It's been a great year!!!
লিখেছেন লিখেছেন ইছমাইল ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৭:৪৯:১৬ সন্ধ্যা
সত্যিই এ বছর টা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ন! সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ওয়াল এ ইতিমধ্যে সবাই It's been a great year!!! তৈরি করেছেন। কার কাছে কেমন তা আমার জানা না থাকলে ও আমার কাছে ২০১৪ সাল খূবই গুরুত্বপূর্ন, অনেক তাৎপর্যের এবং স্মরনীয় হয়ে থাকার একটি বছর। বিশেষ করে ছয় বৎসরের প্রবাস জীবনে এই প্রথম প্রবাসী কোনো অরাজনৈতিক সংঘঠনের সাথে সরাসরি যুক্ত না থেকে ও সংঘঠনের ব্যনারে সংঘঠনের সদস্যদের সাথে কিছু কাজ করার সুযোগ হয়েছে, যা সত্যিই আমার প্রবাস জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
নিজস্ব ব্যবসা হওয়ার সুবাদে মন চাইলে বন্ধূদের সাথে দুবাইর যেকোনো জায়গায় ঘুরে বেড়ানো ছিলো অনেকটা নেশার মত, যদি ও আমরা ছিলাম তিন চার জনের, দুবাইর আল মামজার বিচ আমার বাসার নিকটে হওয়ায় মামজার বিচ ছিলো খুব প্রিয়, বছরের মাঝামাঝি ব্যবসায়িক লোকেশান পরিবর্তন হওয়ায় ঘুরাঘুরি কিছুটা কমে যায়।
মিরাকল গার্ডেন এ একদিন।
মামজার বিচ, দুবাই
ব্যবসায়িক লোকেশান পরিবর্তন হওয়ার পরই রমজানের ঈদ করতে দেশে যাওয়া, ঈদুল ফিতরের পর আমার প্রিয় ক্যম্পাস চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বি এন সি সি নৌ শাখার প্রাক্তন ক্যডেটদের সংঘঠন এনকর এর প্রথম রি'ইউনিয়ন প্রোগ্রাম হয়েছিলো কুমিল্লা বার্ডে, জুনিয়র- সিনিয়র প্রাক্তন ক্যডেটদের উপস্হিতিতে খুবই সুন্দর আয়োজন ছিলো, যা পরিচালনার মূলে ছিলেন সজল ভাই, কুমিল্লা বার্ডের ঐ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যংকের প্রাক্তন গভর্নর প্রফেসর সালেহ আহমেদ স্যরের সাথে আমাদের কিছুক্ষন সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছিলো, সর্বোপরি প্রিয় ফেনী শহর, বন্ধুদের সাথে কাটানো সময়, বাবা - মা সহ প্রিয় মানুষের সংগ, আপন মানুষদের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মন মালিন্য সহ সব মিলিয়ে ২০১৪ সালের বাংলাদেশ সফর অনেক কারনেই অামার কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যংকের প্রাক্তন গভর্নর প্রফেসর সালেহ আহমেদ স্যরের সাথে কুমিল্লা বার্ডে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বি এন সি সি নৌ শাখার প্রাক্তন ক্যডেটদের কয়েকজন
কুমিল্লা বার্ডে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বি এন সি সি নৌ শাখার প্রাক্তন ক্যডেটদের মিলনমেলা।
বাংলাদেশ সফর শেষ করে নিজ কর্মস্হলে ফেরার কিছুদিন পরই ফেবুতে দেখলাম বাংলাদেশ সোস্যাল ক্ল্যাব দুবাই'র প্রথম রক্তদান কর্মসুচি, যে কার্যক্রমের মূলে সোস্যাল ক্ল্যাবের অনেকের অবদান ছিলো স্বরণ করার মত, তাছাড়া যার ঐকান্তকতা সবাইকে কাজ করতে অনুপ্রেরণা যোগায় তিনি সোস্যাল ক্ল্যাবের প্রেসিডেন্ট জনাব নওশের আলী, প্রথম বারের আয়োজনে আমরা ২৫ব্যগ রক্ত দুবাই সরকারকে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম লতিফা হাসফাতালে, দিনটি ছিল ২৪ শে সেপ্টম্বর।
লতিফা হাসফাতালে রক্তদাতাদের কয়েকজন।
বছরের শেষ দিকে ২৯ নভেম্বর দুবাই প্যরেডে প্রথম বার বাংলাদেশের অংশগ্রহন এবং ১৬ ই ডিসেম্বর দুবাই ক্রিক পার্কে মহান বিজয় উদযাপন ছিল দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশীদের জীবনে সম্পূর্ন নতুন. যে কাজের মূলে কয়েকজন পারিশ্রমিক ও উদারমানসিকতার মানুষে অনেকদিন মনে থাকবে পাভেল ভাই, ফারহান ভাই, মিশেল ভাই সহ নাম না জানা আরো অনেকে যাদের সাথে আমার পরিচয় নেই। সব আয়োজনে পুরুষদের পাশাপাশি প্রবাসী মা বোনদের উপস্হিতি ছিলো প্রশংসা করার মত, যেখানে নাহিদা আন্টির মত একজন নারীর মাতৃত্ব শূলভ আচরণ সত্যিই মনে থাকার মত, যিনি সব সময় নিজের হাতের তৈরি করা মজার মজার খাওয়া অনূষ্ঠানে আগত মেহমানদেরকে পরিবেশনে ব্যস্ত থাকেন। মাত্র দূটো অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা তার পর ও বলতে পারি প্রবাস বা বাংলাদেশে নিজের মা, বোন বা পরিবারের মহিলা সদস্য ব্যতিত কোনো নারী এতটা আন্তরিক হয় না যতটা নাহিদা আন্টি করে থাকেন। যারা মূলত নাহিদা আন্টির সাথে অনুষ্ঠানে চিলেন তারা বলতে পারবেন আমার কথার সত্যতা কতটুকু।
১৬ ই ডিসেম্বর দুবাই ক্রিক পার্কে মহান বিজয় উদযাপন
নাহিদা আন্টি আর নওশের আংকেল
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের কথা না বললে নয়, যার মাধ্যমে খুঁজে পেয়েছি অনেক প্রিয় মানুষদেরকে, যাদের মাঝে এমন একজনকে খূঁজে পেয়েছি দীর্ঘ ১৩ বছর পূর্বে যিনি ছিলেম একজন কেলিগ্রাফার যার অটোগ্রাফ নিয়েছিলাম অনেক কষ্টে, ১৩ বছর পর ফেসবুকের কল্যানে উনাকে খুঁজে পেয়েছি আরব আমিরাতের একজন ব্যবসায়ী হিসেবে, তিনি অনেকের প্রিয় মুখ জনাব রফিকূল্লাহ গাঝালী।
২০০১ সালে জনাব রফিকূল্লাহ গাঝালীর দেয়া অটোগ্রাফ
১৯-১২-২০১৪ দুবাই, বাংলাদেশ কন্যুলেট এর উদ্দোগে আয়োজিত বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে রফিকূল্লাহ গাঝালী ভাইয়ের সাথে
জীবনের নিয়মতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় শেষ হবে আরো একটি বছর, জানিনা মহান রবের নৈকট্য লাভের জন্য কতটুকু ভালো কাজ করতে পেরেছি!!!! মহান রবের অশেষ রহমতে সুন্দর হোক আগামী বৎসর এর প্রতিটি সূর্যোদয়......
ইছমাইল,
দুবাই,সংযুক্ত আরব আমিরাত.
৩০-১২-২০১৪
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন