যেখানেই থাক ভাল থেকো কবি দাউদ হায়দার !

লিখেছেন লিখেছেন ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন ১২ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:৩৪:২৭ রাত



দাউদ হায়দার নামটি শুনলেই মনে হয় একজন হেংলা পাতলা যুবক পরনে হাফ শার্ট ও খাকি রংগের প্যান্ট পায়ে সেন্ডেল কাধে ঝুলানো ব্যাগে দুটি শার্ট ও দুটি প্যান্ট পকেটে মাত্র ষাট পয়সা কবিতা লেখার আপরাধে জোর করে বিমানের খাঁচায় বনবাসে পাঠানো সেই যুবক যদিও কখনো বাস্তবে কবি দাউদ হায়দারকে দেখার সৌভাগ্য আদৌ আমার হয়নি তার পরেও কবি দাউদ হায়দারকে নিয়ে আমার যে কল্পনার চিত্র তাই বোধ হয় বাস্তবে ছিল ১৯৭৪-এর ২২ মে কবি দাউদ হায়দারের অবস্হা । সামান্য একটি 'কালো সূর্যের কালো জ্যোৎসায় কালো বন্যায়' নামে কবিতা লেখার অপরাধে সদ্য স্বাধীন গনতান্ত্রিক দেশে মুক্তচিন্তার ধারক অগ্রসর ধ্যান ধারনার কবি দাউদ হায়দারকে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ নির্দেশে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল । তিনি নাকি ঐ কবিতাতে এমন কিছু লিখেছিলেন যাদে আমাদের দেশের সমগ্র ধার্মিকের ধর্ম নিয়ে টানা টানি শুরু হয়ে গিয়েছিল আর এই সুযোগে আমাদের ধর্মীয় উগ্রবাদি গোষ্টী প্রচন্ড তান্ডব শুরু করে এমন কি ঢাকার একজন কলেজ শিক্ষক ঢাকার একটি আদালতে ঐ ঘটনার জন্য দাউদ হায়দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন । সদ্য স্বাধীন দেশে ও ধর্মীয় উগ্রবাদি গোষ্টী এতটা তৎপর ছিল যে তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর সরকার ও নাকি দাউদ হায়দারকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন । আর তাই ১৯৭৩ সালে কবি দাউদ হা্যদারকে নিরাপত্তামূলক কাস্টডির নাম করে জেনে নেয়া হয় এবং ১৯৭৪ এর ২০ মে সন্ধ্যায় তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে ২১শে মে সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটা রেগুলার ফ্লাইটে করে তাকে কলকাতায় পাঠানো হয়। ওই ফ্লাইটে তিনি ছাড়া আর কোনো যাত্রী ছিল না। কবির ভাষায় তাঁর কাছে সে সময় ছিল মাত্র ৬০ পয়সা এবং কাঁধে ঝোলানো একটা ছোট ব্যাগ য়ার ভিতরে ছিল কবিতার বই, দু'জোড়া শার্ট, প্যান্ট, স্লিপার আর টুথব্রাশ । জন্মই যার আজন্ম পাপ মাত্র একটি কবিতা লেখার অপরাধে ধর্মীয় উন্মাদনায় সব কিছুই একাকার হয়ে গিয়েছিল কি সস্তা তথাকথিত ধার্মিকের ধর্মিয় অনুভুতি মাত্র একটি করিতায় তাদের অনুভুতি আঘাত প্রাপ্ত হয়ে চূর্নবিচূর্ন হয়ে গেল তার খেসারতে কবি দাউদ হা্যদার কে নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে আশ্রয় নিতে হলো ভারতের মাটিতে ।ভারতে নির্বাসিত অবস্থায় ১৯৭৯ সালে কবি ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসে নবায়ণের জন্য পাসপোর্ট জমা দিলে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কবির পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয় ভারত থেকেও নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কবি দাউদ হায়দারে প্রতি এই নিপীরনের প্রতি বাদের মুখর ছিল সমগ্র বিশ্বের বিবাকবান মানুষ । আতঃপর প্রায় এগারো বছর ভারতে অবস্হানের পর ১৯৮৭ সালের ২২ শে জুলাই জার্মানীর নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক গুন্টারগ্রাসের সহযোগিতায় জার্মানীর বার্লিন শহরে যান কবি দাউদ হা্যদার এবং তারপর থেকে সেখানেই আছেন। এমন কি কবি দাউদ হায়দারের আত্মজীবনীমূলক লেখা " সুতানটি সমাচার " প্রকাশ করার অপরাধে ২০০৭ সালে সাপ্তাহিক ২০০০-এ ঈদ সংখ্যাটির প্রকাশ নিষিদ্ধ করা হয়ছিল । কবি দাউদ হায়ধার যার নামে আজো আমাদের ধর্মী উগ্রবাদীরা লেজ গুটিয়ে থাকে আর সুযোগ বুঝে এক হয়ে হামলা চালায় তার মুক্তচিন্তায় মুক্ত মতে । শুধু একটা ই প্রশ্ন ধর্মী উগ্রবাদ আমাদের এতটাই কি কাবু করে রেখেছে যে তথা কথিত ধর্মীয় মতবাদের বাহিয়ে অন্য কোন মত প্রকাশ ই কি অপরাধ । মাঝে মাঝে আপছোছ হয় নিজের জন্য কষ্ঠ লাগে কবি দাউদ হায়দারদের মত মুক্ত চিন্তার মুক্ত বিবেকের লোকদের জন্য । তার পর ও বলি যেখানেই থাক ভাল থেকো কবি দাউদ হায়দার । দাউদ হায়দার নামটি শুনলেই মনে হয় একজন হেংলা পাতলা যুবক পরনে হাফ শার্ট ও খাকি রংগের প্যান্ট পায়ে সেন্ডেল কাধে ঝুলানো ব্যাগে দুটি শার্ট ও দুটি প্যান্ট পকেটে মাত্র ষাট পয়সা কবিতা লেখার আপরাধে জোর করে বিমানের খাঁচায় বনবাসে পাঠানো সেই যুবক যদিও কখনো বাস্তবে কবি দাউদ হায়দারকে দেখার সৌভাগ্য আদৌ আমার হয়নি তার পরেও কবি দাউদ হায়দারকে নিয়ে আমার যে কল্পনার চিত্র তাই বোধ হয় বাস্তবে ছিল ১৯৭৪-এর ২২ মে কবি দাউদ হায়দারের অবস্হা । সামান্য একটি 'কালো সূর্যের কালো জ্যোৎসায় কালো বন্যায়' নামে কবিতা লেখার অপরাধে সদ্য স্বাধীন গনতান্ত্রিক দেশে মুক্তচিন্তার ধারক অগ্রসর ধ্যান ধারনার কবি দাউদ হায়দারকে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ নির্দেশে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল । তিনি নাকি ঐ কবিতাতে এমন কিছু লিখেছিলেন যাদে আমাদের দেশের সমগ্র ধার্মিকের ধর্ম নিয়ে টানা টানি শুরু হয়ে গিয়েছিল আর এই সুযোগে আমাদের ধর্মীয় উগ্রবাদি গোষ্টী প্রচন্ড তান্ডব শুরু করে এমন কি ঢাকার একজন কলেজ শিক্ষক ঢাকার একটি আদালতে ঐ ঘটনার জন্য দাউদ হায়দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন । সদ্য স্বাধীন দেশে ও ধর্মীয় উগ্রবাদি গোষ্টী এতটা তৎপর ছিল যে তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর সরকার ও নাকি দাউদ হায়দারকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন । আর তাই ১৯৭৩ সালে কবি দাউদ হা্যদারকে নিরাপত্তামূলক কাস্টডির নাম করে জেনে নেয়া হয় এবং ১৯৭৪ এর ২০ মে সন্ধ্যায় তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে ২১শে মে সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটা রেগুলার ফ্লাইটে করে তাকে কলকাতায় পাঠানো হয়। ওই ফ্লাইটে তিনি ছাড়া আর কোনো যাত্রী ছিল না। কবির ভাষায় তাঁর কাছে সে সময় ছিল মাত্র ৬০ পয়সা এবং কাঁধে ঝোলানো একটা ছোট ব্যাগ য়ার ভিতরে ছিল কবিতার বই, দু'জোড়া শার্ট, প্যান্ট, স্লিপার আর টুথব্রাশ । জন্মই যার আজন্ম পাপ মাত্র একটি কবিতা লেখার অপরাধে ধর্মীয় উন্মাদনায় সব কিছুই একাকার হয়ে গিয়েছিল কি সস্তা তথাকথিত ধার্মিকের ধর্মিয় অনুভুতি মাত্র একটি করিতায় তাদের অনুভুতি আঘাত প্রাপ্ত হয়ে চূর্নবিচূর্ন হয়ে গেল তার খেসারতে কবি দাউদ হা্যদার কে নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে আশ্রয় নিতে হলো ভারতের মাটিতে ।ভারতে নির্বাসিত অবস্থায় ১৯৭৯ সালে কবি ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসে নবায়ণের জন্য পাসপোর্ট জমা দিলে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কবির পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয় ভারত থেকেও নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কবি দাউদ হায়দারে প্রতি এই নিপীরনের প্রতি বাদের মুখর ছিল সমগ্র বিশ্বের বিবাকবান মানুষ । আতঃপর প্রায় এগারো বছর ভারতে অবস্হানের পর ১৯৮৭ সালের ২২ শে জুলাই জার্মানীর নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক গুন্টারগ্রাসের সহযোগিতায় জার্মানীর বার্লিন শহরে যান কবি দাউদ হা্যদার এবং তারপর থেকে সেখানেই আছেন। এমন কি কবি দাউদ হায়দারের আত্মজীবনীমূলক লেখা " সুতানটি সমাচার " প্রকাশ করার অপরাধে ২০০৭ সালে সাপ্তাহিক ২০০০-এ ঈদ সংখ্যাটির প্রকাশ নিষিদ্ধ করা হয়ছিল । কবি দাউদ হায়ধার যার নামে আজো আমাদের ধর্মী উগ্রবাদীরা লেজ গুটিয়ে থাকে আর সুযোগ বুঝে এক হয়ে হামলা চালায় তার মুক্তচিন্তায় মুক্ত মতে । শুধু একটা ই প্রশ্ন ধর্মী উগ্রবাদ আমাদের এতটাই কি কাবু করে রেখেছে যে তথা কথিত ধর্মীয় মতবাদের বাহিয়ে অন্য কোন মত প্রকাশ ই কি অপরাধ । মাঝে মাঝে আপছোছ হয় নিজের জন্য কষ্ঠ লাগে কবি দাউদ হায়দারদের মত মুক্ত চিন্তার মুক্ত বিবেকের লোকদের জন্য । তার পর ও বলি যেখানেই থাক ভাল থেকো কবি দাউদ হায়দার ।

বিষয়: বিবিধ

১০০৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

273297
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:১৭

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : বিশ্বের অন্যরা এগিয়ে যায় সামনে, আর আমরা হাটছি ৭ শতকের পিছনে।

273300
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০১:৫২
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলা মানিত্তাবায়াল হুদা

ভালোবাসার এমন কঠিন দাম-
সংগী হতে বাধ্য হওয়া
হোক সে জাহান্নাম..


আউজুবিল্লাহ..
273334
১২ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:৩৫
কাহাফ লিখেছেন :
হাতি-ঘোড়া গেল তল,
চামচিকা বলে কত জল!!
আর বেশী মন্তব্য নয়......।
273391
১২ অক্টোবর ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
ছাপোষা লিখেছেন : In the name of "Free Thinking", why attack only Islam, not other religion? মুক্তচিন্তা কি শুধুমাত্র Islam এর বিরুদ্ধে কেন??

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File