এ যুগেও সতীত্বের অগ্নিপরীক্ষা দিতে হচ্ছে জর্জিয়ার কুমারীদের !!!!
লিখেছেন লিখেছেন গেরিলা ০১ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:৫৫:৩০ সকাল
কুমারীত্বের অগ্নিপরীক্ষা শুরু হয়েছে জর্জিয়ায়। আজকের জর্জিয়ায় মেয়েদের বিয়ের প্রধান শর্তই হলো তাদের কুমারীত্বের পরীক্ষা দিতে হবে। তাতে হতে হবে সফল অর্থাৎ কুমারীদের করাতে হবে ভার্জিনিটি টেস্ট। রিপোর্টে তাদের কুমারীত্ব প্রমাণিত হলে তারপরেই বিয়ের প্রশ্ন। না-হলে যুবতীরা পাবে নষ্ট মেয়ের তকমা। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও এই বর্বর মানসিকতা থেকে মুক্ত হতে পারেনি একদা সোভিয়েত ইউনিয়নের সদস্য জর্জিয়া। ইতোমধ্যে বিবাহে ইচ্ছুক বহু যুবতী নিজের ভার্জিনিটি টেস্ট করিয়েছেন।
তবে অনেকে এর বিরুদ্ধে রুখেও দাঁড়িয়েছেন। সদর্পে ঘোষণা করেছেন তারা এই নির্দেশ মানছেন না। তাদের প্রশ্ন, কুমারীত্ব কি শুধুই নারীদের জন্য। কোনো পুরুষও এই একই পরীক্ষা করাচ্ছেন না কেন? বিবিসির এক রিপোর্ট অনুযায়ী, জর্জিয়া ফরেন্সিক ব্যুরোতে এই টেস্টের জন্য হবু কনেদের কাছ থেকে ৬৯ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ছয় হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। যদি টেস্ট রিপোর্ট তাড়াতাড়ি দরকার, তা হলে আরো বেশি অর্থ গুনতে হবে। জর্জিয়ার লোকদের কাছে এই টেস্টের খরচ, তাদের গড় মাসিক খরচের সমান। তা-ও পরীক্ষায় পিছপা হচ্ছেন না কেউই। বরং চার্চের তরফে এই টেস্টের জন্য মহিলাদের একটি দলও গঠন করা হয়েছে। এই দলের সদস্যদের ভার্জিনিটি টেস্টের জন্য কোনো টাকা দিতে হচ্ছে না।
অন্য দিকে, কিছু যুবতী এই টেস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। এক মহিলা জানান, তাকে এই পরীক্ষা করতে বলা হলে, তিনি কোনো মতেই তা করাবেন না। ব্যাখ্যা, তার সঙ্গে যদি কেউ জীবন অতিবাহিত করতে চায়, তা হলে তাকে তার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন মহিলা প্রশ্ন তুলেছেন, পুরুষরাও ভার্জিনিটি টেস্ট করাচ্ছে না কেন? যদিও চার্চের ব্যাখ্যা, এই টেস্টের উদ্দেশ্য এইচআইভি/এইডসের মতো রোগের হাত থেকে যুবতীদের বাঁচিয়ে রাখা। এই টেস্টের জন্য চার্চের তরফে মহিলাদের একটি দলও গঠন করা হয়েছে। ভার্জিনিটি টেস্ট করানোর জন্য যুবতীদের ওপর কোনো রকম চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে না বলেও চার্চ সাফাই দিয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
২৩০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন