৯ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস – ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া দুর্ণীতি রোধ করা অসম্ভব
লিখেছেন লিখেছেন সালাহউদ্দিন নাসিম ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:২৪:০১ রাত
দুদক প্রতি বছর ৯ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালন করে। জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস এর প্রতিপাদ্য হচ্ছে-
দেশ প্রেমের শপথ নিন – দুর্ণীতিকে বিদায় দিন।
আর্ন্তজাতিক এই দিবসটি উপলক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। যা যা করে তা নিম্নরূপঃ
১. র্যালি
২. আলোচনা সভা
৩. দুর্ণীতি বিরোধী ডকুমেন্টারী ফিল্ম প্রদর্শন
৪. রেডিও টিভিতে গনসচেতনা সৃষ্টি বিষয়ক দুর্ণীতি বিরোধী টক শো – ইত্যাদি
এদের মূল বক্তব্য হচ্ছেঃ দুর্নীতি প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর অন্যতম হচ্ছে জনগণের মধ্যে নৈতিকতা বোধ জাগিয়ে তোলা। নৈতিকতাই পারে দুর্নীতি রোধ করতে এটা অনস্বীকার্য।
আচ্ছা দেশপ্রেম থেকে কি নৈতিকতা জাগ্রত হয়? হলেও যেটুকু হয় তা দিয়ে কি দুর্নীতি দমন সম্ভব?
ফখরুদ্দিন মইন সরকারের আমলে বেশ মজার মজার কিছু অসাধারন তথ্য জাতির সামনে চলে এসেছিল। অতি আধুনিক, অতি শিক্ষিত এমনকি জাতির কর্ণধার পর্যায়ের অনেক বড় বড় হোমরা চোমরা লোকের দুর্নীতির চিত্র জাতির সামনে দিবালোকের মত উজ্জ্বল হয়ে গিয়েছিল। মন্ত্রী আমলা কেউ বাদ পড়ে নাই সেই সময়ে। এক বনভক্ষক এর কথা এখনো সবার মনে থাকার কথা---------------- মন্ত্রীদের নাম ধরে আর নাই বললাম-------------
এখানে যে প্রশ্নটা উঠেছিল সেটা হল- এদের মাঝে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত অনেক ব্যক্তি ছিলেন- শিক্ষা কেন তাদেরকে নৈতিকতা শিক্ষা দিতে পারল না যা দিয়ে সে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে পারত? সম্ভবত এটাই সত্য যে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষিত মানুষ উপহার দিতে পারছে এটা সত্য তবে নৈতিক বোধ সম্পন্ন মানুষ খুব কম উপহার দিতে পারছে।
একজন মুসলিম হিসেবে নয় একজন নিরপেক্ষ দার্শনিক যদি আমরা চিন্তা করি ইসলাম ধর্ম হিসেবে যা তার চেয়ে মতবাদ বা জীবন ব্যবস্থা হিসেবে বেশি কার্যকর। আর তার সাথে ধর্মীও অনুভূতি যুক্ত করে দেওয়া হয় তবে তা নিঃসন্দেহে পূর্ণাঙ্গ হয়ে ওঠে। ধর্মীয় অনুভূতি বাদ যারা নৈতিকতার কথা চিন্তা করেন তাদের জন্যেও ইসলামের নিয়মগুলো সুন্দর আর ধর্মীয় অনুভুতির সাথে যে চিন্তা করে সে হয় ওঠে পূর্নাঙ্গ নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন মানুষ।
যেমনঃ একজন কর্মচারী । সে সৎ । তার শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধ তাকে দুর্নীতি করতে বাঁধা দেয়। সে হিন্দু বৈদ্য খৃষ্টান মুসলিম যা কিছু হতে পারে। অনেক কঠোর সংযম ও ধৈর্য্যের মাধ্যমে সে তার সৎ গুনাবলিকে ধরে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু যখন এই সৎ থাকার জন্য সে পদে পদে নাজেহাল হবে এমন কি বিপদে পড়বে তখন তার পক্ষে সৎ জীবন ধরে রাখা সম্ভব নাও হতে পারে । বিশেষ করে যখন তার সামনে সৎ থাকলে বিপদ আর না থাকলে লাভের হাতছানি তখন -------- কিন্তু ইসলামী আদর্শে এইটা অসম্ভব কারন এর দর্শনটাই হচ্ছে আরেকটি জীবনের সাথে সম্পর্কিত। এই জীবনে যা কিছুই ঘটবে তার ফলাফল আরেকটি জীবনে ঘটবে। সৎ থাকার পুরষ্কার সে পাবে কিন্তু সৎ না থাকলে সে শাস্তির মুখোমুখি হবে। এই অনুভূতি তাকে সৎ এর পথে অবিচল থাকতে সাহায্য করে অবিরত। অফিসে বসে ঘুষ নেওয়া তো দূরের কথা বেতনের বাইরে অফিসের জিনিস নিজের ব্যক্তিগত কাজেই সে কখনো ব্যবহার করবে না---------
এর জ্বলন্ত উদাহরণ দিতে পেরেছেন দুজন মন্ত্রী। শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ এবং মতিউর রহমান নিজামী।
এইবার দেখুন বাংলাদেশের কিছু দুর্ণীতির চিত্র-------------
পুলিশ মামাদের কি দোষ ?
ঘুষ নেবার পর কি কয় পুলিশ মামু ?
বাংলার ফাটাকেষ্ট কর্তৃক দুর্ণীতি বিরোধী অভিযান-- সেলুট !
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন