জয় বাবা লোকনাথ জয় হোক তোমার সৃষ্টি কর্তার ।
লিখেছেন লিখেছেন ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন ৩১ মে, ২০১৫, ০১:২২:৫৬ রাত
"রনে বনে জলে জংগলে যেখানে ই বিপদে পড়বে সেখানেই আমাকে স্বরন করবে, আমি ই উদ্ধার করব।"-লোকনাথ ব্রহ্মচারী
তো হিন্দু ধর্মের বিশ্বাসীদের মতে যে স্হানেই কোন না কোন ভাবে বিপদগ্রস্হ হবে তখই লোকনাথ ব্রহ্মচারী স্বরন করিবে ঐ বিপদ থেকেই লোকনাথ ব্রহ্মচারী তাকে উদ্ধার করবে । একজন মেয়ে যখন ই ধর্ষনের স্বীকার হন তার চেয়ে বিপদের সময় আর কিছু হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করিনা তাই যখন একজন ধর্মে বিশ্বাসী মেয়ে ধর্ষনের স্বীকার হন তখন তিনি নিরুপায় হয়ে অবশ্যই তার বিশ্বাসের সৃষ্টি কর্তার কাছে সাহায্যের স্বরনাপন্ন হন তখন বেচরা নিজের শক্তি বা সামর্থের কথা ভুলে শুধু তার সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ খোদা ঈশ্বর ভগবান বা তথা কথিত কোন মহাপুরুষের সাহায্য কামনা করেন কিন্তু তখন তথা কথিত সেই সৃষ্টি কর্তা বা মহাপুরুষ কাপুরুষের মত বোধ হ্য় ব্লু ফ্লিমের মত ঐ ধর্ষনকে উপোভোগ করেন । তাই
ট্রেন , বাস, মাইক্রোবাসে ট্রাক ট্রালারে ধর্ষনের শিকার হইবে তখন ও লোকনাথ ব্রহ্মচারীকে স্বরন করিবে ধর্ষক আরো বেশি কাম উত্তেজনায় ধর্ষন করিয়া আনন্দিত হইবে ।-জয় বাবা লোকনাথ জয় হোক তোমার সৃষ্টি কর্তার ।
বিষয়: বিবিধ
১৯৯১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার যুক্তি অত্যন্ত মুর্খ।
এমন বাক্য "অন্ধ" "মূর্খ" ধারণা থেকে নির্গত, এখানে বাক্যস্থিত ধারণায় যৌক্তিকতা নেই। আপনি চাইলে আমি সেই মুর্খ স্থানটি ব্যাখ্যা করে দিতে পারি।
ঐ ব্যক্তির দ্বিতীয় বাক্যে দেখা যাচ্ছে তার বোধ-সমঝ সৃষ্টিকর্তাকে “কাপুরুষ” হিসেবে দেখছে –অর্থাৎ নেতিবাচক হলেও এখানে তার বিশ্বাস প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু সে হয়ত জানে না যে তার নিজের মধ্যে দ্বিচারিতা রয়েছে। তারপর সে সে যখন স্রষ্টাকে তার নিজ ‘বুঝ মতো’, তারই দেখা ব্লু-ফিল্মের নায়কের তুলনায় ধারণ করে কোনো নায়কের মতো ধর্ষণকে উপভোগ করছেন বলে ভাবছে, তখনও তার মুর্খামি আবার স্পষ্ট হয়। তার প্রথম বাক্যে সৃষ্টিকর্তা নেই কিন্তু দ্বিতীয় বাক্যে তিনি কাপুরুষ এবং তিনি ধর্ষণকে উপভোগ করেন! How silly!
কিন্তু কথা এখানে শেষ নয়। এমন টেক্সট ও বক্তা (সে যেই হোক)সমাজে নৈরাজ্য এবং ফেতনার উদ্দেশ্যে বহন করে। মুর্খামি আপাতত এক পাশে থাক। এই টেক্সট যে সমাজে সার্কুলেট করা হচ্ছে সেই সমাজের লোক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। সামাজিক মূল্যবোধ যাদের মধ্যে নেই, তারাই অপরের বিশ্বাসের সত্তা নিয়ে যা তা বলতে পারে। কারণ তারা এখনো মানুষ হয়নি। মুসলমানগণ এবং অপর ধর্মের অনেক লোকও তাদের বিশ্বাসের সত্তাকে তাদের মা-বাপের চাইতেও বেশি ভালবাসেন। এটাই সামাজিক বাস্তবতা। এমন টেক্সট তাদেরকে উসকাতে রচিত, সমাজে ফেতনা বাধাতে রচিত। বক্তা তাদের বিশ্বাস গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই কিন্তু তাদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সত্তাকে ধর্ষণ উপভোগী এবং কাপুরুষ বলা হচ্ছে অসভ্য কাজ।
তাছাড়া এক্ষেত্রে বক্তার যৌক্তিক মুর্খামি আরও প্রবল। কোনো ধর্ষিতাকে যদি এই যুক্তিতে আনা হয় যে তাকে তার স্রষ্টা সাহায্য করেন নি, তাই স্রষ্টা নেই, তাহলে এটা মূর্খ ধারণা। মেয়ে যদি ধর্ষিতা না হত, তাহলে কি স্রষ্টার অস্তিত্ব এতেই প্রমাণিত হত? ধর্ষিতা হলে খোদা নাই হন, ধর্ষিতা না হলে খোদা আছেন এমন প্রপোজিশন মূর্খ ব্যতীত কোনো পক্ষই যুক্তি হিসেবে পেশ করবে না। আজ যেসব উগ্রনাস্তিক সমাজের অপর লোকের বিশ্বাস ও মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল নয়, বরং তাদের সাথে যুদ্ধ বাধাতে চায় তারাই প্রকৃত জঙ্গি। গলাবাজির মাধ্যমে কেউ বিজ্ঞানী হয়ে যায় না। “আমি বিজ্ঞানমনষ্ক, যুক্তিবাদী, আর আপনারা সবাই অন্ধ, মৌলবাদী, জঙ্গি” –এই কথাতেই বক্তা বিজ্ঞানী এবং যুক্তিবাদী হয়ে যায় না। আপনার নিজের কথা ধরুন। আপনি এই যে মুসলমানদেরকে আমভাবে জঙ্গি, মৌলবাদী ইত্যাদি নানান গালিগালাজ করে যাচ্ছেন, এর কারণ কি? আপনি এমন কোন বিদ্যা অর্জন করেছেন যা মুসলমানরা করেনি? আপনার এসব টান টান কথার পিছনের উদ্দেশ্য কি? আপনি কেডা? মুক্তমনা বলতে আপনি কি বুঝেন? আপনি ‘মুক্ত’ হয়ে এখন জ্ঞানের কোন শিখরে অবস্থান করছেন? কিছু বলা যাবে? এমনও তো হতে পারে যে আপনার জ্ঞানের আলোর দোয়ারটা সামান্য খোলে দিলে হয়ত আমরাও আলোকিত হয়ে যেতে পারি। কিছু শোনা যাবে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন