কর্মদেবতার পূজারি একটি জাতি !

লিখেছেন লিখেছেন ওয়াসিম ফারুক হ্যাভেন ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৬:০৭:৩২ সন্ধ্যা

আমরা বাংলাদেশী তরুন ও যুবকদের বেকারতত্বের সথেই যুদ্ধ করেই এগিয়ে যেতে হ্য় ভবিষ্যতের দিকে আর সেই বেকারতত্ব থেকে মুক্তি নিজের ও পরিবারের সুন্দর স্বচ্ছল ভবিষ্যতের লক্ষের দেশের অনেক তরুন ও যুবকের স্বপ্নই হলো নিজের শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে সেই স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাওয়া আর তার জন্য চাই কর্মসংস্হান সেই কর্মসংস্হানের খোজে আমরা পারি জমাই বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে আমি ও তার ব্যতিক্রম নই । আমার সেই স্বপ্নকে ব্যস্তব করার জন্য ই ২০০৮ সালে সেপ্টম্বর মাসে মা ও মাতৃভূমিকে ছেড়ে দক্ষিন কোরিয়ায় চলে আসা । হাজারো যুবকের মত আমাকে লক্ষ, লক্ষ টাকা দালালকে দিয়ে হতের মুঠোয়ে জীবন নিয়ে আমাকে দক্ষিন কোরিয়ায় আসতে হয়নি । ২০০৭ সালে মাঝামাঝি সময়ে তৎকালিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা ইফতেখার আহমদ চৌধুরির ঐতিহাসিক দক্ষিন কোরিয়া সফরের সময় এমপ্লমেন্ট পারমিট সিষ্টেম এর চুক্তির আওতায় আমাকে কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে বিমান ভাড়া ও সর্ভিস চার্য দিয়ে ই দক্ষিন কোরিয়ায় আসার সৌভাগ্য হয়েছিল । দক্ষিন কোরিয়া বিশ্বের অন্যতম পরিশ্রমি জাতির দেশ কোরিয়ানদের ধর্ম, কর্ম সবই কাজ কোরিয়ানদের প্রতিটি হাতই ওদের ভাগ্য উন্নায়নে কাজ নিয়ে ব্যস্ত । তাই দেশে থাকা অবস্হ্যায় যেহেতু এ ধরনের কাজে মোটেও অভ্যস্ত ছিলামনা তাই প্রথমে কাজে খুবই কষ্ট করতে হয়েছে তার মধ্যে ছিল ভাষার সমস্যা । যদিও দেশে থেকে বেসিক কিছু কোরিয়ান ভাষা শিখেই এসেছিলাম তার পর ও তা ছিল কিছুই না । আমার ধারনা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম যে বস্তুটি তা হলো একটি ভাষা । আর অধিকাংশ কোরিয়ানরা ই ও মাতৃভাষা ছাড়া অন্য তেমন কোন ভাষা জানেন না বা জানার প্রয়োজন হয়না । আজ এই কোরিয়াতে আমি কাজের জন্য খুব পাকাপোক্ত সকাল আট টা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত কাজ করলেও আমাকে কোন ক্লান্তি স্পর্শ করতে পারেনা এর জন্য আমার মনের ভিতর সাহস যোগিয়ে চিলেন আমার কোম্পানির মালিক । আমি একটি অটোমোবাইলস যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা কাজ করি আমার এই কোম্পানির মালিক তিনি বাংলাদেশী মুদ্রার কয়েক শত কোটি টাকার মানিক তার মধ্যে তিনি একজন পংগু ও সত্তর বৎসর বয়সী যুবক । আমি তাকে যুবক বললাম এই কারনে যে আমি একজন যুবক হোয়া সত্যে ও তার শরীরিক পরিশ্রমের দক্ষতার কছে আমি তেমন কিছু ই না । প্রথম যখন এখানে এলাম কাজ করতে খুবই কষ্ঠ হতো অল্পতের খুব ক্লান্ত হয়ে যেতাম তার জন্য মালিক মহোদয়ের মুখ থেকে আমকে অনেক গালিও নিক্ষেপ করা হতো কারন মালিক মহোদয় সবসময়ই আমার কাজের সংগী ছিলেন আর কোরিয়ানরা সামান্য কিছুকেই অনেক বড় করে দেখেন আর আমার মনে হয় তার জন্য ই কোরিয়ানরা কোন প্রাকৃতিক সম্পদ ছাড়াই নিজেদের শ্রমকে পুজি করে আজ বিশ্বের অন্যতম ধনী জাতিতে পরিনত হয়েছে । আমার কোম্পনানি মালিক কাজের সময় একটু রাগা রাগি করলেও কাজশেষে আবার ভালব্যবহার দিয়ে ওটা ভুলাতে চেষ্টার কমতি করতেন না ।

তার পর কেন যানি ঠিক নিজরকে মানিয়ে নিতে পারতাম না নিজের ভিতর খুব রাগ ও কষ্ঠ হতো আর মনে মনে ভাগ্য ও দেশকে দোষতাম আর নিজেকেই প্রশ্ন করতাম কোন ভাগ্য নিয়ে যে বাংলাদেশে জন্মেছিলাম ? এরই ভিতর মনে মনে স্হির করলাম যে জান বাচলে মালের অভাব হবেনা তাই ভালয়ে ভালয়ে মায়ের ছেলে মায়ের কোলে ফিরে যাই । তাই একদিন সকালে কাজে যেয়েই কোম্পানির মালিক কে আমার এখানে কাজকরার অপারগতার কথা ও আমার দেশে চলে যাওয়ার কথা জানালাম। আমার কথাশুনে তিনি ঐ মুহুর্তে আমাকে কোন উত্তর ই দেন নি । সেদিন দুপুরে খাওয়ার পর তিনি আমার সাথে খুবই আন্তরিক ভাবে গল্প করছিলেন আর আমাকে বুঝাচ্ছিলেন যে আমি একটা গরীবদেশ থেকে শুধু টাকার জন্য তাদের দেশে কাজকরতে এসেছি বাংলাদেশে তো আরো অনেক যুবক আছেন তাদের চেয়ে আমি অনেক ভাগ্যবান যে কোরিয়াতে এসে অধিক বেতনে কাজ করছি ইত্যাদি, ইত্যাদি। এরই মাঝে তিনি আমাকে তার অতীত ও বর্তমান নিয়ে বলছেন এক পর্যেয়ে বলছেন দেখো আমি আজ থেকে বিশ বছর আগে সরক দূর্ঘটার পর থেকে অর্ধেক পংগু হয়ে এই হুইল চেয়ারে বসে প্রতিদিন সকাল থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত কাজ করলে তমি পারবে না কেন ? আর ঠিক ওটাই আমার মনে একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাড়ালো সত্যিতো আমার বাবার বয়সী পংগু বিত্তশালী এই লোক টা যদি আমার চেয়ে কঠিন পরিশ্রম করতে পারে তবে আমি কেন পারবো না ? সেদিন সারা দিন সারা রাত শুধুই একটাই প্রশ্ন ই আমার মাথায় বার বার ঘুর পাক খাচ্ছিল যে আমি কেন পারবো না ? তা হলে কি আমার এই ঐ মানসিকতাই কি আমাদের জাতি কে আজ পিছে ফেলে দিয়েছে ? আর এই প্রশ্নের জবাব খুজতে গিয়ে সেদিন আমি সারা রাত ঘুমাতে পরিনি । পরদিন সকাল বেলা উঠেই আমি নতুন প্রত্যয় নিয়ে ফিরে এলাম আমার কাজের জায়গায় আজো আমি পুরোদমে এখানে কাজ করে যাচ্ছি । নিজের শ্রম দিয়ে আজ আমার ও আমার পরবারের সবাইভাগ্য আগের চেয়ে অনেক টা ভালো ।

বিষয়: বিবিধ

১১১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File