ব্লগারদের হত্যা জয়ের মন্তব্য ও মৌলবাদীদের উল্লাস !
লিখেছেন লিখেছেন ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন ১৪ মে, ২০১৫, ০১:৫২:২৮ রাত
বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার মানুষদের উপরে দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে হামলা হয়ে আসছে বিভিন্ণ ভাবে অত্যচার ও নীরিড়নের স্বীকার মুক্তচিন্তার মানুষ গুলি স্বাধীনতার পর পর ই শুরু হয় মুক্তচিন্তার মানুষদের উপর ধর্মীয় উগ্রবাদীদের অত্যচার নীপিড়ন আর তাদের অত্যাচারে হাত থেকে নিজের জীবন কে রক্ষাকরতে দাউদ হায়দার তসলিমা নাসরিনদের দেশ মাতৃকার মায়া ত্যাগকরে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে হচ্ছে । সময়ের সাথে পাল্লাদিয়ে মুক্তচিন্তা ও মুক্তমত প্রকাশের মানুষের সংখা দিন দিন বেড়েই চলছে । বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির যুগে মানুষ আর অন্ধ গোড়া হয়ে থাকতে চায় না । তাই আধুনিক প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেইটকে মানুষ তার মুক্ত চিন্তা ও মুক্তমত প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে বাছে নিয়েছে বিশএষ করে তরুন প্রজন্ম । কিন্তু আমাদের দেশে অনলাইনে মত প্রকাশকারিদের তথা ব্লগারদের কে কিছূ ধর্মীয় গোড়া তথা উগ্রধর্মীয় গোষ্ঠিরা নাস্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে । বিশেষ করে ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগের মুক্তচিন্তার লেখক ও ব্লগাররাসহ নতুন প্রজন্মের তরুণরা যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ রায়ের দাবিতে আন্দোলনের গণজোয়ার গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চ তৈরির পর থেকে বাংলাদেশের উগ্র ইসলামিক মৌলবাদী শক্তি না জেনে না বুঝে ঢালাও ভাবে ব্লগারদের নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করে আসছে আর তার সাথে সাথে ই শুরু হয়েছে ব্লগার নিধন কর্মসূচী যে কর্মসূচীর বাস্তবায়ন করছে মৌলবাদী ইসলামি জঙ্গিরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েক জন ব্লগার কে খুন হতেহয়েছে মৌলবাদীদের চাপাতির কোপে । কিন্তু অদ্যবধি কোন হত্যার ই কুলকিনারা করতে পারেনি সরকার ও তার প্রশসন আর এসব হত্যাকেন্ডের ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসন সম্পুর্ণ রুপে উদাশীন আর সেই উদাশিনতার সুযোগে হত্যাকারীরা মনের আনন্দে একের পর এক হত্যাকান্ড চালিয়া যাচ্ছে । শত আলোচনা -সমালোচনা কোনটাই সরকার বা প্রশাসনের অন্তর স্পর্শ করতে পারেনি বা সরকার ও তার প্রশাসন কোন ভাবেই তা উপলব্ধি করতে পারেনি । এর বাস্তবতা অতিসম্প্রতি রয়টার্সকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাক্ষাৎকার থেকে । সরকারের অবস্থান বোঝাতে গিয়ে জয় বলেছেন, "আমরা একটি সরু রশির উপর দিয়ে হাঁটছি " । সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাক্ষাৎকারে ও ব্লগারদের নাস্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেছেন । জয় বলেছেন “আমরা (আওয়ামী লীগ) নাস্তিক হিসেবে পরিচিত হতে চাই না। তবে এতে আমাদের মূল আদর্শের কোনো বিচ্যুতি হবে না। আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী।” তিনি আরো বলেন " অভিজিৎ একজন ঘোষিত নাস্তিক ছিলেন " তাই আমার মা অভিজিৎ রায়ের বাবাকে ব্যক্তিগতভাবে সমবেদনা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতটাই অস্থির যে প্রকাশ্যে তার পক্ষে কোনো মন্তব্য করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেন জয় ।জয়ের সাক্ষাৎকারটি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, হেফাজত -জামায়াত -বিএনপি, অনলাইন লেখক - গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে 'নাস্তিক ' প্রচারণা চালিয়ে সফলভাবে তা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের তালিকা করে হত্যা করতে চাওয়া হয়েছে, হত্যা করা হচ্ছে। হত্যাকান্ডের শিকার ব্যক্তির পরিবারের পক্ষে সরকার প্রকাশ্যে অবস্থান নেবে, দেশে সেই পরিবেশ বিরাজ করছে না। হত্যাকান্ডের শিকার পরিবারের পক্ষে অবস্থান নিলে, বিরোধীরা প্রচারণা চালাবে যে, সরকার নাস্তিকদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সরকার এই প্রচারণার শিকার হয়ে বিপদে পড়তে চায় না এটাই সম্ভবত সরকারের মূল চিন্তা । সরকার তার ক্ষমাতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য মৌলবাদীদের নিজের কব্জায় রাখাটাই উত্তম মনে করছে। আর এতে ই বাড়তি শক্তিতে বলীয়ান হচ্ছে উগ্র ধর্মিয় মৌলবাদী গোষ্ঠি । তাই আমরা একের পর এক নতুন নতুন সংগঠন নতুন নতুন দাবি শুনে আসছি । তাই অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার দায় কখনো আনসারল্লাহ বাংলার আবার কখনো আলকায়দা স্বীকার করছে । তাই সরকার ও প্রশাসন ব্লগারদের হত্যার ব্যপারে যে নীরব ভূমিকা পালন করছে তাতে সরকার তার ক্ষমতা স্হায়ী করা চেষ্টা করে মৌলবাদী জঙ্গিদের কাছে আত্মসমর্পন করছে ।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
এখনই সময়। হাসিনা/জয়, খালেদা কে বুঝতে হবে জামাত, হেফাজতের পিঠ চাপড়ে একদিন তারা নিজেরাও পার পাবে না।
“কিছু ধর্মীয় গোড়া” কি বলে তাতে কী হল? বাদ-বাকী সকল “ধর্মীয় গোড়ারা” যখন বলছে না, তখন ১৭ কোটি মানুষের দেশে নাস্তিক গোড়াদের সমস্যা হবে কেন? একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠা শাসন কাঠামো নির্ধারণ করে, সেই ব্যবস্থায় নাস্তিকদের সংখ্যা কত? তাদের আব্দারেই কি দেশ চালিত হবে? এটা কি মামার বাড়ী? বিষয়টা অন্যদিক থেকেও দেখতে হবে। উগ্র, মৌলবাদী নাস্তিকগণ, মুর্খতাবশত, ধর্ম না বুঝে যে ধর্ম-বিদ্বেষ প্রচার করছে, বিশেষ করে ইসলাম বিদ্বেষী প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচার, তাতেই তোও সামাজিক সংহতি নষ্ট হচ্ছে। উগ্রপন্থি নাস্তিক সম্প্রদায় তাদের নিজেদের নাস্তিক ধর্ম নিয়ে চলতে, আমার মনে হয়, কারো আপত্তি নেই। কিন্তু সমস্যা বাধে তখন যখন এই উগ্রগুলো পরধর্মের প্রতি অসুহিষ্ণু হয়ে উঠে (এক্ষেত্রে ইসলামের প্রতি) এবং ধর্ম নিঃশেষ করে স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এসব হচ্ছে সামাজিকভাবে সাংঘর্ষিক। সবাইকে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ কারো “বাপের মৌরসি” স্বত্ত নয়। এ দেশ সকলের, আস্তিক হোক অথবা নাস্তিক। তাই সকল ‘মৌলবাদীরা’ একে অন্যের সাথে মিলে-মিশে থাকার “সভ্যতা” অর্জন করতে হবে। নিজে মৌলবাদী গোড়া নাস্তিক হয়ে অপর কোনো পক্ষের গোড়ামীর দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। আজ শান্তির দাবী হচ্ছে, প্রথমে সাবিকে “মানুষ” হতে হবে, তার পরে আস্তিক নাস্তিক।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : ১। "উগ্র, মৌলবাদী নাস্তিকগণ, মুর্খতাবশত, ধর্ম না বুঝে যে ধর্ম-বিদ্বেষ প্রচার করছে, বিশেষ করে ইসলাম বিদ্বেষী প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচার...।"'উগ্র, মৌলবাদী নাস্তিকগণ'!! এই অভিনব ট্রাম কোথ্থেকে পেলেন ভাই? নাকি উগ্র মৌলবাদী ইসলাম গিলতে গিলতে এখন জন্ডিস রোগির মত সব কিছুতে উগ্র মৌলবাদ ছাড়া আর কিছু দেখেন্না। দয়া করে নাস্তিকের সঠিক সংঞ্জাটি জেনে নিতে অনুরোধ করছি। যাক।
তারপরও বলছি- কেউ ঘুনাক্ষরেও শুনিনি নাস্তিক 'আল্লাহু আকবর' ধ্বনি দিয়ে চাপাতি মেরে ভিন্ন মতালম্বীকে কতল করে। কার্টুন পত্রিকা অফিসে চড়াও হয়ে হত্যা যজ্ঞের তান্ডব চালায়। আমেরিকার টুইন টাওয়ারে আত্মঘাতি যাত্রি বিমান চালিয়ে জান্নাতে গমন করে। স্কুলে ঢুকে নির্বিচারে স্কুল শিশু খুন করে। স্কুল ছাত্রী অপহরণ করে যৌন দাসী হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেয়। সপিং মলে ঢুকে বেছে বেছে অমুসলিমদের হত্যা করে। এবং সন্ত্রাসের এই বিরামহীন ধারাবাহিকতায় এই আজকেও পাকিস্তানের করাচি শহরে গুলি করে ভিন্ন মতের ইসমাইলিয়া সম্প্রদায়ের ৭২ জন নিরীহ মানুষ খুন করে। তাই বলছি- "উগ্র, মৌলবাদী নাস্তিকগণ" বলার আগে মুখের লাগাম টেনে কথা বলবেন। এটি শফী হুজুরে মক্তব না যে আপনি যা বলে দিবেন আর তাতেই জাজাকাল্যা??
২। আপনি বলেছেন- "নাস্তিকগণ, মুর্খতাবশত, ধর্ম না বুঝে যে ধর্ম-বিদ্বেষ প্রচার করছে, বিশেষ করে ইসলাম.......।"
"ধর্ম না বুঝে!!!" সত্যি নিতান্তই হাসালেন। আলকায়দা, আইসিস, আলশাহাব, বোকোহারাম, টিটিপি প্রধান মুফতী ফয়জুল্লা, আনসারউল্লা বাংলা টিম, আল্লামা শফী হুজুর এদের কেউই যখন ইসলামের 'ছু মন্তর ছু' বুঝে না সেখানে নাস্তিক বুঝবে ক্যামনে?? ইসলাম বুঝে শুধু পশ্চাত্যের মুক্ত স্বাধীন হাওয়া/বাতাসে সরকারী ভাতা খেয়ে মোটাতাজা হওয়া আপনার মত কিছু ঘাপটি মারা আল্লাবাজ মুমিন।
৩। আপনি আরো বলেছেন- "উগ্রপন্থি নাস্তিক সম্প্রদায় তাদের নিজেদের নাস্তিক ধর্ম নিয়ে চলতে, আমার মনে হয়, কারো আপত্তি নেই। কিন্তু সমস্যা বাধে তখন যখন এই উগ্রগুলো পরধর্মের প্রতি অসুহিষ্ণু হয়ে উঠে (এক্ষেত্রে ইসলামের প্রতি) এবং ধর্ম নিঃশেষ করে স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।"
আমাদেরও এই একই কথা। জান্নাতের খুরমা, খেজুর এবং হুরপরী ধর্ষনের লোভনীয় ধর্ম বিশ্বাসটি আপনিও আপনার ব্যাক্তি পর্যায়ে রাখুন। কেউ কিচ্ছু বলবে না। কিন্তু যদি কাল্পনিক আল্লা এবং একজন লম্পট নবীর নাড়িভুঁড়ির আবর্জনা ২১ শতকের বিজ্ঞান মনস্ক মানব সমাজের সর্বস্তরে যগদ্দল পাথরের মত চাপিয়ে দিতে চান তা হলে কিন্তু বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। বিজ্ঞান মনস্ক সুশিক্ষিত সভ্য ভব্য নর্ম্র অগ্রগামি আলোকিত নাস্তিকের বিঃধ্বংসী কলম চলবেই চলবে।
খুব খেয়াল কইরা কিন্তু।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : এই সামান্যতে চম্পট দিলে হবে! তাহলে সমাজের পাজর ভেদ করে নবীর জীবনী কায়েম করবে কে? ৬০০ ডানার জিবরাইল এসে???মোরগার মত লড়াই করে যাবে, কিন্তু জানবে না, যাদের ইঙ্গিতে নাচছে, তাদের প্রয়োজন ভিন্ন, মোরগার প্রয়োজন কোথায় এবং কি -তা তাদের ব্যাপার।
মন্তব্য করতে লগইন করুন