মরূর বুকে চড়ুইভাতি!!
লিখেছেন লিখেছেন ইছমাইল ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১০:১৭:১৯ রাত
আবহমান বাংলায় বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ চড়ুইভাতি, শহর জীবনের বনভোজন গ্রামের মানুষের কাছে স্হানবেধে হোয়াভাতি, জোলাভাতি, আওইভাতি, ফুলাবাতি নামে পরিচিত। নগর সভ্যতার শহুরে ব্যস্ত জীবনের একঘেঁয়েমি কাটাতেই চড়ুইভাতির আয়োজন চলে বিশেষ করে শীতের মৌসুমে।
বাঙালি সংস্কৃতি যারা বুকের মাঝে ধারন করেন, হাজার মাইল দূর প্রবাসে থাকলে ও বাঙালির ইতিহাস এতিহ্য তাদের অনুপ্রানিত করে, যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব,দুবাই তৃতীয় বারের মত আয়োজন করে চড়ুইভাতির, পারিবারক মিলন মেলা হিসেবে চড়ুইভাতির আয়োজন , দুবাই তথা আরব আমিরাতে অবস্হানরত পরিবার গুলোর মাঝে কেউ কেউ তাদের বউ,বাচ্ছা ফ্যমিলি নিয়ে কর্মব্যস্ত প্রবাসে একদিনের ছুটে এসেছিলেন চড়ুইভাতির অনন্য আয়োজনে, পরিবার গুলোর পাশাপাশি আমার মত কিছু ব্যচেলর উপস্হিত ছিলেন চড়ুইভাতিতে।
কাজিনরা সহ সবাই একসাথে..
৩০শে জানুয়ারী ২০১৫ পূর্বের ঘোষনা অনুযায়ী শারজাহ অষ্ট্রেলিয়ান স্কুলের সামনে সকাল ৭টা থেকে চড়ুইভাতির সদস্যরা উপস্হিত হতে থাকেন এবং গাড়ি ও পরিবারের সদস্য সংখ্যা রেজিষ্টশন সম্পন্ন করেন। এরই ফাঁকে নাহিদা আন্টি বরাবরের মত ব্যস্ত ছিলেন আগত সদস্যদের নাস্তা পরিবেশনে, রেজিষ্টশন সম্পন্ন হয়ে প্রায় সকাল সাড়ে ৯টায় আমাদের চড়ুইভাতির গাড়ির রেলি শুরু হয় রাস আল খায়মার উদ্দেশ্যে, কার র্যলিতে ছিলো প্রায় ১০০ শত ঘাড়ি, সর্বমোট ৪০৫ জন উপস্হিত ছিলেন , এছাড়া ও ৪ বছরের কম বয়সী শিশু ছিল প্রায় ২০জন।
ক্লাব সভাপতি জনাব নওশের আংকেলের সাথে..
গাড়ির রেজিষ্টেশন শেষ আমার ভাগ্যে ৪০ নম্বর সিরিয়াল
শারজাহ অষ্ট্রেলিয়ান স্কুলের সামনে ব্যচেলর উপস্হিতির কয়েক জন.
এবার দেখুন কিছু ছবি
আমাদের গাড়ির বহর
শেখ জায়েদ রোড হয়ে আমাদের গাড়ির বহর এগিয়ে চলছে রাস আল খায়মার দিকে মাঝে মাঝে উচু নিচু আঁকা বাঁকা রাস্তার নয়নাভিরাম দৃশ্য সত্যিই চোখজুড়ানো যা সকলকে মুগ্ধ করেছে।
আঁকা বাঁকা রাস্তার নয়নাভিরাম দৃশ্য
অবশেষে এসেগেল চড়ুইভাতির নির্ধারিত স্হান সকার পার্ক, দীর্ঘ পথের গাড়ি জার্নি তাই ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তার জন্য পুরূষ মহিলার আলাদা লাইন।
সকালের নাস্তার লাইন
অবশেষে তৃপ্তির নাস্তা
নাস্তার পর ছোটদের জন্য বিভিন্ন গেম, দুপুরের জন্য চড়ুইভাতির খাওয়া, গান আড্ডা গুরাগুরি করতে করতে দুপুর,শুক্রবার হওয়ায় অনেকে জুমার নামাজের জন্য ছুটে গিয়েছেন মসজিদে।
ফুটবল হাতে আমাদের মেসি
দুপুরের খাওয়া রেড়ি মাইকে ঘোষনা আসতেই লম্বা লাইন, কার আগে কে খাবার পাবে এ নিয়ে ছিলো তুমুল প্রতিযোগীতা!
পুরুষদের দুপুরের খাওয়ারের লম্বা লাইন, অনেকেই যেখানে অনিয়ম করার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন
মহিলাদের খাওয়ারের লাইন
হায়রে ক্ষুদা কার আগে কে নিবে?
উনি চাহিদা অনুযায়ী পাননাই, তাই.......
দুপুরের খাওয়ার পর মহিলাদের গেম, পুরষ্কার বিতরন বাচ্ছাদের খেলাদুলার ফাঁকে সুর্যি মামা আমাদেরকে থেকে বিদায় নেওয়ার সংকেতে মনে পড়ে গেল
আমিতো জানি না পথ পথের দূরত্ব,
জানি না বরফ ঢাকা নদীর ঘনত্ব,
এতটুকু জানি শুধু গন্তব্যের বাড়ি,
যতই হোক না দুরে,
দিতে হবে পাড়ি।
বিষয়: বিবিধ
২০৮৯ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কুন ক্যামরা দিয়া পটুক উটাইচেন বাই যা লাগচে না জাক্কাস
যে কোন চড়ুইভাতির প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে আপুরা
আর এখানেও তার কোন ব্যতিক্রম নেই
ছবিতে আধুনিক , সেমি-আধুনিক ও সেঁকেলে আপুদের এক চমতকার মিশেল দেখা যাচ্ছে ।
মরুর বুকে ভালই গরম পড়তেছে বলে মনে হয় যা আপুদেরকে আধুনিক হবার সুযোগ এনে দিয়েছে ।
এই ক্যাপশনটার ছবিটাকে ডিফেন্ড করবেন কিভাবে উপরের প্রতি মন্তব্যের বিপরীতে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন