?

বর্তমানে জঙ্গীবাদ হলো পরাশক্তিদের

আগ্রাসনের একটি ছুতো মাত্র। জামায়াতকে দিয়ে এই

পরাশক্তিগুলো চায় এদেশকে পাকিস্তানের মত অকার্যকর

জঙ্গীবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে,

যাতে এই

অজুহাতে তারা সেনা পাঠাতে পারে আমাদের

দেশে। প্রশ্ন আসতে পারে এদেশে সোনার খনি-

হীরার খনি- তেলের খনি নেই, তবু পরাশক্তিরা সেনা পাঠাতে চায় কেন? মূল

কারণ আমাদের ভৌগলিক অবস্থান। আমাদের

পাশে রাইজিং সুপার পাওয়ার ভারত, অল্প

দূরেই চীন, আর সাথে বঙ্গোপসাগর। তাই এই

দেশে যদি কোনো ভাবে ঘাঁটি গাড়তে পারে তারা সেক্ষেত্রে তারা ভারত

আর চীনের উপর খবরদারি করার সুযোগ পাবে, অতি নিকটে থাকার কারণে। তাই

তাদের মূল পরিকল্পনা জঙ্গিবাদী দল

জামায়াতীদের ব্যবহার করে অস্থিতিশীল

করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে খারাপ

ধারণা দেওয়া এবং ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতি এমন

দিকে নিয়ে যাওয়া যাতে করে তারা সহজেই রণতরী নিয়ে এদেশে আসতে পারে। আর

০১-০৬ জামায়াত যখন ক্ষমতার স্বাদ

পেয়েছিলো এই পরিকল্পনা তারা প্রায় সফল করে ফেলেছিলো।

সারা দেশে একের

পর এক আত্মঘাতী হামলা, গ্রেনেড হামলা,

একই সাথে সেন্টমার্টিন দ্বীপ লীজের জন্য আমেরিকান সরকারের আবেদন, এসব

আসলে একই সূত্র গাঁথা।

একারণেই খেয়াল করবেন আমেরিকা, ব্রিটেন এরাই জামায়াতের

সবচেয়ে বড়

মিত্র, আর জামায়ত তাদের। আর একই

কারণে আমেরিকান দূতাবাসের গাড়ীতে ঢিল লাগা মাত্র এর জন্য

দুঃখপ্রকাশ করে জামায়াত, অথচ সাধারণ

মানুষের গাড়ী পোড়ানো আর হত্যাতে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই।

তাই তাদের এই

উগ্রপন্থী জঙ্গীবাদী কর্মকান্ড

কি যেকোনো কারো মনে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা দেবে না? যে শিশুটি আজ

টিভিতে দেখছে ইসলামের নামধারী একটি দল আজ এসব কাজ করছে,

সেই শিশুটি কি আর ইসলাম শান্তির ধর্ম

এই মন্ত্রে বিশ্বাস করবে। তাই

যারা ধর্মপ্রাণ মুসলমান, তাদের নিকট আশু

আবেদন অতি সত্ত্বর রুখে দাঁড়ান এসব জামায়াতীদের বিরুদ্ধে। চারিদিকে ছড়িয়ে দেন, জানিয়ে দিন,

জামায়াতে ইসলামী করে যারা, আল্লাহ-

রাসূল মানে না তারা। এক

ক্রান্তিকালে পৌঁছে গেছে জাতি।

সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকেই। ইসলামের

পথে থাকবেন, নাকি জামায়াতে ইসলামের পক্ষে থাকবেন। -------

বিষয়: বিবিধ

১০৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File