সাধারণ ছাত্রের লেবাসে শিবিরের নেতাকর্মী এবং
লিখেছেন লিখেছেন গেরিলা ১২ জুলাই, ২০১৩, ০৯:৫২:২৪ রাত
গত সোমবার ৩৪ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর তা নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
“সাধারণ ছাত্রের লেবাসে শিবিরের নেতাকর্মী এবং পশ্চাৎপদ শীল কিছু লোক এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। শাহবাগে কোটা বিরোধী আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীর দোসররা জড়িত বলে অভিযোগ করেছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ নামে একটি সংগঠন| ”
কথাটা যদি সত্যি হয়, তা হলে বুঝেন সমাজের চিত্র পরিবর্তনে জামাত শিবির কি বীভৎস পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে|
বাংলার মানুষ কখনই স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে কে ভোট দেয় না, বাংলার মানুষ ধর্মভীরু হলেও জামাত শিবিরকে মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না | মানুষ ভোট দেয় অপরাজনীতি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, বাংলার মানুষ আর একটি বাংলা ভাই, ইংলিশ ভাই, জঙ্গিবাদের উত্থান দেখতে চায় না, তাই জাতীয় নির্বাচনের জামাত বি এন পি জোট ক্ষমতায় চলে আসে অথবা চলে আসবে | আওমীলীগ তার মুল নীতি বিসর্জন দিয়ে ভ্রান্ত পথে হেটে যাচ্ছে, দলের মাঝে বখাটে ভণ্ড চাটুকারদের ভিড় তাই ভরাডুবির পথে হাঁটছে আওয়ামীলীগ বা মহাজোট সরকার, গত চার বছরের উন্নয়নের কথা উল্লেখ না করলেই নয় , বিদ্যুৎ সংকটের এক বিরাট সমস্যা বর্তমান সরকার সমাধান করলো , কিন্তু এই রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ব্যক্তি মালিকানায় সরকারের ভর্তুকির কথা কি কেউ ভেবেছেন ? শিক্ষা মন্ত্রী সত্যই সুন্দর শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন, বিনামূল্যে ইস্কুল গুলোতে বই বিতরণ এই পৃথিবীতে একটি প্রশংসনীয় ঘটনা | সরকার কে ধন্যবাদ দিতে হয় , শুধু মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে একি ছাতার তলে আনা গেলো না | প্রত্যেক ঘরে ঘরে একজনের চাকুরী দেবার প্রতিশ্রুতি থাকলেও একটি পাইলট প্রজেক্ট চালু করার চেষ্টা হয়েছে মংলা এলাকাতে , তারপর সেটার খবর নাই | ছাব্বিশ হাজার প্রাথমিক ইস্কুলকে সরকারী করণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল , সেটা কতদূর এগুলো ? পদ্মা সেতু এখন একটি সার্কাস | বহুল আলোচিত এই পদ্মা সেতু নিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিন কোটি মানুষ স্বপ্ন দেখা প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু সরকার ‘পদ্মা সেতু ইস্যুটি’ ‘বার বার হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগানোর মতো’ জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে। কাবুলিওয়ালার মতো সরকার ঝুড়ি থেকে ‘এক এক সময় এক একটি দেশ ও বিদেশি কোম্পানির নাম’ বের করে এনে বলছেন ওরা পদ্মা সেতুকে বিনিয়োগ করতে চায়। কিন্তু মানুষ সে সবের বাস্তবতা দেখতে পারছে না। জনগণকে এভাবে বোকা বানানোর কৌশল আর কতদিন চলবে ? মন্ত্রী আবুল হোসেন হলেন দেশ প্রেমিক
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বললেন :- ” আমি যা করি তা দেশের ভালোর জন্যই করি। আমি মানুষ আমারও ভুল হতে পারে। আমি যদি কোন ভুল করি তাহলে আমাকে সরাসরি বলবেন। কিন্তু নিন্দা করবেন না মিডিয়া অবশ্যই কাজের সমালোচনা করবে। মিডিয়া যা বলে তার কিছু হলেও সত্য। তাই আমি নিজে সব জায়গায় গিয়ে সকল পরিস্থিতির পর্যালোচনা করি। তাই ঈদের সময়ও আমি অবসর সময় কাটিয়ে সড়ক উদ্বোধন করেছি। আমার দেশের ৫৫ টি জেলা পরিদর্শন করা হয়েছে, আর মাত্র ৯ টি জেলা পরিদর্শন করা বাকি।”
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দেশপ্রেম আর প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আনুগত্যের কোনই অভাব দেখা যাচ্ছে না | বীরত্বের সাথে তিনি চড় থাপ্পড় দিয়ে চলেছেন, উক্ত মন্ত্রী মহাশয়ের ভাষ্যমতে মতে রেলের কর্মরত ভদ্রলোক বেশী দামে রেলের টিকিট বিক্রি করেছেন, অবশ্যই সেটা একটা অপরাধ | উক্ত কর্মকর্তাকে শাস্তি দেবার তো আইনি পথ অবলম্বন করা যেতো ? মানুষ মানুষের গায়ে হাত তোলে না এটাই হচ্ছে সভ্যতার প্রথম সূত্র, যে কোনো সভ্য দেশে কেউ কোনদিন কারো গায়ে হাত তোলার কথা চিন্তাও করতে পারে না| মন্ত্রী মহাদয় কি একবারও চিন্তা করে দেখলেন না যাকে চড় দিলেন তার দুটি মেয়ে হয়তো কলেজে পড়ে, সেই ভদ্রলোকেরও একটা সমাজ আছে, তাকেও সমাজে চলাফেরা করতে হয়, তার সন্তানরা কি বাবার এই থাপ্পড় খাবার অপবাদ নিয়ে কলেজে যাওয়া আসা করবে ? তাদের কি সমাজ বলতে কিছু নেই | মন্ত্রী মহাদয় কি থাপ্পড় দেবার আগে এই কথা গুলো মোটেও চিন্তা করার সময় পেলেন না আমি একজন প্রবাসী বাংলাদেশী, প্রবাসে বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীর হেন কাজের সংবাদ যখন প্রবাসে বিভিন্ন পত্র পত্রিকাতে প্রকাশ পায়, মনের অজান্তে চোখের কোণে পানি চলে আসে , কেউ প্রশ্ন করলে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে আসে | বাংলাদেশের মন্ত্রীরা যদি এ ভাবেই সাধারণ সরকারী কর্মকর্তাদের চড় থাপ্পড় দেয়া শুরু করেন , আমরা কি তাহলে সভ্যতার আলোকে কোনদিনই আলোকিত হতে পারবো না ? মাননীয় মন্ত্রী মহাদয় কে বলছি দেশের জন্যে মায়া মহাব্বাত দেখাবার আগে নিজেকে সভ্যতার আলোকে আলোকিত করুন, এতে দেশের আর দশের উপকার হবে আরো বেশী | আমাদের দেশে একজন রিক্সা চালক হয়তো দিনে দু এক বার চড় থাপ্পর পেয়ে থাকে, একজন গৃহপরিচারিকা হয়তো এমত অত্যাচারের অহরহ শিকার | একজন মন্ত্রীর একখানা চড়, বাংলাদেশকে সভ্যতার সম্মুখ যাত্রায় অনেক অনেকখানি পিছিয়ে দিলো |
রেল মন্ত্রী সুরঞ্জিত বাবু রেল কে বাচাবার জন্যে উঠে পড়ে লেগে গেলেন কিন্তু নিজের ঘর কে সামাল দিতে পারলেন না , নিজের পি এস এর গাড়ী থেকে বের হলো দুর্নীতি থেকে আয় করা ৭০ লক্ষ ঘুষের টাকা, মন্ত্রী এখন দফতর ছাড়া হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছেন, জনগনের টাকায় উনাকে মাসের পর মাস বেতন দেয়া হচ্ছে |
মন্ত্রীরা দেশ বিদেশে ভ্রমন করছেন প্রবাসী ভন্ড আওমীলীগ নামধারীদের খপ্পরে পড়ে হচ্ছেন দুর্নীতিবাজ, শিখে নিচ্ছেন মানি লোন্দ্রিং এর কলা কৌশল, কেউ কি দেখার নাই ?
যুদ্ধপরাধীদের বিচার ট্রাইবুনাল গঠন করার পরও সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সুযোগ, তাহলে ট্রাইবুনাল গঠন করা কেন, সাধারণ কোর্ট থেকেই তো মামলা শুরু করতে পারতো , এর কারণ কি যুদ্ধপরাধীদের বিচারের মূলা ঝুলিয়ে আরো একটি টার্ম দেশের ক্ষমতায় থাকা ? সুপ্রিম কোর্টে এখন মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকুক | হায়রে রাজনীতির খেলা
----কিন্তু ---
বিষয়: বিবিধ
২৭০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন