ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ মানে ধর্মহীনতা নয়, ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ মানে ইসলাম ধর্মকে গলা টিপে হত্যা করাঃ
লিখেছেন লিখেছেন সালাহউদ্দিন নাসিম ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:৩০:৫৩ সকাল
সেকুলারিজম বা ধর্মনিরেপক্ষতাবাদ বর্তমান বিশ্বে বহুল প্রচলিত বিতর্কিত একটি মতবাদ।
এই মতবাদের মুল কথা হলো ,পরিবার ,সমাজ ও রাষ্ট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো হবে ধর্মের বিধিবিধান মুক্ত। ধর্মের ব্যাবহার শুধু ব্যক্তিগত জীবনে সীমাবদ্ধ থাকবে। সমাজ বা রাষ্ট্রপরিচালনায় ধর্মের ব্যাবহার নিষেধ থাকবে।
ধর্মনিরপেক্ষ মতামতের ধ্বজাধারীরা কিন্তু এই কথা মানে না। তাদের মূল বাণী হল “ ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার”। অন্যভাবে বলে তাঁরা রাষ্ট্রে সকল ধর্মকে সমান অধিকার দেওয়া। কিন্তু তাঁরা যে মিথ্যে বলে তাঁর প্রমান দেখুন তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক সকল দিক দিয়ে।
Dictionary থেকে এর অর্থ এবং সংজ্ঞা দেখুনঃ
sec•u•lar•ism (noun)
1. Secular spirit or tendency (প্রবণতা), especially a system of political or social philosophy that rejects(বাতিল করে) all forms of religious faith(বিশ্বাস) and worship(ইবাদাত).
কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক দর্শনের ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষ প্রবণতা হল সকল ধর্মীয় বিশ্বাস এবং উপাসনা বা ইবাদাতকে বাতিল করা।
2. The view that public education and other matters of civil policy should be conducted without the introduction of a religious element
শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ধর্মীয় উপাদান আলাদা করার নামই হল ধর্মনিরপেক্ষতা।
এর সূত্র হলঃ
Collins English Dictionary - Complete & Unabridged 10th Edition
2009 © William Collins Sons & Co. Ltd. 1979, 1986 © HarperCollins
Publishers 1998, 2000, 2003, 2005, 2006, 2007, 2009
http://dictionary.reference.com/browse/secularism
অন্য Dictionary থেকে এর অর্থ এবং সংজ্ঞা দেখুনঃ
1. Religious skepticism or indifference. (ধর্মীয় অবিশ্বাস)
2. The view that religious considerations should be excluded (বাদ দেওয়া) from civil affairs or public education.
3. (Philosophy) Philosophy a doctrine that rejects religion.
4. the attitude that religion should have no place in civil affairs
5. a view that religion and religious considerations should be ignored or excluded from social and political matters.
6. an ethical system asserting that moral judgments should be made without reference to religious doctrine, as reward or punishment in an afterlife.
এর সূত্র দেখুনঃ
The American Heritage® Dictionary of the English Language, Fourth Edition copyright ©2000 by Houghton Mifflin Company. Updated in 2009. Published by Houghton Mifflin Company. All rights reserved.
http://www.thefreedictionary.com/secularism
এবার সংক্ষেপে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের উৎপত্তির ইতিহাস জানুনঃ
বিশ্বমানবতার জন্য অভিশাপ স্বরুপ এই দর্শনটির উৎপত্তি ঘটেছিল , ইউরোপের ধর্মযাজকদের জুলুম নির্যাতনের খড়গহস্তকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য মজলুম জনতা এই মতবাদের আবিস্কার ঘটায়। সর্বপ্রথম খৃস্টপূর্ব ৫ম শতকে গ্রিকরা দর্শনচ্চা করতে গিয়ে ধর্মনিরেপক্ষতার আবির্ভাব ঘটায় ,যারা এসময় গ্রিসে দর্শনচ্চা করত তাদেরকে বলা হয় হয় সোফিস্ট ,আর এই সোফিসদের নেতা ছিল সক্রেটিস।সক্রেটিসের চিন্তাধারাতে ধর্মনিরেপক্ষতার প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছিল ।পরবর্তিতে রোমান সম্রাজ্যেও এর প্রভাব লক্ষ করা যায়।ধর্মনিরেপক্ষতার আধুনিক বিকাশ ঘটে মধ্যযুগের শেষের দিকে। ১৯ শতকের মাঝামাঝিতে এসে ধর্মনিরেপক্ষতাবাদ একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষ মতবাদ হিসেবে আবির্ভুত হয়।এসময় ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের মুল প্রবক্তা ছিলেন
জ্যাকব হলিয়ক (১৮১৭-১৯০৪) http://en.wikipedia.org/wiki/George_Jacob_Holyoake
তিনি প্রথমত ধর্মের প্রতি সহানুভুতিশীল ছিলেন ,পাদ্রিদের কর্মকান্ডে চার্চের প্রতি বিমুখ হয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত ১৮৪১ সালে সম্পুর্নভাবে চার্চ ত্যাগ করেন। বাকি জীবন তিনি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যান।
আসল কথা হল চার্চের যাজকদের অত্যাচারের বিরোধিতা করতে গিয়ে ধর্মের বিরোধিতা থেকে ভ্রান্ত ধর্মনিরপেক্ষতার জন্ম হয়েছে।
এবার দেখুন কিভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মকে বিশেষ করে ইসলামকে গলা টিপে হত্যা করতে চায়ঃ
১. প্রথমেই দেখুন তুরস্কেঃ
১৯২৮ মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়ঃ
এ সম্পর্কে Tim Jacoby তার Social Power and the Turkish State গ্রন্থে লিখেছেন (London: Frank Cass Publishers p. 80. ):
১. ১৯২৪-এ খ়লিফা-প্রথা অবলুপ্ত হয়;
২. ইসলামী বিদ্যালয় বা মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ধর্মীয় আদালতও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৩. এর পরের বছর সুফি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়;
৩. অটোমান যুগে পুরুষরা যে বিশেষ টুপি (ফেজ়) পরতেন তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়;
৪. নারীদেরও বোরখা না পরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
৫. ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম থেকে বাদ দেয়া হয়।
৬. রোমান-তুর্কী বর্ণমালা চালু করা হয়।
৬. ১৯৩৫-এ রবিবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়।
৭. মেয়েদেরকে বাধ্যতামূলক ছোট স্কার্ট পরে অফিস আদালতে যেতে বলা হয়।
৮. নামাজের অনেক নিয়ম কানুন শিথীল করা হয়। শব্দ করে আয়াত পরা নিষিদ্ধ করা হয়।
একই বিষয়ে S.A. Morrision তার Middle East Survey বইয়ে লিখেছেন,
মোস্তফা কামালের শাসনামলে আরবীতে আজান নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল। দেশ থেকে আরবী ভাষার উচ্ছেদ সাধন করে তুর্কি ভাষার প্রবর্তন করা হয়েছিল। বেত্রাঘাত ও বেয়নেটের মুখে ( ২৬ মার্চ ১৯২৬) আরবী হরফের পরিবর্তন করে ল্যাটিন হরফ ( ৩ নভেম্বর ১৯২৮ সালে) গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। ১৯২৫ সালের ২৫ নভেম্বর মোস্তফা কামাল ফেজ টুপির ব্যবহার বন্ধ করে সরকারীভাবে ইংলিশ হ্যাটের প্রচলন করেছিলেন। পরবর্তীকালে পশ্চিমী পোশাককে জাতীয় পোশাক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল। তুরস্কের শাসনতন্ত্র থেকে 'ইসলাম' কেটে দিয়েছিলেন মোস্তফা কামাল। ধর্মনিরপেক্ষ এই সরকারের নীতি এমন পাশবিক ও গোঁড়ামীপূর্ণ ছিল যে, মসজিদের দরজাতেও তালা লাগিয়েছিল। বিখ্যাত 'আয়া সোফিয়া মসজিদকে' জাদুঘরে এবং 'ফাতিহ মসজিদকে' গুদামে পরিণত করা হয়েছিল।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি কামাল আতাতুর্কের ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের আচরণঃ
তার সহনশীলতার (!) কিছু দৃষ্টান্ত। কামাল আতাতুর্ক সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। কেবল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করেই তিনি ক্ষান্ত হননি। বিরোধী নেতাদের এমনকি যাদের সহযোগিতায় তিনি অভ্যূত্থান ঘটিয়েছিলেন তাদেরকেও তিনি পাইকারী হারে ফাসিঁর কাষ্ঠে ঝুলিয়েছেন।
Jhon Gunther তাঁর Inside Europe বইতে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, '১৯২৬ সালে তাকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে তিনি প্রায় সকল বিরোধি নেতাকে ফাসিতেঁ ঝুলান। বিরোধী নেতাদের হত্যা-অনুষ্ঠান উপভোগ্য করে তোলার জন্য মোস্তফা কামাল আংকারার নিকটস্থ তার খামার বাড়ীতে একটা প্রচারক-দল পুষতেন। আর এ হত্যা অনুষ্ঠানে ডাকা হতো সকল কুটনীতিক প্রতিনিধিদের। ভোরে বাড়ী ফেরার সময় তারা দেখতো লাশগুলি শহরের চৌরাস্তায় ঝুলছে।
২. দেখুন ধর্মনিরপেক্ষ ভারতঃ
১. গুজরাটে ২০০২ সালের মুসলিমবিরোধী ভয়াবহ দাঙ্গায় দুই হাজারেরও বেশি মুসলমান নিহত হন। ওই দাঙ্গার সময় গুজরাটের পুলিশ দাঙ্গাবাজ হিন্দুদের থামানোর চেষ্টা তো করেইনি, বরং অনেক ক্ষেত্রে দাঙ্গাকারীদের সহায়তা করেছিল। নরেন্দ্রমোদী ছিলেন সরকারের অংশ যিনি এই দাঙ্গায় মদদ দিয়েছিলেন। সেই সময় মুসলমান হত্যা ধর্ষনের পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলাদের পেট কেটে বাচ্চা বের করে বাচ্চাটিকেও আগুনে পোড়ানো হয়েছে।
৩. বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার ঘটনা আশা করি কেউ ভুলে যাননি।
৪. এছাড়াও অনেক আচরণ উল্লেখ করা যায় তবে এটা মুসলিম প্রদান দেশ নয় বলে উল্লেখ না করাই ভাল। তবু বলে রাখা ভাল যে ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ বলা আছে।
৪. দেখুন বার্মার ধর্মনিরপেক্ষতার উদাহরণ। শুধু চোখ দিয়ে পানি ঝরবে। কোন কথা হবে না।
৫. ফ্রান্সে দেখুন হিজাব ও স্কার্ফ নিষিদ্ধ করা হল। কেন রে অন্য সবাই যদি তাঁর ধর্ম পালন করতে পারে তাইলে ইসলাম সমস্যা কেন?
৬. চোখ বুলাতে পারেন বিশ্বের অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ দেশের দিকে। দেখবেন সব ঠিক আছে কিন্তু সমস্যা ঐ একটাই ইসলাম আর ইসলামী সংস্কৃতি ধর্মনিরপেক্ষতার চোখের বিশ।
এবার দেখুন বাংলাদেশঃ
১. ১৯৭২ সালের সংবিধানের চারটি মূলনীতির মধ্যে একটি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা।
সেই সময়ের সরকারের কর্মকান্ড আশা করি ভুলে যাননি। রক্ষিবাহিনী আর সবশেষে বাকশাল। বাকশাল মানে কি ছিল একটু তুরস্কের সাথে মিলিয়ে নিন। ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ। আর বেশী উল্লেখ না করাই ভাল।
২. ৪-গত ২রা জুলাই,২০১২- চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের ছাত্রীরা হিজাব পরতে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে । হিজাব পরা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষিকাদের নির্যাতনের পর থেকে তারা আন্দোলনে নেমেছে। এদিকে ছাত্রীদের নামাজ পড়তে বাধা দেয়াসহ কর্তৃপক্ষ গতকাল নামাজকক্ষ তালাবদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা। কলেজে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক ছাত্রী হিজাব পরে কলেজ হোস্টেলের সামনে অবস্থান নেয়। উপস্থিত ভীতসনন্ত্র ছাত্রীরা সাংবাদিকদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছাত্রীরা তাদের ওপর চলমান বিভিন্ন নির্যাতনের বর্ণনা দেন। তারা অভিযোগ করেন, হিজাব এবং নামাজ পড়ার কারণে তাদের ক্লাস, পরীক্ষা এবং ওয়ার্ডে ডিউটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধা দেয়া হচ্ছে। ছাত্রীদের দাবি, মুসলমান হিসেবে তাদের হিজাব পরার অধিকার রয়েছে, কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের হিজাব পরতে দিচ্ছে না। নামাজ পড়া নিয়েও কর্তৃপক্ষ ঝামেলা করছে। তারা জানান, গতকাল সকালে অধ্যক্ষের নেতৃত্বে কয়েক জন শিক্ষিকা তাদের নামাজঘর তালাবদ্ধ করে রাখে। এ সময় শিক্ষিকারা সেখানে রাখা বিভিন্ন ধর্মীয় বই, হিজাব পরা ও নামাজ পড়া নিয়ে কটূক্তি করেন। অঞ্জলী দেবী নামে এক শিক্ষিকা জুতা পরা অবস্থায় নামাজঘরে প্রবেশ করে তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নামাজঘরে জুতা নিয়ে ঢুকেছি, কই আল্লাহ আমাকে কী করেছে?’ ছাত্রীরা আরও অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ তাদের বলেছেন নার্সিং করলে নামাজ পড়তে হয় না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ফোন করে তাদের সন্তানদের বহিষ্কারের হুমকি দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এতে অনেক অভিভাবক তাদের মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেকটা বাধ্য হয়ে হিজাব ছাড়া ক্লাস করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজের নোটিশ বোর্ডে, নীতিমালা অনুযায়ী হিজাব পরা ছাত্রীদের ক্লাস এবং ওয়ার্ড ডিউটি থেকে একরকম নিষিদ্ধ করেছে। হিজাব পরা ছাত্রীদের ক্লাস এবং পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। শীর্ষ আলেমরা ইসলামের ফরজ বিধান হিজাব তথা বোরকা পরতে বাধাদানকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন এবং এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন হিজাব পরতে বাধা দেয়া সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। (আমার দেশ-০৩-১২-১২)
৩. বাদ যায়নি বিদেশী পর্যটকও। গত ১ লা অক্টোবর ২০১০ সাইপ্রাসের এক পর্যটক নারী জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ছবি তুলতে গেলে তাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
৪. এদিকে বোরকা পরে ক্লাসে আসার অপরাধে এক ছাত্রীকে কলেজে ঢুকতে দেননি উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার গোলাম হোসেন। আরো পাঁচ ছাত্রীকে গেটে দাঁড় করিয়ে রাখেন। অধ্যক্ষ বোরকাকে ‘অড’ বা দৃষ্টি কটু ড্রেস উল্লেখ করে বলেন “একটা মেয়ে পায়ের নখ পর্যন্ত বোরকা পরে এসেছে এটা দৃষ্টি কটু। আমরা এটা এলাউ করতে পারি না। তাই তাকে ক্লাসে ঢুকতে দেয়া হয়নি”।
৭. বোরকা পরার অপরাধে ২০০৯ সালের ৩ জুলাই পিরোজপুর জেলার জিয়ানগরে ছাত্রলীগের বখাটে কর্মীদের প্ররোচনায় পুলিশ জঙ্গি সন্দেহে তিন তরুণীকে গ্রেফতার করে। তারপর পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে তিন তরুণীকে ঢাকায় টিএফআই সেলে নিয়ে আসা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতারকৃত তরুণীদের বিরুদ্ধে মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন অমর সিংহ। এ সময় তাদের বোরকা খুলতে বাধ্য করে মহাজোট সরকারের দিনবদলের পুলিশ। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদেও কোনো জঙ্গি সংযোগের কাহিনী বানাতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফাইনাল রিপোর্ট দিতে বাধ্য হয়। দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দি থেকে অবশেষে তিন অসহায়, নিরপরাধ তরুণী মুক্তি পান।
৫. ২০১০ সালের ৩ এপ্রিল সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয় যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. একেএম শফিউল ইসলাম তার ক্লাসে ছাত্রীদের বোরকা পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তিনি ক্লাসে ‘মধ্যযুগীয় পোশাক বোরকা’ পরা যাবে না এবং এটি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কোনো পোশাক হতে পারে না বলে ফতোয়া জারি করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি বিভাগীয় কোনো সিদ্ধান্ত নয়, তবে আমার ক্লাসে কোনো ছাত্রীকে আমি বোরকা পরতে দেব না।
৬. ২৮ অক্টোবর ২০০৬ এর লগি বৈঠার তান্ডবের কথা স্মরণ করুন। এটা ধর্মনিরপেক্ষতার আসল রূপ।
৭. বর্তমান দিনগুলোর কথা ভাল করে স্মরন করুন। মসজিদে গুলি, নামাজরত অবস্থায় গ্রেফতার।
৮. নাস্তিকদের সরকারী প্রোটেকশান দিয়ে তাদের নিয়ে আন্দোলন।
৯. আলেমদের মিছিলে নির্বিচারে গুলি।
১০. মন্ত্রীরা নিজেকে না মুসলিম না হিন্দু বলে পরিচয় দান।
১১. মেয়েরা নিজেদের কুৎসিৎ চেহারা ঢাকতেই বোরখা পরে বলে মন্ত্রীদের বক্তব্য।
১২. গান বাজনার প্রতি আগ্রহী হতে আহবান সরকারের।
কত আর লিখবো! সবাই মিলে ঝাপিয়ে পড়ুন ধর্মনিরপেক্ষতার হাত থেকে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মুসলিম ও ইসলামকে বাচানোর জন্য। আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিজ নিজ যোগ্যতা অনুসারে ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে জাপিয়ে পরার তৌফিক দান করুন। আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৯৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন