ভিকারুন্নেসা'র "পরিমল জয়ধর" এবার... "ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের "তরাক চন্দ্র মন্ডল"...এর শেষ কোথায়??????????

লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নবাজের স্বপ্ন ২৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:২০:৪৪ রাত



*** সামুতে এই পোষ্ট পড়ে মনে হলো যে, ঘটনাটা সবাইকে জানানো উচিত। সমাজ সুন্দর করার দায়িত্ব যাদের উপর সেই শিক্ষক যখন এমন নোংড়ামি করে তখন দেশের ভবিষ্যৎ কি তা ভেবে আতংকিত আমি। শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা ইদানিং এমন রূপ ধারন করেছে যে অভিভাবক গন মেয়েদের স্কুলে দিতেও ভয় পায়। বিশাল নামি দামি স্কুল গুলোতে ধর্ষনের ঘটনা বেশি ঘটছে।

পরিমল জয়ধর এর ভিকারুন্নেসা থেকে এখন আরেক দামি স্কুল "ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের ইংরেজি শিক্ষক তারক চন্দ্র মন্ডল"। ক্যান্টনমেন্ট এবং সম্পুর্ন আর্মী প্রশাসন দিয়ে পরিচালিত এবং প্রিন্সিপাল ও আর্মী মোঃ শাহাদৎ হোসেন শিকদার সেখানেই যদি ঘটে ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনা তখন আতংকিত হবারই কথা। এবং ভিকারূন্নেসার অধ্যক্ষ যেমন জয় ধরের পক্ষ নিয়েছিলো এখানেও ব্যাতিক্রম নাই, এখানেও অধ্যক্ষ সাহেব তারক চন্দ্র মন্ডলের পক্ষ নিয়েছেন। কিন্তু কেন?? কেন অধ্যক্ষ ধর্ষকের পক্ষ নিলেন........

যে দেশে শিক্ষক ধর্ষন করে ছাত্রীকে সেদেশের ভবিষ্যৎ কতটা আঁধার এক বার চিন্তা করুন.................. আর যে অধ্যক্ষ ধর্ষকের পক্ষালম্বন করেন তার মানুষিকতা কতোটা নীচ ও হীন তারকাছেও কি আমার মেয়ে বা বোন নিরাপদ????

এর শেষ কোথায় বা এর সমাধান কি?? ভাবতে হবে এখুনি....কারন" সময় ও স্রোত করো জন্যে অপেক্ষা করে না"তারা সদা বহমান..................

গত ১৪ বা ১৫ জানুয়ারী তারিখে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজের ইংরেজি শিক্ষক তারক চন্দ্র মন্ডলের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে ধর্ষিত হয় দশম শ্রেণীর ছাত্রী (এবারের এসএসসি’র এক পরিক্ষাথী)। মেয়েটি ঘটনাটি প্রথমে স্কুলের ভিপি ম্যাডামকে (তাহমিনা শামসী) ও তার অবিভাবককে জানায়। ভিপি ম্যাডাম ঘটনা শুনার পর তাকে শাসিয়ে বলে এ কথা যেন কোনভাবে প্রকাশ না পায়। ঘটনাটা তার দু’এক জন ঘনিষ্ট বান্ধবীকে জানিয়েছে। যখন ভিপি ম্যাডাম এর কথা তার বান্দবীরা শুনে তখন তাদের কেউ একজন ঘটনাটি ফেইজবুকে দিয়ে দেয় কিন্তু একদিন পর তার ফেবু আইডি উধাও হয়ে যায়। কিন্তু এর মধ্যেই কিছু ছাত্রী ও শিক্ষক/শিক্ষিকা ব্যাপারটি যেনে যায়। এই শিক্ষকই ক্লাস সেভেন এইটের মেয়েদের নোংরা SMS পাঠায় বলে জানতে পারি। ধিরে ধিরে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে।

মেয়ের অভিবাবক সম্ভবত পুলিশকে জানায়। পুলিশ সাংবাদিকসহ স্কুলে গেলে প্রিঞ্চিপাল কর্নেল মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সিকদার পুলিশ ও সাংবাদিককে ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। প্রিঞ্চিপ্যাল সাহেব ঐ মেয়ের অভিবাবককে কোনভাবে ম্যানেজ করে নেয় হয়তো স্কুলের সুনাম রক্ষারতে অথবা তার চাকরী রক্ষার্তে। এই ঝামেলায় জড়ালে তার চাকুরি ও প্যানশন পাওয়ায় ঝামেলায় পড়বে।

প্রিঞ্চিপাল সাহেব স্কুলের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাকে এই মর্মে ধমকি দেয় যে, কোন অবস্থায় কারো মাদ্ধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ পেলে বা মিডিয়ায় প্রকাশ করলে তার চাকরী যাবে। আমি নিজে কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকাকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তারা আমার সাথে কোথা বলতে অপারগতা জানায়। একজন বলে ঐ মেয়ের স্বভাবও খারাপ ছিলো। আর একজন বলে, আপনার সাথে কথা বলে নিজের চাকরী হারাতে চাই না।

গত ২৪ তারিখে অভিবাবক দিবসে অধ্যক্ষ অভিবাবকদের তোপের মুখে পড়ে। আবিভাবকরা প্রিঞ্চিপ্যাল কে অকথ্য ভাষায় আক্রমন শুরু করলে উনি করজোর ক্ষমা চেয়ে সবাইকে অনুরোধ করে ব্যাপারটা যেন মিডিয়ায় না যায় এবং তিনি কিছু প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে ছিলোঃ ঐ ধর্ষক শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, সিসি ক্যামেরা বসানো, ওয়াসরুমের সামনে আয়া রাখা, পুরুষ শিক্ষকদের রুমের সামনে আয়া রাখা ইত্যাদি। কিছু কিছু অভিবাবক মোবাইলে ঐ মিটিং এর ভিডিও করলে তাদের মোবাইল ফোন কেডে নেওয়া হয়। পরে মেমোরী কার্ড খুলে ফোন ফেরত দেওয়া হয়।

আজ কতৃপক্ষ নোটিস বোর্ডে এই নোটিসটি এঁটে দেয়ঃ

{১। এই মর্মে সংশ্লিষ্ট সকল ছাত্র/ছাত্রী ও শিক্ষককে জানানো যাচ্ছে যে, কলেজ করতিপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অত্র প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও শিক্ষকসুলভ আচরনের পরিপন্থি কাজ করাতে তারকচন্দ্র মন্ডল, সহকারী শিক্ষককে তার চাকুরী থেকে Dismiss করা হয়েছে।

২। সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য বিষয়টি জানানো হোল।

সাক্ষর

কর্নেল মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সিকদার}

এই সেই ধর্ষক তারক চন্দ্র মন্ডল

দৃষ্টি আকর্ষণঃ সেনা প্রধান, ক্যান্ট বোর্ড ও সকল সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সাংবাদিক ভাইরা একটু অনুসন্ধান করে রিপোর্ট করুন।

বিঃদ্রঃ প্লিজ পোস্টে কে গালাগালি করবেন না। যদি পারেন পোস্টটি যত তারাতারি শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে এই কুলাঙ্গারের বিচারের সম্মুখীন করেন। অনলাইন এক্টিভিস্টরাই পরিমলকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে। আপনারাই পারবেন এই কুলাঙ্গার তারক চন্দ্র মন্ডলকে আইনের হাতে তুলে দিতে।

আমি অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি। নতুন তথ্য পেলে পোস্টে আপগ্রেড দিব। এই স্কুলেরই ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীর সাথেও একটি জঘন্য ঘটনা শুনেছি (সঠিক তথ্য পেলে পোষ্ট দিব)। আর কারো কাছে কোন তথ্য থাকলে এখানে জানান। আমি পোষ্টে এড করে দিব।

মুল পোষ্ট এখানে-http://www.somewhereinblog.net/blog/jatirnana303/29756044

বিষয়: বিবিধ

৩৪০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File