নারীবাদী গল্পঃ নারীর পুরুষ ধর্ষণ Love Struck Love Struck

লিখেছেন লিখেছেন গেরিলা ২৭ জুন, ২০১৩, ০৪:০১:১৯ বিকাল



ফাতেমা, দুর্গা ও মেরী তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু । এক দিকে ভার্সিটিতে একই শ্রেনীতে পড়া অন্য দিকে ইন্টারনেট এই দুইয়ের সুবাদে ওদের বন্ধুত্ব চুটিয়ে চলছিল । খুবই জ্ঞানী এবং সাহসী এই তিন বান্ধবী । তবে ইদানিং-এর ধর্ষণের সংবাদ শুনতে শুনতে বেশ প্রভাবিত হয়ে পড়েছিল তাঁরা । ভার্সিটির ক্যান্টিনে ও ফাস্ট ফুডের দোকানে বসে প্রায় তাঁরা ধর্ষণ নিয়ে আলোচনা করতো । ধর্ষণ কেন হয় এবং এর প্রতিকার কি, এই নিয়ে তাঁদের চিন্তার শেষ ছিল না ।

এক দিন এক ফাস্ট ফুডের দোকানে বসে নারী ধর্ষন নিয়ে মেরী, ফাতেমা ও দুর্গার মধ্যে আলোচনা চলছিল; হঠাৎ ফাতেমা বললো- ''আচ্ছা, এই ধর্ষণ শুধু পুরুষরাই কেন করে, নারী কেন পুরুকে ধর্ষণ করে না ? মেয়েদেরও পুরুষকে ধর্ষণ করে হিসেব চুকিয়ে দেওয়া উচিৎ'' । ফাতেমার এই প্রস্ন শুনে মেরী ও দুর্গা হেসেই যেন আত্মহারা । ফাতেমা- ''ব্যাপার কি ? এতে এত হাসার কি আছে'' ? উত্তরে মেরী- ''হাসবো না- নারী আবার পুরুষ ধর্ষণ করে নাকি'' ? এরই মধ্যে দুর্গা বলে উঠলো- ''আরে পাগলী মুরগি শিয়েল খায়, নাকি শিয়েল মুরগি খায়'' ? ফাতেমা- ''আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে'' । মেরী জানতে চাইলো- ''আইডিয়া মানে, কিসের আইডিয়া'' ? উত্তরে ফাতেমা- ''আমরা পুরুষ ধর্ষণ করে পুরুষের ধর্ষণের দাঁত ভাঙা জবাব দেব'' । দুর্গা- ''আইডিয়াটা মন্দ না'' । মেরী- ''কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব ? আমাদের মতো সুন্দরী যুবতী মেয়ে পেলে কোনো পুরুষের আপত্তি থাকবে কি ? আপত্তি না থাকলে তো সেটা ধর্ষণ হবে না'' । ফাতেমা- ''তা বটে, তবে আমরা এমন পুরুষকে শিকার বানাবো যার আপত্তি থাকবে'' । দুর্গার প্রশ্ন- ''এমন পুরুষ কি বাংলাদেশে আছে'' ? ফাতেমা- ''এত বড় দেশে থাকবে না কেন ? এমন পুরুষ আমাদের খুঁজে বের করতেই হবে'' ।

তিন বান্ধবীই ভাবছে যে এমন পুরুষ কোথায় পাওয়া যায় যেই পুরুষের ধর্ষিত হতে আপত্তি থাকবে । শুক্রবার দিন বেলা প্রায় বারোটা বাজতে চললো ঘুম ভাঙতেই ফাতেমার মাথায় ধর্ষণের চিন্তা শুরু হয়ে যায় । হঠাৎ যেন তার মাথায় কিছু এলো । অবিলম্বে বালিশের পাশে রাখা সেলফোনটি উঠিয়ে একে একে মেরী ও দুর্গা দু'জনকেই কল করে হোটেল পুষ্প-তে আসতে বললো । ফাতেমা আগেই হোটেল পুষ্প-তে গিয়ে দুর্গা ও মেরীর জন্য অপেক্ষা করছিল । তার পর একে একে মেরী এবং দুর্গাও পুষ্প-তে গিয়ে উপস্থিত হলো । মেরী ফাতেমার কাছে জানতে চাইলো- ''কি ব্যাপার, এত তাড়াহুড়ো করে এখানে কেন আসতে বললে'' ? উত্তরে ফাতেমা- ''আমার মাথায় একটা ফন্দি এসেছে, সেই কথা বলতেই তোমাদেরকে এখানে ডেকেছি'' । দুর্গা- ''এই জন্য এখানে ডাকতে হবে ? ফোনেও বলতে পারতে'' ? চট করে ফাতেমা বললো- ''না, ফোনে সব কথা বলে যায় না'' । মেরী- ''ঠিক আছে, বলো দেখি কী ফন্দি তোমার মাথায় এলো । নিশ্চয় সেই পুরুষ ধর্ষনের ব্যাপারে'' ? ফাতেমা- ''ঠিক ধরেছো । আমার মনে হয় কোনো মসজিদের ইমামকে ধর্ষণ করতে চাইলে নিশ্চয় তাঁর আপত্তি থাকবে'' । দুর্গা- ''চমৎকার আইডিয়া বের করেছো তো ! পাশের মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আলী এই বছরই হজ্জ করে এসেছেন । বয়সও খুব বেশী না, মাত্র ত্রিশ'' । মেরী- ''তাই নাকি ? এমন ব্যাক্তি তো নিশ্চয়ই ধর্ষণের মতো অন্যায় কাজের পক্ষে যাবেন না । চলো তাহলে দেরি না করে আজই জুম্মার নামাজের পরই কাজটা সেরে ফেলা যাক'' । ফাতেমা- ''আমিও তাই ভাবছি । কিন্তু তার আগে আমাদের একটা কাজ করতে হবে'' । দুর্গা জানতে চাইলো- ''আবার কি কাজ'' ? ফাতেমা- ''আরে ধর্ষণ কি রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে করবো নাকি ? এই কাজের জন্য আমাদের এই হোটেলেই একটা রুম ভাড়া করতে হবে । চলো আগে রুমের বুকিং দিয়ে নিই'' । দুর্গা- ''ও হ্যা, চলো চলো'' ।

জুম্মার নামাজ শেষ হওয়ার পর ইমাম মোহাম্মদ আলী পায়ে হেঁটেই বাসায় ফিরছিলেন । হঠাৎ দুর্গা ও মেরীর কার ইমাম আলীর সামনে এসে থামলো । আলী তাঁদের দিকে তাকাতেই দুর্গা কার থেকে নেমে মিনতির সাথে বললো- ''ইমাম সাহেব, আমার বান্ধবী ফাতেমা কেমন যেন করছে, আপনি যদি আমাদেরকে একটু সাহায্য করতেন'' ! ইমাম আলী- ''কেন ডাক্তার দেখাওনি'' ? দুর্গা- ''ডাক্তারের ওষুধে কাজ হচ্ছে না, একজন আমাকে বললো- জুম্মার নামাজ পড়ার পর ইমামকে দিয়ে ঝাড়ালে ঠিক হয়ে যাবে । আপনি চলুন না ইমাম সাহেব আমাদের সাথে'' । মেরী- ''আসুন ইমাম সাহেব, গাড়িতে বসুন'' । ইমাম আলী কারে বসতে বসতে- ''ঠিক আছে চলো । খুব বেশি দূরে নাকি'' ? মেরী বললো- ''না ইমাম সাহেব, ঐ সামনের হোটেলটাতে'' ।

মেরী ড্রাইভিং করছিল । হোটেলের সামনে গিয়ে মেরী কার থামালো । মেরী আর দুর্গা এক সাথে কার থেকে নামলো । তার পর ইমাম আলীকে উদ্দেশ্য করে মেরী বললো- ''আসুন ইমাম সাহেব'' । ইমাম আলী কার থেকে নেমে মেরী ও দুর্গার পেছনে পেছনে চলতে থাকলেন । গন্তব্য হোটেলের পঞ্চম তলা । যেখানে তাঁদের ভাড়া করা রুমে ফাতেমা অবস্থান করছিল । রুম নাম্বার ৩৩৩- আগে মেরী কক্ষে প্রবেশ করলো তার পর দুর্গা প্রবেশ করে বললো- '' আসুন ইমাম সাহেব, ভেতরে আসুন । ঐ দেখুন কীভাবে ফাতেমা বেড-এর ওপর পড়ে আছে । ওকে দেখুন প্লীজ'' । এই বলেই দুর্গা রুমের দরজা বন্ধ করে দিলো । ইমাম আলী ফাতেমার কপালে হাত দিয়ে জ্বর আছে কিনা দেখছিলেন; হঠাৎই ফাতেমা ইমাম আলীকে জড়িয়ে ধরলো । ইমাম আলী- ''এই করছো কি'' ? ফাতেমা- ''এখনই বুঝতে পারবেন কি করছি'' । ইমাম আলী- ''ব্যাপার কি বলো তো ? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না'' । মেরী- ''আমি বুঝিয়ে বলছি মিস্টার আলী । আমরা এখানে আপনাকে ফাতেমার চিকিৎসার জন্য নয়, ধর্ষণ করার জন্য নিয়ে এসেছি'' । ইমাম আলী- ''এই, তোমাদের মাথা ঠিক আছে তো ? আমার তো মনে হয় তোমরা পাবনা থেকে পালিয়ে এসেছো'' । দুর্গা বললো- ''না আমাদের মাথা খারাপ হয়েছে, না আমরা পাবনা থেকে পলাতক । আমরা পূর্ণ জ্ঞানের সাথে আপনাকে ধর্ষণ করতে যাচ্ছি'' । এতক্ষণে মেরী এবং দুর্গাও ইমাম আলীকে পেছনের দিক থেকে ধরে ফেলেছিল । ইমাম আলী বললেন- ''দেখো- আমার সাথে জোর করার কোনো দরকার নেই । আমি স্বেচ্ছায় তোমাদের সাথে সহবাস করতে প্রস্তুত'' । তাঁরা ইমামকে ছেড়ে দিলো । ইমাম হাফাচ্ছিল । ফাতেমা ইমামকে বললো- ''কিন্তু আমরা তো আপনাকে ধর্ষণ করতে চাইছি, আপনি যদি এই কাজ রাজি হয়ে করেন তাহলে তো আর এটা ধর্ষণ হবে না'' । ইমাম আলী- ''দেখো, তোমাদের মতো সুন্দরী মেয়েদের সাথে সহবাস করতে পারাটা তো সৌভাগ্যের ব্যাপার । বাংলাদেশে এমন কোন পাগল পুরুষ আছে যে এই রকম সুন্দরীদের প্রস্তাবে রাজি হবে না'' ? ফাতেমা- ''কিন্তু আপনি তো একজন হাজী এবং মসজিদের ইমাম । আপনি কি করে এমন একটি অপকর্ম ক্রতে পারবেন'' ? হাসতে হাসতে ইমাম আলী বললেন- ''দেখো আবার কি বলে, আরে তোমাদের মতো টিন এজ যুবতীদের সান্নিধ্য পেলে কি আর কে হাজী, কে ইমাম, এসব মনে থাকে ? তাছাড়া, এই পুরুষ শাসিত সমাজে শেষ পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখিন তোমাদেরই হতে হবে কারণ, আমাদের মতো ধর্ম রক্ষক পুরুষদের হাতেই এই সমাজের সকল রীতি-নীতি গড়া । নারীদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সকল ব্যবস্থা আমাদের পূর্ব পুরুষরা তথা ধর্ম যাজকরা অনেক আগেই করে রেখেছেন'' । ফাতেমা রেগে বললো- ''বেটা শয়তান কোথাকার, বেরিয়ে যা এখান থেকে'' । ইমাম আলী- ''সে কি, ধর্ষণ না করেই বের করে দেবে'' ? মেরী চোখ রাঙিয়ে পার্স থেকে পিস্তল বের করে বললো- ''গেলি এখান থেকে ? নাকি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করতে হবে'' ? ইমাম আলী দ্রুত রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন । ফাতেমা বললো- ''এবার কি করা'' ? দুর্গা শান্তনা দিয়ে বলও- ''চিন্তা করো না । আমরা অন্য কাউকে খুঁজবো'' ।

এক দিন পর হোটেল পুষ্প-এর লন-এ বসে তিন বান্ধবীর মধ্যে ধর্ষণ প্রসঙ্গে কথোপকথন হচ্ছিল । দুর্গা একটু চুপ থাকার পর বললো- ''আচ্ছা- ঐ শিব মন্দিরের রাম নাথকে ধরলে কেমন হয়'' ? মেরী বললো- ''ভালো বলেছো তো ! শুনেছি, পুরোহিত রামনাথ বড়ই সত এবং ধার্ম পরায়ন'' । ফাতেমা- ''শুধু তাই নয় তিনি নাকি ব্রহ্মচারী । এখন পর্যন্ত বিয়েও করেননি'' । দুর্গা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো- ''চলো এখনই শিব মন্দিরে যাবো'' । তিনজনই কারে গিয়ে বসলো, গন্তব্য শিব মন্দির । ফাতেমা ড্রাইভ করছিল । মন্দিরের পাশে গিয়ে কার দাঁড় করিয়ে মেরী ও দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গনে গমন করলো । ওই সময় মন্দিরে পুরোহিত রামনাথ একাই ছিলেন । তাঁর বয়স ৩৪ । সংক্ষিপ্ত পুজো সম্পন্ন করার পর দুর্গা মাটিতে লুটিয়ে পড়লো । মেরী চেচিয়ে বললো- ''আরে দুর্গা কি হয়েছে তোমার ? পূজারী জী, তাড়াতাড়ি আসুন- দুর্গার কি যেন হয়েছে'' । পুরোহিত দ্রুত দুর্গার কাছে এসে বললো- ''কি হয়েছে ওর'' ? মেরী-''আমি জানি না । দুর্গাকে ধরে গাড়িতে নিয়ে চলুন'' । দুজনে উঠিয়ে দুর্গাকে গাড়িতে নিয়ে গিয়ে বসালো । দুর্গাকে গাড়িতে রেখে পুরোহিত ফিরে যেতে উদ্যত হলে দুর্গা পুরোহিত রামনাথের হাত টেনে ধরে বললো- ''আপনীও বসুন পূজারী জী'' । রামনাথ অবাক হয়ে বললেন- '' বুঝলাম না, কি বলতে চাইছো'' ? গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মেরী পিস্তল বের করে বললো- ''ভদ্রতার সাথে বসবেন নাকী...........'' পিস্তল দেখে পুরোহিত রামনাথ ভিতস্বরে বললেন-''তোমরা আমাকে কেন নিয়ে যেতে চাইছো'' ? উত্তরে ফাতেমা- ''নিয়ে গিয়ে আমরা আপনাকে ধর্ষণ করবো'' । রামনাথ- '' এই কথাটা আগে বললেই তো আমি তোমাদের সাথে স্বেচ্ছায় চলে যেতাম'' । দুর্গা অবাক হয়ে বললো- ''আপনি একজন পুরোহিত হয়ে স্বেচ্ছায় এমন কাজ করতে পারবেন'' ? পুরোহিত রামনাথ মুস্কি হেসে বললেন- ''তোমার মতো জ্যান্ত দুর্গা পেলে ঐ মূর্তি দুর্গার পুজো কোন পাগল করবে বলো'' ? দুর্গা রেগে বললো- ''দূর হয়ে যা এখান থেকে, লম্পট কোথাকার । এই মেরী গাড়িতে বসো, চলো ফিরে যাই'' । ওঁরা কারে করে মন্দির থেকে প্রস্থান করলো ।

পর দিন রোববার বেলা ১১টার সময় ঘুম থেকে উঠে মেরী ভাবছিল কি করা যায় ? একে একে দু'টো টার্গেট মিস হয়েছে, এবার মিস হলে চলবে না । মেরীকে তাঁর মার সাথে প্রতি রোববারেই চার্চ-এ যেতে হয়, নইলে মা রাগ করেন । মেরী ভাবছিল চার্চের ফাদার ৪০ বছর বয়স্ক মসীহ, তাঁকে এবার ধরলে কেমন হয় ? ফাদার মসীহ কখনোই পরনারীর সাথে যৌনাচার করবেন বলে মনে হয় না । দুর্গা ও ফাতেমাকে ফোন করে জানিয়ে দিলো আজ দুপুরে যেন তাঁরা চার্চ মেরী-তে পৌঁছায় । মেরী তাঁর মার সাথে চার্চে আগেই পৌঁছে গেল । দুর্গা এবং ফাতেমাও এসে তাঁদের সাথে যোগ দিলো । প্রার্থনা শেষ হবার পর মেরী তাঁর মাকে বললো- ''মা তুমি চলে যাও, আমরা একটু পরে আসছি'' । একে একে সবাই প্রার্থনা শেষে চলে গেল । রয়ে গেল ওঁরা তিনজন আর ফাদার মসীহ । ফাতেমা ও দুর্গা চার্চের দরজা গুলো বন্ধ করে দিলো । ওঁদের তিন জনকে দেখে কাছে এসে ফাদার মসীহ জিজ্ঞেস করলেন- ''সবাই চলে গেছে, তোমরা কেন এখনও দাঁড়িয়ে আছো'' ? মেরী তাঁর পার্স থেকে পিস্তল বের করে বললো- ''আমরা আপনাকে ধর্ষণ করবার জন্য দাঁড়িয়ে আছি । ওই দেখুন চার্চের সব ক'টি দরজাও আমরা বন্ধ করে দিয়েছি'' । ফাদার মসীহ- ''এটা পবিত্র জায়গা এখানে পাপ কাজ করতে নেই'' । মেরী- ''বেশি কথা বললে গুলি চালাবো । কাপড় খুলুন'' । ফাদার মসীহ- ''দেখো, এটা পবিত্র জায়গা, অন্য কোথাও চলো । আমি নিজের খুশিতে তোমাদের সাথে এই কাজ করতে প্রস্তুত । এমন যুবতীদের সাথে সহবাস করতে তো হিজড়েরাও প্রস্তুত হয়ে যাবে'' । দুর্গা রেগে বললো- ''এই তুমি চার্চের পাদরী হয়ে মনের খুশিতে এই রকম অপকর্ম কি করে করতে পারো ? তোমার তো আপত্তি থাকার কথা'' । ফাদার মসীহ- ''আমি পুরুষ । তোমরা ইজ্জত আমার লুটবে কিন্তু এই পুরুষ শাসিত সমাজ নষ্টা তোমাদেরকে বলবে । এই সমাজ অপবাদ তোমাদেরকে দেবে, আমাকে নয় । তাহলে আমার আপত্তি কেন থাকবে ? আচ্ছা, সত্যি করে বলো তো- তোমরা আমাকে ধর্ষণ কেন করতে চাইছো'' ? উত্তরে ফাতেমা- ''প্রতিশোধ নিতে । প্রায় টিভি, সংবাদ পত্র ও ইন্টারনেটে দেখছি ছেলেরা মেয়ে ধর্ষণ করছে তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরাও পুরুষ ধর্ষণ করে বদলা নেব'' । ফাদার মসীহ হেসে বললেন- ''ধর্ষণ তোমরা করবে কিন্তু এই পুরুষ শাসিত সমাজ ধর্ষিতা বলে তোমাদেরকে অপবাদ দেবে । সমাজের প্রভাবশালীরা এবং আমাদের মতো ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বরা রীতি-নীতি তথা আইন-কানুনের জন্ম দিয়েছে । এখানে নারীদেরকে বসে রাখার জন্য সব রকমের অমানবিক ব্যবস্থা করা হয়েছে । ধর্ষিতা, বেশ্যা, কুলটা, ছিনাল, পতিতা, অসতী, আরো কতইনা অশ্লীল শব্দ নারীর জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে । দু'জন অবিবাহিত ছেলে মেয়ে যৌন মিলন করলে ইজ্জত শুধু মেয়ের যাবে এই মত-এর জন্ম দাতা পুরুষ'' । মেরী জানতে চাইলো- ''তাহলে নারীকে সমাজের অমানবিক রীতি-নীতি থেকে রক্ষা করার উপায় কি'' ? ফাদার মসীহ- ''নারী আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজের পরিবর্তন । দুর্বার নারী আন্দোলন গড়ে তোলো, বদলে দাও সমাজের এক তরফা রীতি-নীতি । শুধু পুরুষের ইচ্ছেয় সমাজ কেন চলবে'' ? দুর্গা- ''কিন্তু ফাদার, এই পুরুষ শাসিত সমাজের বিরুদ্ধে দুর্বল নারীরা কি রুখে দাঁড়াতে পারবে'' ? ফাদার মসীহ- '' কেন পারবে না ? আমি তোমাদের পেছনে আছি । টাকা-পয়সা থেকে শুরু করে সব রকমের সাহায্য আমি তোমাদেরকে করবো । তোমরা সমাজের সর্ব স্তরের নারীদের সমন্নয়ে একটি সংগঠন তৈরি করো । দুর্বল ও নির্যাতিতা নারীদেরকে আশ্রয় এবং অর্থ সাহায্য দেওয়ার ব্যবস্থা করো । নারীদের নিরাপত্তার জন্য প্রধান মন্ত্রীর সাহায্য নাও । আমাদের প্রধান মন্ত্রীও নারী, তাই নারী মুক্তি আন্দোলনে নিশ্চয় তিনিও যোগ দেবেন বলে আমার বিশ্বাস । যেই দেশ নারীদের দ্বারা পরিচালিত হয় সেই দেশের নারীদের পুরুষের দাসত্ব করাটা বড়ই লজ্জার । আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেত্রীরা চাইলে নারীদেরকে অধিকার দেওয়াটা কোনো কঠিন কাজ নয় । আর কত কাল এই দেশের নারীরা পুরুষের অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করবে ? নারীরাও মানুষ, তাই নারীদেরও পুরুষের মতো সমাজে অধিকার থাকতে হবে'' । ফাদার মসীহ রুম থেকে কিছু টাকা এন মেরীকে দিতে দিতে বলেন- ''এই মুহুর্তে আমি তোমাদের কে ৫০ লক্ষ টাকা দিচ্ছি । যখনই টাকার প্রয়োজন হবে আমার সাথে যোগাযোগ করো । যাও, বাংলাদেশের সকল নারীর সাথে যোগাযোগ করো, নির্যাতনের শিকার নারীদেরকে আর্থিক, আইনী, আবাসিক, সব রকমের সাহায্য করো'' । ফাতেমা- ''ঠিক আছে ফাদার, আমরা কাল থেকেই কাজ শুরু করবো । এখন চলি' । ফাদার মসীহ- ''যাও । ঈশ্বর তোমাদেরকে সফল করুন'' । ওঁরা তিনজন কারে করে বাসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলো । এবং পরদিন থেকে ''নারী মুক্তি'' নামক সংগঠনের কাজে মনোনিবেশ করে ।

বিষয়: বিবিধ

৬৬২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File